‘সভ্যতার সংকট’ আবুল ফজলের রচিত প্রবন্ধ। আবুল ফজলের “সভ্যতার সংকট” প্রবন্ধের মূলভাব হলো সভ্যতার সাফল্য চিন্তা ও বিশ্লেষণের ওপর নির্ভরশীল। ফজল আমাদের সতর্ক করেন যে সভ্যতা তখনই টিকে থাকবে, যখন মানুষ চিন্তাশীল এবং বিবেকবান হবে। এই পোস্টে সভ্যতার সংকট প্রবন্ধের মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ৯ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
সভ্যতার সংকট প্রবন্ধের মূলভাব আবুল ফজল
গুহাবাসী আদিম মানুষ অসভ্য জগৎ থেকে ধীরে ধীরে সভ্য জগতে পদার্পণ করেছে। আধুনিক হয়ে উঠেছে। তবে ক্রমশই তাদের মধ্য থেকে চিন্তা করার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। অথচ চিন্তা ও ভাবনা মানুষের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ দিকটিই তাদেরকে অন্যান্য প্রাণী থেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে, সভ্য হতে সাহায্য করেছে। সভ্যতার প্রথম সোপানই হলো চিন্তা। এ পথে যারা হাঁটবে, তারাই সভ্যতার পথে অগ্রসর হতে পারবে। না হলে মানুষকে পেছনে পড়ে থাকতে হবে। আজকাল মানুষ শুধু আনন্দ ও আরাম-আয়েশে জীবন কাটাতে চায়। মানুষ এখন অতিরিক্ত যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে। ফলে তারা চিন্তা করা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। এতেই ঘটছে বিপত্তি। কারণ বর্তমান সভ্যতার সব সংকটের মূলে রয়েছে মানুষের চিন্তাহীনতার সংকট। চিন্তাহীনতা মানুষকে বিবেকহীন করে তোলে। এ ধরনের মানুষ যুক্তি দিয়ে কোনোকিছু বিচার করে না। ফলে অসভ্যতা ও বর্বরতার চরমে পৌঁছাতেও কোনো দ্বিধা করে না। হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো নৃশংস ঘটনা তারাই ঘটাতে পারে। আণবিক বোমা বা অন্যান্য মারণাস্ত্র হাতে পেলেও চিন্তাশীল মানুষ এমন বর্বর হতে পারত না। চিন্তাহীনতা মানুষের মধ্যকার সুন্দর ও কোমল দিকগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই তাদের কাছ থেকে বড়ো ও উচ্চ জীবনদর্শন আশা করা যায় না। এভাবেই সভ্যতা ক্রমশ সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে আত্মরক্ষার জন্য মানব সভ্যতাকে একটা নীতি ও সত্যের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর এটা সম্ভব হবে চিন্তা ও যুক্তিচর্চার মাধ্যমে, বিবেকবোধসম্পন্ন হয়ে ।
সভ্যতার সংকট প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধের লেখকের নাম কী?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধের লেখকের নাম আবুল ফজল।
২। প্রবন্ধের শুরুতে কীসের শিরোনাম দিতে হয়?
উত্তর : প্রবন্ধের শুরুতে মূল বক্তব্যের একটি শিরোনাম দিতে হয়।
৩। প্রবন্ধের শেষ অংশকে কী বলা হয়?
উত্তর : প্রবন্ধের শেষ অংশকে উপসংহার বলা হয়।
৪। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে সভ্যতার প্রথম সোপান কী?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে সভ্যতার প্রথম সোপান হলো চিন্তা।
৫। প্রবন্ধে কোনটির প্রাধান্য বেশি থাকে?
উত্তর : প্রবন্ধে আবেগের চেয়ে যুক্তির প্রাধান্য বেশি থাকে।
৬। প্রবন্ধের মধ্যে কীসের বিবরণ ও বিশ্লেষণ থাকে?
উত্তর : প্রবন্ধের মধ্যে তথ্যের বিবরণ ও বিশ্লেষণ থাকে।
৭। প্রবন্ধের প্রকারভেদসমূহের নাম লেখ।
উত্তর : প্রবন্ধের প্রকারভেদসমূহের নাম হলো— বিবরণমূলক ও বিশ্লেষণমূলক।
৮। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে সভ্যতার সংকট মূলত কীসের সংকট?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে সভ্যতার সংকট মূলত চিন্তাহীনতার সংকট।
৯। আবুল ফজলের মৃত্যু কত সালে?
উত্তর : আবুল ফজলের মৃত্যু ১৯৮৩ সালে।
১০। প্রাবন্ধিক আবুল ফজলের জন্ম কত সালে?
উত্তর : প্রাবন্ধিক আবুল ফজলের জন্ম ১৯০৩ সালে।
১১। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে মানুষ কী করতে পারে?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে মানুষ ভাবতে বা চিন্তা করতে পারে।
১২। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধটি লেখকের কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধটি লেখকের ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ গ্রন্থের অন্তর্গত।
১৩। কোন অংশে প্রবন্ধের মূল আলোচনার ইঙ্গিত থাকে?
উত্তর : ভূমিকা অংশে প্রবন্ধের মূল আলোচনার ইঙ্গিত থাকে।
১৪। প্রবন্ধের উপসংহারে কোন বিষয়টি জরুরি?
উত্তর : প্রবন্ধের উপসংহারে লেখকের নিজের মতামত তুলে ধরা জরুরি।
১৫। প্রবন্ধের মূল আলোচনা কীভাবে থাকে?
উত্তর : মূল আলোচনা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত থাকে।
১৬। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে কে চিন্তা করতে পারে না?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে পশুপাখি চিন্তা করতে পারে না।
১৭। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে কোন জীবন-দর্শন থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে প্রাচীন জীবন-দর্শন থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন।
১৮। বিবেকহীন সভ্যতা মানুষকে কোথায় নিয়ে গেছে?
উত্তর : ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে বিবেকহীন সভ্যতা মানুষকে বর্বরতার চরম সীমায় নিয়ে গেছে।
১৯। প্রবন্ধ কী?
উত্তর : গদ্য-ভাষায় রচিত সুবিন্যস্ত রচনা হলো প্রবন্ধ।
২০। প্রবন্ধের উপসংহারে লেখকের মতামত কীভাবে থাকে?
উত্তর : প্রবন্ধের উপসংহারে লেখকের নিজের মতামত তুলে ধরা জরুরি।
সভ্যতার সংকট প্রবন্ধের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১। সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধটি কার লেখা?
ক) ফজলে হাসান
খ) আবুল ফারুক
গ) আবুল ফজল
ঘ) ফজলে এলাহী
উত্তর: গ) আবুল ফজল
২। আবুল ফজল কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক) ১৯০৩
খ) ১৯৪৭
গ) ১৯৮৩
ঘ) ১৯৭১
উত্তর: ক) ১৯০৩
৩। আবুল ফজল কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক) ১৯০৫
খ) ১৯৮৩
গ) ১৯৮০
ঘ) ১৯৭০
উত্তর: খ) ১৯৮৩
৪। ট্রাজিক অর্থ কী?
ক) ম্যাজিক
খ) বিষাদময়
গ) উল্লাস
ঘ) যন্ত্রণা
উত্তর: খ) বিষাদময়
৫। সোপান অর্থ কী?
ক) সিঁড়ি
খ) দরজা
গ) ট্র্যাক
ঘ) খুটি
উত্তর: ক) সিঁড়ি
৬। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে উল্লিখিত সভ্যতার প্রথম সোপান কী?
ক) ক্ষমতা
খ) অর্থ
গ) চিন্তা
ঘ) সংগ্রাম
উত্তর: গ) চিন্তা
৭। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে উল্লিখিত সভ্যতার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নেই কোনটির?
ক) হৃদয়
খ) মানসিক উৎকর্য
গ) চরিত্র
ঘ) যুদ্ধ
উত্তর: ঘ) যুদ্ধ
৮। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে উল্লিখিত আমরা প্রাচীন কী থেকে বিচ্ছিন্ন?
ক) খেলাধুলা
খ) বিনোদন
গ) জীবনদর্শন
ঘ) রাজনীতি
উত্তর: গ) জীবনদর্শন
৯। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মানুষের অবসর সময়টুকুর অধিকাংশ কোথায় গ্রাস হচ্ছে?
ক) সিনেমায়
খ) রেডিওতে
গ) টেলিভিশনে
ঘ) সবকয়টিই
উত্তর: ঘ) সবকয়টিই
১০। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মানুষের মন এখন কীসের সুরে বাঁধা?
ক) যন্ত্রের
খ) ভালোবাসার
গ) আবেগের
ঘ) চিন্তার
উত্তর: ক) যন্ত্রের
১১। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে উল্লিখিত ‘শীতল যুদ্ধ’ কীসের ফসল?
ক) যান্ত্রিকতার
খ) চিন্তাহীনতার
গ) সভ্যতার
ঘ) আবেগের
উত্তর: খ) চিন্তাহীনতার
১২। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মাথা খাটানোর কষ্ট স্বীকার করতে অনিচ্ছুক কারা?
ক) সভ্য মানুষেরা
খ) যান্ত্রিক সুখ-সুবিধায় অভ্যস্ত মানুষেরা
গ) আবেগি মানুষেরা
ঘ) আদিম মানুষেরা
উত্তর: খ) যান্ত্রিক সুখ-সুবিধায় অভ্যস্ত মানুষেরা
১৩। ‘ত্রিশঙ্কু দশা’ অর্থ কী?
ক) ত্রিমুখী দশা
খ) শংকার দশা
গ) জটিল অবস্থা
ঘ) জরুরি অবস্থা
উত্তর: গ) জটিল অবস্থা
১৪। ‘রেনেসাঁস’ অর্থ কী?
ক) নবজাগরণ
খ) নবযুগ
গ) নবগতি
ঘ) পুরনির্মাণ
উত্তর: ক) নবজাগরণ
১৫। ‘অনির্বচনীয়’ অর্থ কী?
ক) অলীক
খ) বর্ণনাতীত
গ) উল্লেখযোগ্য
ঘ) নবদর্শন
উত্তর: খ) বর্ণনাতীত
Related Posts
- আমাদের লোকশিল্প বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
- স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৯ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় (সব ছকের সমাধান)
- ৯ম শ্রেণির বাংলা ষষ্ঠ অধ্যায় PDF (চূড়ান্ত সিলেবাসের প্রস্তুতি)
- মানুষ কবিতার ব্যাখ্যা লাইন বাই লাইন
- ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির সিলেবাস ২০২৪ PDF সহ সকল বিষয়
- বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি জানিয়ে বাবাকে পত্র বা চিঠি লেখার নিয়ম
- মানুষ মুহাম্মদ সাঃ গল্পের মূলভাব – ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা
- গোলাম মোস্তফার পল্লী মা কবিতার প্রশ্ন উত্তর – ৯ম শ্রেণির বাংলা
- অলিখিত উপাখ্যান গল্পের মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ৯ম শ্রেণির বাংলা
- কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ (সহজ ভাষায় ও ছোট করে)