ফাগুন মাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক)

কবিতায় ফাগুন মাসের রূপবৈচিত্র্য এবং ভাষা আন্দোলনের শোক ও চেতনার সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। কবি দেখিয়েছেন, প্রকৃতি যেমন ফাল্গুনে নতুন প্রাণ পায়, তেমনি এই মাস আমাদের শোক আর গর্বের মাস। এই পোস্টে ফাগুন মাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক) লিখে দিলাম।

Image with Link Descriptive Text

ফাগুন মাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর

১। ফাগুন কী?
উত্তরঃ ফাগুন হল বাংলা বছরের একাদশ মাস।

২। ফাগুন মাসে প্রকৃতির কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তরঃ গাছপালা নতুন পাতা গজায়, লাল ফুল ফোটে, চারপাশ রঙিন হয়ে ওঠে।

৩। “পাথর ঠেলে মাথা উঁচোয় ঘাস” বাক্যটি কী বোঝায়?
উত্তরঃ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জীবন নতুনভাবে জন্ম নেয়।

৪। ফাগুন মাসের ডাল কেমন?
উত্তরঃ হাড়ের মতো শক্ত, কিন্তু তবুও নতুন পাতা জন্মায়।

৫। কবি “সবুজ আগুন” বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ বসন্তের নবজাগরণ, গাছে নতুন পাতার বিস্তার।

৬। ফাগুন মাসকে “দুঃখী মাস” বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ এই মাসে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের মৃত্যু হয়েছে।

৭। ফাগুন মাসের বাতাস কেমন?
উত্তরঃ বাতাসে দীর্ঘশ্বাস ভেসে বেড়ায়।

৮। ফাগুন মাসে গোলাপ কী করে?
উত্তরঃ কান্নার মতো ঝরে পড়ে।

৯। ফাগুন মাসে মায়ের চোখ কেন টলমল করে?
উত্তরঃ শহিদ সন্তানের জন্য শোকের কারণে।

১০। ফাগুন মাসে বোনেরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়?
উত্তরঃ তারা হারানো ভাইয়ের জন্য কেঁদে ওঠে।

১১। ফাগুন মাসে ভাইয়েরা কী করে?
উত্তরঃ তারা প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।

১২। ফাগুন মাসে দস্যুরা কী করে?
উত্তরঃ তারা রথে চড়ে এসে নির্যাতন চালায়।

১৩। “বুকের ক্রোধ ঢেলে” বলার অর্থ কী?
উত্তরঃ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

১৪। ফাগুন মাসে কী ঝরে পড়ে?
উত্তরঃ শহিদদের রক্ত।

১৫। ফাগুন মাসে “শহিদ মিনার” কোথায় ওঠে?
উত্তরঃ প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।

১৬। কয়েকজন “খোকা” কী করেছিল?
উত্তরঃ তারা শহিদ হয়েছিল, রক্ত দিয়ে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল।

১৭। “ফুল ফোটালো-রক্ত থোকা থোকা” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ শহিদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষার অধিকার অর্জিত হয়েছে।

১৮। “গাছের ডালে পথের বুকে ঘরে”—এই লাইন কী বোঝায়?
উত্তরঃ শহিদদের আত্মত্যাগ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।

১৯। কবিতাটি লেখার সময় ভাষা আন্দোলনের কত বছর পেরিয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ তিরিশ বছর।

২০। “ফাগুন মাসের দু-চোখ ছলোছলো”—এর অর্থ কী?
উত্তরঃ ফাগুন এলেই শহিদদের স্মরণে চোখে জল আসে।

২১। ‘ফেঁড়ে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ফেঁড়ে মানে চিরে বা বিদীর্ণ করে।

২২। “ফাগুন মাসে দস্যু আসে রথে”—এটি কোন ঐতিহাসিক ঘটনার প্রতীক?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তানি পুলিশের দমন-পীড়নের প্রতীক।

২৩। ‘ডুকরে ওঠে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ থেমে থেমে জোরে জোরে কান্না উথলে ওঠে।

২৪। ফাগুন মাসে কীভাবে প্রতিবাদ হয়?
উত্তরঃ বুকের ক্রোধ ঢেলে আন্দোলন গড়ে ওঠে।

২৫। ‘সবুজ আগুন’ শব্দটি কী বোঝায়?
উত্তরঃ বনের সবুজ বিস্তারকে কবি সবুজ আগুন বলে কল্পনা করেছেন।

২৬। ফাগুন মাসে শহিদ মিনার কীভাবে গড়ে ওঠে?
উত্তরঃ প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে শহিদ মিনারের স্মৃতি জেগে ওঠে।

২৯। “ফাগুন মাসে গোলাপ কাঁদে”—এটি কী বোঝায়?
উত্তরঃ প্রকৃতিও শহিদদের শোকে কেঁদে ওঠে।

৩০। ফাল্গুন মাসকে কীভাবে বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ ফাল্গুন মাসকে ভীষণ দস্যি মাস হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে।

৩১। ‘পাথর ঠেলে মাথা উঁচোয় ঘাস’ এর অর্থ কী?
উত্তরঃ পাথরের বুকেও ঘাস জন্মায়, যা জীবনের অদম্যতা ও সৃজনশীলতার প্রতীক।

৩২। ‘প্রত্যহ হয় লাল’ শব্দটি কী বোঝায়?
উত্তরঃ লাল ফুলের সম্ভারে প্রকৃতি রঙিন হয়ে ওঠে, এটি সৌন্দর্য বোঝায়।

৩৩। ফাগুন মাসে মায়ের চোখে জল কেন আসে?
উত্তরঃ শহিদ পুত্রের কথা স্মরণ করে মায়ের চোখে জল আসে।

৩৪। ‘ফাগুন মাসে ভাইয়েরা নামে পথে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ শহিদদের অমর আদর্শে বাংলার দামাল সন্তানেরা সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে।

৩৫। হুমায়ুন আজাদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলা) এর রাঢ়িখালে জন্মগ্রহণ করেন।

৩৬। হুমায়ুন আজাদ কোন বছরে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে।

৩৭। হুমায়ুন আজাদের পেশা কী ছিল?
উত্তরঃ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছিলেন।

৩৮। হুমায়ুন আজাদের কোন গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তরঃ তাঁর গবেষণাগ্রন্থ হলো ‘বাক্যতত্ত্ব’।

৩৯। হুমায়ুন আজাদ কোন পুরস্কার পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ তিনি ১৯৮৭ সালে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

৪০। হুমায়ুন আজাদ কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ তিনি ২০০৪ সালে জার্মানির মিউনিখ শহরে মৃত্যুবরণ করেন।

৪১। হুমায়ুন আজাদ কোথায় পড়াশোনা করেছেন?
উত্তরঃ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যয়ন করেন।

Related Posts

Leave a Comment