গল্পটি হালিমা খাতুনের লেখা “আষাঢ়ের এক রাতে”, যা ছোট্ট আবুর সাহসিকতা এবং তার বড়ো মাছ ধরার কাহিনি নিয়ে রচিত। গল্পটি আষাঢ় মাসের বর্ষাকালে মৌরী বিলে মাছ ধরার এক রাতের ঘটনা, যেখানে আবু তার ভাইদের অজান্তে তাদের সাথে মাছ ধরতে যায় এবং শেষ পর্যন্ত বিশাল একটি বোয়াল মাছ ধরে। গল্পটি ছোট্ট আবুর স্বপ্ন, সাহস এবং মেধা তুলে ধরে।
এক কথায় প্রশ্ন উত্তর
১. ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটির রচয়িতা কে? তাঁকে কী বলা হয়?
উত্তর: ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটির রচয়িতা হলেন হালিমা খাতুন। তাঁকে কথাসাহিত্যিক এবং ভাষাসৈনিক বলা হয়।
২. হালিমা খাতুন কত সালে জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: হালিমা খাতুন ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৩. হালিমা খাতুন সরাসরি কোন আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: হালিমা খাতুন সরাসরি ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
৪. টোপ কী? এবং টোপ হিসেবে কী ব্যবহার করে?
উত্তর: টোপ হল মাছ ধরার জন্য বড়শিতে গেঁথে দেওয়া খাবার। আবু টোপ হিসেবে তেলাপোকা ব্যবহার করে।
৫. আষাঢ় এলে কোন বিলে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে?
উত্তর: আষাঢ় এলে মৌরী বিলে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে।
৬. আবুর বড়ো ভাইয়ের নাম কী? কার মাছ ধরার খুব নেশা?
উত্তর: আবুর বড়ো ভাইয়ের নাম সাজেদ। সাজেদের মাছ ধরার খুব নেশা।
৭. মাছ ধরার জন্য কী ব্যবহৃত হয়? মাছ ধরার ঝুড়িকে কী বলে?
উত্তর: মাছ ধরার জন্য বড়শি ব্যবহৃত হয়। মাছ ধরার ঝুড়িকে খালুই বলে।
৮. নৌকার দুই মাথার সরু অংশকে কী বলে?
উত্তর: নৌকার দুই মাথার সরু অংশকে গলুই বলে।
৯. নৌকার দিক ঠিক রাখার জন্য বিশেষ বৈঠাকে কী বলে?
উত্তর: নৌকার দিক ঠিক রাখার জন্য বিশেষ বৈঠাকে হাল বলে।
১০. কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি নৌকার মেঝেকে কী বলে?
উত্তর: কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি নৌকার মেঝেকে পাটাতন বলে।
১১. মাথাল মাথায় দিয়ে নৌকার হাল ধরে কে বসে আছে?
উত্তর: কিষান তিনু মাথাল মাথায় দিয়ে নৌকার হাল ধরে বসে আছেন।
১২. চারদিকে অন্ধকারের মধ্যে কীসের আলো বিলের পানিতে নেচে চলেছে?
উত্তর: চারদিকে অন্ধকারের মধ্যে হেরিকেনের আলো বিলের পানিতে নেচে চলেছে।
১৩. কেরোসিন কীসে ব্যবহৃত হয়? কী দেখলে মাছগুলো রাতকানা হয়ে যায়?
উত্তর: কেরোসিন হেরিকেন বা কেরোসিনের বাতি জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। হেরিকেনের আলো দেখলে মাছগুলো রাতকানা হয়ে যায়।
১৪. লুকিয়ে লুকিয়ে মাছ ধরা কে দেখতে এসেছিল? আবু কাকে বলে এসেছিল?
উত্তর: আবু লুকিয়ে লুকিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল। আবু কালুকে বলে এসেছিল, যাতে কেউ খোঁজাখোঁজি করলে তাকে জানাতে পারে।
১৫. ঘুমিয়ে থাক, মাছ এসে তোকে ডেকে তুলবে –আবুকে এ কথা কে বলেছে?
উত্তর: “ঘুমিয়ে থাক, মাছ এসে তোকে ডেকে তুলবে” – এ কথা সাজেদ আবুকে বলেছে।
১৬. কে এগিয়ে এসে বড়শির দড়ি ধরল? আষাঢ়ের এক রাতে কী ধরনের রচনা?
উত্তর: কিষান তিনু এগিয়ে এসে বড়শির দড়ি ধরল। ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ একটি গল্প।
১৭. গল্প কাকে বলে? গল্প কোন ভাষায় লেখা হয়?
উত্তর: গল্প হল এমন একটি রচনা, যা সাধারণত ছোটো আয়তনের হয় এবং একটি নির্দিষ্ট কাহিনির মাধ্যমে মানবজীবনের কোনো বিষয় তুলে ধরে। গল্পটি সাধারণত গদ্য ভাষায় লেখা হয়।
১৮. বড় আয়তনের গল্পকে কী বলে? গল্পকার ও ঔপন্যাসিককে কী বলা হয়?
উত্তর: বড় আয়তনের গল্পকে উপন্যাস বলা হয়। গল্পকার ও ঔপন্যাসিক-কে কথাসাহিত্যিক বলা হয়।
১৯. প্রতিটি গল্পের মধ্যে কী থাকে? গল্পের কাহিনি কীসের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠে?
উত্তর: প্রতিটি গল্পের মধ্যে কাহিনি থাকে। গল্পের কাহিনি চরিত্র, ঘটনা ও পরিস্থিতি-এর মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে।
২০. গল্পের চরিত্র অনেক সময় কথা বলে, সেসব কথাকে কী বলে?
উত্তর: গল্পের চরিত্র অনেক সময় কথা বলে, সেসব কথাকে সংলাপ বলা হয়।
আষাঢ়ের এক রাতে সৃজনশীল প্রশ্ন
১) রচনামূলক প্রশ্ন ( দৃশ্যপট নির্ভর )
কদিন থেকে একটানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানক্ষেত ডুবে গেছে। বাড়ির পাশের ছোট নদীর | পানি এসে সেই পানিতে মিশে গিয়েছে। আমি আর আমার ভাই সুজন প্রতিদিন ডুবে যাওয়া | ধান খেতে যাই। গামছা দিয়ে ছেঁকে মাছ ধরি। বাবা বকা দেন আমাদের ঠাণ্ডা লেগে যাবে বলে। আর আমাদের বড়ো বোন আনিকা আমাদের নিয়ে মজা করে। সে বলে, তোরা ছোট | পুটি আর টাকি মাছ ছাড়া কিছুই পারি না। অঝোর ধারায় বৃষ্টি থামেই না। শেষে এমন অবস্থা হলো যে আমাদের উঠোনে পানি জমে গেল। হাঁটু পানিতে নেমে আমরা দুই ভাই হই হই করি। কখনো বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির স্রোতে বড়শি ফেলে বসে থাকি। একদিন হঠাৎ বড়শিতে জোরে টান পড়ে। আমি তো অবাক হলাম। তুলে দেখি আমার বড়শিতে বড় একটি রুই মাছ উঠেছে। বাড়ির সবাই তো অবাক হয়ে যায়। আর আমার বড় বোন ও।
ক) ওপরের গল্পের সঙ্গে ‘আষাঢ়ের এক রাতে গল্পের সাদৃশ্য লেখ ।
(খ) ওপরের গল্পটিতে গল্পের কোন কোন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
উত্তরঃ ক) ওপরের গল্পের সঙ্গে ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের সাদৃশ্য:উপরের গল্প এবং ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাদৃশ্য রয়েছে। প্রথমত, উভয় গল্পেই বর্ষাকাল এবং বৃষ্টির পরিবেশের উল্লেখ করা হয়েছে। উপরের গল্পে যেমন একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল এবং ধানক্ষেত ডুবে যাচ্ছিল, তেমনই ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পেও বৃষ্টির মধ্যে মাছ ধরার জন্য নৌকা বের করা হয়। আবার, দুটো গল্পেই মাছ ধরার কাহিনি। উপরের গল্পে ছোট ভাই বড়শি দিয়ে রুই মাছ ধরে, আর ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে আবু তেলাপোকা দিয়ে বিশাল বোয়াল মাছ ধরে। দুই গল্পেই মাছ ধরার আনন্দ এবং উত্তেজনা রয়েছে। তৃতীয়ত, দুই গল্পে বড় ভাই বা বড় বোন ছোটদের নিয়ে মজা করে। যেমন, উপরের গল্পে বড় বোন আনিকা ছোট ভাইদের নিয়ে হাস্যরস করে, ঠিক যেমন ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে সাজেদ এবং তার বন্ধুরা আবুকে নিয়ে মজা করে। সবশেষে, উভয় গল্পেই একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে—যেমন, উপরের গল্পে ছোট ভাই রুই মাছ ধরার পর সবাই অবাক হয়, আর ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে আবু বিশাল বোয়াল মাছ ধরার পর সবাই বিস্মিত হয়ে যায়। এই সাদৃশ্যগুলোর মাধ্যমে উভয় গল্পই এক ধরনের উত্তেজনা এবং আনন্দ তৈরি করে। খ) ওপরের গল্পটিতে গল্পের কোন কোন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান:এই গল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত, অবস্থান বা পরিবেশ বর্ণনা গল্পের একটি বড় বৈশিষ্ট্য। গল্পের শুরুতেই বৃষ্টির মধ্যে জমে থাকা পানি এবং বর্ষাকালের পরিবেশের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যা গল্পটির ভাব তৈরি করেছে। বৃষ্টি এবং পানি জমে যাওয়ার কারণে চরিত্রদের কর্মকাণ্ডও প্রভাবিত হয়। দ্বিতীয়ত, গল্পে চরিত্রের সম্পর্ক ও হাস্যরস স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। যেমন, বড় বোন আনিকা ছোট ভাইদের নিয়ে মজা করে, এবং এ ধরনের হাস্যরস গল্পের মধ্যে উজ্জ্বলতা যোগ করে। তৃতীয়ত, গল্পে অবাক করার মুহূর্ত রয়েছে। ছোট ভাই যখন বড়শিতে রুই মাছ ধরে, তখন সবাই অবাক হয়ে যায়—এটি গল্পের মধ্যে একটি চমক সৃষ্টি করে। চতুর্থত, গল্পে চরিত্রের কর্মকাণ্ড বর্ণিত হয়েছে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য এবং বড় বোনের হাস্যকর মন্তব্যের মাধ্যমে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিত্ব এবং সম্পর্ক প্রকাশ পায়। এবং সর্বশেষ, গল্পে আনন্দ ও সন্তুষ্টির অনুভূতি ফুটে উঠেছে, বিশেষ করে ছোট ভাইটির রুই মাছ ধরার পর তার আনন্দ এবং পরিবারের সদস্যদের খুশি হওয়া—এটি গল্পে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে। |
২) রচনামূলক প্রশ্নঃ (দৃশ্যপট নির্ভর)
শহিনের বয়স সাত বছর। তাদের বাড়ি সুন্দরবনের পাশেই। শিহিনের সুন্দরবনে গিয়ে হরিণ দেখার খুব ইচ্ছে। কিন্তু তার বাবা-মা ও বড়োভাই মাহিন তাকে বনের মধ্যে যেতে দিতে | চায় না। তাই একদিন সে লুকিয়ে লুকিয়ে বড়ো ভাইয়ের পিছু নেয়। মাহিন যখন শাহিনকে দেখতে পায় ততক্ষণে তারা বনের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। মাহিন প্রথমে শাহিনের উপর রাগ | দেখালে ও শেষ পর্যন্ত তাকে হরিণ দেখার সুযোগ দেয়। এতে শাহিন খুশিতে নাচতে থাকে ৷
ক) দৃশ্যপটের শাহিনের সাথে তোমার পঠিত ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের কোন চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
(খ) দৃশ্যপটটি ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের আংশিক রূপমাত্র, সম্পূর্ণরূপ নয় –তোমার মতামত দাও।
উত্তরঃ ক) দৃশ্যপটের শাহিনের সাথে ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের আবু চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে। প্রথমত, উভয় চরিত্রই ছোট, এবং তারা বড়দের অনুমতি ছাড়া নিজেদের ইচ্ছা পূরণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে। শাহিন যেমন হরিণ দেখতে গিয়ে বড়ো ভাই মাহিনের পিছু নেয়, ঠিক তেমনি আবু গোপনে সাজেদের পিছু নিয়ে মাছ ধরতে যায়। দ্বিতীয়ত, উভয়েরই বড়দের কাছ থেকে আশ্বাসের প্রয়োজন হয়। শাহিন যখন মাহিনের পিছু নেয়, মাহিন প্রথমে রেগে গেলেও পরে তাকে হরিণ দেখানোর সুযোগ দেয়, ঠিক তেমনি সাজেদও আবুকে আশ্বাস দিয়ে তাকে মাছ ধরতে সাহায্য করে। শেষে, উভয় চরিত্রই তাদের উদ্দেশ্য সফল করে খুশি হয়—শাহিন হরিণ দেখে আনন্দিত হয়, আর আবু বিশাল বোয়াল মাছ ধরতে পেরে আনন্দে নাচতে থাকে। তাই শাহিন এবং আবুর মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। খ) আমার মতে, এই দৃশ্যপটটি ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের আংশিক রূপমাত্র। এখানে শাহিনের হরিণ দেখার ইচ্ছা পূরণের ছোটো গল্প তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে আবুর সাহসিকতা, বড় মাছ ধরার অভিযান এবং বর্ষার পরিবেশের যে ব্যাপকতা আছে, তা এখানে অনুপস্থিত। গল্পটির গভীরতা এবং উত্তেজনা এখানে স্পষ্টভাবে দেখা যায় না। আবু যেমন একা একা নিরবচ্ছিন্নভাবে মাছ ধরার সাহসী উদ্যোগ নেয়, শাহিনের গল্পে তেমন কোনো বড় চ্যালেঞ্জ বা উত্তেজনা নেই, কেবল বড়ো ভাইয়ের অনুমতি পাওয়া আর হরিণ দেখা। এছাড়া, ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে বর্ষার পরিবেশ, নৌকা এবং মাছ ধরার কাজের নানা দিক বেশ গুরুত্ব পেয়েছে, যা এই দৃশ্যপটে নেই। ফলে, এটি পুরোপুরি গল্পের সারমর্ম নয়, বরং তার একটি ছোট্ট অংশ বা আংশিক রূপ। |
৩) রচনামূলক প্রশ্নঃ (দৃশপটনির্ভর )
নদীমাতৃক বাংলাদেশে প্রায় সব নদী-নালা বর্ষাকালে পানিতে টইটুম্বুর থাকে। জীবিকা নির্বাহের তাগিদ ছাড়া ও এসময় বহু মানুষ নদীতে মাছ ধরতে যায়। কোনো কোনো এলাকায় মাছ ধরা নিয়ে প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে। যারা মাছ ধরতে ভালোবাসে তাদের | কাছে এ প্রতিযোগিতা থুবই উপভোগ্য।
ক) উক্ত দৃশ্যপটের সঙ্গে তোমার পঠিত ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
(খ) দৃশ্যপট ও ‘আষাঢ়ের এক রাতে গল্পের সঙ্গে তোমার জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার মিল খুজে পাওয়া যায় কিনা, বিশ্লেষন কর।
উত্তরঃ ক) এই দৃশ্যপটের সঙ্গে ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের কিছু দিক খুব মিল রয়েছে। এখানে যেমন নদী-নালা টইটুম্বুর থাকে বর্ষাকালে, ঠিক তেমনি গল্পেও বর্ষাকালে নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে মাছ ধরার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। দুটোই এক ধরনের মাছ ধরার আনন্দের চিত্র তুলে ধরে, যেখানে মানুষ শুধুমাত্র জীবিকা অর্জনের জন্য নয়, বরং আনন্দের জন্যও মাছ ধরে। গল্পে যেমন আবু ছোট্ট হলেও মাছ ধরার জন্য এক ধরনের উত্তেজনা অনুভব করে এবং তার কাছে বড় ভাই সাজেদের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই এখানে মাছ ধরার এক ধরনের প্রতিযোগিতা এবং আনন্দ সৃষ্টি হয়। নদীতে মাছ ধরার প্রতি ভালোবাসা, উত্তেজনা এবং শখ—এই বিষয়গুলো উভয় ক্ষেত্রেই সাদৃশ্যপূর্ণ। গল্পে আবু যখন বড়ো মাছ ধরতে পারে, তখন যেমন তার আনন্দের সীমা থাকে না, ঠিক তেমনি এখানে মাছ ধরার প্রতি মানুষের আগ্রহ এবং প্রতিযোগিতামূলক অনুভূতি ফুটে ওঠে। খ) আমার জীবনে একবার ঘটেছিল, যখন বর্ষাকালে আমাদের গ্রামে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল এবং নদীর পানি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সে সময় আমার বন্ধুরা আর আমি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বড়ই আনন্দ পেতাম। একদিন আমরা সবাই গিয়ে ছোট বড়শি নিয়ে নদীতে বসে পড়েছিলাম, আর আমাদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল কেমন করে বড় মাছ ধরা যায়! সেদিন শেষে যখন বড় মাছটি ধরে ফেলি, আমাদের আনন্দের সীমা ছিল না। একদম গল্পের মতোই, যখন আবু বড়ো মাছ ধরেছিল, তখন তার মধ্যে যে খুশির অনুভূতি ছিল, ঠিক তেমনই আমাদেরও হয়েছিল। বর্ষাকালে নদীতে মাছ ধরার উৎসাহ, ছোটোদের আনন্দ, এবং সফল হওয়ার পর যে আনন্দ—এই মিল খুব স্পষ্ট।গল্পে আবু যেমন তার বড় ভাই সাজেদ এবং অন্যদের সঙ্গে মাছ ধরার জন্য চেষ্টা করে, ঠিক তেমনি আমিও বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে আনন্দ এবং উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম। বর্ষাকালের নদী, মাছ ধরার রোমাঞ্চ, আর ছোটদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা—এই বিষয়গুলো আমার জীবনে এবং গল্পের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। |
Related Posts
- ৮ম শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় সম্পূর্ণ PDF (বার্ষিক পরীক্ষার সমাধান)
- স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণির ২য় অধ্যায়- নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন
- জীবন ও জীবিকা ৭ম শ্রেণি ৩য় অধ্যায়-আগামীর স্বপ্ন
- ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন ১ম অধ্যায় (যাযাবর পাখিদের সন্ধানে)
- জীবন ও জীবিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায় (পেশার রূপ বদল)
- Have You Filled a Bucket Today Class 7 English Chapter 5 (বাংলা অর্থসহ)
- বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি জানিয়ে বাবাকে পত্র বা চিঠি লেখার নিয়ম
- ৬ষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ২০২৪ PDF সহ সকল বিষয়
- আমাদের লোকশিল্প ৬ষ্ঠ শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর
- ইসলাম শিক্ষা ৮ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় -ইবাদাত (সব ছকের সমাধান)