বই পড়া প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর – প্রমথ চৌধুরী

বই পড়া প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী বলেন, বই পড়া শুধুমাত্র শখের বিষয় নয়, বরং এটি মানুষের মনন ও সংস্কৃতির বিকাশে অপরিহার্য। যদিও সমাজে শিক্ষার গুরুত্ব স্বীকৃত, তবুও আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ না দিয়ে মুখস্থবিদ্যার চর্চাকে উৎসাহিত করে। এই পোস্টে বই পড়া প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর লিখে দিলাম।

Image with Link Descriptive Text

বই পড়া প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। বই পড়া প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর: বই পড়া প্রবন্ধটি ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ থেকে সংকলিত হয়েছে।

২। বই পড়া প্রবন্ধে কাকে উত্তর সাধক বলা হয়েছে??
উত্তর: বই পড়া প্রবন্ধে গুরুকে (শিক্ষক) উত্তর সাধক বলা হয়েছে।

৩। বই পড়া প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে কিসের ওপর স্থান দিয়েছেন?
উত্তর: বই পড়া প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের ওপর স্থান দিয়েছেন।

৪। প্রমথ চৌধুরীর মতে বই পড়া কী?
উত্তর: বই পড়া মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ।

৫। ‘ভাঁড়েও ভবানী’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রিক্ত, শূন্য।

৬। লেখক কেন বই পড়াকে শখ হিসেবে পরামর্শ দিতে চান না?
উত্তর: কারণ মানুষ তা গ্রাহ্য করবে না এবং অনেকেই এটাকে কুপরামর্শ মনে করবে।

৭। ‘ডেমোক্রেসি’ শব্দের বাংলা অর্থ কী?
উত্তর: গণতন্ত্র।

৮। লেখকের মতে আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা কী?
উত্তর: রোগ-শোক, দুঃখ-দারিদ্র্য এবং সুন্দর জীবনযাপনের সংগ্রাম।

৯। শিক্ষার ফল লাভের জন্য আমরা কী করি?
উত্তর: আমরা শিক্ষার ফল লাভের জন্য উদ্বাহু হয়ে থাকি।

১০। ‘উদ্বাহু’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ঊর্ধ্ববাহু, আহ্লাদে হাত ওঠানো।

১১। লেখকের মতে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো জীবনকে সুন্দর ও মহৎ করা।

১২। শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ কী?
উত্তর: সাহিত্যচর্চা শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ।

১৩। ডেমোক্রেসি কী বোঝে না?
উত্তর: ডেমোক্রেসি সাহিত্যের সার্থকতা বোঝে না।

১৪। আমাদের শিক্ষিত সমাজের দৃষ্টি কোথায় পড়ে?
উত্তর: আমাদের শিক্ষিত সমাজের দৃষ্টি অর্থের উপর পড়ে।

১৫। জ্ঞানের ভাণ্ডার কী নয়?
উত্তর: জ্ঞানের ভাণ্ডার ধনের ভাণ্ডার নয়।

১৬। সাহিত্যের জন্ম কী থেকে?
উত্তর: সাহিত্যের জন্ম মানুষের দর্শন, বিজ্ঞান, ধর্মনীতি, আশা-নৈরাশ্য, স্বপ্ন ও সত্যের সমবায় থেকে।

১৭। লেখকের মতে সাহিত্য কী প্রকাশ করে?
উত্তর: সাহিত্য মানুষের পুরো মনটাকে প্রকাশ করে।

১৮। লেখকের মতে বই পড়া কেন প্রয়োজন?
উত্তর: বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই।

১৯। ‘উপায়ান্তর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অন্য কোনো উপায়।

২০। লেখকের মতে লাইব্রেরি কীসের সমান?
উত্তর: লাইব্রেরি হাসপাতালের চেয়ে কম উপকারী নয় এবং স্কুল-কলেজের চেয়ে বেশি উপকারী।

২১। ‘শৌখিন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: রুচিবান।

২২। লেখকের মতে শিক্ষকের সার্থকতা কী?
উত্তর: শিক্ষকের সার্থকতা শিক্ষাদান করায় নয়, ছাত্রকে তা অর্জন করতে সক্ষম করায়।

২৩। স্কুল-কলেজের শিক্ষা পদ্ধতির সমস্যা কী?
উত্তর: স্কুল-কলেজে ছাত্রদের শুধু নোট মুখস্থ করানো হয়, কিন্তু তাদের মনের বিকাশ হয় না।

২৪। স্কুল-কলেজের শিক্ষা কীসের মতো?
উত্তর: স্কুল-কলেজের শিক্ষা ‘গেলা-ওগলানো’ পদ্ধতির মতো।

২৫। ‘সুসার’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: প্রাচুর্য, সচ্ছলতা, সুবিধা।

২৬। ছাত্ররা কীভাবে পরীক্ষায় পাশ করে?
উত্তর: ছাত্ররা নোট মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাশ করে।

২৭। স্কুল-কলেজের শিক্ষা কীসে ব্যর্থ?
উত্তর: স্কুল-কলেজের শিক্ষা ছাত্রদের মনের বিকাশে ব্যর্থ।

২৮। লাইব্রেরি কীসের মতো?
উত্তর: লাইব্রেরি মনের হাসপাতালের মতো।

২৯। লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা কেন প্রয়োজন?
উত্তর: কারণ এটি মানুষের মনকে সুস্থ ও সমৃদ্ধ করে।

৩০। ‘স্বশিক্ষিত’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: নিজে নিজে শিক্ষিত।

৩১। সাহিত্যচর্চা কীসের জন্য প্রয়োজন?
উত্তর: সাহিত্যচর্চা মানুষের মনকে আনন্দ ও প্রাণশক্তিতে ভরিয়ে তোলার জন্য প্রয়োজন।

৩২। সাহিত্য কীসের সমবায়?
উত্তর: সাহিত্য মানুষের দর্শন, বিজ্ঞান, ধর্মনীতি, আশা-নৈরাশ্য, স্বপ্ন ও সত্যের সমবায়।

৩৩। লেখকের মতে সাহিত্য ছাড়া কী সম্ভব নয়?
উত্তর: সাহিত্য ছাড়া কোনো জাতির প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়।

৩৪। ‘অবগাহন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে গোসল।

৩৫। আনন্দের স্পর্শ কী করে?
উত্তর: আনন্দের স্পর্শ মানুষের মনপ্রাণ সজীব, সতেজ ও সরাগ করে তোলে।

৩৬। শিক্ষার বর্তমান অবস্থায় লাইব্রেরি কী?
উত্তর: শিক্ষার বর্তমান অবস্থায় লাইব্রেরি মনের হাসপাতাল।

৩৭। জাতির প্রাণশক্তি কীসের উপর নির্ভর করে?
উত্তর: জাতির প্রাণশক্তি সাহিত্যচর্চা ও আনন্দের উপর নির্ভর করে।

৩৮। ‘আবহমানকাল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চিরকাল।

৩৯। সাহিত্যচর্চা কীসের জন্য প্রয়োজন?
উত্তর: সাহিত্যচর্চা মানুষের মন ও আত্মাকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন।

৪০। ‘প্রচ্ছন্ন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গোপন।

৪১। ‘গতাসু’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মৃত।

৪২। ‘গলাধঃকরণ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গিলে ফেলা।

৪৩। প্রমথ চৌধুরীর জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: যশোরে।

৪৪। প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোথায় ছিল?
উত্তর: পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে।

৪৫। প্রমথ চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৬। কোন বিষয়ে প্রমথ চৌধুরী এম. এ. ডিগ্রি অর্জন করেন?
উত্তর: ইংরেজি সাহিত্য।

৪৭। প্রমথ চৌধুরী কোন সালে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: ১৮৯০ সালে।

৪৮। ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য প্রমথ চৌধুরী কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর: বিলাত।

৪৯। প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী ছিল?
উত্তর: বীরবল।

৫০। প্রমথ চৌধুরী কোন পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন?
উত্তর: সবুজপত্র।

৫১। বাংলা সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরী কোন বিশেষ পরিবর্তন আনেন?
উত্তর: চলতি ভাষারীতি প্রবর্তন করেন।

৫২। প্রমথ চৌধুরী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে।

৫৩। প্রমথ চৌধুরীর মৃত্যু কোথায় হয়?
উত্তর: কলকাতায়।

৫৪। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি কোথায় পঠিত হয়েছিল?
উত্তর: একটি লাইব্রেরির বার্ষিক সভায়।

Related Posts

Leave a Comment