মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধটি বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতির গভীরতা ও পল্লির ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এই প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি আমাদের পল্লিগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সাহিত্য সম্পদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই পোস্টে পল্লী সাহিত্য সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।
Table of Contents
পল্লী সাহিত্য সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। এ লেভেল পরীক্ষা শেষে মিতু মা-বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসে। গ্রামে তখন পৌষ মেলা বসেছে। মেলায় মিতু বয়াতির কণ্ঠে ‘একটা ছিল সোনার কইন্যা, মেঘবরণ কেশ, ভাটি অঞ্চলে ছিল সেই কইন্যার দেশ’ গানটি শুনে বিমোহিত হয়। সে তার মা’কে জিজ্ঞাসা করে- মা এতদিন কেন আমি এ গানগুলো শুনিনি। এ গানগুলোই তো বড় আপু খুঁজছে তার থিসিসের জন্য। আমি এবার আপুর জন্য গানগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যাব। ক. সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস কোনটি? খ. আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোত বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? গ. মিতুর এ গানগুলো না শোনার কারণটি ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘উদ্দীপকের মিতুই যেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র চাওয়া পল্লি জননীর মনোযোগী সন্তান’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
উত্তরঃ
ক. সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস হলো ঘুম পাড়ানি গান ও খোকা-খুকির ছড়া।
খ. আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোত বলতে লেখক বুঝিয়েছেন, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে উঠেছে যে তা মানুষের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং পুরনো জ্ঞানকে উপেক্ষা করে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শহুরে জীবনের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, ফলে পল্লিসাহিত্য, লোকসংস্কৃতি এবং গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। লেখক মনে করেন, আধুনিক শিক্ষার এই প্রবণতা আমাদের ঐতিহ্যকে বিস্মৃতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
গ. ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের আলোকে মিতুর এ গানগুলো না শোনার কারণ হলো, আধুনিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রভাবে গ্রামীণ জীবন এবং পল্লিসাহিত্যের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। মিতু, শহরের মেয়ে হিসেবে, কখনও গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান এবং সাহিত্য সম্পর্কে সচেতন ছিল না, কারণ শহুরে সংস্কৃতি ও আধুনিক শিক্ষার পদ্ধতির দিকে তার মনোযোগ ছিল বেশি। বর্তমানে পল্লিসাহিত্য, যেমন গান, গল্প বা প্রবাদ, বেশিরভাগ মানুষ ভুলে গেছে বা এগুলোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এই ধরনের পুরনো গান, যেগুলি পল্লি অঞ্চলের জীবন ও সংস্কৃতির গভীর পরিচায়ক, মিতু জানত না বা শোনেনি, কারণ শহুরে জীবনশৈলী এবং আধুনিক শিক্ষাই তার জীবনের মূল অঙ্গ ছিল। তবে মেলা এবং বয়াতির গান শোনার পর মিতু বুঝতে পারে যে এই গানগুলি শুধু একটি সংগীতের রূপ নয়, বরং এগুলির মধ্যে প্রচুর ঐতিহ্য এবং গ্রামীণ জীবনশৈলীর ইতিহাস লুকিয়ে আছে।
ঘ. “উদ্দীপকের মিতুই যেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর চাওয়া পল্লি জননীর মনোযোগী সন্তান”—এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, মিতু ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ভাবনাকে অনুসরণ করছে, যেখানে তিনি পল্লিসাহিত্য ও গ্রামীণ জীবনকে গভীরভাবে বুঝতে চেয়েছিলেন। ড. শহীদুল্লাহ পল্লির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ভাষাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন এবং চেয়েছিলেন যে নতুন প্রজন্ম এগুলোর প্রতি মনোযোগ দিক। মিতু, যেহেতু শহুরে মেয়ে, পল্লি সংস্কৃতি থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু মেলা এবং বয়াতির গান শোনার পর তার মধ্যে একটি নতুন আগ্রহ জন্মায়। মিতু নিজের গবেষণার জন্য পল্লিসাহিত্য সংগ্রহ করতে চায়, যা ড. শহীদুল্লাহর চাওয়ার সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ, মিতু যে মনোযোগী এবং সচেতন হয়ে পল্লি সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছে, সেটি ড. শহীদুল্লাহর কাঙ্ক্ষিত পরিণতি। তিনি চেয়েছিলেন, আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি, আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যও সুরক্ষিত ও সম্মানিত হোক। মিতুর কর্মকাণ্ড এই চিন্তার বাস্তবায়ন হিসেবে দেখা যেতে পারে।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। [রাজশাহী বোর্ড ২০২৪] অধ্যাপক ডক্টর মনজুর রশীদের গবেষণার বিষয় ছিল নাট্যসাহিত্য। নাটকের প্রতি তাঁর ভীষণ আগ্রহ: নাটক লেখেন, নাট্যরূপ দেন, আবার মঞ্চায়নেরও ব্যবস্থা করেন। নিজ জেলা কুষ্টিয়ার বিভিন্ন লোককবির পালাগান ও কাহিনি সংগ্রহের কাজে হাত দেন। একবার পদ্মা-গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকার দুইজন লোককবির লোকগাথা সংগ্রহ করে নাট্যরূপ দেন এবং নিজেই পরিচালনা ও নির্দেশনা দিয়ে সেগুলো দেশে-বিদেশে মঞ্চায়নের ও প্রচারের ব্যবস্থা করেন। ক. পল্লিসাহিত্য সম্পদের মধ্যে কোনগুলো অমূল্য রত্নবিশেষ? খ. ‘আজ দুঃখে দৈন্যে প্রাণে সুখ নেই’- লেখকের এই হতাশার কারণ কী? গ. উদ্দীপকের অধ্যাপক ডক্টর মনজুর রশীদের কাজের মাধ্যমে ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের অধ্যাপক ডক্টর মনজুর রশীদ যেন ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কাঙ্ক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দলের সার্থক প্রতিনিধি-বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। [কুমিল্লা বোর্ড ২০২৪] ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থী শিহাব পরীক্ষা শেষে গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে যায়। স্থানীয় হাটে সে দেখে একজন বীণ বাজাচ্ছেন আর অন্য একজন তার সাথে বেহুলা-লখিন্দরের করুণ কাহিনি শোনাচ্ছেন। এগুলো ভালো লাগে তার। কিছুক্ষণ শোনার পর ঘরে ফিরে মায়ের কাছে পুরো কাহিনি জানতে চাইলে মা বলেন, “এগুলো সেকেলে। তোমার এগুলো শেখার দরকার নেই। তুমি বরং পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোযোগী হও।” কিন্তু শিহাব দমে না গিয়ে পরের দিন আবার হাটে যায় এবং সেখানে শিল্পীদের পরিবেশিত ‘মহুয়ার’ পালাটি মোবাইলে ভিডিও করে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়। দুই দিনের মধ্যে ভিডিওটি পাঁচ হাজারের বেশি লাইক ও শেয়ার পায়। বিস্ময়ে অভিভূত হয় শিহাব। ক. ভূয়োদর্শন কী? খ. “পল্লিসাহিত্যে পল্লিজননীর হিন্দু মুসলমান সকল সন্তানেরই সমান অধিকার”- বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকের শিহাবের মায়ের মধ্যে ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. শিহাবের গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমেই ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধ লেখকের প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর ৷ |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। [বরিশাল বোর্ড ২০২৪] তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কী? বসন্ত কালে তোমায় বলতে পারিনি।’ হাট-বাজারে এ রকম গান গেয়ে মানুষের মন আকর্ষণ করত বই বিক্রেতা হকার সেকেন্দার আলি। বই বিক্রির পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলে লোকমুখে প্রচলিত লোক-কাহিনি, মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়গাথা ইত্যাদি সংগ্রহ করে তা ফর্মাকারে ছেপে বিক্রি করত। একসময় তার বেচা-বিক্রি ভালো হলেও ইদানীং তার বই আর তেমন কেউ কেনে না। সেকেন্দারও মনের দুঃখে পেশা পরিবর্তন করেছে। ক. ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার প্রখ্যাত কবি কে? খ. লোকে ছড়া ভুলে যাচ্ছে কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের গানের অংশটি ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের কোন দিককে নির্দেশ করে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের সেকেন্দার আলির কর্মকান্ডগুলো যদি সংরক্ষণ করা যেত তাহলে ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের প্রত্যাশা পূর্ণ হতো।” উত্তরের সপক্ষে তোমার যুক্তি দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। [ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২৪] তপুর বয়স ছয় বছর। সে রাত হলেও ঘুমাতে চায় না। তপুর মা সুরাইয়া বেগম চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শাশুড়িকে বলেন, “মা আপনি তপুকে একটু ঘুম পাড়ান, আমি জি-বাংলার সিরিয়ালটা দেখে আসি।” তপুর দাদি বলেন, “আস দাদুভাই, তোমাকে ডালিম কুমারের গল্প বলি।” কিন্তু তপু বলে, “না, আমি ডরিমন কার্টুন দেখবো।” দাদি ভাবেন- আমাদের অতীত জীবনের গল্পগুলো যদি বাঁচিয়ে রাখা যেত তাহলে কতই না ভালো হতো। তিনি আফসোস করে বলেন, “কী যুগ আইলো রে, জি-বাংলা আর ডরিমন সব খাইলো রে!” ক. ভূয়োদর্শন কী? খ. পল্লিগানগুলোকে অমূল্য রত্নবিশেষ বলা হয়েছে কেন? বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকের তপু ও তার মায়ের মানসিকতায় ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের দাদির চিন্তা-চেতনাই পারে ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধ লেখকের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। [রাজশাহী বোর্ড ২০২০] বাংলা বিষয়ের শিক্ষক শাখাওয়াত স্যারের মুখে বাংলার রূপকথার গৌরবময় ইতিহাস জানতে পেরে মাহমুদ পুলকিত হয়। রূপকথার গল্প শোনার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জন্মে তার ভেতর। দাদির কাছে গিয়ে আবদার করে রূপকথার গল্প শোনার। কিন্তু দাদি হিন্দি সিরিয়াল দেখায় মগ্ন।। দাদি বলে সেগুলো কি আর এখন মনে আছে? তার চেয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখ। এগুলোতে অনেক মজা পারি। দাদির এমন কথায় মাহমুদের মন খুব খারাপ হয়। ক. ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ কে সংগ্রহ করেন? খ. “নচেৎ এ সকল কেবলি ভুয়া, কেবলি ফক্কিকার।”- বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? গ. উদ্দীপকের মাহমুদের মনোভাবে ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের কোন দিকের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের দাদির মতো রূপকথার গল্পগুলোর প্রতি আমাদের অনাগ্রহই পল্লিসাহিত্য হারিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।”-‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। [চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৯] অর্ণব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়ে ‘বিজয় একাত্তর’ হলে থাকে। অর্ণব দেখতে পেল মোবাইল ফোনে সহপাঠীরা হিন্দি, রক, ব্যান্ড-এর গান শুনতে পছন্দ করে। লোকসংগীতের প্রতি এই অনাগ্রহ দেখে অর্ণব মোবাইলে আব্বাস উদ্দিন, লালন, হাসন, পাগলা কানাই-এর গান শোনে। অর্ণবের উদ্যোগের ফলেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধীরে ধীরে লোকসংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ক. প্রবাদবাক্য কী? খ. ছড়া সাহিত্যকে সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের অর্ণবের সহপাঠীরা যে সাহিত্যের অনুরাগী তা ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের অর্ণবের উদ্যোগই ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা।”- বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। [সিলেট বোর্ড ২০১৯] সিয়াম অবসরে হিন্দি ও ইংরেজি গান শোনে। তার বাবা আলমাস সাহেব তাকে জারি সারি ভাটিয়ালি ইত্যাদি বাংলা গান শোনার জন্য উৎসাহিত করেন এবং বলেন এ গানগুলো আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করে। কিন্তু আজ বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের এসব গান হারিয়ে যাচ্ছে। এতকিছু বলার পরও সিয়ামের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। ক. আজকাল বাংলা সাহিত্যের কত আনা শহুরে সাহিত্য? খ. “নচেৎ এ সকল কেবলি ভুয়া, কেবলি ফক্কিকার।” বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? গ. উদ্দীপকের আলমাস সাহেবের মানসিকতা ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের কোন দিক নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের সিয়ামের ধ্যান-ধারণা ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের লেখকের ভাবনার পরিপন্থি।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৯। [দিনাজপুর বোর্ড ২০১৯] ঘাটোর্ধ্ব শমসের গাজি বাড়ি ফেরার পথে দেখেন দুজন যুবক মোবাইল ফোনে মরমি শিল্পী আব্দুল আলীমের গাওয়া ‘পরের জায়গা পরের ভূমি, ঘর বানাইয়া আমি রই’ গানটি মনোযোগ দিয়ে শুনছে। তিনি তাদের কাছে গিয়ে বললেন, ‘এখনকার ছেলেরা তো এ গানগুলো শোনে না, অথচ তোমরা…।’ শমসের গাজির কথা শুনে যুবকরা বলে ওঠে, ‘এ গানগুলোই তো বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণ। এগুলোকে কীভাবে ভলি? যুবকদের কথা মধুর মতো লাগে তাঁর কানে। ক. মনসুর বয়াতি কে? খ. ‘নচেৎ এ সকল কেবলি ভুয়া, কেবলি ফক্কিকার’- লেখক একথা কেন বলেছেন? গ. উদ্দীপকের যুবকদের মাঝে ‘পল্লিসাহিত্য’ রচনার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের শমসের গাজি কি ‘পল্লিসাহিত্য’ রচনার লেখকের চেতনার ধারক? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও |
নিচে উত্তরসহ পল্লী সাহিত্য প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।
পল্লী সাহিত্য প্রবন্ধের সৃজনশীল উত্তর পিডিএফ
আরও পড়ুনঃ বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আরও পড়ুনঃ আম আঁটির ভেঁপু সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর