আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা আকাশ

লেখক আব্দুলাহ আল-মুতী ‘আকাশ’ প্রবন্ধে ব্যাখ্যা করেছেন আকাশ আসলে কী এবং তা কীভাবে আমাদের চোখে নীল বা লাল দেখায়। তিনি বলেন, আকাশ কোনো শূন্যতা নয়; বরং এটি বায়ুর একটি বিশাল স্তর। এই পোস্টে আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা আকাশ লিখে দিলাম।

আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
রফিক সাহেব একজন চিকিৎসক। চিকিৎসা করার পাশাপাশি তিনি রোগীর স্বজনদের রোগ-শোকের খবরও নিতেন। হাত দিয়ে রোগীর মাথা, কপাল ও পেট টিপে রোগ নির্ণয় করে তিনি ওষুধ দিতেন। আধুনিক পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় করতে বললেও তিনি তাঁর পদ্ধতিকেই উপযুক্ত মনে করতেন। রফিক সাহেবের ছেলে সুমন এখন বিখ্যাত চিকিৎসক। সুমন সাহেবের রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়াই ভিন্ন। আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, এক্স-রে ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে তিনি চিকিৎসা করেন। আধুনিক ধ্যান-ধারণা এবং গবেষণাই বিজ্ঞানের জগতে ব্যাপক গতি এনে দিয়েছে।

ক. ‘চাঁদোয়া’ অর্থ কী?

খ. প্রবন্ধটির নাম ‘আকাশ’ রাখার কারণ ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের রফিক সাহেবের মধ্যে ‘আকাশ’ শীর্ষক প্রবন্ধের কোন দিকটি উঠে এসেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘আধুনিক ধ্যান-ধারণা এবং গবেষণাই বিজ্ঞানের জগতে ব্যাপক গতি এনে দিয়েছে’- উদ্দীপক এবং ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ

ক. ‘চাঁদোয়া’ অর্থ হচ্ছে শামিয়ানা।

খ. প্রবন্ধটির নাম ‘আকাশ’ রাখার কারণ, এতে আকাশের রহস্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

‘আকাশ’ প্রবন্ধে লেখক আকাশের অবস্থার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আকাশ হলো বায়ুর একটি বড় স্তর। এতে প্রায় বিশ রকমের বর্ণহীন গ্যাস আছে। বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের অণু ছড়িয়ে থাকায় আকাশ নীল দেখায়। আবার সূর্যের লাল আলো মেশার কারণে কখনো মেঘ লাল দেখায়। আকাশ সম্পর্কে এসব বিষয় নিয়ে প্রবন্ধে আলোচনা হয়েছে বলেই এর নাম ‘আকাশ’ রাখা হয়েছে।

গ. ‘আকাশ’ প্রবন্ধে বর্ণিত আকাশ সম্বন্দ্বে মানুষের প্রাচীন ও অবৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণার দিকটি উদ্দীপকের রফিক সাহেবের মধ্যে উঠে এসেছে।
প্রাচীনকালে অনেক কিছুই জানার অভাবে অন্ধকারে ঢাকা ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারে সবকিছু এখন পরিষ্কারভাবে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। ‘আকাশ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আগে মানুষ জানতো না বলে আকাশ নিয়ে ভুল ধারণা করত। কেউ ভাবত আকাশ হলো পৃথিবীর ওপর একটি শক্ত ঢাকনা, আবার কেউ ভাবত এটি অনেক ভাগে ভাগ করা। ঠিক এই ধরনের ভুল ও অবৈজ্ঞানিক ধারণা রফিক সাহেবের মধ্যেও দেখা যায়। তিনি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়া শুধু শরীর টিপে রোগ ধরতেন ও ওষুধ দিতেন, যা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একদম ভুল।

ঘ. “আধুনিক ধ্যান-ধারণা এবং গবেষণাই বিজ্ঞানের জগতে ব্যাপক গতি এনে দিয়েছে, এ বিষয়টি উদ্দীপক এবং ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।

বিজ্ঞানীরা অনেক কিছু আবিষ্কার করেছেন বলে এখন মানুষের জীবন সহজ হয়েছে, অনেক ভুল ধারণা দূর হয়েছে, আর জ্ঞানের প্রতি আগ্রহও মিটেছে। উদ্দীপকের সুমন সাহেব একজন নামকরা ডাক্তার। তিনি তার বাবার মতো প্রথাগত উপায়ে নয়, বরং আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, এক্স-রে ইত্যাদি ব্যবহার করে রোগের পরীক্ষা করেন। তিনি চিকিৎসায় বিজ্ঞানের আবিষ্কার কাজে লাগান। ‘আকাশ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আগে মানুষ আকাশ সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রাখত। এখন বিজ্ঞানীরা আগে বেলুন পাঠিয়ে পরীক্ষা করতেন, আর এখন মানুষ নিজেরাই মহাকাশে গিয়ে পরীক্ষা করছে। সুমন সাহেব যেমন চিকিৎসায় বিজ্ঞানের ব্যবহার করে পুরনো ভাবনা বদলেছেন, ঠিক তেমনি ‘আকাশ’ প্রবন্ধেও বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার গ্রহণ করার মানসিকতা দেখা যায়। তাই এই মন্তব্যটি প্রবন্ধ ও উদ্দীপক দুটিতেই মিল আছে।

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২।
ছোটবেলার ‘তারা-খসা’ কে না দেখেছি! আকাশের বিশাল চাদরে কোটি কোটি তারা। তারাই যেন দুই-একটা শখ করে নেমে আসে পৃথিবীর কোলে। পৃথিবী থেকে যে এক-একটা সত্যিকারের তারার দূরত্ব কত সহস্র কোটি কিলোমিটার তার হিসাব তখন কে রাখত! ওই ক্ষুদ্র মিটিমিটি তারাকেই মনে হতো খসে পড়ছে পৃথিবীর জমিনে। ওগুলো যে অতি সামান্য মহাজাগতিক ভাসমান বস্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়লে বাতাসের ঘর্ষণে পুড়তে শুরু করে, দেখে মনে হয় যেন জ্বলন্ত তারা। এখন তার পরিচয় ‘উল্কা’ নামে।

ক. আকাশ সচরাচর কেমন?

খ. সন্ধ্যায়, আকাশে লাল আলোর বন্যা নামে কেন?

গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সামগ্রিকতার ধারক।”-মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩।
২০১৬ সালে নাসার একটি মহাকাশযান বৃহস্পতি গ্রহে পৌঁছায়। গ্রহটির অসাধারণ কিছু ছবি পৃথিবীতে ইতোমধ্যেই পাঠিয়েছে সেটি। নাসা এই অভিযানে বেশ কিছু বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করতে পেরেছে।

ক. পরতে পরতে অর্থ কী?

খ. দূর দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে কীভাবে?

গ. উদ্দীপকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে নির্দেশ করে?

ঘ. উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের খন্ডাংশমাত্র- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪।
গ্রামের বিস্তৃত কালো মাঠে দাঁড়িয়ে কখনো কি তাকিয়ে দেখেছ ওই সুদূর আকাশ পানে? আকাশের এ মাথা থেকে ওমাথা গুচ্ছ গুচ্ছ আলোর এক স্বর্গীয় পথ যেন। পৌরাণিক কাহিনিতে আছে গ্রিক দেবতা জিউস যখন তাঁর মানবসন্তান হারকিউলিসকে নশ্বর পৃথিবী থেকে স্বর্গীয় মহলে নিয়ে আসেন তখন বাচ্চা হারকিউলিসকে দুধ খাওয়ানোর জন্য তিনি তাকে ঘুমন্ত দেবী হেরার বুকের কাছে রেখে যান। এদিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে হেরা যখন দেখল তাঁর বুকের দুধ পান করছে অন্য একটা অপরিচিত শিশু, তখন সে শিশুটিকে। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার ফলে দুধের কিছু অংশ ছড়িয়ে পড়ে আকাশে এবং সৃষ্টি হয় এই দুগ্ধরূপী শুভ্রপথের। এ জন্যই এর নাম রাখা হয় মিল্কিওয়ে।

ক. পৃথিবীর ওপরের অংশকে কী বলে?

খ. “আকাশ নেই, ভূপৃষ্ঠে এমন জায়গা কল্পনা করা শক্ত”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়টি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের মূলভাব ধারণ করে না।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫।
মহাশূন্য সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষের কৌতূহলের বিষয়। প্রত্যেক সভ্যতা ও মানুষ সব সময় মহাকাশকে কৌতূহলের দৃষ্টিতে দেখেছে। প্রাচীন সভ্যতাসমূহ ও মানুষেরা মহাশূন্যের ব্যাপারে নানা কাল্পনিক ব্যাখ্যা দিত। যথা: হাতির উপর উলটানো থালা, বিশাল চাদর, পবিত্র আত্মা ও দেবতাদের বাসস্থান ইত্যাদি। প্রাচীন গ্রিক, রোমান, মিশরীয়, বেবিলনীয়, ভারতীয়, চীনা, মায়া ইত্যাদি সভ্যতা মহাশূন্যকে ভিন্ন ভিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। কিন্তু সব সভ্যতাই মহাকাশকে বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে কম-বেশি গ্রহণ করেছিল।

ক. মহাকাশযান থেকে দিন-রাত কীসের ছবি তোলা হচ্ছে?

খ. আকাশ সম্পর্কে আগেকার লোকের ধারণা ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি উঠে এসেছে?

ঘ. “উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের একটি ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে মাত্র, সামগ্রিকতা নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬।
বিজ্ঞানীদের আকাশ নিয়ে গবেষণার অন্ত নাই। আকাশের রহস্য জানার জন্য তারা সেখানে বিভিন্ন মহাকাশযান পাঠিয়েছে। কখনো এসব মহাকাশযানের সঙ্গী হয়েছে মানুষ। এসব মহাকাশযান। মহাবিশ্ব থেকে নানা দুর্লভ ছবি তুলে পাঠিয়েছে। ফলে মহাকাশ নিয়ে মানুষের অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

ক. হরহামেশা আমরা যে আকাশ দেখি তা আসলে কী?

খ. আকাশ নীল দেখায় কেন?- বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে?- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সব দিক ফুটে ওঠেনি”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭।
জগদীশচন্দ্র বসু নানা বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তবে তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন ‘গাছের প্রাণ আছে’ এই সত্য প্রমাণ করে। তিনি দেখিয়েছেন যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে গাছ বেড়ে ওঠা মাপার যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ এবং গাছের দেহের উত্তেজনার বেগ মাপার সমতল তরুলিপি যন্ত্র অন্যতম।

ক. সাদা মেঘে কী জমে পানির অসংখ্য কণা তৈরি হয়?

খ. “আকাশ আসলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঢাকনা।” ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কোন দিকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সঙ্গে। সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের জগদীশচন্দ্র বসু এবং ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক দুজনই একই মানসিকতার অধিকারী।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮।
পরাশর ডাক্তার বলতে লাগলেন, ‘গাধাও তোমার চেয়ে বুদ্ধিমান।….. ইলেকট্রিক শক খেয়ে বুঝতে পারো না কীসে শক লাগল, তুমি কোনদেশি ছেলে? আমি তো শক খাওয়া মাত্র টের পেয়ে গিয়েছিলাম তোমার মামার ছবিতে কোন প্রেতাত্মা ভর করেছেন।’ নগেন উদ্‌ভ্রান্তের মতো বলল, …..’মামার শ্রাদ্ধের দিন। মামিমা ফ্রেমটা বার করে মামার ছবিটা বাঁধিয়েছিলেন। আলো দুটো লাগিয়েছে আমার মামাতো ভাই পরেশ।’

ক. আবদুল্লাহ আল-মুতী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

খ. “আকাশটা পরতে পরতে ভাগ করা”- বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের নগেনের মাঝে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের পরাশর ডাক্তার ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের মতো কুসংস্কার বর্জনে চেষ্টা করেছেন।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

নিচে উত্তরসহ আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।

আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

আরও পড়ুনঃ মাদার তেরেসা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা মাদার তেরেসা

Related Posts

Leave a Comment