আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” কবিতাটি বাঙালি জাতির সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ঐতিহ্যের এক অনন্য উপাখ্যান। কবি এখানে তাঁর পূর্বপুরুষদের কথা বলেছেন, যারা মাটির সঙ্গে মিশে ছিল, রক্তাক্ত পিঠ নিয়ে সংগ্রামে নেমেছিল এবং আমাদের জন্য এক মহান ইতিহাস গড়ে তুলেছে। এই পোস্টে আমি কিংবদন্তির কথা বলছি অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি অনুধাবন প্রশ্ন
১. “তার পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল” ব্যাখ্যা করো।
কবিতায় রক্তজবা ফুলটি শোষণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জমিদার শ্রেণি কৃষকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাদের ঋণের ফাঁদে ফেলে দেয় এবং সেই সুযোগে তাদের ওপর অমানুষিক শোষণ চালায়। শ্রমিকের শ্রমকে মূল্যহীন করে, তাদের আত্মসম্মানকে ভেঙে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ে। এখানে কবি সেই দুঃসহ শারীরিক শোষণকেই রক্তজবার মতো ক্ষত হিসেবে চিত্রিত করেছেন।
২. ‘তার পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল’- কেন?
এই পঙক্তিতে কবি বাঙালি জাতির ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী বিদেশি শাসকদের অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতনের ফলে বাঙালির আত্মা ও শরীর জর্জরিত হয়েছে। শত্রুরা তাদেরকে দাসের মতো ব্যবহার করেছে, পেছন থেকে চাবুক মেরে মাটিতে লুটিয়ে ফেলেছে, এবং সেই আঘাতের দাগ আজও রক্তজবার মতো দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। কবির পূর্বপুরুষদের শরীরে বয়ে বেড়ানো এই রক্তাক্ত চিহ্ন ঐতিহাসিক শোষণ ও নির্যাতনের প্রতীক।
৩. কে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না? কেন?
যে মানুষ কবিতার সুর বুঝতে জানে না, সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনে আনন্দ পায় না। মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনা আমাদের জীবনের এক অমূল্য আনন্দের মুহূর্ত। মাতৃ-স্নেহ ও অনুভূতির প্রতি টান না থাকলে সেই গল্পের আস্বাদও কেউ পায় না। যার হৃদয়ে আবেগের সুর নেই, সে কবিতার মতোই মায়ের গল্পের সঙ্গেও নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারে না।
৪. ‘আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি’-এখানে ‘বিচলিত স্নেহ’ বলতে কী বোঝায়?
এখানে ‘বিচলিত স্নেহ’ বলতে আপনজনের উদ্বিগ্নতার কথা বলা হয়েছে। কবি সেই উৎকণ্ঠার কথা স্মরণ করছেন যা তাঁর মা-বাবা, ভাই-বোনের মধ্যে নানা সময়ে প্রকাশ পেত। তাদের মধ্যে যে স্নেহ ও উদ্বিগ্নতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত, তা তাঁকে গভীরভাবে আবেগতাড়িত করে। এই বিচলিত স্নেহের স্মৃতিই কবিকে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
৫. জননীর আশীর্বাদ কাকে, কেন দীর্ঘায়ু করবে?
যে ব্যক্তি গাভীর যত্ন নেয়, তাকে জননী দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ দেবেন। গাভী আমাদের মা তুল্য, কারণ এ প্রাণী আমাদের কৃষিজীবী সমাজের এক প্রধান অবলম্বন। গাভী পরিচর্যার মাধ্যমে কৃষিজীবীরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেন। এখানে জননী বলতে ‘গো-মাতা’কে বোঝানো হয়েছে। যে গো-মাতার যত্ন নেবে, গো-মাতা তার দীর্ঘায়ু কামনা করবেন।
৬. যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না কেন?
কবিতা শুনতে না জানা মানুষ মাছের সঙ্গে খেলার আনন্দও অনুভব করতে পারে না, কারণ তার মধ্যে সৃষ্টির আনন্দ নেই। মাছের সঙ্গে খেলা করা বলতে আনন্দদায়ক নিরর্থক কাজকে বোঝানো হয়েছে, যা শিশুদের আনন্দ দেয়। কিন্তু যার মধ্যে আবেগ ও কল্পনার সূক্ষ্মতা নেই, সে জীবনের এই নিরর্থক আনন্দগুলোকেও উপলব্ধি করতে পারে না।
৭. ‘আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি’-কবি এটি কেন বলেছেন?
কবি এই পঙক্তির মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের সাহস ও পরিশ্রমকে স্মরণ করেছেন। বাংলার মানুষের মধ্যে একসময় সাহসিকতা ও অধ্যবসায়ের গুণাবলী ছিল, যা তাদের অনেক সাফল্য এনে দিয়েছিল। কবি সেই ঐতিহ্য ও শক্তির উত্তরাধিকারী হয়ে তাদের কথা বলেছেন।
৮. “আমরা কি তাঁর মতো কবিতার কথা বলতে পারব” -চরণটি বুঝিয়ে দাও।
এই পঙক্তির মাধ্যমে কবি আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবন সংগ্রাম ও স্বাধীনচেতা মানসিকতার কথা বলতে চেয়েছেন। ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকেও তারা স্বাধীনতার কথা, জীবনযুদ্ধের কথা বলে গেছেন। তাদের সংগ্রামী জীবনের সেই শক্তি ও চেতনা কি আমরা ধারণ করতে পারব—এই প্রশ্নটিই কবি এখানে উত্থাপন করেছেন।
৯. ‘কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা’ চরণটি ব্যাখ্যা করো।
এখানে কবি চাষকৃত জমির প্রতিটি শস্যদানাকে কবিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম ও গভীর মমতায় কৃষক জমিতে শস্য উৎপাদন করেন, যা তাঁর কাছে একেকটি কবিতার মতো মূল্যবান। যেমন কবি শব্দকে ভালোবাসায় আবেগ মিশিয়ে কবিতা রচনা করেন, তেমনই কৃষকও মাটির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ফসল ফলান। এভাবেই চাষ করা প্রতিটি শস্যদানা কৃষকের কঠোর পরিশ্রমের কবিতার প্রতিরূপ হয়ে ওঠে।
১০. ‘যে কর্ষণ করে তার প্রতিটি স্বেদবিন্দু কবিতা’। ব্যাখ্যা করো।
কৃষকের শ্রমে তাঁর শরীর থেকে ঝরে পড়া প্রতিটি ঘামের বিন্দুই কবিতার মতো। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি তার কৃষক পূর্বপুরুষদের পরিশ্রমের কথা স্মরণ করেছেন। পতিত জমিকে উর্বর করার জন্য তাদের ঘাম ঝরানো শ্রমই ছিল তাঁদের জীবনের কবিতা। মাটির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত এই পরিশ্রমী মানুষের শরীর থেকে ঝরে পড়া প্রতিটি ঘামের বিন্দু তাই কবিতার প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠে।
১১. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় শ্বাপদ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
কবিতায় ‘শ্বাপদ’ শব্দটি দ্বারা শত্রু সেনাদের বোঝানো হয়েছে, যারা হিংস্র জন্তুর মতো অত্যাচার চালাতো। বাঙালি জনগণের ওপর তারা পশুর মতো আচরণ করেছে, শোষণ ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের রক্ত শুষে নিয়েছে। এই শত্রুরা কখনও সাহসী লড়াইয়ে অবতীর্ণ না হয়ে কাপুরুষের মতো নিরীহ বাঙালির ওপর আক্রমণ চালিয়েছে, যা তাদেরকে শ্বাপদের প্রতিমূর্তি দিয়েছে।
১২. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় রক্তজবার প্রতীকী তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
রক্তজবা এখানে শোষণের প্রতীক। জমিদারেরা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে রাখত এবং তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত। শ্রমিকদের ওপর এই শারীরিক শোষণ ও নির্যাতনকে কবি রক্তজবার মতো তীব্র ক্ষতের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা শোষণের রক্তাক্ত দাগ বহন করে।
১৩. ‘তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল’ – বলতে কী বুঝায়?
এখানে দীর্ঘদিনের শোষণ ও অত্যাচারের ইতিহাস বোঝানো হয়েছে। কবির পূর্বপুরুষেরা বিদেশি শাসকদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছেন, যার আঘাতের দাগ আজও পিঠে রক্তজবার মতো লাল ক্ষতের স্মৃতি বহন করছে। শত্রুরা কাপুরুষের মতো পেছন থেকে আঘাত করেছে এবং ক্রীতদাসের মতো বাঙালিদের ব্যবহার করেছে, যা এই রক্তজবা ক্ষতের প্রতীকে প্রকাশ পেয়েছে।
১৪. ‘সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
এখানে কবি সত্য ও সুন্দরের জয়গান করেছেন। সমাজে অনেক সময় সত্য ও সুন্দর ঢেকে যায় বা মরিচা পড়ে যায়। যখন সেই সত্য ও সুন্দরের প্রতি ভালোবাসা ও ন্যায়বোধ সম্পন্ন মানুষরা এ অবস্থাকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়, তখন সেই সশস্ত্র অভ্যুত্থানও কবিতার রূপ নেয়। সত্যের বিজয় এবং সুন্দরের পুনরুদ্ধার এভাবেই এক অভ্যুত্থানের রূপ নিয়ে কবিতায় ফুটে ওঠে।
১৫. ‘করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল’-এ কথা কবি কেন বলেছেন?
বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষেরা কঠিন মাটির বুকে সোনার ফসল ফলাতেন। তাদের রক্ত-পানি করা ঘামে সিক্ত মাটির সৌরভ আজও জাতির ঐতিহ্যকে গৌরবমণ্ডিত করে তোলে। কবির মতে, বাংলার কৃষক সমাজের শরীরে ঘামের গন্ধ আর হাতে মাটির এই সৌরভ জাতির প্রকৃত পরিচয় বহন করে।
১৬. কবি তাঁর পূর্বপুরুষের কথা বলেছেন কেন? বুঝিয়ে লেখো।
কবি তাঁর পূর্বপুরুষের সাহসিকতা ও গৌরবের কথা স্মরণ করেছেন। তাঁদের জীবন ছিল শোষণের শৃঙ্খলে বাঁধা, যেখানে তাঁদের বসবাস করতে হতো অরণ্যে শ্বাপদের সঙ্গে। তাঁরা পতিত জমিকে উর্বর করে নিজেরা দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। তাদের এই সাহসিকতার কথা মনে করেই কবি তাঁর পূর্বপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর
১৭. ‘যে কবিতা শুনতে জানে না/সে…’ পঙ্ক্তিটি কবি কেন বারবার ব্যবহার করেছেন?
এই পঙ্ক্তিটি কবিতার ভেতরকার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও শিল্পরূপের সংমিশ্রণকে তুলে ধরতে কবি বারবার ব্যবহার করেছেন। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সৌন্দর্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই পুনরাবৃত্তি, যা কবিতা এবং মুক্তির আবেগকে মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে। ধারাবাহিকভাবে ‘যে কবিতা শুনতে জানে না/ সে…’ কাঠামোতে পঙ্ক্তির পুনরাবৃত্তি কবিতার গঠন ও ভাবনাকে একক বৈশিষ্ট্যে রূপান্তরিত করেছে।
১৮. “যে কবিতা শুনতে জানে না/সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।”-কেন?
এখানে বোঝানো হয়েছে, যে কবিতা শুনতে জানে না তার মনে স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয় না। কবিতা শুনতে জানা মানে হলো অনুভূতি ও চেতনার সাড়া পাওয়া, যা মুক্তির পথে পথচলা শেখায়। যে কবিতা থেকে বঞ্চিত থাকে, সে কখনো মুক্তির মর্ম উপলব্ধি করতে পারে না এবং আজন্ম ক্রীতদাস হিসেবে জীবিত থাকে, কারণ তার মধ্যে স্বাধীনতার কোনো সাড়া জাগে না।
১৯. কবিতায় মায়ের ছেলেরা কোথায় এবং কেন চলে যায়?
মায়ের ছেলেরা দেশমাতাকে রক্ষা করতে যুদ্ধে চলে যায়। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি পূর্বপুরুষদের সংগ্রামী চেতনাকে স্মরণ করেছেন, যারা বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে দেশমাতার মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। মায়ার বন্ধন ছেড়ে তারা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল।
২০. কবিতা অনুসারে দেশপ্রেম জাগ্রত হয় কীভাবে?
কবির মতে, যে কবিতা শুনতে জানে, তার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। কবিতা সত্য ও সুন্দরের রূপ প্রকাশ করে, যা দেশপ্রেমের আবেগকে উজ্জীবিত করে। এই কবিতার মাধ্যমে বাঙালির সংগ্রামী চেতনাও শিল্পরূপে প্রকাশ পায়, যা মানুষের মনে দেশপ্রেমের স্ফুরণ ঘটায়।
২১. কবি পূর্বপুরুষদের ক্রীতদাস বলেছেন কেন?
কবির পূর্বপুরুষেরা বিদেশি শাসকদের অধীনে নির্যাতিত জীবন কাটিয়েছেন, তাই কবি তাঁদের ক্রীতদাস বলেছেন। তাঁদের শ্রমের ফল তাঁরা নিজেরা ভোগ করতে পারতেন না, শোষকদের অধীনে নির্যাতিত ও বঞ্চিত জীবন কাটাতেন। কবির ভাষায় তাঁরা ছিলেন ক্রীতদাস, যারা শোষকদের অত্যাচারকে মেনে নিয়ে জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
২২. ‘আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি’ চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
এই চরণে কবি কাছের মানুষের প্রতি তাঁর উৎকণ্ঠা ও ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন। প্রিয়জন বিপদে পড়লে যে উদ্বেগ ও ভালোবাসা মানুষের মধ্যে থাকে, সেই বিচলিত স্নেহের স্মৃতি কবিকে আবেগতাড়িত করেছে। এই স্নেহ তাঁর মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে এবং আপনজনের এই ভালোবাসার স্মৃতি কবির মনের গভীরে এখনও উজ্জ্বল।
২৩. ‘তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল’-ব্যাখ্যা করো।
এই চরণে কবি যুগ যুগ ধরে বাঙালি জাতির ওপর বিদেশি শাসকদের শোষণ ও অত্যাচারের ক্ষতচিহ্ন বোঝাতে চেয়েছেন। বিদেশি শত্রুরা কাপুরুষের মতো পেছন থেকে বাঙালিদের ওপর আঘাত করেছে, যেটা আজও তাঁদের রক্তজবার মতো লাল ক্ষতের স্মৃতিকে জীবিত রাখে।
২৪. ‘তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল’-বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
কবি এখানে বাঙালির ওপর বিদেশি শাসকদের নির্মম অত্যাচারের ইতিহাসকে বোঝাতে চেয়েছেন। শত্রুরা তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত সৃষ্টি করেছে। এই ক্ষত কবির দৃষ্টিতে এক নির্যাতিত জাতির জীবন্ত স্মৃতি, যা কবির পূর্বপুরুষদের ক্রীতদাস জীবনের সাক্ষ্য বহন করে।
Related Posts
- আঠারো বছর বয়স কবিতার ব্যাখ্যা – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- আমাদের লোকশিল্প বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
- Paragraph The Wonders of The Internet (বাংলা অর্থসহ)
- প্রতিদান কবিতার মূলভাব বা পাঠ পরিচিতি সহজ ভাষায়
- বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- তাহারেই পড়ে মনে কবিতার ব্যাখ্যা ও সারমর্ম- একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার মূলভাব – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- ঐকতান কবিতার প্রতি লাইনের ব্যাখ্যা – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- রেইনকোট গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)- একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা