বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

কালিদাস রায়ের পর্ণপুট কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় মুঘলসম্রাট বাবুরের মহানুভবতা ও মানবিক আদর্শ ফুটে উঠেছে। ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর বাবুর কেবল রাজ্য জয়ে নয়, প্রজাদের হৃদয় জয়েও মনোযোগ দেন। এই পোস্টে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর লিখে দিলাম।

বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
প্রচণ্ড বন্যায় ডুবে যায় টাঙ্গাইলের ব্যাপক অঞ্চল। অনেকেরই ঘর-বাড়ি ডুবে যায়। নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে অগণিত মানুষ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘এমনি একটা পরিবার নৌকায় চড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে। তীব্র স্রোতের টানে নৌকাটি উল্টে গেলে সবাই সাঁতার কেটে উঠে এলেও জলে ডুবে যায় একটি শিশু। বড় মিয়া নামের এক যুবক এ দৃশ্য দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেন শিশুটিকে। কূলে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ডাক্তার এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানালেন বড় মিয়া আর বেঁচে নেই।

ক. রণবীর চৌহান কে ছিলেন?

খ. ‘বড়ই কঠিন জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে’-কেন?

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বড় মিয়ার আচরণে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘উদ্দীপকটিতে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার একটা বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটলেও সমভাব ধারণ করে না’- যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ

ক. রণবীর চৌহান ছিলেন এক স্বদেশপ্রেমিক রাজপুত যুবক।

খ. কোনো মানুষকে হত্যা করা কঠিন কাজ হলেও, তার জীবন রক্ষা করা আরও বেশি কঠিন।
একজন মানুষকে হত্যা করা সহজ নয়; অনেক সময় এতে হত্যাকারীকেও নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে হয়। কিন্তু কারো প্রাণ বাঁচানো তার চেয়েও কঠিন কাজ। কারণ মানুষ চাইলে প্রাণ নিতে পারে, কিন্তু প্রাণ দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। আবার কারো জীবন বাঁচানোর জন্য যে বড় মন ও মানবিক মানসিকতা দরকার, তা সবার মধ্যে থাকে না। তাই বলা যায়, জীবন কেড়ে নেওয়া যত কঠিন, জীবন রক্ষা করা তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বড় মিয়ার আচরণে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার সম্রাট বাবুরের মহান হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়।
‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় কালিদাস রায় সম্রাট বাবুরের মানবপ্রেম ও মহানুভবতার কথা বলেছেন। তিনি এক মেথরের শিশুকে বাঁচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নেন। মত্ত হাতির আক্রমণ থেকে শিশুটিকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবন বিপদের মুখে ফেলেন।
উদ্দীপকের বড় মিয়াও একজন অত্যন্ত মহৎ মানুষ। স্রোতের পানিতে ডুবে যাওয়া এক অসহায় শিশুকে বাঁচাতে তিনি নিজের জীবন বাজি রাখেন। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে তিনি উদ্ধার করতে পারলেও নিজে প্রাণ হারান। সম্রাট বাবুরের মতোই বড় মিয়ার এই কাজ মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

ঘ. উদ্দীপকে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার একটি দিক দেখা গেলেও কবিতা ও উদ্দীপকের পটভূমি এক নয়।
‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় কালিদাস রায় মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক সম্রাট বাবুরের মহান গুণের কথা তুলে ধরেছেন। ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর বাবুর প্রজাদের ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করতে চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে দিল্লির বিভিন্ন পথে পথে ঘুরে মানুষের জীবন ও দুঃখ-কষ্ট দেখতেন।

উদ্দীপকে বড় মিয়া নামে এক নিঃস্বার্থ ও মানবিক মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া একটি শিশুকে বাঁচাতে তিনি নিজের জীবনের কথা ভাবেননি। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রাণের বিনিময়ে তিনি শিশুটির জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হন।

‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় সম্রাট হিসেবে বাবুরের মহানুভবতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। একই সঙ্গে তাঁর আদর্শ, মানবপ্রেম ও নৈতিক মূল্যবোধের পরিচয়ও পাওয়া যায়। কিন্তু উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় আমরা শুধু বড় মিয়ার উদার ও মানবিক মানসিকতার দৃষ্টান্তই দেখি। কবিতায় মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও বাবুরের সংগ্রামী জীবনের কথাও বলা হয়েছে, যা উদ্দীপকে নেই। কবিতার বাবুরের মহত্ত্বের সঙ্গে উদ্দীপকের ঘটনার ভাবগত মিল থাকলেও উদ্দীপকে কোনো বিশেষ ঐতিহাসিক পটভূমি নেই। তাই সব দিক বিবেচনায় বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।


সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
“বাঁচিতে চাই না আর
জীবন আমার সঁপিলাম, পীর, পুত পদে আপনার।
ইব্রাহিমের গুপ্তঘাতক আমি ছাড়া কেউ নয়,
ঐ অসিখানা এ বুকে হানুন সত্যের, হোক জয়।”

ক. বাবুর-এর আসল নাম কী?

খ. ‘সঁপিনু জীবন, করুণ এখন দণ্ডবিধান মোর।’- উক্তিটি কার, কেন?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ইব্রাহিমের গুপ্তঘাতকের সাথে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় বর্ণিত রাজপুত বীরের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশে কতটুকু সক্ষম তা যুক্তি সহকারে বুঝিয়ে বল।

উত্তরঃ

ক. বাবুর-এর আসল নাম- জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ।

খ. সম্রাট বাবুরের মহত্ত্বের পরিচয় পেয়ে রণবীর চৌহান তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রশ্নোত্ত উক্তিটি করেন।

রণবীর চৌহান নিজের জাতের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বাবুরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি দিল্লির বিভিন্ন পথে বাবুরকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় তিনি দেখেন, পর্যটকবেশী বাবুর নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মত্ত হাতির কবল থেকে একটি মেথর শিশুকে উদ্ধার করছেন। রণবীর চৌহান বাবুরের এই মহানুভবতায় অবাক হন। তিনি বুঝতে পারেন, বাবুরের মতো মহৎ মানুষকে হত্যা করার চেষ্টা করা ভুল ছিল। তাই তিনি বাবুরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন এবং নিজের অপরাধের শাস্তি নিতে প্রস্তুত হন।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত গুপ্তঘাতক এবং ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় বর্ণিত রাজপুত বীর—দুজনেই মহৎ ব্যক্তিত্বের কাছে নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছেন। তারা দুজনেই রাজপুত বীর ছিলেন এবং সত্য ও মহানুভবতার কাছে নতি স্বীকার করেছেন।

‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় দেখানো হয়েছে যে সম্রাট বাবুরের উত্থান রাজপুতরা সহজে মেনে নিতে পারেননি। রাজপুত বীর তরুণ রণবীর চৌহান বাবুরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দিল্লির রাজপথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু বাবুরের মহানুভবতা ও উদার আচরণ রণবীরের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তখন তিনি বাবুরের কাছে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন।

একইভাবে উদ্দীপকে বর্ণিত গুপ্তঘাতকও নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। সে মহৎ ব্যক্তির কাছে নিজের জীবন সমর্পণ করেছে। ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় বর্ণিত গুপ্তঘাতকও ঠিক এভাবেই নতি স্বীকার করে বাদশাহ বাবুরের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তাই বলা যায়, এই দিক থেকে দুটি চরিত্র একে অপরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার আংশিক ভাবকে প্রকাশ করে।

কালিদাস রায় রচিত ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় বাদশাহ বাবুরের মহানুভব চরিত্র সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাবুর ছিলেন ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। রাজ্য জয় করার পর তিনি শুধু শাসন করতেই চাননি, সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার দিকেও মন দেন। কিন্তু প্রতিশোধপরায়ণ রাজপুতরা তাঁকে শাসক হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। রাজপুত বীর রণবীর চৌহান বাবুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিল্লীতে আসেন। এই সময় এক মেথর শিশুকে বাঁচাতে বাবুর নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেন। এই দৃশ্য দেখে রণবীর চৌহান বিস্মিত হন। তখন তিনি বাবুরের পায়ে পড়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন।

উদ্দীপকে একজন গুপ্তঘাতকের আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়েছে। সে নিজের অপরাধ স্বীকার করে সত্যের জয় নিশ্চিত করার কথা বলেছে। এই দিকটি ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে কবিতার মতো বিস্তৃত পটভূমি উদ্দীপকে নেই।

‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় সম্রাট বাবুরের মহানুভবতা দেখানোর জন্য উপযুক্ত পটভূমি তুলে ধরা হয়েছে। রাজ্য জয়ের পরই বাবুর ছদ্মবেশে দিল্লির রাজপথে বের হন। আবার রণবীর চৌহান ও বাবুরের বিরোধ এবং রণবীরের মনে মানবিক অনুভূতির জাগরণ সবকিছুর পেছনেই এই পটভূমি কাজ করেছে। একই সঙ্গে কবিতায় বাবুরের আদর্শ, মানবপ্রেম ও মহান চরিত্রের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু উদ্দীপকের কবিতাংশে এসব বিষয়ের কোনো উল্লেখ নেই। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ পায়নি।


সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। [ঢাকা বোর্ড ২০১৮; কুমিল্লা বোর্ড ২০১৮]
উদ্দীপক-১ থাইল্যান্ডের পানিপূর্ণ থাম লুয়ং গুহায় কোচসহ তেরোজন কিশোর ফুটবলার আটকা পড়লে সে দেশের অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর ডুবুরি মাসেই সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে তাদের খোঁজ করে খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ করে। ফিরে আসার সময় সিলিন্ডারের। অক্সিজেন শেষ হলে গুহার মধ্যে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর দুঃসাহসিক এ অভিযানে ১৩ জন মানুষের জীবন রক্ষা পায়।

উদ্দীপক-২: সুবর্ণপুর গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার তার যোগ্যতাবলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পরবর্তীতে মেয়র। এভাবে এখন তিনি জাতীয় সংসদের একজন সম্মানিত সদস্য। জনগণ তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও তিনি মনে করেন দেশ ও জনগণের জন্য তাকে আরও অনেক কিছু করতে হবে।

ক. বাবুরের ছদ্মবেশে রাজপথে ঘোরার কারণ কী?

খ. রণবীর চৌহানের প্রতিহিংসার অন্ধ মোহের ঘোর কেটে যায় কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপক-১-এ ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় সম্রাট বাবুর চরিত্রের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপক-২-এর ওয়ার্ড মেম্বার কি সম্রাট বাবুরের সার্থক প্রতিনিধি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। [কুমিল্লা বোর্ড ২০১৯]
সৎভাই রাকিবকে কখনই আপন ভাবতে পারেনি আনিস। পিতা মারা গেলে সে রাকিবকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানা কৌশল অবলম্বন করে। একদিন আনিস পিতার নামে জাল উইল বানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পুলিশের হাতে আটক ভাইকে সব জেনে-শুনেই রাকিব ছাড়িয়ে আনে এবং সব সম্পত্তি আনিসকে লিখে দেয়। আনিস রাকিবের এ আচরণে বিস্মিত হয় এবং তার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে।

ক. কোন যুদ্ধে সংগ্রাম সিং-এর পতন হয়?

খ. ‘মাটির দখলই খাঁটি জয় নয়’- চরণটি বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের আনিস চরিত্রটি ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার কোন ৩ চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের রাকিবকে বাবুর চরিত্রের সার্থক প্রতিনিধি বলা যায় কি? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। [রাজশাহী বোর্ড ২০১৮; বরিশাল বোর্ড ২০১৮]
গত ২৩ জুন ২০১৮ তারিখ থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াংরাই এলাকার থামুলুয়াং গুহায় বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১২ জন খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ। ৯ দিন গুহায় আটকে থাকার পর ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরিরা তাদের সন্ধান পান। এরপর থেকেই শুরু হয়। রুদ্ধশ্বাসে ভরা উদ্ধার অভিযান। এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রাণ হারান সামান কুনান। ১০ জুলাই জুলাই সকলকে জীবিত উদ্ধারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অবিস্মরণীয় অভিযানটি।

ক. খানুয়ার প্রান্তর কী?

খ. ‘কৃতঘ্ন দৌলত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে উদ্ধারকর্মী সামান কুনানের মধ্যে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার বাবুরের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা আলোচনা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের সামান কুনানের গুণটিই ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার বাবুরের সামগ্রিক রূপ নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। [সিলেট বোর্ড ২০১৯]
পুত্রহত্যাকারীকে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করে আসছেন ইউসুফ। হঠাৎ করে এক পথিক এসে আশ্রয় নেন ইউসুফের কাছে। পরে ঘটনাচক্রে পথিক নিজেই ইউসুফকে জানাল যে, সে-ই তার পুত্র ইব্রাহিমের গুপ্তঘাতক। একথা শোনার পর ইউসুফ আগন্তুক হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিলেন এবং তার আস্তাবলের একটি শক্তিশালী ঘোড়ায় উঠিয়ে রাজ্য থেকে দূরদেশে পাঠিয়ে দিলেন।

ক. ‘গুপ্ত কৃপাণ’ কী?

খ. “কুর্তার তলে কৃপাণ লুকায়ে ঘুরিছে সে পথে পথে।”- কেন?

গ. উদ্দীপকের পথিকের সাথে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার যে চরিত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায় তা আলোচনা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের ইউসুফ যেন ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার সম্রাট বাবুরের যথার্থ প্রতিনিধি।”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। [ঢাকা বোর্ড ২০১৭]
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সর্বদ্বান্ত হয় সোমপাড়া গ্রামের অনেক মানুষ। দবির মেম্বার এসব দেখে স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি তাঁর বাড়িতে সবাইকে আশ্রয় দিলেন। খাবারের ব্যবস্থা করলেন। তাঁর মতো জনপ্রতিনিধি পেয়ে এলাকাবাসী খুব খুশি। দবির সাহেব পরবর্তী সময়ে সর্বস্বান্ত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন।

ক. ‘হত’ শব্দের অর্থ কী?

খ. ‘দেখিল বাবুর এ-জয় তাঁহার ফাঁকি’- চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকটিতে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে। তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার সামগ্রিক চিত্র নয়-মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। [চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৭]
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা) প্রজাদের অবস্থা উপলব্ধি করার জন্য রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে নগরে নগরে ঘুরে বেড়াতেন। একদিন এক দুঃখিনী মায়ের সকরুণ অবস্থা দেখে নিজের কাঁধে করে খাদ্যের বোঝা বহন করে দুঃখিনী মায়ের ঘরে পৌছে দিলেন।

ক. সংগ্রাম সিংকে বাবুর কোথায় পরাজিত করেন?

খ. “সারা উত্তর ভারত আসিল বিজয়ীর করতলে।”- বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকের খলিফা উমর (রা)-এর সাথে সম্রাট বাবুরের যে সাদৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উক্ত সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটিই বাবুরের একমাত্র বৈশিষ্ট্য নয়-‘বাবুবের মহত্ত্ব’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৯।
মহব্বত আলী একদিন গঞ্জে যাচ্ছিলেন কিছু কেনাকাটা করার জন্য। দুই কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে প্রধান সড়কে গিয়ে বাসে উঠতে হয়। প্রধান সড়কে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মহব্বত আলী দেখতে পেলেন বিপরীত দিক দিয়ে একটি দ্রুতগামী বাস আসছে। বাসটির ঠিক ত্রিশ চল্লিশ হাত দূরে একটি ছয় বছরের শিশু রাস্তা পার হওয়ার জন্য নিজের মতো হাঁটছে। এই মুহূর্তে মহব্বত আলী নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে ছেলেটি কোলে নিয়ে রাস্তার পাশে লাফ দেন। এতে দুজনের জীবন রক্ষা পেলেও মহব্বত আলীর পা ভেঙে যায়।

ক. সম্রাট বাবুর কোনটি আসল জয় মনে করলেন?

খ. ‘পথ ছাড়ি সবে পলাইয়া গেল’ কেন?

গ. উদ্দীপকের মহব্বত আলীর সঙ্গে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার কার সাদৃশ্য আছে?- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের মহব্বত আলীর মধ্যে মহৎ গুণাবলি থাকলেও পুরোপুরি বাবুরের মতো নয়।” উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।

নিচে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।

বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

Related Posts

Leave a Comment