জহির রায়হানের ‘একুশের গল্প’ তপু নামের চরিত্রটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যাকে দীর্ঘ চার বছর পরে সবাই আবার দেখতে পাচ্ছে, অথচ সেই দেখা স্বস্তির নয়—বরং এক ধরনের আতঙ্ক। এই পোস্টে একুশের গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
একুশের গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ। করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করা স্বাধীনচেতা, দুরন্ত, টগবগে এক তরুণ। ১৯৭১ সালে যোগ দিলেন ক্রাক প্লাটুনে। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযানে সফলতা দেখালেন। কিন্তু ৩০ আগস্ট ধরা পড়লেন পাকবাহিনীর হাতে। সহযোদ্ধাদের তথ্য নেওয়ার জন্য তার উপরে চালানো হলো অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতন। কিন্তু মুখ খুললেন না আজাদ, সব কিছু সহ্য করলেন দাঁতে দাঁত কামড়ে। তার মা সাফিয়া বেগম রমনা থানায় তার সাথে দেখা করতে এলে ভাত খেতে চেয়েছিলেন আজাদ। কিন্তু পরের দিন সাফিয়া বেগম ভাত নিয়ে গেলে ছেলেকে আর খুঁজে পাননি। ছেলেকে ভাত খাওয়াতে না পারার কষ্টে আজাদের মা সারা জীবন আর ভাত খাননি। ক. গল্পকথকের সাথে তপুর শেষ দেখা হয়েছিল কোথায়? খ. তপু ফিরে আসায় সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল কেন? গ. উদ্দীপকের আজাদের সাথে ‘একুশের গল্প’ রচনার কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ঘ. যুগে যুগে আজাদ, তপু, রাহাত, গল্পকথক- এঁরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে যায় কেন? উদ্দীপক ও ‘একুশের গল্প’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। |
উত্তরঃ
ক. গল্পকথকের সাথে তপুর শেষ দেখা হয়েছিল হাইকোর্টের মোড়ে।
খ. তপু ফিরে আসায় সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কারণ তারা জানতো, সে যে মিছিলে গিয়েছিল, সেখানে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তারা ভাবছিল, তপু হয়তো আহত হয়েছে বা ধরা পড়েছে। হঠাৎ করে তার ফিরে আসা তাদের অবাক ও চিন্তিত করে তোলে। তপুর চোখ মুখ ছিল অস্বাভাবিক, সে কারো সাথে বেশি কথা বলছিল না। মনে হচ্ছিল, সে কিছু একটা লুকোচ্ছে। এই পরিবর্তন দেখে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে।
গ. উদ্দীপকের আজাদের সাথে ‘একুশের গল্প’ রচনার তপু চরিত্রটির সাদৃশ্য রয়েছে। কারণ, তারা দুজনেই তরুণ, সাহসী এবং দেশের জন্য প্রাণ দিতে দ্বিধা করেনি। আজাদ যেমন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েও কারো নাম বলেনি, তেমনি তপুও ভাষা আন্দোলনের মিছিলে অংশ নিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। আজাদ শারীরিক অত্যাচার সহ্য করেও মুখ খোলেনি, আর তপুও নিজের জীবনের চিন্তা না করে মিছিলে গিয়েছিল। তারা দুজনেই দেশের মঙ্গলের জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করেছিল। আজাদের মা যেমন ছেলেকে শেষবার খাবার খাওয়াতে পারেননি, তেমনি তপুর স্ত্রী রেণুও স্বামীর শেষ বিদায় দেখতে পায়নি। এদের আত্মত্যাগ পরিবারকে শোকগ্রস্ত করলেও জাতিকে গর্বিত করেছে। আজাদ এবং তপু উভয়েই নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক। তাদের জীবনের শেষ অধ্যায় ছিল বেদনাদায়ক, কিন্তু তা ছিল গৌরবময়। তাই আজাদ ও তপু দুজনেই একই বীরের কাতারে স্থান পায়।
ঘ. যুগে যুগে আজাদ, তপু, রাহাত, গল্পকথক—এঁরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে যায় কারণ এঁদের সবার মাঝেই রয়েছে দেশপ্রেম, সাহস এবং আত্মত্যাগের স্পষ্ট চিহ্ন। আজাদ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তপু ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহীদ হয়েছেন মাতৃভাষার জন্য। রাহাত এবং গল্পকথক সরাসরি শহীদ না হলেও তাদের মনেও ছিল ভাষা এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা। তারা তপুর মতো বন্ধু হারিয়ে বেদনাবিধুর হলেও তার স্মৃতি বয়ে বেড়িয়েছে গর্বের সাথে। আজাদের মা যেমন ছেলেকে শেষবার খাবার দিতে পারেননি, তেমনি তপুর মা-ও ছেলেকে ফিরে পাননি। এসব চরিত্র শুধু গল্পের না, বরং তারা আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। সময় ভিন্ন হলেও তাদের আত্মত্যাগের উদ্দেশ্য ছিল এক—স্বাধীনতা ও ভাষার অধিকার রক্ষা করা। তাদের ত্যাগ আমাদের শিখিয়েছে দেশের জন্য কিভাবে নিঃস্বার্থ হতে হয়। এদের জীবন-সংগ্রাম আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে। তাই তারা সবাই এক মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা বীর, যাদের ত্যাগ কখনো ভুলে যাওয়া যায় না।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। ক্যামেরার চোখই আকৃতি দেয় ছবির। ওই চোখে আঁকা ছবি সময়, সমাজ ও সভ্যতার অবয়ব তুলে ধরে অনাগত দিনের জন্য। সময়ের পটে আঁকা অপরিহার্য বাস্তবতার এমন সব ছবি কখনো কখনো ক্যামেরার চোখ এঁকে দেয়, যার আবেদন হয় অসীম অথবা অপরাজেয়। এমনই এক ছবি আঁকা হয়েছিল বৈষম্যবরিাধী ছাত্র আন্দোলনে অসীম সাহসে বুক চিতিয়ে দেওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের, যাঁর বুকের পাঁজর ভেদ করে বেরিয়ে গিয়েছিল হন্তারক বুলেট। ওই নির্মম নিষ্ঠুর বুলেটে আবু সাঈদের বুক বিদীর্ণ নিষ্প্রাণ, নিথর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সত্যি, তবে কাব্যময় ক্যামেরার চোখ ঠিকই লিখে রাখে এক অপরাজেয় ইতিহাস। ক. গল্পকথককে কে হাত ধরে টান দিল মিছিলে যাওয়ার জন্য? খ. “তুমিও চলো না আমাদের সাথে।” কে কাকে কোথায় যেতে বলেছিল? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকটি ‘একুশের গল্প’-এর কোন দিকটির সঙ্গ সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘একুশের গল্প’ ছোটগল্পের তপুর জীবনদান এবং উদ্দীপকের আবু সাঈদের জীবনদান একই চেতনায় উৎসারিত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। লাবাডং-এর তথ্যমন্ত্রী রাজাকে জানালেন যে, খ্রিষ্টীয় ২০০০ সালে মাটির পৃথিবীতে ‘বিশ্বমাতৃভাষা দিবস’ পালিত হবে। এটি সেই মাতৃভাষা যে মাতৃভাষার জন্য মানুষ অকাতরে বুকের রক্ত দিয়েছে। রাজা তথ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন, অবিলম্বে আমাকে বিস্তারিত জানান। মন্ত্রী। রাজাকে জানালেন, ১৯৫২ সালে মাটির পৃথিবীর পূর্ব বাংলা নামক একটি সবুজ-শ্যামল দেশের সচেতন ছাত্রসমাজ, তাদের মুখের ভাষা। বাংলাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেবার দাবিতে সংগ্রাম শুরু করলে, তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সংগ্রামী ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাঁদেরকে হত্যা করে। সেদিন ছিল ২১শে ফেব্রুয়ারি। তারই স্মরণে পৃথিবীর সকল দেশ একযোগে ‘বিশ্বমাতৃভাষা দিবস’ পালনের সিদ্ধিান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে পৃথিবীর জাতিসংঘে। ক. অন্ধকারে হঠাৎ কার দিকে চোখ পড়লে গা হাত পা শিউরে ওঠে? খ. “ও এলে আমরা চাঁদা তুলে চা আর মিষ্টি এনে খেতাম।”- ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকটি ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পে কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকে ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।” মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। ‘বাবা, আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। লোকটাকে জাদুকর ভেবেছিলাম।’ বাবলুর কথায় বাবা মৃদু হেসে বললেন, না, উনি একজন ভালো মানুষ। একজন ভাষাশহীদের বাবা। এই বাড়িতে একাই থাকেন। একটাই ছেলে ছিল তাঁর। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনে ছেলেটি শহীদ হয়েছে। উনার নাম আবু সাবের। সারা বছর উনি বাগান পরিচর্যা করেন। ফুল ভালোবাসেন। অপেক্ষা করেন একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য। এদিন তার হাতে সাজানো বাগানের সব ফুল শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। বাবলু বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে তাঁর কথা শুনতে থাকে। ক. তপুর স্ত্রীর নাম কী? খ. “সমুদ্রগভীর জনতা ধীরে ধীরে চলতে হতে শুরু করেছে।”- ব্যাখ্যা কর গ. উদ্দীপকের আবু সাবের ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের কোন চরিত্রটির বিপরীত? নির্ণয় কর। ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব কি ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে প্রতিফলিত করে? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। আমি কোন শহিদের স্মরণে লিখব? বায়ান্ন, বাষট্টি, উনসত্তর, একাত্তর; বাংলার লক্ষ লক্ষ আসাদ মতিউর আজ বুকের শোণিতে উর্বর করেছে এই প্রগাঢ় শ্যামল। ক. তপুকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে কে আর্তনাদ করে ওঠে? খ. “তপু না মরে আমি মরলেই ভালো হতো।”- এ কথা কে, কেন বলেছিল? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের সংগ্রামী চেতনা এবং ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের সংগ্রামী চেতনা কি একসূত্রে গাঁথা? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। আয়ুর প্রথম হৃদয় মন্বিত শব্দ, মনুষ্যত্বের প্রথম দীক্ষা যে উচ্চারণে তারই সম্মানের জন্য তাঁরা যূথবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বুদ্ধ আর মোহাম্মদের দৃষ্টির মতো দীপ্ত ফল্গুর মুখদেশের মতো উন্মথিত-আবেগ, আকাশের যে সাতটি তারা সমস্ত নীলিমার ভেতর চিহ্নিত হয়ে আছে তাদেরই মতো অনন্য; আর জীবনের শত্রু শয়তানেরা সেই পবিত্র দেহগুলো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে, আর তাঁদের আত্মা এখন আমরা হৃদয়ে হৃদয়ে পোষণ করি। ক. তপু মারা যাওয়ার পর তার মালপত্র নিতে কে এসেছিল? খ. রেণু তপুকে মিছিলে যেতে বাধা দিয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের মিলের দিকটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. “জাতীয় ইতিহাসে বীরদের কোনো মৃত্যু নেই; বারবার তাঁরা ফিরে আসে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে।” মন্তব্যটি উদ্দীপকের শেষ লাইন ও ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। পুঞ্জীভূত রাগ ও ক্ষোভে আমি অন্ধ। নিজের অসহায়তায় নিজেই লজ্জিত। মা আমার মুখের পানে চেয়ে বুঝতে পারছেন আমার ব্যথা। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না। বাবা হঠাৎ বাড়ি ঢুকে পড়লেন। তাকে খুবই উত্তেজিত মনে হল এবং অসময়ে অফিস থেকে। বাসায় চলে আসার জন্য মাও আমার মতো অবাক হলেন। তিনি কোনো কথা না বলে নামাজ পড়তে বসলেন। আমার অন্তরাত্মা কাঁদছে, কাঁপছে। আমি কি এমন অসহায়। এত শিশু! আমি কি যেতে পারব না দশজনের সঙ্গে? আমি কি গলা ছেড়ে বলতে পারব না রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই! আমি কি যাব না মিছিলে? মৃত্যু-হত্যা-অশ্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলব না ভাষা আমার মা! ক. তপুর জন্য গড়াগড়ি দিয়ে কে কান্না করেছিলেন? খ. তপু তার হোস্টেলের কামরায় কীভাবে আবিষ্কৃত হলো? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের কোন চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের চেতনা এবং ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের চেতনা একসূত্রে গাঁথা। মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। যাদের বুকের রক্তে মাতৃভাষা পেয়েছে সম্মান, সঙ্গিনের মুখে যারা দাঁড়িয়েছে নিষ্কম্প, অম্লান,, মানে নাই কোনো বাধা, মৃত্যুভয় মানে নাই যারা তাদের স্মরণচিহ্ন এ মিনার- কালের পাহারা! এখানে দাঁড়াও এসে মনে করো তাদের সে-দান যাদের বুকের রক্তে মাতৃভাষা পেয়েছে সম্মান। ক. গল্পকথক কাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেন? খ. “আমরা এতটুকুও নড়লাম না, বাধা দিতে পারলাম না।”- ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকটি ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের সঙ্গে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের কতটুকু ধারণ করে? তোমার উত্তরের পক্ষে মতামত দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৯। সকালে কিছুতেই উঠতে চায় না রূপন। ছ’টা বাজার পরই আম্মা বিছানার ওপর পাশে গিয়ে বসেন। গায়ে হাত দিয়ে আদর করে ডাকেন, ওঠো সোনা, ছ’টা বাজে, স্কুলে যেতে হবে না? এখন না উঠলে দেরি হয়ে যাবে। রূপন চোখ খুলে আবার বন্ধ করে। তার মানে, আর। একটু ঘুমুতে চায় সে। আম্মা একটু অপেক্ষা করে আবার ডাকতে থাকেন, ওঠো না, দেরি হয়ে যাবে যে! সাড়ে সাতটায় তোমার স্কুল, তা মনে আছে? ক. গল্পকথক শেষবারের মতো তপুকে কোথায় দেখেছিলেন? খ. “আমি হলপ করে বলতে পারি, ওর মা-ও চিনতে পারবে না ওকে।” কথক কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকটি ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। গ. ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও ‘একুশের গল্প’ নামক ছোটগল্পের মূলভাব উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি।” মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। |
নিচে উত্তরসহ একুশের গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।
একুশের গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ
আরও পড়ুনঃ মমতাদি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণি