প্রমথ চৌধুরী ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে শুধু বই পড়ার শখ বা অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করেন না, বরং সাহিত্যচর্চা, শিক্ষা পদ্ধতির সংকট, শিক্ষার গভীর মানে, এবং জাতীয় চরিত্র ও চেতনার সংকট—এই বিষয়গুলোকেও তীব্র কৌতুক ও বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণে উপস্থাপন করেছেন। এই পোস্টে বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।
Table of Contents
বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক; অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। ক. ‘ভাঁড়েও ভবানী’ অর্থ কী? খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’, প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে”-মন্তব্যটির বিচার কর। |
উত্তরঃ
ক. ‘ভাঁড়েও ভবানী’ অর্থ রিক্ত বা শূন্য।
খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সেই ক্ষমতা, যা মানুষকে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের উপকারের জন্যও কাজ করতে উৎসাহিত করে। এই শক্তি মানুষকে সৃজনশীল কাজ যেমন সাহিত্য, শিল্প বা ধর্মের পথে টেনে আনে। এটি মানুষের আত্মপ্রকাশের ইচ্ছাকে জাগিয়ে তোলে। অন্তর্নিহিত শক্তি কেবল ভোগের নয়, ত্যাগ ও সৃষ্টির পথে মানুষকে চালিত করে। এ শক্তিই জাতিকে উচ্চতর জীবনের পথে এগিয়ে দেয়। তাই আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধির পিছনে এই অন্তর্নিহিত শক্তি কাজ করে।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি হলো আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসারের পথ, যেখানে মানুষ শুধু নিজের লাভের কথা ভাবে। এটি যুদ্ধ, মামলা-মোকদ্দমা, লোভ, ও কাজের পেছনে অন্ধ ছুটে চলার দিককে বোঝায়। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধেও দেখা যায়, মানুষ যদি কেবল জীবিকার প্রয়োজনে পড়ে, জ্ঞান অর্জনের আনন্দ না পায়, তাহলে পড়াশোনা কেবল কাজের যন্ত্র হয়ে দাঁড়ায়। লেখক বলছেন, কেবল পেশাগত সাফল্যের জন্য পড়া মানে পড়ার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ভুলে যাওয়া। উদ্দীপকের মতোই এখানে বলা হয়েছে, যদি আমরা শুধু সংগ্রহ ও স্বার্থসাধনে মন দিই, তবে আত্মার উন্নতি হবে না। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বইকে আত্মার খাদ্য বলেছেন, যা আত্মপ্রকাশে সাহায্য করে। কিন্তু যারা শুধু পাস বা চাকরি পাওয়ার জন্য পড়ে, তারা প্রথম ধারার অনুসারী। এইভাবে উভয় লেখায় দেখা যায়, স্বার্থসাধনের পথ মানুষকে সংকীর্ণ করে তোলে।
ঘ. উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, অর্থাৎ এমন কিছু কাজ যা আত্মিক উন্নতি ঘটায় এবং জাতিকে উচ্চতর স্তরে নিয়ে যায়। সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম—এইসব আত্মপ্রকাশের মাধ্যম, যা মানুষের মন ও সমাজকে আলোকিত করে। অন্যদিকে, ‘বই পড়া’ প্রবন্ধেও লেখক বই পড়াকে কেবল জীবিকার জন্য নয়, বরং জ্ঞান, আনন্দ ও আত্মার বিকাশের জন্য জরুরি মনে করেন। লেখক বলেন, বই পড়া আমাদের চিন্তাশক্তি বাড়ায়, কল্পনার জগৎ বিস্তৃত করে এবং জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। তাই যারা শুধুই পাস করার জন্য বা চাকরি পাওয়ার জন্য পড়ে, তারা আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থের পথে হাঁটে না। উদ্দীপকে যেমন বলা হয়েছে, শুধু সংগ্রহের জন্য কাজ করলে জাতির উন্নতি সম্ভব নয়—তেমনই লেখকও বলছেন, শুধু প্রয়োজন মেটাতে পড়া মানে জ্ঞানের অপব্যবহার। এই কারণে দুই লেখার উদ্দেশ্য এক হয়ে যায়। দুটিতেই বলা হয়েছে, কেবল নিজস্ব লাভের চিন্তা নয়, বরং সৃষ্টিশীলতা ও আত্মিক উন্নতির জন্য কাজ করাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মন্তব্যটি একেবারে সঠিক। কারণ এটি প্রবন্ধের মূল ভাবনার সঙ্গেই মেলে।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। [ঢাকা বোর্ড ২০২৪] পেশাজীবী দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহিম। মায়ের ইচ্ছা সে একজন সফল প্রকৌশলী হবে। তাই মা সাবরিনা সিলেবাস বহির্ভূত কোনো বই পড়তে দেখলে অত্যন্ত বিরক্ত হন। তবে বাবা সাইফুল সাহেব পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। বাবার এমন অনুপ্রেরণায় মাহিম যেমন সহজেই বুয়েটে চান্স পায় তেমনই শুভ্র চিন্তা-চেতনায়ও সে হয়ে ওঠে সমৃদ্ধ। ক. সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ কী? খ. “বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়”- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. উদ্দীপকের সাইফুল সাহেবের মধ্যে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।’ ঘ. “প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে উদ্দীপকের মাহিমের শুভ্র চিন্তা সমর্থনযোগ্য”- মন্তব্যটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। [রাজশাহী বোর্ড ২০২৪] মিসেস তামিমা মেয়ের প্রাতিষ্ঠানিক বই ছাড়া অন্য কোনো বই পড়া সময় আর অর্থের অপচয় মনে করেন। মেয়ের হাতে কোনো গল্প-উপন্যাস দেখলেই ঘোর আপত্তি তার। তিনি মনে করেন- ভালো প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল, এরপর ভালো চাকরি- এই তো জীবন। কিন্তু স্বামী হাবীব রহমান স্ত্রীর এই ধারণার ঘোর বিরোধী- আর তাই তো মেয়ের জন্য অপ্রাতিষ্ঠানিক বই বিশেষ করে জীবনী, গল্প-উপন্যাস- এইসব কিনে দেওয়াতে কখনো আপত্তি করেন না। তিনি বলেন- মনের বিকাশের জন্য, আলোকিত হওয়ার জন্য সাহিত্যচর্চার বিকল্প নেই। ক. কোনটি শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ? খ. ‘দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়, আত্মার হয়’না।’- কেন বলা হয়েছে? গ. উদ্দীপকের মিসেস তামিমার মধ্যে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের হাবীব রহমানের কথায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূল চেতনারই যথার্থ প্রতিফলন ঘটেছে। মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। [চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৪] কালাম পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই পড়তে ভালোবাসে। অবসর সময়ে সে নানা রকম বই পড়ে। সে মনে করে অন্যান্য বই পড়লে * তার জ্ঞানের রাজ্য অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে। সে বই পড়ার আগ্রহ থেকে ময়ে সে নানা রকম বই পাড়ের দেশ হেকতার মা কখনো তাকে বাধা না দিলেও বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি ভালো চোখে দেখে না। তাঁরা মনে করে ভালো ফলাফল করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে শুধু পাঠ্যবই পড়াই বাঞ্ছনীয়। ক. প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী? খ. সাহিত্যচর্চার জন্য লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে কালামের বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়দের মানসিকতায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে ভাব ফুটে উঠেছে- তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের কালাম যেন ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মানসপুত্র।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। [সিলেট বোর্ড ২০২৪] দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী যোবায়েরের প্রবল ঝোঁক বই পড়ার প্রতি। পাঠ্যবইয়ের বাইরে কবিতা, উপন্যাস, সাইন্স ফিকশন, গোয়েন্দা কাহিনি ইত্যাদি বিষয়ে তার বিস্তর আগ্রহ। তার বাবাও তাকে বই পড়তে ও বই কিনতে উৎসাহিত করেন। পড়ার আগ্রহ দেখে বাবা তাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভর্তি করিয়ে দেন। একদিন সে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরির সদস্য হয়। ক. শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ কী? খ. মনের হাসপাতাল বলতে কী বোঝায়? গ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর ৷ ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের অংশবিশেষ বর্ণনা মাত্র।” উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। [দিনাজপুর বোর্ড ২০২৪] বিয়ের দশ বছর পর রেবেকার একটি পুত্রসন্তান হয়। অনেক সাধনার পুত্রকে বড় করতে গিয়ে তিনি দুধ, ডিম, কলা, মিষ্টি একটার একটা জোর করে খাওয়াতে থাকেন। কিন্তু পুত্রের বয়স পাঁচ বছর হলেও সে হাঁটতে পারে না। অস্বাভাবিক মোটা হওয়ায় তাকে ডাক্তাে কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, “বয়স ও রুচি অনুযায়ী যা খেতে চায় এবং যতটুকু খেতে পারে তাই খাওয়াবেন। অতিরিক্ত খাও কারণে বয়সের তুলনায় মোটা বলে হাঁটা-শিখতে দেরি হচ্ছে।” ক. শিক্ষক কীসের সন্ধান দিতে পারেন? খ. পেশাদারদের মহাভ্রান্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. উদ্দীপকের রেবেকার মানসিকতায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের ডাক্তারের বক্তব্যের মধ্যেই প্রমথ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি ঘটেছে”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। [ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২৪] পেশা তার দর্জিগিরি কিন্তু নেশা তার বই পড়া। বাল্যকালে পিতা মারা যাওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির পর আর পড়তে পারেনি কাশেম মিয়া। তবে বই পড়ার নেশা থেকেই বাড়ির পাশে প্রায় দুই হাজার বই নিয়ে গড়ে তুলেছে ‘স্বপ্ন গড়ি লাইব্রেরি’। গ্রামের ছোট-বড় সবাই দেখানে জ্ঞানচর্চা করে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পড়ে। কিন্তু ব্যবসায়ী মামুন মোল্যা তার সন্তানকে ঐ লাইব্রেরিতে যেতে। নিষেধ করে বলেন, “তোমার এত জ্ঞান অর্জনের দরকার নেই, বাসায় প্রাইভেট শিক্ষক রেখেছি। তাঁর কাছে পড়ে (এ+) অর্জন করো। ক. পেশাদারদের মহাভ্রান্তি কী? খ. সাহিত্যচর্চার সুফল সম্বন্ধে অনেকেই সন্দিহান কেন? গ. উদ্দীপকের মামুন মোল্যার মনোভাব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটি নির্দেশ করে তা ব্যাখ্যা কর ৷ ঘ. “কাশেম মিয়ার উদ্যোগের মধ্যেই প্রমথ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষার যথার্থ প্রতিফলন ঘটেছে”- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা যাচাই কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। [চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২২] তিতলী দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে লেখাপড়ায় খুব ভালো। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সে অন্যান্য বইও পড়ে। সপ্তাহে একদিন হলেও পাবলিক লাইব্রেরিতে তার যাওয়া চা-ই চাই। তার দরিদ্র মা এ নিযে খুবয়র পাশাপাশি সে অন্যান্য বইও পড়ে স্কুলের বই বাদে অন্য বই পড়লে তিতলী পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে না। ফলাফল ভালো করতে না পারলে ভবিষ্যতে ভালের একটা চাকরিও সে পাবে না। ফলে ঘুচবে না তাদের দরিদ্রতা। ক. শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ কোনটি? খ. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের উপর স্থান দিয়েছেন কেন? বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকের তিতলীর মায়ের ধারণা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিককে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. তিতলীর মতো শিক্ষার্থীরাই প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৯। [ঢাকা বোর্ড ২০২০] পারুল তার মায়ের কাছে বায়না ধরেছে- এবার ঘটা করে যেন ওর জন্মদিনটা পালন না করা হয়। বরং সেই টাকা দিয়ে বইমেলা থেকে একে বেশ কিছু বই কিনে দেয়া হোক। কারণ সে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বইগুলোর মধ্যেই তার নতুন জগৎ ও জীবন খুঁজে পায়। এ কথা শুনে ওর ভাই পলাশ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। সে বলে- আরে বোকা, পাঠ্যবই মুখস্থ কর, কাজে দেবে। পরীক্ষায় ভালো ফল করতে। পারবি আর জন্মদিনেও আমার মতো অনেক ধরনের গিফ্ট পাবি। ক. যথার্থ গুরুর কাজ কী? খ. “মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না”- বুঝিয়ে লেখ। গ. পলাশের মানসিকতা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে প্রতিফলিত করে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের পারুলই যেন ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের শিক্ষিত মানুষ- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। |
নিচে উত্তরসহ বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।
বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ
আরও পড়ুনঃ পল্লী সাহিত্য সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণি