জীবনানন্দ দাশের “আবার আসিব ফিরে” কবিতাটি প্রকৃতির মাঝে মিশে যাওয়া এবং বাংলার মাটি, নদী, মাঠ, খেতের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধকে প্রকাশ করে। কবি এখানে নিজেকে প্রকৃতির বিভিন্ন রূপে কল্পনা করেছেন। এই পোস্টে আবার আসিব ফিরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক) লিখে দিলাম।
আবার আসিব ফিরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর
১। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার কবি কে?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ।
২। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে।
৩। কবি কোথায় ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: বাংলার ধানসিঁড়ি নদীর তীরে।
৪। ধানসিঁড়ি কী?
উত্তর: ঝালকাঠি জেলার একটি নদী, যা এখন মরে গেছে।
৫। কার্তিক মাসের নবান্নের দেশে কবি কী হয়ে ফিরে আসতে চান?
উত্তর: ভোরের কাক হয়ে।
৬। কাঁঠাল ছায়ায় কবি কীভাবে ফিরে আসবেন?
উত্তর: কুয়াশার বুকে ভেসে।
৭। কবি হাঁস হয়ে কার সঙ্গে সময় কাটাতে চান?
উত্তর: কিশোরীর সঙ্গে।
৮। শঙ্খচিল কী ধরনের পাখি?
উত্তর: এটি এক ধরনের সাদা চিল।
৯। কলমির গন্ধভরা জলে কীভাবে সময় কাটাবেন?
উত্তর: সারাদিন ভেসে ভেসে।
১০। কবি বাংলার কোন জায়গাগুলোকে ভালোবাসেন?
উত্তর: নদী, মাঠ, খেত।
১১। সন্ধ্যার বাতাসে কী উড়তে দেখা যাবে?
উত্তর: সুদর্শন।
১২। সুদর্শন কী?
উত্তর: এটি এক ধরনের শকুনি বা পোকা যা উড়তে পারে।
১৩। নবান্ন কী?
উত্তর: নতুন ধান কাটার পর উদযাপিত এক কৃষি উৎসব।
১৪। শিমুল গাছের ডালে কী ডাকবে?
উত্তর: লক্ষ্মীপেঁচা।
১৫। শিশু কী করছে উঠানের ঘাসে?
উত্তর: খইয়ের ধান ছড়াচ্ছে।
১৬। রূপসা নদীর ঘোলা জলে কী দেখা যাবে?
উত্তর: কিশোরের সাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বাওয়া।
১৭। রাঙা মেঘ কী করছে?
উত্তর: অন্ধকারে সাঁতরাচ্ছে।
১৮। ঘুঙুর কী?
উত্তর: এটি নূপুর বা পায়ের অলংকার।
১৯। কবি কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে চান?
উত্তর: ধবল বক বা অন্যান্য প্রাকৃতিক রূপে।
২০। কবিতাটিতে কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: কার্তিক মাসের নবান্নের ঋতু (শরৎ)।
২১। কবিতাটিতে কোন পাখির কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: শঙ্খচিল, শালিক, কাক, লক্ষ্মীপেঁচা, ধবল বক।
২২। কোন ঋতুর নবান্নের দেশে ফিরে আসতে চান কবি?
উত্তর: কার্তিক মাসের।
২৩। কবি কোন নদীর কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: ধানসিঁড়ি এবং রূপসা নদী।
২৪। রূপসা কী?
উত্তর: এটি একটি নদীর নাম।
২৫। কবি কোন গাছের ছায়ায় ফিরে আসার কথা বলেছেন?
উত্তর: কাঁঠাল গাছের ছায়ায়।
২৬। কবি কোন পাখির ডাক শোনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: লক্ষ্মীপেঁচার।
২৭। কবি কোন ফুলের নাম উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: শিমুল ফুল।
২৮। ডিঙা কী?
উত্তর: এটি ছোট নৌকা।
২৯। কবি কোন পাখির উড়ে যাওয়ার দৃশ্য কল্পনা করেছেন?
উত্তর: সুদর্শন পাখির।
৩০। কবি কোন রঙের মেঘের কথা বলেছেন?
উত্তর: রাঙা মেঘ।
৩১। কবি কোন পাখির পালকের রঙের কথা বলেছেন?
উত্তর: ধবল (সাদা) বক।
৩২। নীড়ে শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পাখির বাসা।
৩৩। কবি কী ধরনের জলে হাঁস হয়ে ভেসে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: কলমির গন্ধভরা জলে।
৩৪। কবি কী ধরনের ঢেউয়ের কথা বলেছেন?
উত্তর: জলাঙ্গীর ঢেউ।
৩৫। কবি কোন শিশুর ক্রিয়াকলাপের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: খইয়ের ধান ছড়ানো।
৩৬। ডাঙা কী?
উত্তর: এটি জলাশয়ের নিকটবর্তী উঁচু স্থান।
৩৭। কবি কোন নদীর ঘোলা জলে কিশোরের নৌকা বাইবার কথা বলেছেন?
উত্তর: রূপসা নদীর ঘোলা জলে।
৩৮। কবি কী ধরনের পাল তুলে নৌকা বাইবার কল্পনা করেছেন?
উত্তর: সাদা ছেঁড়া পাল।
৩৯। কবি কোন গাছের ডালে লক্ষ্মীপেঁচার ডাক শোনার কথা বলেছেন?
উত্তর: শিমুল গাছের ডালে।
৪০। কবি কোন প্রাণীর ডানার ঝাপট শোনার আকাঙ্ক্ষা করেছেন?
উত্তর: ধবল বকের।
৪১। কবি কোন বিশেষ ঋতুতে ফিরে আসার কথা বলেছেন?
উত্তর: কার্তিক মাসে।
৪২। জলাঙ্গী বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: জল যার অঙ্গে অর্থাৎ নদীকে বোঝানো হয়েছে।
৪৩। কবি জীবনানন্দ দাশ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: তিনি বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
৪৪। জীবনানন্দ দাশ কোন সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে।
৪৫। জীবনানন্দ দাশ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করেন?
উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
৪৬। জীবনানন্দ দাশ কোন বিষয় নিয়ে এম. এ. পাশ করেন?
উত্তর: ইংরেজি সাহিত্য।
৪৭। অধ্যাপনার পাশাপাশি জীবনানন্দ দাশ আর কোন পেশায় যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: তিনি সাংবাদিকতার পেশাও অবলম্বন করেছিলেন।
৪৮। জীবনানন্দ দাশ মারা যান কোন সালে?
উত্তর: ১৯৫৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৪৯। জীবনানন্দ দাশ কিভাবে মারা যান?
উত্তর: কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।