কপোতাক্ষ নদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

“কপোতাক্ষ নদ” কবিতায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার শৈশবের প্রিয় নদী কপোতাক্ষকে কেন্দ্র করে এক গভীর স্মৃতিমেদুরতা ও দেশপ্রেম প্রকাশ করেছেন। বিদেশে থেকেও তিনি কপোতাক্ষ নদকে ভুলতে পারেননি। নদীর কলকল ধ্বনি তার কল্পনায় বারবার ফিরে আসে এবং তাকে শান্তি দেয়। এই পোস্টে কপোতাক্ষ নদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।

Image with Link Descriptive Text

কপোতাক্ষ নদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১। মধুসূদন দত্ত কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

২। মধুসূদন দত্ত কোথায় পড়াশোনা শুরু করেন?
উত্তর: মধুসূদন দত্ত স্কুলজীবনের শেষে কলকাতার হিন্দু কলেজে ভর্তি হন।

৩। মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন কোন বছরে?
উত্তর: মধুসূদন দত্ত ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন।

৪। মধুসূদন দত্তের নতুন নাম কী হয়েছিল?
উত্তর: মধুসূদন দত্তের নামের প্রথমে ‘মাইকেল’ যোগ হয়েছিল।

৫। মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কী?
উত্তর: মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি হলো ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’।

৬। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

৭। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি কোথা থেকে গৃহীত হয়েছে?
উত্তর: চতুর্দশপদী কবিতাবলী।

৮। কবি কোথায় বসে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি লিখেছেন?
উত্তর: ফ্রান্সে বসে কবিতাটি লিখেছেন।

৯। “সতত” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সর্বদা।

১০। কবি কোন নদীর কথা স্মরণ করেছেন?
উত্তর: কপোতাক্ষ নদ।

১১। কবি কীসের কলকল ধ্বনি শুনতে পান?
উত্তর: কপোতাক্ষ নদের স্রোতের।

১২। ‘বিরলে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নিরিবিলি পরিবেশে।

১৩। ‘ভ্রান্তির ছলনে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কল্পনার মাধ্যমে স্মৃতির পুনরুজ্জীবন।

১৪। “দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি” – এখানে নদীকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: মায়ের স্তনের সঙ্গে।

১৫। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি কি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: তিনি আর কখনো কপোতাক্ষ নদ দেখতে পারবেন কি না।

১৬। “প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে” – এখানে নদী কীসের প্রতীক?
উত্তর: কর প্রদানকারী প্রজার।

১৭। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবি কবি কত নদী দেখেছেন?
উত্তর: বহু নদী।

১৮। কবির মতে, কোন নদী তাঁর স্নেহের তৃষ্ণা মেটাতে পারে?
উত্তর: কপোতাক্ষ নদ।

১৯। কবি কপোতাক্ষ নদকে কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর: মায়ার বন্ধনে বাঁধা এক অনন্য নদী হিসেবে।

২০। কবি তাঁর স্মৃতিকে কীভাবে প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: শৈশবের স্মৃতির কাতরতায়।

২১। কবি কপোতাক্ষ নদকে কীসের অংশ মনে করেন?
উত্তর: মাতৃভূমির অংশ।

২২। কবি কপোতাক্ষ নদের কাছে কী মিনতি করেছেন?
উত্তর: নদী যেন তাঁকে সস্নেহে স্মরণ করে।

২৩। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা কোন শৈলীতে রচিত?
উত্তর: চতুর্দশপদী কবিতার শৈলীতে।

২৪। “তোমার কথা ভাবি” – কবি এই কথাটি কখন বলেন?
উত্তর: নির্জন মুহূর্তে।

২৫। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: কবির দেশপ্রেম এবং মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।

২৬। কবি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে।

২৭। কবি কপোতাক্ষ নদকে কী নামে উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: মাতৃভূমি-স্তনের দুধের ধারা।

২৮। “নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে” – এখানে “নাম” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কপোতাক্ষ নদের নাম।

২৯। কবিতার কোন ধ্বনি কবিকে তার শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায়?
উত্তর: নদের কলকল ধ্বনি।

৩০। “চতুর্দশপদী কবিতা” কী ধরনের কবিতা?
উত্তর: এটি ১৪ চরণের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ ধাঁচের কবিতা।

৩১। “সাগরেরে দিতে” – এখানে সাগরের কাছে কী প্রদান করা হচ্ছে?
উত্তর: বারি-রূপ কর।

৩২। কবি কোন সময় কপোতাক্ষ নদকে বেশি স্মরণ করেন?
উত্তর: নিরিবিলি ও একাকী সময়ে।

৩৩। “মায়া-মন্ত্রধ্বনি” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: নদীর স্রোতের মধুর ও মায়াময় ধ্বনি।

৩৪। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার চরণ কয়টি?
উত্তর: চৌদ্দটি চরণ।

৩৫। কবিতায় নদীকে কোন ধরনের সম্পর্কের রূপ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: প্রজারূপে সাগরের প্রতি কর্তব্যশীল সম্পর্ক।

৩৬। ‘বারি-রূপকর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘বারি-রূপকর’ এর মাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, যেমন প্রজা রাজাকে কর বা রাজস্ব দেয়, তেমনি কপোতাক্ষ নদও সাগরকে জলরূপ কর বা রাজস্ব দিচ্ছে।

৩৭। ‘নিশা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘নিশা’ শব্দের অর্থ হল রাত্রি বা রাতের সময়।

৩৮। ‘ভ্রান্তি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘ভ্রান্তি’ শব্দের অর্থ হল ভুল বা বিভ্রান্তি।

৩৯। চতুর্দশপদী কবিতা কী?
উত্তর: চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেট হল একটি চৌদ্দ-চরণের কবিতা, যা ভাবের সুনির্দিষ্ট সংহতিতে লেখা হয়।

৪০। চতুর্দশপদী কবিতার প্রথম আট চরণ কী নামে পরিচিত?
উত্তর: চতুর্দশপদী কবিতার প্রথম আট চরণ ‘অষ্টক’ (Octave) নামে পরিচিত।

৪১। চতুর্দশপদী কবিতার পরবর্তী ছয় চরণ কী নামে পরিচিত?
উত্তর: চতুর্দশপদী কবিতার পরবর্তী ছয় চরণ ‘ষষ্টক’ (Sestet) নামে পরিচিত।

৪২। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মিলবিন্যাস কী?
উত্তর: ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মিলবিন্যাস হল কখকখ কখখক গঘগ ঘগঘ।

Related Posts