বৃষ্টি কবিতার মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ৯ম শ্রেণির বাংলা

“বৃষ্টি” কবিতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি ফররুখ আহমদের একটি রূপক কবিতা। কবিতাটির মাধ্যমে বৃষ্টি এবং তার প্রভাবের মাধ্যমে কবি প্রকৃতির বিভিন্ন অনুভূতি এবং মানব জীবনের গভীর উপলব্ধি তুলে ধরেছেন। এই পোস্টে বৃষ্টি কবিতার মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ৯ম শ্রেণির বাংলা বিষয় দিলাম।

বৃষ্টি কবিতার মূলভাব

গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রকৃতির কী অবস্থা থাকে এবং বৃষ্টির ফলে তাতে কোন ধরনের পরিবর্তন আসে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টি না হওয়ার ফলে গ্রীষ্মের প্রখর রোদে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যায়। চারিদিকে শুধু হাহাকার বিরাজ করে। ধানখেতগুলো দগ্ধ হয়, নদীগুলোতে ফাটল ধরে পানির অভাবে। মাঠগুলো যেন রুগ্ন বৃদ্ধ ভিখারির রগ ওঠা হাতের মতন হয়ে যায়। বনগুলো পানির জন্য ভূষিত হয়। আর প্রকৃতির এসব অচল অবস্থার জন্য মানুষের মনও বিষণ্ণ হয়। ফলে এক সময় বহুল প্রতীক্ষিত বৃষ্টি এসে পদ্মা-মেঘনার দুপাশে আবাদি জমিতে, বিদগ্ধ আকাশে, মাঠে-ঘাটে, নদী সব জায়গায় পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আনে। দিক-দিগন্তে আবারও অপরূপ শোভা ছড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টি যেন সকলের মন তৃপ্ত করে। এভাবে প্রকৃতির জোয়ার দেখে মানুষের মনও তৃপ্ত হয় । সমস্ত দুঃখ, নিঃসঙ্গতা ও নির্জনতা ভুলে বহু পথ পাড়ি দিতে চায়। এই বিষয়গুলোই কবি ‘বৃষ্টি’ কবিতায় তুলে ধরতে চেয়েছেন।

বৃষ্টি কবিতার মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

১। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোথায় বৃষ্টি এসেছে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টি এসেছে পদ্মা-মেঘনার দুপাশে আবাদি গ্রামে।

২। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় ‘সওয়ার’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় ‘সওয়ার’ শব্দটি আরোহী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

৩। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুতের সৌন্দর্য কীসের মতো?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুতের সৌন্দর্য রূপসী পরির মতো।

৪। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ মাঠ কীসের সুর শোনে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ মাঠ বর্ষণের সুর শোনে।

৫। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কাকে বিদগ্ধ বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদগ্ধ বলা হয়েছে আকাশকে।

৬। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় নদীর ফাটলে কখন পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আসে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় নদীর ফাটলে বন্যা এলে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আসে।

৭। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কেয়া কোথায় থাকে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কেয়া অরণ্যে থাকে।

৮। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টির জন্য কী ভূষিত?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টির জন্য বন ভূষিত।

৯। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় পুবের হাওয়ায় বৃষ্টি এলো?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় পুবের হাওয়ায় বৃষ্টি এলো।

১০। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় আকাশটি কেমন?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় আকাশটি বিদগ্ধ।

১১। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় মেঘের বিদ্যুৎ দেখে অরণ্যের কেয়া শিহরায়?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় মেঘের বিদ্যুৎ দেখে অরণ্যের কেয়া শিহরায়।

১২। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুৎ-রূপসী পরি কোথায় সওয়ার হয়েছে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় ‘বিদ্যুৎ-রূপসী পরি’ মেঘে মেঘে সওয়ার হয়েছে।

১৩। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কে বহু পথ পাড়ি দিতে চায়?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় যাতপ্ত মন বহু পথ পাড়ি দিতে চায়।

১৪। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রৌদ্র-দগ্ধ ধানখেত কার স্পর্শ পেতে চায়?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রৌদ্র-দগ্ধ ধানখেত বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।

১৫। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় নদীর ফাটলে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার কে আনে?
উত্তর: নদীর ফাটলে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আনে বন্যা।

১৬। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টির জন্য কী ভূষিত?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টির জন্য বন ভূষিত।

১৭। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুতের সৌন্দর্য কীসের মতো?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুতের সৌন্দর্য রূপসী পরির মতো।

১৮। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোথায় বর্ষার মেঘ জাগে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় পথে-প্রান্তরে বর্ষার মেঘ জাগে।

১৯। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কেয়া কোথায় থাকে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কেয়া অরণ্যে থাকে।

২০। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ মাঠ কীসের সুর শোনে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ মাঠ বর্ষণের সুর শোনে।

২১। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় আকাশটি কেমন?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় আকাশটি বিদগ্ধ।

২২। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রৌদ্র-দগ্ধ ধানখেত কার স্পর্শ পেতে চায়?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রৌদ্র-দগ্ধ ধানখেত বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।

২৩। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুতের সৌন্দর্য কীসের মতো?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুতের সৌন্দর্য রূপসী পরির মতো।

২৪। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ষার প্রাণ কোনটি?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ষার প্রাণ হলো বৃষ্টি।

২৫। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিস্মৃত দিন কেমন?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিস্মৃত দিন নিঃসঙ্গ নির্জন।

২৬। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কে বহু পথ পাড়ি দিতে চায়?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় যাতপ্ত মন বহু পথ পাড়ি দিতে চায়।

বৃষ্টি কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

১। ‘বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায় কেন?
(ক) দিকদিগন্তের পথে অপূর্ব আভা দেখে
(খ) নদীর ফাটলে বন্যা আনে বলে
(গ) ভূষিত বনের সাথে জেগে ওঠে বলে
(ঘ) রুক্ষ মাঠে বর্ষণের সুর শোনা যায় বলে
উত্তর: (ক) দিকদিগন্তের পথে অপূর্ব আভা দেখে

২। বন্যা কোথায় পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আনে?
(ক) আবাদি গ্রামে
(খ) নদীর ফাটলে
(গ) মেঘে
(ঘ) বর্ষায়
উত্তর: (খ) নদীর ফাটলে

৩। বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ কীসে ঢেকে গেল?
(ক) কাজল ছায়ায়
(খ) বিষণ্ণ মেঘে
(গ) রুক্ষ মাঠে
(ঘ) কোমল ছায়ায়
উত্তর: (ক) কাজল ছায়ায়

৪। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় মাঠের ক্ষেত্রে কোন বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ রয়েছে?
(ক) রুক্ষ
(খ) নির্জন
(গ) বিদগ্ধ
(ঘ) বিষণ্ণ
উত্তর: (ক) রুক্ষ

৫। বিদ্যুৎকে কার সাথে তুলনা করেছেন কবি?
(ক) কন্যা
(খ) পরি
(গ) বৃষ্টি
(ঘ) আলো
উত্তর: (খ) পরি

৬। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় মুগুণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ ওঠা হাতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে-
(ক) আবাদি গ্রাম
(খ) বিদগ্ধ আকাশ
(গ) রুক্ষ মাঠ
(ঘ) বিষণ্ণ মেদুর
উত্তর: (গ) রুক্ষ মাঠ

৭। নদীর ফাটলে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার কে আনে?
(ক) মেঘ
(খ) বন্যা
(গ) বৃষ্টি
(ঘ) বর্ষা
উত্তর: (খ) বন্যা

৮। “দিক-দিগন্তের পথে অপরূপ আভা দেখে তার”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
(ক) দিগন্ত জোড়া মাঠের
(খ) ধানখেতের
(গ) বৃষ্টির
(ঘ) বিদ্যুৎ রূপসী পরির
উত্তর: (ঘ) বিদ্যুৎ রূপসী পরির

৯। বৃষ্টির দিনে মন নিঃসঙ্গ হয় কেন?
(ক) চারদিকে ভারী বৃষ্টি হয় বলে
(খ) ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায় বলে
(গ) হারানো দিনের কথা স্মরণ করে
(ঘ) প্রাণে জোয়ারের উচ্ছলতা দেখে
উত্তর: (গ) হারানো দিনের কথা স্মরণ করে।

১০। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় ভূষিত বনের সাথে কী জেগে ওঠার কথা বলা হয়েছে?
(ক) রৌদ্র-দগ্ধ ধানখেত
(খ) বিদগ্ধ আকাশ
(গ) তৃষাতপ্ত মন
(ঘ) রুক্ষ মাঠ
উত্তর: (গ) তৃষাতপ্ত মন

১২। রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত কার স্পর্শ পেতে চায়?
(ক) হাওয়ার
(খ) পরির
(গ) বৃষ্টির
(ঘ) ছায়ার
উত্তর: (গ) বৃষ্টির

১৩। রুক্ষ মাঠকে কবি ফররুখ আহমদ কীসের সাথে তুলনা করেছেন?
(ক) বৃষ্টিহীন প্রকৃতি
(খ) বিষণ্ণ দিন
(গ) বিদগ্ধ আকাশ
(ঘ) রুগ্ন বৃদ্ধ ভিখারির রগ ওঠা হাত
উত্তর: (ঘ) রুগ্ন বৃদ্ধ ভিখারির রগ ওঠা হাত

১৪। বর্ষণমুখর দিনে ভূষিত বনে কী জেগে উঠেছে?
(ক) বিষণ্ণ মেদুর হয়ে
(খ) বিদগ্ধ আকাশ দেখে
(গ) পুবের হাওয়ায় ভেসে
(ঘ) বর্ষণের সুর শুনে
উত্তর: (ঘ) বর্ষণের সুর শুনে

১৫। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোন নদীর উল্লেখ রয়েছে?
(ক) সুরমা
(খ) বুড়িগঙ্গা
(গ) পদ্মা
(ঘ) যমুনা
উত্তর: (গ) পদ্মা

১৬। বিদ্যুৎ-রূপসী পরি মেঘে মেঘে হয়েছে সওয়ার—এতে প্রকাশ পেয়েছে—
(ক) বিদ্যুৎ চমকানোর সৌন্দর্য ও বজ্রপাতের আশঙ্কা
(খ) মেঘের নানা আকৃতি
(গ) মেঘের প্রাচুর্য
(ঘ) বিদ্যুৎ চমকানোর সৌন্দর্য
উত্তর: (ঘ) বিদ্যুৎ চমকানোর সৌন্দর্য

১৭। ‘বৃষ্টি’ কবিতার চরণসংখ্যা কত?
(ক) ১০
(খ) ১২
(গ) ১৪
(ঘ) ১৬
উত্তর: (গ) ১৪

১৮। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় তৃষিত বনের সাথে তুলনা করা হয়েছে—
(ক) বন্ধুর পথকে
(খ) রৌদ্র-দগ্ধ ধানখেতকে
(গ) তৃষাতপ্ত মনকে
(ঘ) গাছের ছায়াকে
উত্তর: (গ) তৃষাতপ্ত মনকে

১৯। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ষায় সর্বত্র মোহিত হয় কীসের মাধ্যমে?
(ক) ফুল ফোটার মাধ্যমে
(খ) মেঘের গর্জনে
(গ) পুবের হাওয়ায়
(ঘ) বন্যার ভাসানোতে
উত্তর: (ক) ফুল ফোটার মাধ্যমে

২০। নদীর ফাটলে বন্যা কী আনে?
(ক) প্লাবন
(খ) জীবন ও ফসলের ক্ষতি
(গ) অলোচ্ছ্বাস
(ঘ) প্রাণের জোয়ার
উত্তর: (ঘ) প্রাণের জোয়ার

২১। বিদগ্ধ আকাশ কীরূপ ছায়ায় ঢেকে গেল বলে কবির ধারণা?
(ক) গাঢ়
(খ) কাজল
(গ) কোমল
(ঘ) মেঘাচ্ছন্ন
উত্তর: (খ) কাজল

২২। বর্ষণমুখর দিনে মানবমনে কী জাগে?
(ক) আনন্দ
(খ) বেদনা
(গ) স্মৃতি
(ঘ) স্বপ্ন
উত্তর: (গ) স্মৃতি

২৩। নিঃসঙ্গ জীবনে বৃষ্টি কী বাড়ায়?
(ক) বিরহ
(খ) বিরক্তি
(গ) সবুজ
(ঘ) স্মৃতি
উত্তর: (খ) বিরহ

২৪। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রৌদ্রদগ্ধ বলা হয়েছে কোনটিকে?
(ক) নদীর ফাটলকে
(খ) আকাশকে
(গ) ধানখেতকে
(ঘ) মাঠকে
উত্তর: (গ) ধানখেতকে

২৫। রুক্ষ মাঠ আকাশ কীসের সুর শোনে?
(ক) বোধন বাঁশির
(খ) বর্ষণের
(গ) কোকিলের
(ঘ) বাউলের
উত্তর: (খ) বর্ষণের

২৬। “মাঠ ঢেকে গেল কাজল ছায়ায়” এই পঙ্ক্তিতে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে—
(ক) মাঠের সৌন্দর্য
(খ) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ
(গ) মাঠের শীতল ছায়া
(ঘ) মেঘমুক্ত আকাশ
উত্তর: (খ) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ

আরও পড়ুনঃ কবর কবিতার মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ৯ম শ্রেণির বাংলা

আরও পড়ুনঃ পল্লী মা কবিতার মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ৯ম শ্রেণির বাংলা

Related Posts

Leave a Comment