কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ (সহজ ভাষায় ও ছোট করে)

কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বিভিন্ন ছোট ক্লাসের পরীক্ষাগুলোতে এই অনুচ্ছেদ আসে। তাই আজকের পোস্টে আমরা কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে তিনটি অনুচ্ছেদ লিখে দিলাম। যাতে করে সব ক্লাসের জন্যই উপযুক্ত হয়।

Image with Link Descriptive Text

কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ

বাংলাদেশের প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল হয়েছে কর্ণফুলী টানেল, যা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত এই টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) এবং প্রস্থ ১০.৮ মিটার। টানেলটির উদ্বোধন হয় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর।কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ১০৬৮৯ কোটি টাকা। এর অর্থায়ন চীনের এক্সিম ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে করেছে। এই প্রকল্পের সহযোগী ছিল চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি), যা টানেলটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেছে। কর্ণফুলী টানেলের প্রতি টিউবের উচ্চতা ১৬ ফুট এবং প্রতিটি টিউবের ব্যাস ১২.৫ মিটার (৪১ ফুট)। টানেলটির ভূমিকম্প সহনশীলতা ৭.৫ রিখটার স্কেল পর্যন্ত, যা এটি ভূমিকম্পের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম শহর আন্তর্জাতিক মানের উন্নত শহরের আদলে তৈরি হতে হয়েছে, যেমনটি চীনের সাংহাই শহরের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলের মতো। এটি রাজধানী ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে এবং এতে গাড়ির গতিসীমা ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টানেলটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের যোগাযোগব্যবস্থা আরও আধুনিক ও দক্ষ হয়ে উঠবে, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ (সহজ ভাষায়)

বাংলাদেশের প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল, যা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের একটি বড় অর্জন। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত এই টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) এবং প্রস্থ ১০.৮ মিটার। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই টানেল উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ১০৬৮৯ কোটি টাকা, যা চীনের এক্সিম ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে। নির্মাণ কাজ পরিচালনায় সহায়তা করেছে চীনের চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। টানেলটির প্রতি টিউবের উচ্চতা ১৬ ফুট এবং ব্যাস ১২.৫ মিটার (৪১ ফুট), এবং এটি ৭.৫ রিখটার স্কেল পর্যন্ত ভূমিকম্প সহ্য করতে সক্ষম। কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহর আন্তর্জাতিক মানের শহরের আদলে তৈরি হয়েছে, যেমন চীনের সাংহাই শহরের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলের মতো। এটি রাজধানী ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে এনে যানবাহনের গতিসীমা ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে। এই টানেলটির মাধ্যমে চট্টগ্রামের যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিক ও দক্ষ হয়ে উঠবে, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ রচনা (ছোট করে)

বাংলাদেশের প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল হয় কর্ণফুলী টানেল, যা দেশের উন্নয়নের একটি বড় মাইলফলক। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্য দিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১০.৮ মিটার। এটি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। ১০৬৮৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি চীনের এক্সিম ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে। নির্মাণের দায়িত্বে ছিল চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসি)। টানেলটির প্রতি টিউবের উচ্চতা ১৬ ফুট, ব্যাস ১২.৫ মিটার এবং এটি ৭.৫ রিখটার স্কেল পর্যন্ত ভূমিকম্প সহ্য করতে সক্ষম। এই টানেলটি চট্টগ্রাম শহরের যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিক করেছে এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে এনেছে।

আরো পড়ুনঃ মেট্রোরেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ (সহজ ভাষায় সকল ক্লাসের জন্য)

Related Posts