সন্জীদা খাতুনের লেখা ‘মাদার তেরেসা’ গল্পে মাদার তেরেসা ছিলেন এক মহান সেবিকা, যিনি গরিব, অসহায় ও দুঃখী মানুষের সেবায় সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন। ভালোবাসা ও মানবসেবাকে তিনি জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। কলকাতার বস্তি থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে তাঁর দয়ার পরশ ছড়িয়ে পড়ে। এই পোস্টে মাদার তেরেসা প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক)- সনজীদা খাতুন লিখে দিলাম।
মাদার তেরেসা প্রশ্ন উত্তর
১। মাদার তেরেসার জন্ম কোথায় হয়েছিল?
উত্তর: আলবেনিয়ার স্কপিয়েতে।
২। মাদার তেরেসা কত তারিখে জন্মগ্রহন করেন?
উত্তর: ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট।
৩। মাদার তেরেসার বাবার নাম কী ছিল?
উত্তর: নিকোলাস বোজাঝিউ।
৪। মাদার তেরেসার মায়ের নাম কী ছিল?
উত্তর: দ্রানাফিল বার্নাই।
৫। মাদার তেরেসার ছোটবেলার নাম কী ছিল?
উত্তর: অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ।
৬। মাদার তেরেসার শৈশবে কোন যুদ্ধের প্রভাব পড়ে?
উত্তর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮)।
৭। মাদার তেরেসা কোন সংগঠনে যোগ দেন?
উত্তর: ‘লরেটো সিস্টার্স’।
৮। মাদার তেরেসা ভারতে কোথায় প্রশিক্ষণ নেন?
উত্তর: দার্জিলিংয়ে।
৯। মাদার তেরেসা কলকাতায় কোথায় শিক্ষকতা করেন?
উত্তর: সেন্ট মেরিজ স্কুলে।
১০। মাদার তেরেসা কত বছর সেন্ট মেরিজ স্কুলে কাজ করেন?
উত্তর: ১৭ বছর।
১১। ‘মিশনারি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ধর্মপ্রচারক।
১২। মাদার তেরেসা প্রথম কোথায় স্কুল খুলেন?
উত্তর: কলকাতার একটি বস্তিতে।
১৩। মাদার তেরেসা কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’।
১৪। কলকাতায় মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবার জন্য তিনি কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন?
উত্তর: ‘নির্মল হৃদয়’।
১৫। ‘ব্ৰত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সৎকাজ করার জন্যে কঠিন সাধনা ও ত্যাগ।
১৬। মাদার তেরেসা কুষ্ঠরোগীদের সেবার জন্য কোথায় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: টিটাগড়ে।
১৭। মাদার তেরেসা বাংলাদেশে প্রথম কোথায় সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ঢাকার ইসলামপুরে।
১৮। ‘নান’ শব্দের বাংলা অর্থ কী?
উত্তর: গির্জা বাসিনী, সন্ন্যাসিনী।
১৯। মাদার তেরেসা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কী কাজ করেন?
উত্তর: শরণার্থী শিবিরে দুর্গত মানুষের সেবা করেন।
২০। বাংলাদেশে মাদার তেরেসার সংগঠনের প্রথম শাখা কোথায় খোলা হয়?
উত্তর: ঢাকার ইসলামপুরে।
২১। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর মাদার তেরেসা কী করেন?
উত্তর: বাংলাদেশে এসে দুর্গত মানুষের ত্রাণ কাজে অংশ নেন।
২২। ‘প্রশিক্ষণ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: হাতে-কলমে বিশেষ শিক্ষা।
২৩। মাদার তেরেসা কোন পুরস্কার পেয়েছিলেন?
উত্তর: নোবেল শান্তি পুরস্কার।
২৪। নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি কী করেছিলেন?
উত্তর: গরিব মানুষের সেবায় দান করেন।
২৫। নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠানে মাদার তেরেসা কী অনুরোধ করেছিলেন?
উত্তর: ভোজসভা বাতিল করে সেই অর্থ ক্ষুধার্ত মানুষদের দেওয়ার জন্য।
২৬। মাদার তেরেসা কী পোশাক পরতেন?
উত্তর: নীলপাড় সাদা শাড়ি।
২৭। মাদার তেরেসা কতটি শাড়ি রাখতেন?
উত্তর: তিনটি।
২৮। মাদার তেরেসার মৃত্যু কত সালে হয়?
উত্তর: ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
২৯। মাদার তেরেসা কোথায় মারা যান?
উত্তর: কলকাতায়।
৩০। মাদার তেরেসার মূল আদর্শ কী ছিল?
উত্তর: নিঃস্বার্থ মানবসেবা।
৩১। মাদার তেরেসা কীভাবে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতেন?
উত্তর: ভালোবাসা ও সেবার মাধ্যমে।
৩২। মাদার তেরেসার কাজের মূল লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: সবচেয়ে গরিব ও দুঃখী মানুষের সেবা করা।
৩৩। মাদার তেরেসার জীবন থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
উত্তর: ভালোবাসা ও সেবার মাধ্যমে পৃথিবীকে সুন্দর করা যায়।
৩৪। ‘গাউন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মহিলাদের বিশেষ ধরনের পোশাক।
৩৫। মাদার তেরেসা কত বছর বয়সে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮ বছর বয়সে।
৩৬। মাদার তেরেসা বাংলার মানুষের সঙ্গে কাজ করার জন্য কোন ভাষা শিখেছিলেন?
উত্তর: বাংলা।
৩৭। ‘সন্ন্যাসব্রত’ কী?
উত্তর: সংসারজীবন ত্যাগ করে তপস্যা ও সংযমের সাধনা।
৩৮। মাদার তেরেসা ছাত্রছাত্রীদের কোন সামাজিক কাজে উৎসাহিত করতেন?
উত্তর: দরিদ্র শিশুদের সাহায্যের জন্য সপ্তাহে একদিনের টিফিনের টাকা দান করতে।
৩৯। মাদার তেরেসা কত সালে লরেটো সংস্থা থেকে বের হয়ে গরিবদের সেবা শুরু করেন?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে।
৪০। ‘অনাথ’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মা-বাবা এবং অভিভাবক নেই যে-সব শিশুর, এতিম।
৪১। ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ কী?
উত্তর: পরের উপকারের উদ্দেশ্যে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান, মানবসেবা সংঘ।
৪২। অনাথ শিশুদের জন্য মাদার তেরেসা কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন?
উত্তর: ‘শিশুভবন’।
৪৩। কুষ্ঠরোগীদের জন্য তিনি কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন?
উত্তর: ‘প্রেমনিবাস’।
৪৪। ‘রপ্ত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আয়ত্ত, অভ্যাসের সাহায্যে শিখে নেয়া।
৪৫। স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম কবে বাংলাদেশে আসেন?
উত্তর: ১৯৭২ সালে।
৪৬। ‘মানবদরদি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মানুষের জন্য যার দরদ বা সমবেদনা আছে।
৪৭। ‘আবাসন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বসবাসের ব্যবস্থা।
৪৮। ‘পাকিস্তানিদের দোসর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী, রাজাকার, আলবদর ইত্যাদি বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
৪৯। সন্জীদা খাতুন কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ঢাকায়।
৫০। সন্জীদা খাতুন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৫১। সন্জীদা খাতুনের কোন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন?
উত্তর: বাংলা বিভাগের।
৫২। সন্জীদা খাতুনের প্রধান পরিচয় কী?
উত্তর: প্রবন্ধকার এবং গবেষক।
৫৩। সন্জীদা খাতুন কী ধরনের শিল্পী ছিলেন?
উত্তর: রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।
৫৪। সন্জীদা খাতুন কোন কারণে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে।