হারুন হাবীবের ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত, যা বাঙালি জাতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। গল্পে কাজল মামা এবং অন্তুর মধ্যকার সম্পর্কের মাধ্যমে লেখক বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নিচে পিতৃপুরুষের গল্প প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক) লিখে দিলাম।
পিতৃপুরুষের গল্প প্রশ্ন উত্তর
১। অন্তুর মামার নাম কী?
উত্তরঃ কাজল।
২। কাজল মামা কোথায় থাকতেন?
উত্তরঃ গ্রামে।
৩। অন্তুর মা কাজল মামাকে কী লিখে অনুরোধ করতেন?
উত্তরঃ ঢাকায় এসে তাঁদের বাসায় থাকতে।
৪। ১৯৭১ সালে কাজল মামা কোথায় পড়াশোনা করতেন?
উত্তরঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৫। কাজল মামা কেন গ্রামে চলে যান?
উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য।
৬। গ্রামে গিয়ে কাজল মামা কী করতেন?
উত্তরঃ ছেলেদের সংগঠিত করে মিছিল-মিটিং করতেন ও রাইফেল জোগাড় করে ট্রেনিং দিতেন।
৭। অন্তু মামাকে ঢাকায় আনার জন্য কী কৌশল অবলম্বন করেছিল?
উত্তরঃ চিঠি লিখে একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসার অনুরোধ করেছিল।
৮। কাজল মামা কবে ঢাকায় এলেন?
উত্তরঃ ১৯ ফেব্রুয়ারির ভোরে।
৯। কাজল মামা আর অন্তু কোন রাস্তায় রিকশায় চলছিল?
উত্তরঃ সাতমসজিদ রোড।
১০। ঢাকার আগের নাম কী ছিল?
উত্তরঃ জাহাঙ্গীরনগর।
১১। সাতমসজিদ রোড নামকরণের কারণ কী?
উত্তরঃ সাতগম্বুজ মসজিদের নামে।
১২। কাজল মামা কোন হলে থাকতেন?
উত্তরঃ হাজী মুহাম্মদ মহসীন হলে।
১৩। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী কোথায় ছাত্রদের হত্যা করেছিল?
উত্তরঃ জগন্নাথ হলের মাঠে।
১৪। মুক্তিযুদ্ধ আর সাধারণ যুদ্ধের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার জন্য লড়াই, আর সাধারণ যুদ্ধ হয় শক্তির লড়াই।
১৫। একুশে ফেব্রুয়ারির শহিদ কারা ছিলেন?
উত্তরঃ ভাষা আন্দোলনের জন্য জীবনদানকারী বীর শহিদরা।
১৬। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের কয়েকজনের নাম বলো।
উত্তরঃ সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার।
১৭। পাকিস্তানি শাসকরা কী করতে চেয়েছিল?
উত্তরঃ বাঙালিদের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল।
১৮। শহিদ মিনার কেন তৈরি করা হয়েছে?
উত্তরঃ ভাষা শহিদদের স্মৃতিরক্ষার জন্য।
১৯। কাজল মামা একুশে ফেব্রুয়ারিতে কোথায় যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাবেন।
২০। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কীসের সূচনা করেছিল?
উত্তরঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের।
২১। ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালিদের স্বাধীনতার সংগ্রাম কত বছর ধরে চলেছিল?
উত্তরঃ ১৯ বছর।
২২। স্বাধীনতা যুদ্ধ কবে শুরু হয়?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালে।
২৩। কাজল মামা কোন যুদ্ধের অংশগ্রহণকারী ছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ।
২৪। কাজল মামা মুক্তিযুদ্ধের গল্প কখন শোনাবেন?
উত্তরঃ একুশে ফেব্রুয়ারির দিন।
২৫। শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে অন্তু ও কাজল মামা কী করল?
উত্তরঃ নীরবে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল।
২৬। ‘তিতিক্ষা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সহনশীলতা।
২৭। কাজল মামা কেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দেশকে স্বাধীন করার জন্য।
২৮। ভাষা আন্দোলন কবে সংঘটিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।
২৯। মুক্তিযুদ্ধ কবে শেষ হয়?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১।
৩০। ‘হানাদার বাহিনী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অন্যায়ভাবে আক্রমণকারী বাহিনী, এখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বোঝানো হয়েছে।
৩১। ‘সামরিক শাসন’ কী?
উত্তর: সামরিক বাহিনী দ্বারা রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনা করা।
৩২। ‘পিতৃপুরুষ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পিতা-পিতামহ-প্রপিতামহ প্রভৃতি পূর্বপুরুষ।
৩৩। হারুন হাবীব কে ছিলেন?
উত্তর: কথাসাহিত্যিক, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা এবং ৭১-এর রণাঙ্গন সংবাদদাতা।
৩৪। হারুন হাবীব কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে।
৩৫। হারুন হাবীবের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: জামালপুরে।
৩৬। ‘Blood and Brutality’ বইটি কী বিষয়ে লেখা?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের ওপর।
৩৭। হারুন হাবীব কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন?
উত্তর: তিনি ৭১-এর রণাঙ্গন সংবাদদাতা ছিলেন।