আজকের পোস্টে তোমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণির ১ম অধ্যায়ের সবগুলো ছক করে দেখালাম। শরীর কিংবা মন ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। কারো সাথে কথা বলতেও ভালো লাগে না। শোনার ধৈর্য থাকে না । এসব পরিস্থিতিতে কিভাবে ভালো থাকা যায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে মাধ্যমে আমরা তাই শিখছি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণির ১ম অধ্যায়ের সবগুলো ছক
আমার স্বাস্থ্য আমার সুরক্ষা
‘সুস্বাস্থ্য চর্চায় আমার পছন্দের ব্যক্তির কাজ‘ ছকটির প্রথম কলামে লিখব এবং সে অভ্যাস বা আচরণগুলো তার সুস্বাস্থ্য গঠনে কিভাবে প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে সহপাঠিদের সাথে মতবিনিময় করব।
Table of Contents
সুস্বাস্থ্য চর্চায় আমার পছন্দের ব্যক্তির কাজ
পছন্দের ব্যক্তির কাজ | এই কাজের প্রভাব |
আমার পছন্দের ব্যক্তি আমার বাবা । তিনি প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেন । | সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার অনেক সময় পাওয়া যায় এবং শরীর ও মন ভালো থাকে । |
তিনি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করেন। | শরীর চর্চার ফলে তিনি বয়স্ক হলেও যুবকদের মতোই ফিট রয়েছেন । |
সে ভিটামিনযুক্ত সবুজ শাকসবজি প্রতিদিন খায়। | পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ফলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে গেছে এবং তিনি সবসময় সুস্থ থাকেন । |
তিনি কোনো ধরনের মানসিক চাপ নেন না । | মানসিক চাপ না থাকার কারণে তার বাসার কাজ এবং অফিসের কাজ তিনি মনোযোগ সহকারে করতে পারেন । |
তিনি অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খান না এবং আমাদেরকেও খেতে নিষেধ করেন। | অতিরিক্ত তেল চর্বি খাবার না খাওয়ার কারণে তিনি এবং আমরা শারীরিকভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছি । |
অসুস্থ হলে হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় তিনি টিস্যু অথবা রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকেন। | এই কাজের ফলে অন্য ব্যক্তির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। |
তিনি সবসময় নিজেকে ও নিজের জামা কাপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন । | এই কাজের ফলে তিনি ব্যাকটেরিয়া জনিত ব্যাধি থেকে সব সময় দূরে থাকেন । |
বাবা সব সময় প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স ঘরে রাখেন। | এর ফলে আমাদের পরিবারে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে পারি। |
তিনি রাতে দেরি করে ঘুমান না, খুব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। | রাত জাগা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । এ কাজের ফলে তিনি শারীরিক সুস্থ রয়েছেন। |
নিজেদের ব্যাপারে সচেতন হতে দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে লিপিবদ্ধ করবো। এরপর তা আমাদের ভালো থাকাকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা বোঝার চেষ্টা করব।
আমার দৈনন্দিন সময়
ভালো/খারাপ ছিলাম | কি কি কারনে ভালো/খারাপ ছিলাম | ||
১ম দিন | সকাল | ভালো ছিলাম | সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমি খুব আনন্দিত ছিলাম। কারণ আমার জন্মদিন ছিল। পরিবারের সবাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তাই দিনটা আমি খুব আনন্দে ছিলাম। |
দুপুর | ভালো ছিলাম | দুপুরে জন্মদিনের জন্য অনেক সুস্বাদু রান্নাবান্না হয়েছিল। আব্বু আমার জন্মদিনের জন্য ঘর সাজিয়েছিলেন। বড় ভাইয়া দোকান থেকে কেক আনতে গিয়েছিলেন। | |
বিকাল | ভালো ছিলাম | বিকেলে আমি অনেক হ্যাপি ছিলাম। কারণ বিকেলে আমার জন্মদিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জন্মদিনে অনেক মেহমান এসেছিল। আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব এসেছিল এবং আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করছিলাম। | |
রাত | খারাপ ছিলাম | বিকেলে জন্মদিনে সবাই আসলেও আমারে প্রিয় বন্ধু আসতে পারেনি এবং তাকে ফোন দিয়ে পাইনি। এজন্য তার কথা চিন্তা করে মনটা রাতে অনেক খারাপ ছিল। |
ভালো/খারাপ ছিলাম | কি কি কারনে ভালো/খারাপ ছিলাম | ||
২য় দিন | সকাল | ভালো ছিলাম | সকালে মনটা অনেক ভাল ছিল। কারণ আমার প্রিয় বন্ধুটি ফোন করে জানিয়েছিল যে, সে কেন আমার জন্মদিনে আসতে পারেনি এবং আমাকে জন্মদিন এর অভিনন্দন জানিয়েছে । সে বলেছে পরবর্তী জন্মদিনে সে অবশ্যই আসবে। |
দুপুর | ভালো ছিলাম | স্কুল ছুটি থাকার কারণে আমি বাসায় আম্মুকে রান্নাবান্নার কাজে সহযোগিতা করেছি এবং ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছি। নিজের পড়ার টেবিল নিজেই গুছিয়েছি। নিজের কাজ নিজে করে খুব ভালই লাগছিল। | |
বিকাল | ভালো ছিলাম | আব্বু আমাদের সবাইকে নিয়ে বিকেলে পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আমরা সবাই বিকেলের অবসর সময়টাকে আনন্দে কাটিয়েছি। ছোট বোনের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা কিনেছি। | |
রাত | ভালো ছিলাম | সন্ধ্যার পরে পড়তে বসেছিলাম। পড়া শেষে সবাই একসাথে খেতে বসে দিনের আনন্দের কথাগুলো একে অপরের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সর্বোপরি রাতে আমি অনেক ভালো ছিলাম। |
আমার পছন্দের একজন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করেছি এবং তার দৈনন্দিন অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে তথ্য লিপিবদ্ধ করেছি। এরপর দলগত আলোচনা করে সুস্বাস্থ্য চর্চায় তাদের এই কাজের প্রভাব ও কি কারনে এই ধরনের প্রভাব তৈরি হয় বলে মনে করছি তা নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেছি ।
আমাদের পছন্দের ব্যক্তির কাজের পর্যালোচনা করে আমাদের যে উপলব্ধিগুলো নিচের ছকে লিখি
ভালো থাকার জন্য সহায়ক কাজ ও অভ্যাস
ভালো থাকার জন্য সহায়ক কাজ ও অভ্যাসগুলো নিম্নরূপ: ১। প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ২। বাসায় পুষ্টি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। রাস্তার খাবার ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করতে হবে। ৩। টয়লেট ব্যবহারের পর আমাদের ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। যাতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে আমাদের রোগ ব্যাধি না হয়। ৪। নিজের ঘর ও বিছানা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ৫। নিয়মিত গোসল করতে হবে খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার রাখা যাবে না। ৬। মানসিকভাবে ভালো থাকতে হলে পরিবারে এবং সমাজে ছোটখাট কোন বিষয় নিয়ে মানসিক চিন্তা করা যাবে না । ৭। নিজের মানসিক চাপ বাড়ে এমন কোন কাজ করা যাবে না। ৮। মানসিকভাবে ভালো থাকতে সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে। ৯। কোন মানসিক চাপের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে পরিবারকে জানাতে হবে। ১০। দৈনন্দিন কাজের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো পরিবারের সাথে শেয়ার করতে হবে। |
আমার দৈনন্দিন কাজের সময়
আমরা যখন শরীর মন এবং পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে ভালো থাকি তখনি আমরা সম্পূর্ণভাবে ভালো থাকা বলি। এই ভালো থাকাকে ইংরেজিতে Wellbeing বলে। অনেকেই মনে করেন, অসুস্থ না হলেই আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। আমরা যখন শারীরিক মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যকে একসাথে ভালো রাখতে পারব। তখনই কেবল সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হব।
Related Posts
- ৭ম শ্রেণির বাংলা ৫ম অধ্যায় ১ম ও ২য় পরিচ্ছেদ-বুঝে পড়ি লিখতে শিখি
- সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন নির্দেশিকা pdf ২০২৪ (বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস)
- ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় (সব ছকের সমাধান)
- ইবনে বতুতার ভ্রমণ গল্পের প্রশ্ন উত্তর ও বহুনির্বাচনি – ৮ম শ্রেণির বাংলা
- ৭ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ২০২৪ PDF সহ
- আশা কবিতার মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ৮ম শ্রেণির বাংলা
- জীবন ও জীবিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায় (পেশার রূপ বদল)
- ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন ১ম অধ্যায় (যাযাবর পাখিদের সন্ধানে)
- ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন ২য় অধ্যায় (পদার্থের সুলুকসন্ধান)
- ৮ম শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় সম্পূর্ণ PDF (বার্ষিক পরীক্ষার সমাধান)
That was too helpful and good and also easy to learn.Thank you for your kind information
thanks