স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণির ২য় অধ্যায়- নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন

খাদ্য আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকের পোস্টে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণির ২য় অধ্যায়ের সবগুলো ছকের সমাধান করে দেখালাম।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণি ২য় অধ্যায়ের সবগুলো ছক

নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন

আমার পর্যবেক্ষণ

আমরা যে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করলাম তা দিয়ে ‘আমার পর্যবেক্ষণ‘ ছকটি পূরণ করি।

খাবার কীভাবে প্রস্তুত করা হয় এবং কে কে অংশগ্রহণ করেন?

খাবার রান্না করার সময় আমরা খেয়াল রাখি যেন টাটকা শাকসবজি এবং তাজা মাছ মাংস তারা হয়। কোনভাবেই আমরা কয়েকদিনের ফেলে রাখা খাদ্যদ্রব্য দিয়ে খাবার প্রস্তুত করি না। খাবার সাধারণত আমার আম্মু প্রস্তুত করেন। তবে রান্নার কাজে আব্বু আম্মুকে সবসময় সাহায্য করেন। আমি স্কুল থেকে ফিরলে আম্মুকে রান্নার কাজে সাহায্য করি। তাছাড়া ছোট বোন বিভিন্ন শাকসবজি এবং মাছ-মাংস ভালোভাবে ধোয়ায় সাহায্য করে।
পরিবেশন কীভাবে করা হয় এবং কে করেন?

খাবার সাধারণত আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন টেবিলে পরিবেশন করি। আমরা যে পাত্রে খাবার খাই, সব সময় পাত্রগুলো ধুয়ে রাখি। খাবার পরিবেশন সাধারণত আম্মু করে থাকেন। তবে আম্মুর যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য আব্বু খাবারগুলো নিয়ে আসেন। আমাদের সাহায্য লাগলে অনেক সময় আমরা ছোটখাটো সাহায্য করে থাকি। বাড়িতে মেহমান আসলে তখন আমাদেরকেও খাদ্য পরিবেশন এর জন্য দরকার হয়।
খাবার সংরক্ষণ কীভাবে করা হয় এবং কে করেন?

খাবার সংরক্ষণে আমরা সাধারণত ফ্রিজ ব্যবহার করি। তাছাড়া চুলোয় গরম করেও মাঝে মাঝে খাবার সংরক্ষণ করি। আচার জাতীয় কোন খাবার বেশিদিন সংরক্ষণের জন্য আমরা কাচের আবদ্ধ পাত্র ব্যবহার করি। যে খাবার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় সেই খাবার আমরা সংরক্ষণের দিকে বেশি নজর দেই এবং রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করি। খাবার সংরক্ষণ সাধারণত মা করে থাকেন। তবে আমাদের সাহায্য লাগলে আমরা করি।
খাবারের পুষ্টিমান বজায় রাখতে কী করা হয়?

খাবারের পুষ্টিমান বজায় রাখতে আমরা লাল চাল বা আসাটা চালের ভাত খাই। ভাত রান্নার সময় ভাতের মার না ফেলে আমরা রান্না করি। ভাতের মার ফেলে দিলে পানিতে দ্রবণীয় পুষ্টি উপাদান মারের সাথে অপচয় হয়। শাকসবজি আগে ধুয়ে পরে কেটে নেই। মাছ-মাংস বা শাকসবজি সঠিক তাপমাত্রায় সিদ্ধ করি। যাতে জীবাণু মরে যায় এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে।
পরিবারের উদ্বৃত্ত খাবার কী করা হয়?

আমাদের খাবারের পরে অতিরিক্ত যে খাবার থেকে যায়, সেগুলো আমরা পরের দিনের জন্য রেফ্রিজারেটর সংরক্ষণ করি অথবা গরম করে রেখে দেই। খাবার যদি বেশি পরিমানে উদ্বৃত্ত হয়, তবে আমরা পাশের প্রতিবেশীকে দিয়ে দেই। মাঝে মাঝে উদ্বৃত্ত খাবার আমরা গরীব দুঃখীদের খেতে দেই।
খাবার প্রস্তুত করা ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় আমি কী ভূমিকা পালন করি ?

খাবার প্রস্তুত করা ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি। আমি বাজারে গিয়ে তাজা শাক-সবজি এবং মাছ মাংস কিনে নিয়ে আসি এবং সেগুলো রান্নার কাজে কাটতে আম্মুকে সাহায্য করি। খাবার সংরক্ষণেও আমি অবদান রাখি বোতলজাত খাবার বোতলে আমি ভরে রাখি। খাবার সব সময় পর্যবেক্ষণ করি যাতে নষ্ট হয়ে যায় কিনা। পরিবারের উদ্বৃত্ত খাবার আমি পরের দিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখি।

আমাদের প্রাপ্ত মতামতগুলো আমরা নিচের ‘আমাদের কাজ এবং খাবার নিরাপদ রাখতে এর প্রভাব’ ছকটিতে লিখি।

আমাদের কাজ এবং খাবার নিরাপদ রাখতে এর প্রভাব

আমাদের কাজখাবার নিরাপদ রাখতে এ কাজের প্রভাব
উৎপাদন

প্রক্রিয়াকরণ
খাদ্য নিরাপদ রাখতে উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণ সর্বপ্রথম ভূমিকা রাখে। আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে প্রথমেই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে খাদ্যের সঠিক উৎপাদন। টাটকা শাকসবজি এবং তাজা মাছ মাংস বাছাই এর ফলে খাদ্য নিরাপদ রাখতে প্রথম ভূমিকা পালন করে।
প্রস্তুতি খাদ্য প্রস্তুতির সময় আমরা খেয়াল রাখি যেন, আমাদের হাত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। যাতে রোগ জীবাণু আমাদের খাদ্যের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে। এর ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।
পরিবেশনপরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন টেবিলে খাবার পরিবেশন এর ফলে খাবার টেবিলে পড়লেও আমরা উঠাতে পারি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার প্লেট ব্যবহারের ফলে রোগ জীবাণু প্লেটের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ছড়াতে পারে না।
খাবার
সংরক্ষণ
এভাবে খাবার সংরক্ষণের ফলে খাবার উচ্চ এবং নিম্ন তাপমাত্রায় থাকে। যাতে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্য কোন রোগ-জীবাণু খাবারকে আক্রমণ করতে পারে না। ফলে খাবার সুরক্ষিত এবং স্বাস্থ্যকর থাকে।

ধরন বিবেচনা করে খাবার নিরাপদ রাখার উপায় খুঁজে বের করব।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণির ২য় অধ্যায়ের খাবার নিরাপদ রাখার উপায়

উৎপাদন

খাদ্য নিরাপদ রাখার সর্বপ্রথম উপায় হচ্ছে খাদ্যের সঠিক উৎপাদন। খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে খাদ্য অনেকদিন ভালো রাখার জন্য ফরমালিন অথবা ফল তাড়াতাড়ি পাকানোর জন্য কার্বাইড জাতীয় ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো না হয়। এছাড়াও যখন ফসলি জমিতে কোন খাদ্য উৎপাদন করা হবে, অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করা হয়। যাতে খাদ্যের পুষ্টি গুনাগুন নষ্ট হয়ে না যায়।
প্রস্তুতি

খাদ্য প্রস্তুত খাদ্য উৎপাদনের পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্য প্রস্তুতির সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, সকল হাড়ি-পাতিল আমরা খাদ্য উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করি, সেগুলো সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা। খাদ্য প্রস্তুতির সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হয় যেন, আমরা তেল ব্যবহার বেশি না করি। এতে করে আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিকের মতো রোগব্যাধি হতে মুক্ত থাকবে। তাছাড়া খাবারে মসলা অধিক ব্যবহার করা যাবে না। এতে খাদ্যের গুনাগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পরিবেশন

খাদ্য পরিবেশন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্য পরিবেশনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন, সেটা দূষণমুক্ত পরিবেশে হয়। আমাদের তৈরি করা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার যেন পরিবেশনের সময় জীবাণুমুক্ত ভাবে আমরা খেতে পারি সেদিকে দৃষ্টি রাখা। খাবার পরিবেশন যদি টেবিলে হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে টেবিল পরিষ্কার থাকা। প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ভিমবার অথবা ডিটারজেন জাতীয় পরিষ্কারক দিয়ে ধুয়ে খাদ্য পরিবেশন করা। খাদ্য পরিবেশনের সময় খাদ্যকে সুন্দরভাবে সাজানো আমাদের খাদ্য গ্রহণে বেশি আকৃষ্ট করে।
সংরক্ষণ

খাদ্য নিরাপদ রাখতে সবচেয়ে সর্বশেষ উপায় হচ্ছে সংরক্ষণ। খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে খাদ্যকে দীর্ঘদিন নিরাপদে রাখা যায়। আমাদের উদ্বৃত্ত খাবার ও অতিরিক্ত যে কোন খাদ্যদ্রব্য আমরা বেশি দিনের জন্য যদি রাখতে চাই, তাহলে খাদ্য সংরক্ষণ করি জরুরী। খাদ্য সংরক্ষণ না করে যদি ফেলে রাখি তবে খাদ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্মায় এবং খাদ্যকে নষ্ট করে ফেলে। সুতরাং খাদ্য কে নিরাপদ রাখতে হলে খাদ্য সংরক্ষণ সবচেয়ে মুখ্য বিষয়।

দুজন প্রতিবেশীর সাক্ষাৎকার নিব। তারা খাদ্যের গুণগতমান বজায় রাখতে কি করেন এবং উদ্বৃত্ত খাবার কিভাবে ব্যবহার করেন তা নিচে ছকে লিখব।

খাবারের গুনগত মান ঠিক রাখা এবং উদ্বৃত্ত খাবারের ব্যবহার বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের ছক

তথ্য প্রদানকারীখাবারের গুনগত মান বজায় রাখতে যা করেন এবং
করা যায় বলে মনে করেন
উদ্বৃত্ত খাবারের যেভাবে ব্যবহার করেন এবং
করা যায় বলে মনে করেন
প্রতিবেশী-১যা করেন:
তিনি বসা ভাত বা ভাতের মার না ফেলে রান্না করেন।

যা করা যায় বলে মনে করেন/ জানেন কিন্তু করেন না:
তিনি শাকসবজি আগে কেটে পরে ধুয়ে নেন। এতে খাদ্যের পুষ্টিমান কমে যায়। তিনি এটা জানেন কিন্তু করেন না ।
যা করেন:
তিনি উদ্বৃত্ত খাবার ফেলে দেন।

যা করা যায় বলে মনে করেন/ জানেন কিন্তু করেন না
তিনি মনে করেন পরের দিনের জন্য এ খাবার সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
প্রতিবেশী-২যা করেন:
তিনি মাছ-মাংস বা শাকসবজি সঠিক তাপমাত্রায় সিদ্ধ করে রান্না করেন।

যা করা যায় বলে মনে করেন/ জানেন কিন্তু করেন না:
তিনি লাল চাল বা আছাঁটা চালের ভাত খান না। তিনি সাদা এবং বারংবার ছাঁটাই করা চালের ভাত খান। তিনি এটা জানেন তবুও করেন না।
যা করেন:
তিনি উদ্বৃত্ত খাবার পরের দিনের জন্য সংরক্ষণ করে রেখে দেন।

যা করা যায় বলে মনে করেন/ জানেন কিন্তু করেন না:
এ খাবার প্রতিবেশীকে অথবা গরীব-দুঃখীদের দেওয়া যায় বলে তিনি মনে করেন।

আমরা কি কি উপায়ে খাদ্য অপচয় রোধ করতে পারি তা নিচের ছকটিতে লিখি।

খাদ্য অপচয় রোধ করার উপায়


খাদ্যকে অপচয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা নিম্নরুপঃ

১। যতটুকু খাবার আমরা খাব, ঠিক পরিমাণে খাবার নেওয়া। অতিরিক্ত খাবার নিয়ে না খেতে পেরে খাবারকে নষ্ট করবো না।

২। খাবার প্রস্তুতির সময় পরিবারের সদস্যদের হিসেব করে খাবার প্রস্তুত করা।

৩। খাবার প্রস্তুতের সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আমরা কত দিনের খাবার প্রস্তুত করব তা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা।

৪। খাবার অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেটা ফেলে না দিয়ে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা।

৫। সংরক্ষণের অতিরিক্ত খাবার যদি হয়ে যায় তাহলে পাশের প্রতিবেশীকে দিয়ে দেওয়া অথবা গরিবকে খাওয়ানো।

৬। খাদ্যকে অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খাবারকে নিরাপদে সংরক্ষণ করা।

৭। খাদ্য যাতে দুর্গন্ধযুক্ত ও বাসি-পচা না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা। কারন এসবের জন্য খাদ্যের অপচয় বেশি হয়।

নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আমাদের তৈরি করা স্লোগান নিচের ছকটিতে লিখি।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণি ২১ পৃষ্ঠা

নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আমাদের তৈরি করা স্লোগান

১। নিরাপদ পানি পান করি, আর্সেনিকমুক্ত জীবন গড়ি।

২। ভোগের অধিক খাদ্য নয়, আর হবেনা অপচয়।

৩। ফরমালিনযুক্ত খাবার খাব না, ডাক্তারের কাছে যাব না।

৪। খাদ্যকে দূষণমুক্ত রাখবো সুস্থ, সুন্দর জীবন গড়বো।

৫। খাদ্যকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করি, নিরাপদ খাদ্য উপভোগ করি।

৬। খাবার আগে হাত ধুবো, ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত থাকবো।

৭। পরিচ্ছন্ন পাত্রে খাবার পরিবেশন করি, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করি।

৮। বাসি খাবারকে না বলি, রোগ-বালাই মুক্ত হয়ে চলি।

খাদ্য নিরাপদ রাখতে পরিবারের কাজে আমার অংশগ্রহণ ও সচেতনতায় আমার পরিকল্পনা

পরিবারের কাজে অংশগ্রহণ ও সচেতনতার জন্য
আমার পদক্ষেপ
সামাজিক সচেতনতার জন্য
আমাদের পদক্ষেপ

খাদ্য নিরাপদ রাখতে পরিবারের কাজে অংশগ্রহণ ও সচেতনতায় আমার দায়িত্ব পালন করতে হবে। পরিবারে প্রতিদিন কি খাবার রান্না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রান্নার কাজে সবজি কাটা, রান্নার পাত্র ধোয়া ইত্যাদি কাজে আমাকে সাহায্য করতে হবে। খাবার পরিবেশনের সময়ে অবশ্যই খাবারের প্লেট এবং খাবার পরিবেশন এর স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে। অতিরিক্ত খাবার যদি হয়ে যায়, তাহলে পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে সেটা পরের দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
খাদ্যকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সামাজিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সমাজের সকলের সাথে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য আমাদের শরীরে কি ধরনের সমস্যা ও রোগ ব্যাধ সৃষ্টি করতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। পানি বাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করে দিতে হবে। খাদ্যকে অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলো জানিয়ে দিতে হবে। ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করে নিরাপদ খাদ্য সচেতনতা নিশ্চিত করতে হবে।

আমার অংশগ্রহণ ও পাঠ্যপুস্তকে করা কাজ

মূল্যায়ন ছক ১

নিজের মন্তব্য সহপাঠীর মন্তব্যঅভিভাবকের মন্তব্যশিক্ষকের মন্তব্য
স্বতঃস্ফূর্ত
উদ্যোগ গ্রহণ
আমি এই অধ্যায়ের নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত সবগুলো কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছি।আমরা দেখেছি, সে সবগুলো কাজে মনোযোগী ছিল এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।সে সবগুলো কাজ মনোযোগ সহকারে করেছে।শিক্ষক লিখবেন।
শ্রদ্ধাশীল
আচারণ
এই অধ্যায়ের কাজে আমি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সাথে শ্রদ্ধাশীল আচরণ করেছি ।আমরা তার কাজকর্মে শ্রদ্ধাশীল আচরণ লক্ষ্য করেছি।তার ব্যবহার নমনীয় ও ভদ্র।শিক্ষক লিখবেন।
সহযোগিতামূলক
মনোভাব
আমার দলীয় কাজে সহযোগিতা করেছি।তার মনোভাব সহযোগিতা পূর্ণ ছিল।সকল ভালো কাজ সে সহযোগিতা করে।শিক্ষক লিখবেন।
পাঠ্যপুস্তকে
সম্পাদিত
কাজের মান
পাঠ্যপুস্তকে করা সম্পূর্ণ কাজটি আমার নিজের।তার সম্পাদিত কাজের মান অনেক ভালো।সে কাজে মনোযোগী ছিল।শিক্ষক লিখবেন।

খাদ্য নিরাপদ রাখা ও অপচয় রোধ করার কৌশলগুলোর চর্চার মাধ্যমে অর্জিত যোগ্যতা প্রয়োগের মূল্যায়ন।

মূল্যায়ন ছক ২

শিক্ষার্থীর নামঃ
খাদ্য দূষণ ও অপচয়
রোধের কৌশলগুলোর চর্চা
সংক্রান্ত ব্যক্তিগত
পরিকল্পনার যথার্থতা
পরিকল্পনার আলোকে
করা চর্চা সংক্রান্ত
কাজগুলো পাঠ্যপুস্তক
এবং খাতা/ডায়রি/
জার্নালে লিপিবদ্ধ করা
পাঠ্যপুস্তক/খাতা/ডায়রি/
জার্নালে লিপিবদ্ধ
করা কাজগুলোতে খাদ্য
দূষণ ও অপচয় রোধের
ধারণাগুলোর সঠিক
প্রতিফলন

বর্ণনামূলক ফিডব্যাক
দূষণ ও অপচয় রোধে যেসব পরিকল্পনাগুলো আমি করেছিলাম সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি। খাদ্য নিরাপদ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছি। খাদ্যদ্রব্য যাতে পচে না যায় সেজন্য খাদ্যকে রেফ্রিজারেটরের অথবা চুলোয় গরম করে সংরক্ষণ করেছি।পরিকল্পনার আলোকে করা চর্চা সংক্রান্ত কাজগুলো আমি পাঠ্যপুস্তক ও ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করেছি। খাদ্য উৎপাদন করা, পরিবেশন করা ও সংরক্ষণ বিষয়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট জার্নালে লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যাতে আমি এগুলো চর্চা করতে পারি সে জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছি।পাঠ্যপুস্তক, ডায়েরি বা জার্নালে লিপিবদ্ধ করা খাদ্য দূষণ ও অপচয় রোধ সম্পর্কিত যে কাজগুলো আমি সংরক্ষণ করেছি সেগুলো আমার বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত করেছি। খাদ্য দূষণ এবং পচনের হাত থেকে কিভাবে খাদ্যকে রক্ষা করতে হয়, সেসব বিষয়ে আমার পরিবার ও প্রতিবেশীকে ধারণা দিয়েছি।

Related Posts