শওকত ওসমানের “তোলপাড়” গল্পটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত। একদা শান্ত গাবতলি গ্রামে হঠাৎ একদিন সাবু নামের এক কিশোর উত্তেজিত হয়ে খবর নিয়ে আসে যে ঢাকায় পাঞ্জাবি মিলিটারি এসেছে। এই পোস্টে তোলপাড় গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
তোলপাড় গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন] রিকশায় ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে আমিন সাহেব পায়ে ভীষণ ব্যথা পেলেন। ফারুক তাঁকে উঠিয়ে পরিচয় জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা আমিন। ফারুক তাঁকে সালাম জানিয়ে কাছের বন্ধুদের ডেকে এনে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। মুক্তিযোদ্ধা আমিন সুস্থ হয়ে ফারুককে কিছু বখশিশ দিতে চাইলে ফারুক একজন মুক্তিযোদ্ধার সেবা করতে পারাকেই বড় বখশিশ বলে জানায়। ক. সাবুর মায়ের নাম কী? খ. ‘আর এখন কিছু করতে না পারলে অসোয়ান্তি’- সাবুর এই মনোভাবের কারণ ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে ‘তোলপাড়’ গল্পের মিসেস রহমানের কোন ঘটনার মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. তুমি কি মনে কর ফারুকের ভূমিকা ‘তোলপাড়’ গল্পের সাবুর ভূমিকারই প্রতিচ্ছবি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। |
উত্তরঃ
ক. সাবুর মায়ের নাম জৈতুন বিবি।
খ. আগে ফায়-ফরমাশ করতে সাবুর বিরক্ত লাগত, কিন্তু যুদ্ধের সময় অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে না পারলে তার মনে অস্বস্তি হয়।
শহর থেকে প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষ সাবুদের গ্রাম দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এই মানুষগুলোর কষ্টের অবস্থা দেখে সাবুর মনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা জাগে। আলোচ্য উক্তিতে সাবুর এই মানসিক অবস্থার কথাই বোঝানো হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে মুক্তিযোদ্ধা আমিন বিপদে পড়ে অন্যের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছেন, তার সঙ্গে ‘তোলপাড়’ গল্পের মিসেস রহমানের সাহায্য পাওয়ার ঘটনার মিল দেখা যায়।
‘তোলপাড়’ গল্পে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের কষ্টের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। গল্পে দেখা যায়, পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণে শহরের মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে। মিসেস রহমানও তাদের একজন। শহর ছেড়ে পালানোর পথে তিনি সাবুর কাছ থেকে সাহায্য পান। উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধা আমিন একজন বয়স্ক মানুষ, যার সঙ্গে গল্পের মিসেস রহমানের কিছু মিল রয়েছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, আহত আমিনকে ফারুক চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এর জন্য আমিন সাহেব ফারুককে কিছু বখশিশ দিতে চাইলে ফারুক তা নেয়নি। ঠিক একইভাবে ‘তোলপাড়’ গল্পেও মিসেস রহমান বখশিশ দিতে চাইলে সাবু তা নেয়নি এবং নিঃস্বার্থভাবে তাকে সাহায্য করেছে। তাই দেখা যায়, দু’জনের ক্ষেত্রেই সাহায্য পাওয়ার পাশাপাশি কৃতজ্ঞতার অনুভূতিও আছে। এই দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধা আমিন ও মিসেস রহমানের মধ্যে সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
ঘ. ‘তোলপাড়’ গল্পের সাবুর যে ভূমিকা, সেই একই ভাব উদ্দীপকের ফারুকের মধ্যেও দেখা যায়।
‘তোলপাড়’ গল্পে সাবু পাকিস্তানিদের অত্যাচারের ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে আসা বয়স্ক নারী মিসেস রহমানকে সাহায্য করে। তিনি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লে সাবু তাকে পানি খাইয়ে স্বস্তি দেয়। উদ্দীপকে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ফারুকও দায়িত্বশীল কাজ করেছে। আমিন তাকে বখশিশ দিতে চাইলে ফারুক তা নেয়নি। মুক্তিযোদ্ধার সেবা করতে পারাকেই সে নিজের পুরস্কার মনে করেছে। গল্পে সাবু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মিসেস রহমান টাকা দিতে চাইলে সাবু তা নেয়নি; বরং মায়ের কথা মনে করে টাকা নিতে রাজি হয়নি। একই ধরনের মানবিক মনোভাব উদ্দীপকের ফারুকের মধ্যেও দেখা যায়। তাই বলা যায়, ফারুকের ভূমিকা ‘তোলপাড়’ গল্পের সাবুর ভূমিকাকেই মনে করিয়ে দেয়।
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন] রসুলপুর এলাকায় হঠাৎ নাম না জানা এক ভাইরাসের আক্রমণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েকজনের মৃত্যুর খবর দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দু-চারদিনের মধ্যেই তা মহামারির আকার ধারণ করে। এলাকার মানুষ ভয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছিল। এসব দেখে নিঃসন্তান বিধবা করিমন্নেসা তার বাড়ির যুবক ছেলেদেরকে অসুস্থ লোকদের সহায়তার পরামর্শ দেন। বাড়ির কিছু ছেলে এ পরামর্শ না শুনে ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। আর অন্যরা বাড়িতে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়। এসব দেখে করিমন্নেসা মর্মাহত হয়ে নিজেই অসুস্থ রোগীদের সেবা শুরু করলেন এবং অনেককে সুস্থ করে তুললেন। ক. সাবু চিৎকার করে কাকে ডাকছিল? খ. ‘আমার মাকে আপনি চেনেন না’-এ কথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? গ. করিমন্নেসার চরিত্রে জৈতুন বিবির যে বৈশিষ্ট্যটি পরিলক্ষিত হয় তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “করিমন্নেসার বাড়ির ছেলেদের কর্মকাণ্ডই কি তোলপাড় গল্পের প্রতিচ্ছবি?”- তোমার মতামত উপস্থাপন কর। |
উত্তরঃ
ক. সাবু চিৎকার করে মাকে ডাকছিল।
খ. আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সাহায্য করলে তার বদলে কিছু পাওয়ার আশা করা ঠিক নয়।
সাবুর মা একজন ভালো ও নীতিবান নারী। যুদ্ধের সময় অন্য মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাবুকে উৎসাহ দিয়েছেন। আবার সাহায্যের বিনিময়ে কারো কাছ থেকে টাকা নিতে তিনি ছেলেকে মানা করেছেন। তাই যখন তৃষ্ণার্ত এক বয়স্ক নারীকে পানি খাওয়ানোর পর তিনি সাবুকে টাকা দিতে চান, তখন সাবু এই কথাটি বলে।
গ. জৈতুন বিবির মতোই উদ্দীপকের করিমন্নেসা মানুষের সেবা করার জন্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
যুদ্ধের সময় শহর ছেড়ে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের পাশে জৈতুন বিবি নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেছেন। তিনি তাঁর ছেলে সাবুকে অসহায় মানুষদের সহায়তা করতে বলেছেন। বিনিময়ে কিছু আশা না করে বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যে সত্যিকারের মানবিকতা, তা তাঁর আচরণে দেখা যায়। উদ্দীপকের রসুলপুর এলাকায় যখন নাম না জানা এক ভাইরাস মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে, তখন করিমন্নেসার পাশে কেউ না থাকলেও তিনি একাই আক্রান্ত রোগীদের সেবা শুরু করেন। ঠিক তেমনি গল্পের জৈতুন বিবিও মুক্তিযুদ্ধের সময় শহর ছেড়ে আসা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ও তাঁর ছেলে একসঙ্গে তাদের সাহায্য ও সেবা করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের করিমন্নেসার চরিত্রে জৈতুন বিবির মানুষের সেবা ও সহযোগিতার গুণ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. কাপুরুষের মতো আচরণ করার কারণে করিমন্নেসার বাড়ির ছেলেদের কাজকর্মকে ‘তোলপাড়’ গল্পের প্রতিচ্ছবি বলা যায় না।
‘তোলপাড়’ গল্পে দেখা যায়, পাকিস্তানি সেনাদের হঠাৎ হামলায় মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসে। তখন জৈতুন বিবি, তার ছেলে সাবু ও গাবতলি গ্রামের অন্য মানুষ পালিয়ে আসা লোকদের সেবা ও সাহায্যে এগিয়ে আসে।
উদ্দীপকের রসুলপুর গ্রামে ভাইরাসের আক্রমণে মানুষ অসুস্থ হতে থাকে এবং অল্প সময়েই তা মহামারি রূপ নেয়। গ্রামের বিধবা করিমন্নেসা তার বাড়ির যুবক ছেলেদের অসুস্থ মানুষদের সাহায্য করতে বলেন। কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তারা অসুস্থদের কাছে যায় না।
‘তোলপাড়’ গল্পে মানুষের অসহায় অবস্থা খুব করুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানিদের অত্যাচারে মানুষ দল বেঁধে শহর ছেড়ে পালাচ্ছে, আর তখন সাবুর মতো কিশোররাও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু উদ্দীপকে দেখা যায়, ভাইরাসের মহামারিতে মানুষ যখন অসহায়, তখন গ্রামের যুবক ছেলেরা সাহায্য না করে পালিয়ে যায় এবং নিজের নিরাপত্তার জন্য অন্য জায়গায় চলে থাকে। তাই বলা যায়, করিমন্নেসার বাড়ির ছেলেদের আচরণ ‘তোলপাড়’ গল্পের প্রতিচ্ছবি নয়।
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। শফিকের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। শফিক তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল, “আব্বু, তোমার কাছে অস্ত্র ছিল না, তুমি কীভাবে যুদ্ধ করলে?” বাবা মৃদু হেসে বলেছিলেন, “অস্ত্র ছাড়াও অনেক কিছু দিয়েই যুদ্ধ হয়, বেটা। এক বালতি পানি, এক মুঠো চাল, এক টুকরো কাপড়—এগুলোও তো অস্ত্র। আমাদের গ্রামের রাস্তায় যখন হাজার হাজার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ছুটে আসছিল, আমরা যা ছিলাম তাই দিয়েছি। সেই দিয়েই তো যুদ্ধের শুরু।” ক. ‘প্রৌঢ় নারী’ বলতে কাকে বোঝায়? খ. “মাফ করবেন। টাকা নিলে আমারে মা বাড়ি থাইকা বাইর কইরা দিব।”— সাবু টাকা নিতে অস্বীকার করল কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের শফিকের বাবার বক্তব্যের সাথে ‘তোলপাড়’ গল্পের সাবুর কোন কাজের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “মুক্তিযুদ্ধ কেবল রাইফেল হাতে যুদ্ধ নয়, তা মানবিকতা ও সমবেদনারও যুদ্ধ”— ‘তোলপাড়’ গল্প ও উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার কর। |
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। ১৯৭১ সালের জুন মাস। কুমিল্লার এক প্রত্যন্ত গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন শহরের এক শিক্ষক পরিবার। গ্রামের কিশোর রফিক তার বাবার সাথে ঐ পরিবারের জন্য বাড়ির পিছনের বাগান থেকে ফলমূল, শাকসবজি সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। শিক্ষক বললেন, “তোমাদের মতো মানুষরা আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।” রফিক নিচু গলায় বলল, “স্যার, আপনারা তো আমাদেরই মানুষ। আপনাদের কষ্ট দেখলে আমাদেরও কষ্ট হয়।” ক. ‘খাবি খাওয়া’ বলতে কী বোঝায়? খ. “শহরেও গরিব আছে”— সাবুর এই চিন্তার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের রফিকের মানসিকতা ‘তোলপাড়’ গল্পের কোন চরিত্রের মধ্যে ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘তোলপাড়’ গল্প ও উদ্দীপক দুটিতেই “মানুষের জন্য মানুষ” এই মূলবোধটি প্রকাশ পেয়েছে— বিশ্লেষণ কর। |
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। মাসুদ রানা তার ডায়েরিতে লিখেছে, “আজ স্কুলে স্যার বললেন, মুক্তিযুদ্ধ মানে শুধু যুদ্ধক্ষেত্রের গল্প নয়। মুক্তিযুদ্ধ হলো সেই কিশোরের গল্প যে প্রথমবারের মতো রাস্তায় নেমে শত্রুর বিরুদ্ধে রাগ অনুভব করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ হলো সেই মায়ের গল্প যে অন্যের সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো আগলে রেখেছিল।” ক. ‘কাফেলা’ শব্দের অর্থ কী? খ. “সাবু কল্পনার চোখে যেন সামনে দেখতে পায়…”— সে কী দেখতে পেয়েছিল এবং কেন? গ. উদ্দীপকের স্যারের বক্তব্যের আলোকে ‘তোলপাড়’ গল্পের সাবুর চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর। ঘ. “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঙালির চিরন্তন সম্পদ”— ‘তোলপাড়’ গল্প ও উদ্দীপকের আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর। |
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। নাজমা আপার সংসার খুব ছোট। তবুও ১৯৭১ সালে তিনি তিনটি পরিবারকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। নিজের সন্তানের মতো করে তাদের দেখাশোনা করেছেন। আজও তিনি বলেন, “সেই সময় টাকা-পয়সা কিংবা ভয় দেখিয়ে কেউ আমার নীতি বদলাতে পারেনি। মানুষ মানুষের জন্য, এটাই আমার বিশ্বাস।” ক. ‘উপযাচক’ শব্দের অর্থ লেখ। খ. জৈতুন বিবি সাবুকে পয়সা নিতে নিষেধ করেছিল কেন? গ. উদ্দীপকের নাজমা আপার চরিত্রের সাথে ‘তোলপাড়’ গল্পের জৈতুন বিবির কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘তোলপাড়’ গল্প এবং উদ্দীপকের নাজমা আপা উভয়ই যুদ্ধকালীন মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত— তোমার মতামত দাও। |
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে আলিম তার ছোট বোনকে বলল, “এই মিনার শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের জন্য না। এর পাথরের গায়ে লেখা আছে প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।” ছোট বোন জিজ্ঞেস করল, “সে কি মুক্তিযুদ্ধের গল্পও?” ক. ‘উর্দি’ কী? খ. “তিনি নিমেষে ভিড়ে মিশে গেলেন”— কে, কেন ভিড়ে মিশে গেলেন? গ. উদ্দীপকের আলিমের কথার সাথে ‘তোলপাড়’ গল্পের কোন পর্বের সম্পর্ক আছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “মুক্তিযুদ্ধ বাংলার মানুষের স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রকাশ”— ‘তোলপাড়’ গল্প ও উদ্দীপকের আলোকে উক্তিটির সত্যতা যাচাই কর। |
| সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। রহিমা খালা গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। তিনি বলতেন, “যুদ্ধের সময় আমি দেখেছি কীভাবে দশজনের ভাত একজনের থালায় জুটেছে। দেখেছি কীভাবে অচেনা মানুষ একে অপরের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। সেই স্মৃতি আজও আমাকে শেখায়, সম্পদ নয়, মানুষের হৃদয়ই সবচেয়ে বড় সম্পদ।” ক. ‘নাজেহাল’ শব্দের অর্থ কী? খ. সাবু বুড়ো মানুষটিকে নদীর ঘাট পর্যন্ত নিয়ে গেল কেন? গ. উদ্দীপকের রহিমা খালার বক্তব্য ‘তোলপাড়’ গল্পের কোন দিকটিকে প্রতিফলিত করে? ঘ. ‘তোলপাড়’ গল্প এবং উদ্দীপকের রহিমা খালার অভিজ্ঞতা যুদ্ধকালীন সম্প্রীতি ও মানবিক বন্ধন এর পরিচয় দেয়— বিশ্লেষণ কর। |
নিচে তোলপাড় গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।
তোলপাড় গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ
আরও পড়ুনঃ তোলপাড় গল্পের MCQ | বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর