আল মাহমুদের লেখা‘বোশেখ’ কবিতাটিতে প্রকৃতির এক ভয়াল রূপ কালবোশেখি ঝড় কে সামনে রেখে ন্যায়-অন্যায়, সামাজিক বৈষম্য এবং প্রকৃতির নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছেন। এই পোস্টে বোশেখ কবিতার মূলভাব ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর লিখে দিলাম।
Table of Contents
বোশেখ কবিতার মূলভাব
আল মাহমুদের ‘বোশেখ’ কবিতাটি বৈশাখ মাসের ভয়ংকর ঝড়, কালবোশেখিকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। কবি এই ঝড়কে একটি জীবন্ত শক্তি বা দেবতার মতো কল্পনা করে তার সঙ্গে কথা বলেন। ঝড়ের ভয়াল রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এই বাতাস বুনোহাঁসের ঝাঁক ছিন্ন করে, জেট বিমানের পাখা ভেঙে দেয়, নদীর পানি আকাশে তুলে ফেলে আর টেলিগ্রাফের খুঁটি পর্যন্ত উল্টে দেয়। কবি বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেন, এই শক্তিধর ঝড় কেন শুধু গরিব মানুষের ক্ষতি করে? মাঝির নৌকার পাল ছিঁড়ে যায়, চাষির ভিটে উড়ে যায়, টুনটুনির বাসা পর্যন্ত টেকে না, অথচ বড়লোকের প্রাসাদের কিছু হয় না। কবির কণ্ঠে যেন গরিব মানুষের বেদনা ধ্বনিত হয়। তিনি ঝড়কে প্রশ্ন করেন, তুমি কি হনুমানের পিতা বায়ু? তুমি কি সেই দয়ালু মেঘের বন্ধু, যার কথা কালিদাস লিখেছিলেন? যদি তাই হও, তাহলে এত নিষ্ঠুর কেন? কবি আরো বলেন, রাজা সোলেমানের বাহন হওয়া সত্ত্বেও তুমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারো না কেন? ধ্বংস যদি করতেই চাও, তাহলে পরগাছাদের দালান ভেঙে দাও। যারা গরিবের ঘাম দিয়ে প্রাসাদ বানায়। কবি প্রকৃতির কাছে ন্যায়ের আহ্বান জানান। এই কবিতায় বৈশাখের ঝড় যেন হয়ে ওঠে সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রতীক। কবির কণ্ঠে উঠে আসে গরিব মানুষের কথা, যাদের প্রতি প্রকৃতিরও যেন মায়া নেই।
বোশেখ কবিতার ব্যাখ্যা সহজ ভাষায়
“যে বাতাসে বুনোহাঁসের ঝাঁক ভেঙে যায়
জেটের পাখা দুমড়ে শেষে আছাড় মারে
নদীর পানি শূন্যে তুলে দেয় ছড়িয়ে
নুইয়ে দেয় টেলিগ্রাফের থামগুলোকে।”
কবি এখানে বৈশাখ মাসের ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী ঝড়ের শক্তি ও তাণ্ডবের চিত্র তুলে ধরেছেন। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া বুনোহাঁস পর্যন্ত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কেবল পাখি নয়, আধুনিক প্রযুক্তির অহংকারও তার কাছে টেকে না। মানুষের উদ্ভাবিত দ্রুতগতির জেট বিমান, যার পাখা আকাশে বজ্রের মতো ছুটে চলে, সেই জেটও ঝড়ের তীব্র ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং মাটিতে আছড়ে পড়ে। নদীর বিশাল জলরাশিও এ ঝড়ে স্থির থাকতে পারে না। প্রবল ঝাপটার টানে পানির ঢেউ আকাশের দিকে উঠে গিয়ে চারদিকে ছিটকে পড়ে। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ-সংযোগ আর যোগাযোগের প্রতীক টেলিগ্রাফের উঁচু খুঁটিও এই ঝড়ে টিকতে পারে না। প্রবল দমকে সেগুলো নুয়ে পড়ে বা ভেঙে যায়।
“সেই পবনের কাছে আমার এই মিনতি
তিষ্ঠ হাওয়া, তিষ্ঠ মহাপ্রতাপশালী,
গরিব মাঝির পালের দড়ি ছিঁড়ে কী লাভ?
কী সুখ বলো গুঁড়িয়ে দিয়ে চাষির ভিটে
বেগুন পাতার বাসা ছিঁড়ে টুনটুনিদের
উল্টে ফেলে দুঃখী মায়ের ভাতের হাঁড়ি।
এই অংশে কবি বৈশাখী ঝড়ের কাছে একধরনের মিনতি জানিয়েছেন। তিনি প্রাকৃতিক শক্তির কাছে অনুরোধ করেছেন, “হে হাওয়া, হে প্রবল শক্তিধর তুফান, একটু থামো, একটু স্থির হও।” গরিব মাঝি তার ছোট্ট নৌকাকে চালাতে যে পাল ব্যবহার করে, সেই পালের দড়ি ছিঁড়ে দিয়ে ঝড়ের কোনো অর্জন নেই। এতে মাঝি তার জীবিকা হারায়, তার অসহায় পরিবার অভুক্ত হয়। কৃষকের যে ভিটেমাটি বহু কষ্টে গড়ে ওঠে, সেটি গুঁড়িয়ে দিয়ে ঝড়ের আনন্দ আসলে কী? এক দরিদ্র পরিবারকে সর্বস্বান্ত করার মধ্যে শক্তির কোনো মাহাত্ম্য নেই। ছোট্ট টুনটুনি পাখি বেগুন পাতার ওপর ছোট্ট বাসা বানায়; কিন্তু ঝড় এসে সেই বাসাটিও ছিঁড়ে ফেলে। এতে সেই পাখির বাচ্চাগুলো নিঃসহায় হয়ে যায়। দুঃখী মায়ের ভাতের হাঁড়ি উল্টে দেয় এই ঝড়। এক দরিদ্র মা তার সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য যে সামান্য ভাত রান্না করে, ঝড় এসে তা নষ্ট করে দেয়।
“হে দেবতা, বলো তোমার কী আনন্দ,
কী মজা পাও বাবুই পাখির ঘর উড়িয়ে?
রামায়ণে পড়েছি যার কীর্তিগাথা
সেই মহাবীর হনুমানের পিতা তুমি?
কালিদাসের মেঘদূতে যার কথা আছে
তুমিই নাকি সেই দয়ালু মেঘের সাথী?”
এখানে বৈশাখের ঝড় বা তুফানকে “দেবতা” বা মহাশক্তি হিসেবে সম্বোধন করেছেন। কবি প্রশ্ন করছেন, “হে দেবতা, তোমার আনন্দ কোথায়?
তুমি কেন বাবুই পাখির ছোট্ট বাসা উড়িয়ে দিয়ে আনন্দ পাও?” অর্থাৎ, তিনি প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর শক্তির কার্যকলাপের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ছোট্ট, নিরীহ প্রাণীও কেন তার তাণ্ডবের শিকার হবে?
কবি রামায়ণ ও কালিদাসের মেঘদূতকে উদাহরণ দিয়েছেন। রামায়ণের মহাবীর হনুমানের পিতা (পৃথিবীর ন্যায়বীর শক্তির প্রতীক) হওয়া সত্ত্বেও, তুমি কেন এত নিষ্ঠুর? কালিদাসের মেঘদূত-এ মেঘকে বন্ধু বা দয়ালু বলা হয়েছে। যদি এই একই দেবতা, এই শক্তি দয়ালু হয়, তাহলে এত নির্মম আচরণ কেন?
“তবে এমন নিঠুর কেন হলে বাতাস
উড়িয়ে নিলে গরিব চাষির ঘরের খুঁটি
কিন্তু যারা লোক ঠকিয়ে প্রাসাদ গড়ে
তাদের কোনো ইট খসাতে পারলে নাতো।”
এই অংশে কবি বৈশাখের ঝড়ের সঙ্গে ন্যায়বিচার ও সামাজিক অসঙ্গতির কথা তুলেছেন। কবি প্রশ্ন করছেন, “হে বাতাস, তুমি এত নিষ্ঠুর কেন?” গরিব চাষির ছোট্ট ঘরের খুঁটিও উড়িয়ে দিচ্ছো। অন্যদিকে যারা অন্যায় করে, সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে প্রাসাদ বা বড় বড় ভবন বানায়, তাদের কোনো ক্ষতি হয় না। এটি সমাজে বিদ্যমান অন্যায় ও বৈষম্যের প্রতীক।
“হায়রে কতো সুবিচারের গল্প শুনি,
তুমিই নাকি বাহন রাজা সোলেমানের
যার তলোয়ার অত্যাচারীর কাটতো মাথা
অহমিকার অট্টালিকা গুঁড়িয়ে দিতো।”
এই অংশে কবি আবারও বৈশাখী ঝড়”-কে দেবতা বা ন্যায়পরায়ণ শক্তির সঙ্গে তুলনা করছেন। কবি উল্লেখ করেছেন যে আমরা অনেকবার ন্যায়বিচারের গল্প শুনেছি। বিশেষ করে তিনি বলেছেন রাজা সোলেমানের কথা। বাইবেলের বর্ণনায় সোলেমান ছিলেন একজন শক্তিশালী ও ন্যায়পরায়ণ রাজা। তিনি অন্যায়কারীদের শাস্তি দিতেন এবং দয়ালু ও সৎ মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।
কবি বলেন, “তুমিই সেই শক্তি, যে সোলেমানের তলোয়ারের মতো অত্যাচারীর মাথা কেটে ফেলতে পারে।” অর্থাৎ, প্রকৃতির শক্তি যদি সত্যিকারের ন্যায়ের পথে ব্যবহার হতো, তাহলে দুঃখী মানুষের ওপর ধ্বংসাত্মকভাবে প্রয়োগ হতো না, বরং অন্যায় ও অসৎ মানুষের শাস্তি হত।
“কবিদের এক মহান রাজা রবীন্দ্রনাথ
তোমার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন করজোড়ে
যা পুরানো শুষ্ক মরা, অদরকারি
কালবোশেখের একটি ফুঁয়ে উড়িয়ে দিতে।”
এই অংশে কবি আল মাহমুদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদাহরণ দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথকে তিনি এখানে “কবিদের এক মহান রাজা” হিসেবে সম্মানিত করেছেন, কারণ তিনি কাব্য ও সাহিত্যকে শক্তিশালীভাবে পরিচালনা করেছিলেন।
কবি মনে করিয়েছেন যে, রবীন্দ্রনাথ এমন শক্তির কাছে বলেছিলেন, যা “পুরানো, শুষ্ক, মরা, অদরকারি” জিনিসকে, অর্থাৎ অতীতের অপ্রয়োজনীয়, ধূসর বিষয়গুলোকে, কালবৈশাখীর ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে নতুনত্বের পথ খোলার কথা।
“ধ্বংস যদি করবে তবে, শোনো তুফান
ধ্বংস করো বিভেদকারী পরগাছাদের
পরের শ্রমে গড়ছে যারা মস্ত দালান
বাড়তি তাদের বাহাদুরি গুঁড়িয়ে ফেলো।”
এই অংশে কবি আল মাহমুদ বৈশাখী ঝড়ের শক্তিকে সরাসরি সামাজিক ন্যায়বিচারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বাতাসকে বলছেন, ধ্বংসাত্মক শক্তি দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের ওপর ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং ধ্বংস করা উচিত তাদের, যারা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং অন্যের শ্রম ও পরিশ্রমের উপর নিজেদের শক্তি ও অহংকার প্রতিষ্ঠা করে।
এখানে “পরগাছা” শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়েছে অন্যায়কারী, অত্যাচারী বা শোষক মানুষ। যারা অন্যের শ্রমে বড় দালান বা প্রাসাদ তৈরি করছে, তাদের অহংকার বা বাহাদুরি, অর্থাৎ অন্যায়ভাবে অর্জিত শক্তি, গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান করা হচ্ছে।
বোশেখ কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর (MCQ)
১. বোশেখ কবিতাটির মূল বিষয় কী?
ক) প্রকৃতির শান্তিপূর্ণ রূপ
খ) প্রকৃতির বিধ্বংসী শক্তি
গ) মানুষের সুখী জীবন
ঘ) নদী ও পাহাড়ের সৌন্দর্য
উত্তর: খ) প্রকৃতির বিধ্বংসী শক্তি
২. কবির মতে প্রকৃতির শক্তি কিভাবে মানব সমাজকে প্রভাবিত করে?
ক) শান্তির মাধ্যমে
খ) বিনাশের মাধ্যমে
গ) সংগ্রামের মাধ্যমে
ঘ) সামঞ্জস্য বজায় রেখে
উত্তর: খ) বিনাশের মাধ্যমে
৩. কবি প্রকৃতির শক্তির প্রতি কী মিনতি করেছেন?
ক) প্রকৃতি যেন শক্তি বাড়িয়ে দেয়
খ) প্রকৃতি যেন ধ্বংসাত্মক শক্তি কমায়
গ) প্রকৃতি যেন শান্ত হয়
ঘ) প্রকৃতি যেন মানুষের ক্ষতি না করে
উত্তর: ঘ) প্রকৃতি যেন মানুষের ক্ষতি না করে
৪. কবির মতে, অত্যাচারী শ্রেণি কিভাবে সমাজে অবস্থান করে?
ক) তারা শ্রমিকদের সাহায্য করে
খ) তারা প্রাসাদ গড়ে সমাজকে শোষণ করে
গ) তারা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে
ঘ) তারা শান্তির রাজনীতি করে
উত্তর: খ) তারা প্রাসাদ গড়ে সমাজকে শোষণ করে
৫. কবি কেন প্রকৃতির শক্তিকে বিভেদকারী শক্তি ধ্বংস করতে বলছেন?
ক) যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়
খ) যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি বন্ধ হয়
গ) যাতে প্রকৃতি শান্ত হয়
ঘ) যাতে ধনী শ্রেণির শোষণ বন্ধ হয়
উত্তর: খ) যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি বন্ধ হয়
৬. কবি রামায়ণে কার কীর্তিগাথা পড়েছেন?
ক) রাবণ
খ) মহাবীর হনুমান
গ) বিষ্ণু
ঘ) শিব
উত্তর: খ) মহাবীর হনুমান
৭. কবি মহাবীর হনুমান সম্পর্কে কী বলছেন?
ক) তিনি নিন্দিত এবং শত্রু
খ) তিনি রামায়ণের মহান যোদ্ধা
গ) তিনি শুধু একটা সাধু
ঘ) তিনি অলীক কল্পনা
উত্তর: খ) তিনি রামায়ণের মহান যোদ্ধা
৮. কবি চান প্রকৃতির শক্তি কি ধ্বংস করুক?
ক) সাধারণ মানুষের ঘর
খ) ধনী শ্রেণির প্রাসাদ
গ) প্রকৃতির সব রূপ
ঘ) সবকিছু ধ্বংস হোক
উত্তর: খ) ধনী শ্রেণির প্রাসাদ
৯. কবি কেন বাবুই পাখির ঘর উড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন?
ক) কারণ সে পাখি খুব বিপজ্জনক
খ) কারণ সে পাখি খুব ছোট
গ) কারণ সে পাখির ঘর নির্মল এবং ক্ষতি নয়
ঘ) কারণ সে পাখির ঘর কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না
উত্তর: গ) কারণ সে পাখির ঘর নির্মল এবং ক্ষতি নয়
১০. কোন কবি কখনও দাঁড়িয়ে মিনতি করেছেন?
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ) রাজা সোলেমান
গ) মহাবীর হনুমান
ঘ) কবির বাবা
উত্তর: ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১১. কবি চান ঐ ধ্বংসাত্মক শক্তি কি গুঁড়িয়ে দিক?
ক) প্রাসাদ
খ) মন্দির
গ) অট্টালিকা
ঘ) সড়ক
উত্তর: গ) অট্টালিকা
১২. কবি রবীন্দ্রনাথ কি করেছিলেন?
ক) প্রকৃতির মধ্যে
খ) কৃষকদের মধ্যে
গ) দাঁড়িয়ে করজোড়ে
ঘ) রাজপ্রাসাদে
উত্তর: গ) দাঁড়িয়ে করজোড়ে
১৩. কবি কিসের প্রতি প্রতিবাদ জানাচ্ছেন?
ক) প্রকৃতির প্রতি
খ) ধনী শ্রেণির প্রতি শোষণ
গ) শান্তি ও সুখের প্রতি
ঘ) কাব্যের প্রতি
উত্তর: খ) ধনী শ্রেণির প্রতি শোষণ
১৪. কবি কীভাবে প্রকৃতির শক্তির প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন?
ক) শান্তিপূর্ণ শক্তির দাবি করে
খ) গরিব মানুষের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে
গ) প্রকৃতির শক্তি সুন্দর ভাবে ব্যবহার করার জন্য
ঘ) প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য
উত্তর: খ) গরিব মানুষের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে
১৫. কবি কোন উপাদানকে চিহ্নিত করেছেন যা শোষণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
ক) অট্টালিকা
খ) নদী
গ) পাহাড়
ঘ) মন্দির
উত্তর: ক) অট্টালিকা
১৬. শোষণের বিরুদ্ধে কবি কী চান?
ক) ধ্বংস
খ) শান্তি
গ) সমান অধিকার
ঘ) সহযোগিতা
উত্তর: ক) ধ্বংস
১৭. কবি কোন দেবতার সাথে বিষ্ণুর সম্পর্ক তুলনা করছেন?
ক) মহাবীর হনুমান
খ) রাম
গ) মেঘদূত
ঘ) রাজা সোলেমান
উত্তর: গ) মেঘদূত
১৮. বিশেষ প্রাসাদ তৈরির পেছনে কবি কার শোষণ দেখছেন?
ক) কৃষকরা
খ) শ্রমজীবী মানুষ
গ) প্রাসাদ নির্মাতা
ঘ) ধনী ব্যক্তি
উত্তর: খ) শ্রমজীবী মানুষ
১৯. প্রকৃতি যদি কিছু ধ্বংস করুক তবে কবি কি চান?
ক) মন্দির
খ) মানুষের ঘর
গ) বিভেদকারী শক্তি
ঘ) পাখিদের ঘর
উত্তর: গ) বিভেদকারী শক্তি
২০. কবি রামায়ণ থেকে কার কথা উল্লেখ করেছেন?
ক) মহাবীর হনুমান
খ) রাম
গ) শ্রী কৃষ্ণ
ঘ) সীতার
উত্তর: ক) মহাবীর হনুমান
২১. কবি কালিদাসের মেঘদূত এর সঙ্গে কী সম্পর্ক দেখছেন?
ক) দেবতার কথা
খ) প্রকৃতির সৌন্দর্য
গ) মেঘের শক্তি
ঘ) মেঘের দয়ালুতা
উত্তর: ঘ) মেঘের দয়ালুতা
২২. কবি প্রকৃতির শক্তির কাছে কোন কাজের মিনতি করছেন?
ক) প্রকৃতির শক্তি গুঁড়িয়ে দিক
খ) ধ্বংস করুক, তবে নির্দিষ্টভাবে
গ) শান্তি প্রতিষ্ঠা করুক
ঘ) গরিবদের সাহায্য করুক
উত্তর: খ) ধ্বংস করুক, তবে নির্দিষ্টভাবে
আরও পড়ুনঃ রানার কবিতার মূলভাব ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর