নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৮ম শ্রেণির বাংলা

কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতাটিতে কবি হিসেবে নজরুল নর ও নারী উভয়কেই আগে মানুষ হিসেবে দেখেছেন। তিনি নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো বৈষম্যে বিশ্বাস করেন না; বরং সমান অধিকার ও সমান মর্যাদার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। এই পোস্টে নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৮ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।

নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
নারীদের প্রেরণাদায়ক একটি নাম আনোয়ারা। একজন নারী হয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজ করেছেন। সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ তিনি কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত করেছেন। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি অন্য পুরুষ সহকর্মীদের কাছ থেকে যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছেন। নারী বলে কোথাও তাকে সমস্যায় পড়তে হয়নি।

ক. ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?

খ. কবি বর্তমান সময়কে ‘বেদনার যুগ’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?

গ. আনোয়ারার কার্যক্রমে ‘নারী’ কবিতার যে দিকটি উদ্ভাসিত হয়েছে তার বর্ণনা দাও।

ঘ. উদ্দীপকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটলেও ‘নারী’ কবিতায় কবি আরও বেশি বাঙ্ময়- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ

ক. ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।

খ. নারী ও পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলতে গিয়ে কবি বর্তমান সময়কে বেদনার যুগ বলেছেন।

এখনকার যুগ হলো নারী ও পুরুষের সমঅধিকারের যুগ। আগে নারীরা পুরুষের অধীন ছিল, যেন তারা পুরুষের দাসী। তখন পুরুষেরা নারীর দুঃখ-কষ্ট বা ব্যথা-বেদনাকে কোনো গুরুত্ব দিত না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যুগ বদলেছে। কবির প্রত্যাশা হলো এই সময়ে নারী ও পুরুষ একে অপরের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নেবে। ‘এসে নর-নারী পরস্পরের ব্যথার সমভাগী হবে’। এই ভাবনাই কবির আশা প্রকাশ করে। আর এই চিন্তা থেকেই কবি বর্তমান যুগকে বেদনার যুগ বলে উল্লেখ করেছেন।

গ. বর্তমান সময়ে নারীরা আর শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তাদের দুর্বল বা দায়িত্ব পালনে অক্ষম ভাবার কোনো সুযোগ নেই। সুযোগ ও দায়িত্ব পেলে নারীরা যেকোনো কঠিন কাজই সঠিকভাবে করতে পারে। ‘নারী’ কবিতায় কবি এই কথাই বলেছেন।

‘নারী’ কবিতায় বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে নারীরা কঠিন দায়িত্বের কাজও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে। এই কথাটিই উদ্দীপকের আনোয়ারার কাজের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকে দেখা যায়, আনোয়ারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন সফল নারী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের কঠিন দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন। শুধু দেশে নয়, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও তিনি নানা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। নারী হওয়ার কারণে তিনি কখনো ভয় পাননি বা দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াননি। কবিতায় কবিও নারীকে ঠিক এভাবেই তুলে ধরেছেন। উদ্দীপকের আনোয়ারা যেন কবির কল্পিত ও প্রত্যাশিত নারী। অর্থাৎ তাঁর মধ্যেই কবির কাম্য নারীর সক্ষমতার দিকটি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে কাজী নজরুল ইসলামের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটলেও ‘নারী’ কবিতায় কবির বক্তব্য আরও বেশি বিস্তৃত ও স্পষ্ট।

‘নারী’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামের যে বক্তব্য পাওয়া যায়, উদ্দীপকের আনোয়ারার দায়িত্বশীল ও সাহসী কাজ তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে। কবি নারীকে ত্যাগী, অনুপ্রেরণাদায়ী এবং শক্তির উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে সমাজে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন।

উদ্দীপকে যে নির্বাচনি কর্মকর্তা আনোয়ারার কথা বলা হয়েছে, তাঁর কাজের মাধ্যমে নারীর দায়িত্বশীল ভূমিকা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। তিনি প্রমাণ করেছেন যে নারীরা সব ধরনের কাজই করতে সক্ষম। তবে ‘নারী’ কবিতায় শুধু এটুকুই নয়, কাজী নজরুল ইসলাম সমাজে নারীর সামগ্রিক অবদানকেও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন।

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘নারী’ কবিতায় বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে নারীরা কোনো দিক থেকেই পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে ছিল না, আজও পিছিয়ে নেই। সুযোগ পেলেই তারা নানা ভাবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। ইতিহাস এ কথার সাক্ষ্য দেয়। উদ্দীপকের আনোয়ারা সেই ইতিহাসেরই একটি ধারাবাহিক উদাহরণ। তিনি সবার সহযোগিতায় তাঁর ওপর দেওয়া দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করেছেন। তবে ‘নারী’ কবিতায় সভ্যতা গঠনে নারীর অবদান নিয়ে নজরুলের বক্তব্য অনেক বেশি বিস্তৃত ও নানা দিক থেকে বলা হয়েছে। উদ্দীপকে তার কেবল একটি অংশই প্রতিফলিত হয়েছে।


সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
জনৈক সমালোচকের মতে- ব্রিটিশ ভারতে বঙ্গীয় মুসলমান নারীসমাজ ছিল অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় বিধি-নিষেধের নিগড়ে আবন্ধ। নিরক্ষরতা, অশিক্ষা ও সামাজিক ভেদ-বুদ্ধিও ছিল তাদের জন্য নিয়তির মতো সত্য। অবরুদ্ধ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক অসহায় জীবে তারা পরিণত হয়েছিলেন। এদেরকে আলোর জগতে আনার জন্য রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর বক্তব্য- ‘আমরা সমাজেরই অর্ধাঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কীভাবে? কোন এক পা বাধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে- একই।’

ক. ‘বিজয়-লক্ষ্মী নারী’- অর্থ কী?

খ. ‘সাম্যের গান’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. জনৈক সমালোচকের মতটি ‘নারী’ কবিতার কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো।

ঘ. বেগম রোকেয়ার বক্তব্য যেন কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতারই প্রতিধ্বনি- উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

উত্তরঃ

ক. বিজয়-লক্ষ্মী নারী অর্থ হলো- জয়ের নিয়ন্তা দেবী রূপ নারী।

খ. ‘সাম্যের গান’ বলতে কবি নারী-পুরুষের সমঅধিকারের চেতনাকে বুঝিয়েছেন।

মানবসভ্যতার এগিয়ে চলার পথে নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে কোনোভাবেই কম নয়। কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাছে নারী ও পুরুষ দুজনেরই আসল পরিচয় হলো মানুষ। তিনি নারী ও পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করেন। এই বিষয়ে তিনি কোনো ভেদাভেদ করতে চাননি। কবি যখন সাম্যের গান বলেন, তখন তিনি মূলত নারী-পুরুষের এই সমান মর্যাদা ও অধিকারকেই বোঝাতে চেয়েছেন।

গ. নারী ও পুরুষ দুজনেই সমাজের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। ‘নারী’ কবিতার এই ভাবনার সঙ্গে উদ্দীপকে উল্লেখিত সমালোচকের মতামতের মিল রয়েছে।

‘নারী’ কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বর্তমান সময়ে নারীর সঠিক মূল্যায়নের কথা বলেছেন। একইভাবে উদ্দীপকে উল্লিখিত সমালোচক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বোঝানো হয়েছে যে নারী সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নারীকে বাদ দিয়ে বা বঞ্চিত করে কোনো সমাজের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।

উদ্দীপকের সমালোচক তাঁর বক্তব্যে ‘নারী’ কবিতায় উল্লেখিত নারীর পরাধীনতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তবে এখন সময় বদলে গেছে। বর্তমান সমাজব্যবস্থায় নারীর যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার সময় এসেছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত সমালোচকের এই মতামতই কবিতার ভাবের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
কারণ সমাজ গঠনে নারী ও পুরুষ উভয়েই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ঘ. ‘নারী’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামের যে বক্তব্য পাওয়া যায়, উদ্দীপকে উদ্ধৃত বেগম রোকেয়ার কথাতেও তারই প্রতিফলন দেখা যায়।

কাজী নজরুল ইসলাম ‘নারী’ কবিতায় সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা বলেছেন। তাঁর মতে, সমাজের প্রকৃত উন্নতির মূল চাবিকাঠি হলো নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণ।

উদ্দীপকে উদ্ধৃত বেগম রোকেয়ার বক্তব্যের মূল কথা হলো সমাজের অর্ধেক অংশ হিসেবে নারীদের ন্যায্য মর্যাদা ও অধিকার দেওয়া উচিত। নারী ও পুরুষের সমান অধিকার বিষয়ে ‘নারী’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামও একই কথা বলেছেন।

আমাদের দেশের প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় নারীরা যুগে যুগে অবহেলার শিকার হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম ও বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন দুজনেই তাঁদের লেখায় নারীর সঠিক মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। পাঠ্যভুক্ত ‘নারী’ কবিতা এবং উদ্দীপকে উদ্ধৃত রোকেয়ার বক্তব্য এই সত্যই প্রমাণ করে। সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য নারীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখা খুবই জরুরি। বলা যায়, বেগম রোকেয়ার বক্তব্যের মধ্যেই যেন কাজী নজরুল ইসলামের ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে।


সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। [যশোর বোর্ড ২০১৯]
সুমন সাহেবের ছেলে-মেয়ে একই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। ছেলের জন্য গৃহশিক্ষক রেখে দিলেও মেয়ের ব্যাপারে তিনি উদাসীন। মেয়ে পরীক্ষায় খারাপ করলে প্রধান শিক্ষক। অভিভাবককে ডেকে বলেন, ‘ছেলে-মেয়ের প্রতি বৈষম্য করা আপনার ঠিক হচ্ছে না। ছেলে-মেয়ে দু’জনই সমান গুরুত্বপূর্ণ।’

ক. কাজী নজরুল ইসলাম নর-নারী উভয়কে কী হিসেবে দেখেন?

খ. ‘পীড়ন করিলে সে-পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই’-ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সুমন সাহেবের মধ্যে ‘নারী’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যই যেন, ‘নারী’ কবিতার প্রতিধ্বনি”- যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। [যশোর বোর্ড ২০১৮]
সরকারি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল আজিজ। তার স্ত্রী আয়েশা একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়ার কাজ করে। অফিস থেকে ফিরে আব্দুল আজিজ তার স্ত্রীর জন্য এটা-সেটা কেনে। সাধ্যমতো দুধ, ডিম, ফলমূল কিনেও স্ত্রীকে খাওয়ায়। তাদের রোজগারের একটা অংশ জমিয়ে শহরে কেনা একখন্ড জমিতে বাড়ি বানিয়ে সে বাড়ির নাম দেয় ‘আয়েশা ভিলা’। আয়েশাও স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ভুল করে না।

ক. ‘ডঙ্কা’ শব্দের অর্থ কী?

খ. নারীকে বিজয়-লক্ষ্মী বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।

গ. ‘নারী’ কবিতার সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপকে ‘নারী’ কবিতার একটি বিশেষ দিকের ইঙ্গিত রয়েছে, সম্পূর্ণটা নয়। বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। [যশোর বোর্ড ২০১৭]
হাসান আলীর মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে হাসান আলী বলেন, এ ব্যাপারে আমার স্ত্রীর মতামত নিয়েই পরে জানাব। কারণ তিনি মনে করেন যে, সংসারে নারী-পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে।

ক. কার চোখে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই?

খ. ‘কত নারী দিল সিথির সিঁদুর’ দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকে ‘নারী’ কবিতায় যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে ‘নারী’ কবিতার সকল দিক ফুটে ওঠেনি- মন্তব্যটি যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। [চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৮]
জমিলা খাতুন তার ৮ জনের সংসারে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি। কাজ করে। তার স্বামী করিম বখশ মনে করেন মহিলারা বাড়িতে থেকে কী এমন কাজ করে, আমরা বাইরে অনেক বেশি কাজ করি। অপরদিকে জামান সাহেব চাকরি করার পাশাপাশি ঘরোয়া কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করে এবং বলে তোমরা অনেক কাজ কর, আমরা তোমাদের কাজের মূল্যায়ন করি না।

ক. আজ কীসের যুগ?

খ. কবির দৃষ্টিতে ‘পুরুষ-রমণী’তে কোনো ভেদাভেদ নেই কেন? বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের জমিলা খাতুনের সাথে ‘নারী’ কবিতার কাদের মিল। রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের জামান সাহেবের মনোভাবে ‘নারী’ কবিতার কবির প্রত্যাশাই ফুটে উঠেছে।”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। [চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৯]
উচ্চশিক্ষিত হাসনা বেগম গৃহিণী। সকাল থেকে প্রতিদিনি সাংসারিক সকল কাজ নিজেই করেন। তাঁর স্বামী রহমান সাহেব প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে স্ত্রীর বানানো চা খেতে খেতে টেলিভিশন দেখে সময় কাটান। আর কথায় কথায় স্ত্রীকে বলেন তোমার তো কোনো কাজই নেই। সারাদিন ঘরে বসে সময় কাটাও। এমন অবজ্ঞামূলক কথার জবাবে হাসনা বেগম বলেন, তোমারগুলো কাজ আর আমারগুলো কাজ না। তুমি কাজ করে টাকা পাও কিন্তু আমি পুরো সংসার পরিচালনা করেও আমার কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই।

ক. মহীয়ান শব্দটি ‘নারী’ কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

খ. “নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পর যুগে আপনারি রচা ঐ কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে”- বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের রহমান সাহেবের মনোভাব ‘নারী’ কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের হাসনা বেগম চরিত্রে ‘নারী’ কবিতার কবির মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮।
রাহেলা বানু ১৯৭১ সালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা করেছিলেন। তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করেছিলেন। এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করে তিনি স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

ক. পুরুষদের বিজয়ের পেছনে কাদের প্রেরণা ছিল?

খ. কবি ‘সাম্যের গান’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকটি ‘নারী’ কবিতার কোন দিকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে ‘নারী’ কবিতার সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৯।
বাংলাদেশের নারী আজ জেগে উঠেছে। সর্বত্র স্বমহিমায় তারা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। সমাজ ও অগ্রগতির ধারায় পদার্পণ করছে। অথচ একটি মহলের কাছ থেকে আবার নারীকে ‘অবরুদ্ধ করার নগ্ন পদধ্বনি শোনা যায়। তারা ভুলে গেছে যুগের ধর্ম এই-
পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই।

ক. কারা হৃদয় উপাড়ি দিল?

খ. ‘কত মাতা দিল হৃদয় উপাড়ি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন-ব্যাখ্যা কর।

গ. নারী জাগরণ বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে কেমন প্রভাব ফেলছে তা ‘নারী’ কবিতার আলোকে বর্ণনা কর।

ঘ. “যুগের ধর্ম এই- পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই”- উক্তিটির তাৎপর্য ‘নারী’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।

নিচে নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।

নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ

Related Posts

Leave a Comment