প্রাচীনকাল থেকেই শিল্প ও সংস্কৃতি প্রতিটি সমাজের মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আজকের পোস্টে শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ শ্রেণির সবগুলো অধ্যায়ের ছকের সমাধান করে দিলাম। শিল্প ও সংস্কৃতি একটি সমাজের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। বিভিন্ন সমাজের সংস্কৃতি ভিন্ন রকমের হতে পারে। আমাদের উচিত ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ শ্রেণি
‘আনন্দধারা’ বিষয়টিতে নিজের অনুভূতি শিল্পকলার যেকোনো একটি শাখায় প্রকাশের পর, আমরা শিক্ষকসহ সহপাঠীদের অনুভূতি ও মতামত জানতে পারি। অন্য সহপাঠীদের পরিবেশনের বিষয়ে সুন্দরভাবে নিজের অনুভূতি ও মতামত জানাতে পারি।
১ম অধ্যায় সমাধান আনন্দধারা
Table of Contents
৪ পৃষ্ঠা
এই অধ্যায়ে আমি যা যা করেছি তা লিখি এবং আমার অনুভুতি বর্ণনা করি–
সহপাঠীদের সাথে আমাদের পছন্দের গাছ গুলোর তালিকা তৈরি করেছি ৷
আমার পছন্দের গাছ নিয়ে আমার ভাবনা প্রকাশ করেছি ৷
আমি একটি গাছ এঁকেছি, তাতে আমি কালো ,সবুজ, হলুদ ইত্যাদি রং ব্যবহার করেছি ৷
আমি কয়েকটি লাল ,সবুজ ও হলুদ রঙের কাগজ কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে একটি গাছের কোলাজচিত্র তৈরি করেছি ৷
পছন্দের গাছের পাতায় বিভিন্ন রং লাগিয়ে তার ছাপ নিয়ে কিছু নকশা করেছি ৷
গাছের শুকনো পাতা ,ডালপালা ,ফুল ,মাটি ইত্যাদি উপাদান দিয়ে মনের মতো আকৃতি বানিয়েছি ৷
পছন্দের গান /কবিতা সহপাঠীদের শুনিয়েছি ৷
পছন্দের গান /কবিতা সহপাঠীদের শুনিয়েছি ৷
বন্ধুখাতায় পছন্দের গাছগুলোর ছবি এঁকে রেখেছি ৷ আমার পছন্দের গান লিখে রেখেছি ৷
আমার অনুভূতি :
এই অধ্যায়ের মাধ্যমে আমার পছন্দের বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে ৷
সহপাঠীদের সাথে আমার পছন্দের বিষয়গুলো আলোচনা করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পেরেছি ৷
নিজের পছন্দের সাথে অন্য সহপাঠীদের পছন্দের মিল-অমিল পেয়ে নতুন বিস্মিত হয়েছি।
আমরা সহপাঠীরা মিলে যার যার পছন্দের গাছ এঁকে তাতে রং করে একে অপরকে দেখিয়েছি।
বন্ধুখাতা তৈরি করতে শ্রেণী শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে তাতে আমার পছন্দের গাছের ছবি এঁকে পারদর্শিতা প্রকাশ করেছি ৷
পছন্দের গান গুলো লিখতে পেরে খুব ভালো লাগছে ।
এই বইয়ের অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে এবং পছন্দের বিষয়গুলো লিখে রাখতে বন্ধুখাতা আমাকে সাহায্য করবে
২য় অধ্যায় শীত প্রকৃতির রূপ
‘শীত-প্রকৃতির রূপ’ বিষয়টিতে নিজের অনুভূতি শিল্পকলার যেকোনো একটি শাখায় প্রকাশের পর আমরা শিক্ষকসহ সহপাঠীদের অনুভূতি ও মতামত জানব। অন্য সহপাঠীদের পরিবেশনের বিষয়ে সুন্দরভাবে নিজের অনুভূতি ও মতামত জানাব।
এই অধ্যায়ে আমি যা যা করেছি তা লিখি এবং আমার অনুভুতি বর্ণনা করি–
এই অধ্যায় আমি যা যা করেছি :
পূর্বের অধ্যায় ‘আনন্দধারা’য় আমার পছন্দের আম গাছের পূর্বের অবস্থার সাথে শীতের সময়ের পার্থক্য জেনেছি ৷
পার্থক্য গুলোর মধ্যে জেনেছি শীতের পূর্বে গাছের পাতা সবুজ থাকে, শীতের সময় পাতার রং বাদামী-খয়েরী রং ধারণ করে ৷ শীতের পূর্বে কোনো পাতা ঝরে না, কিন্তু শীতের সময় শুকনো পাতা ঝরে যায় ৷
বাড়ির পাশে ঝরে পড়া শুকনো পাতার উপর দিয়ে হাঁটার সময় যে ছন্দময় শব্দ তৈরি হয়েছে তা আমার বাবার মোবাইলের মাধ্যমে অডিও রেকর্ড করেছি ৷
আম গাছের শুকনো পাতা, ডালপালা ও রঙবেরঙের কাগজ কেটে আঠা দিয়ে একটি কোলাজ তৈরি করেছি ৷ কোলাজটি গাছের শীতের সময়ের রূপকে তুলে ধরেছে ৷ কোলাজটি বন্ধুখাতায় আঠা দিয়ে লাগিয়ে রেখেছি ৷
বন্ধুখাতায় শীতের সময়ে ঝরে পড়া পাতা, শুকনো ডালপালা দিয়ে গাছ, পাখি , প্রকৃতি ইত্যাদির নকশা তৈরি করেছি ৷
গাছের পাতা ,ফুল ,শিকড়, মাটি ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে বিভিন্ন আকৃতি বানানো হয়েছে ৷ যেমন: পাখি, মাছ ,ঘর ইত্যাদি ৷
শীতের সময় আমাদের দেশে যে বিদেশ থেকে রঙবেরঙের অতিথি পাখি আসে সেগুলো সম্পর্কে জেনেছি ৷
আমি আমার বন্ধুখাতায় শীতের সময়ে গাছের অবস্থা লিখে রেখেছি ৷ যে কোলাজগুলো তৈরি করেছি সেগুলো আঠা দিয়ে লাগিয়ে রেখেছি ৷
আমার পছন্দের কবিতা , গান লিখে রেখেছি ৷
পৃষ্ঠা ৯
আমার অনুভূতি:
আমরা সহপাঠীরা মিলে একসাথে শীতের প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে আনন্দ লাগছে ৷
দলে দলে বিভক্ত হয়ে শীতের সময়ে ঝরে পড়া শুকনো পাতা, ডালপালা ,শিকড় ,রঙিন কাগজ ইত্যাদি দিয়ে কোলাজ বানিয়ে খুব খুশি লাগছে ।
সবাই মিলে শ্রেণী শিক্ষকের সাহায্যে যার যার বন্ধুখাতায় কোলাজগুলো আঠা দিয়ে লাগিয়েছি ৷
শীত সম্পর্কে যার যার পছন্দের গান গেয়েছি , কবিতা আবৃত্তি করেছি, গানের তালে নেচে দেখিয়েছি ৷
এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে শীতের প্রকৃতি সম্পর্কে আমরা ধারণা পেয়েছি ৷
অতিথি পাখি সম্পর্কে জেনে তাদের প্রতি মমতা বেড়ে গেছে।
শীতের অনুভূতি মনে উদ্দীপনার জাগরণ তুলেছে ।
সর্বোপরি এই অধ্যায়ের কাজগুলো আমি মনের আনন্দে করেছি ।
৩য় অধ্যায় পলাশের রঙে রাঙানো ভাষা
পৃষ্ঠা ২০
এই অধ্যায়ে আমি যা যা করেছি তা লিখি এবং আমার অনুভুতি বর্ণনা করি–
এই অধ্যায় আমি যা যা করেছি:
আমরা সহপাঠীরা প্রথমে আমাদের বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার দেখেছি অথবা শ্রেণিকক্ষে ছবি দেখেছি তারপর আমাদের শহরের অন্যান্য শহিদ মিনার ঘুরে দেখেছি ৷
আম গাছটি শীতের সময়ে যেমন দেখেছি , এখন বসন্তে এসে এটির যেসব পরিবর্তন হয়েছে বন্ধু খাতায় তা লিখে রেখেছি ৷
আমরা সহপাঠীরা গোলাপ,গাঁধা,শিউলি, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল জোগাড় করে সেগুলো দিয়ে ফুলের তোড়া তৈরি করেছি ৷
আমরা ফুলের তোড়া তৈরি করার সময় লাল , নীল, হলুদ ও সবুজ রঙের কাগজ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়েছি।
শহীদ দিবসকে উপলক্ষ্য করে পছন্দের গান সহপাঠীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে ৷
সহপাঠীরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে শহিদ দিবসকে উপলক্ষ্য করে কবিতা পরিবেশন করেছি ৷
২১শে ফেব্রুয়ারি সকালবেলা খালি পায়ে প্রতীকী শহিদ মিনারে ফুল দিয়েছি ৷
পছন্দের কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়েছি ৷
আমার অনুভূতি:
এই অধ্যায়ের মাধ্যমে আমি মায়ের ভাষা সম্পর্কে, ভাষা শহিদদের সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
আমরা সহপাঠীরা শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে ভাষা দিবসের গুরুত্ব জেনেছি।
আমাদের শ্রেণী শিক্ষক আমাদেরকে ভাষা শহিদদের পরিচয় জানিয়েছেন এবং শহিদ মিনার কেনো তৈরি করা হয়েছে সে সম্পর্কে বলেছেন ৷
২১শে ফেব্রুয়ারিতে নিজ হাতে ফুলের তোড়া বানিয়ে এবং সহপাঠীরা মিলে গান, কবিতা ও গল্প অভিনয় ইত্যাদি করার মাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে খুব ভালো লেগেছে।
এই অধ্যায়ের সকল কাজ সম্পন্নের মাধ্যমে আমাদের ভাষা শহিদদের সাথে বিশ্বের সকল জাতিসত্তার মানুষের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর সুযোগ পেয়ে বাঙালি হয়ে গর্বিত অনুভব করছি ৷
স্বাধীনতা তুমি
এই অধ্যায়ে আমি যা যা করেছি তা লিখি এবং আমার অনুভুতি বর্ণনা করি–
১১ টি দলে বিভক্ত হয়ে স্বাধীনতা / মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি ৷
আরো তথ্য জানার জন্য আমরা পরিবার বা এলাকায় যারা বয়স্ক আছেন তাদের থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি ৷
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই, পত্রিকা ইত্যাদি সংগ্রহ করে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য কেটে তা আমার বন্ধু খাতায় আঠা দিয়ে লাগিয়ে রেখেছি ৷
প্রতিটি দল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস জানার পর নিজেদের মত করে যুদ্ধের মিলিটারিদের , মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি এঁকেছি ৷
আমরা রঙিন কাগজ ,পত্রিকা ,ছবি কেটে আঠা দিয়ে কাগজে লাগিয়ে পছন্দ মতো কোলাজচিত্র তৈরি করেছি ৷
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত গান/ ছড়া/ কবিতা/ গল্প লিখেছি ৷
মাটি ,কাঠ, রং ইত্যাদি ব্যবহার করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতীকী কাঠামো তৈরি করেছি ৷
আমার অনুভূতি :
জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে শ্রেণী শিক্ষক আমাদের ধারণা দিয়েছেন ৷
জাতীয় স্মৃতিসৌধের যে ৭টি দেয়াল আছে প্রত্যেকটি দেয়াল ৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের ৭টি ধারাবাহিক পর্যায়কে নির্দেশ করে ৷
মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ১১ টি সেক্টরে ভাগ হয়েছে তা বিস্তারিত জেনেছি ৷
মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও লাখো মানুষের ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা বার বার স্মরণ করায় আমাদের সোনালি ও বীরত্বগাঁথা ইতিহাস ৷
সবগুলো কাজ শেষ করে আমি স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি ৷
বন্ধুখাতায় যে সব তথ্য লিখে রেখেছি তা পরবর্তীতে আরো জানতে সাহায্য করবে ৷ সর্বোপরি এই অধ্যায়টি আনন্দের সাথে শিখেছি।