আকাশ গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর

আবদুল্লাহ আল-মুতীর ‘আকাশ’ লেখাটিতে আকাশের নীল রঙের কারণ, মেঘের সাদা, কালো এবং লাল রঙের বৈচিত্র্য, এবং সকাল-সন্ধ্যার আকাশের রঙের পরিবর্তন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টে আকাশ গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।

Image with Link Descriptive Text

আকাশ গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন

১। আকাশ কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর: আকাশ মূলত গ্যাসের তৈরি। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অংশ, যেখানে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসের মিশ্রণ রয়েছে। এছাড়াও বায়ুমণ্ডলে পানির বাষ্প এবং ধুলোর কণা থাকে।


২। দিনের বেলা আকাশ নীল দেখায় কেন?
উত্তর: দিনের বেলা আকাশ নীল দেখায় সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণের কারণে। সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অণুগুলোর সাথে সংঘর্ষে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল আলো বেশি বিচ্ছুরিত হয়। তাই আকাশ নীল দেখায়।


৩। রাতের আকাশ কালো দেখায় কেন?
উত্তর: রাতের আকাশ কালো দেখায় কারণ সূর্যের আলো তখন পৃথিবীর অন্ধকার অংশে পড়ে না। চাঁদ এবং তারার আলো ছাড়া রাতের আকাশে কোনো আলোর উৎস থাকে না। তাই আকাশ কালো দেখায়।


৪। মেঘ সাদা দেখায় কেন?
উত্তর: মেঘ সাদা দেখায় কারণ এতে অসংখ্য ক্ষুদ্র পানির কণা থাকে, যা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে। এই প্রতিফলিত আলো সব রঙের মিশ্রণে সাদা দেখায়। মেঘের ঘনত্ব এবং পানির কণার আকারের কারণে এটি সাদা রঙ ধারণ করে।


৫। কালো মেঘের কারণ কী?
উত্তর: কালো মেঘের কারণ হলো মেঘে পানির কণাগুলো বড় এবং ঘন হয়ে যায়। এই ঘন মেঘ সূর্যের আলোকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না, ফলে মেঘের নিচের অংশ অন্ধকার দেখায়। এজন্য ভারি বৃষ্টির মেঘ সাধারণত কালো দেখায়।


৬। ভোরে বা সন্ধ্যায় আকাশ লাল দেখায় কেন?
উত্তর: ভোরে বা সন্ধ্যায় আকাশ লাল দেখায় কারণ সূর্যের আলো তখন তির্যকভাবে বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করে। এই দীর্ঘ পথে নীল আলো বিচ্ছুরিত হয়ে যায়, এবং লাল আলো সরাসরি আমাদের চোখে পৌঁছায়। এজন্য আকাশ লাল বা কমলা রঙের দেখায়।


৭। আকাশের রঙ পরিবর্তনের কারণ কী?
উত্তর: আকাশের রঙ পরিবর্তনের প্রধান কারণ সূর্যের আলোর কোণ এবং বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অণুগুলোর সাথে এর মিথস্ক্রিয়া। দিনের বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলো ভিন্ন কোণে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, ফলে আকাশের রঙ নীল, লাল বা কমলা হতে পারে।


৮। আগেকার দিনে মানুষ আকাশকে কী ভাবত?
উত্তর: আগেকার দিনে মানুষ ভাবত যে আকাশ পৃথিবীর ওপর একটি কঠিন ঢাকনা। কেউ কেউ মনে করত আকাশটি স্তরে স্তরে বিভক্ত। তারা আকাশকে রহস্যময় এবং দেবতাদের আবাসস্থল হিসেবে কল্পনা করত।


৯। আকাশের নীল রঙের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী?
উত্তর: আকাশের নীল রঙের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণ। সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অণুগুলোর সাথে সংঘর্ষে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল আলো বেশি বিচ্ছুরিত হয়। তাই আকাশ নীল দেখায়।


১০। মহাকাশযান কীভাবে আকাশ গবেষণায় সাহায্য করে?
উত্তর: মহাকাশযান আকাশ গবেষণায় সাহায্য করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এটি পৃথিবীর ছবি তোলে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয় এবং মহাকাশের রহস্য উদ্ঘাটন করে। মহাকাশযানের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে।


১১। মহাকাশে হাওয়া আছে কি?
উত্তর: মহাকাশে হাওয়া নেই বললেই চলে। মহাকাশ প্রায় শূন্য স্থান, যেখানে বায়ুমণ্ডলের মতো গ্যাসীয় স্তর নেই। এজন্য মহাকাশযানগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থায় অক্সিজেন এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।


১২। মহাকাশযান থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়?
উত্তর: মহাকাশযান থেকে পৃথিবীর আবহাওয়া, ফসলের অবস্থা, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও মহাকাশযান থেকে টেলিযোগাযোগ এবং টেলিভিশন সংকেত পাঠানো হয়, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে।


১৩। আকাশের রঙ সকালে এবং দুপুরে ভিন্ন হয় কেন?
উত্তর: সকালে এবং দুপুরে আকাশের রঙ ভিন্ন হয় সূর্যের আলোর কোণের কারণে। দুপুরে সূর্যের আলো সরাসরি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, ফলে আকাশ নীল দেখায়। সকালে আলো তির্যকভাবে প্রবেশ করে, ফলে লাল বা কমলা রঙ দেখা যায়।


১৪। মহাকাশযান থেকে কীভাবে যোগাযোগ করা হয়?
উত্তর: মহাকাশযান থেকে যোগাযোগ করা হয় রেডিও তরঙ্গ এবং স্যাটেলাইট সংকেতের মাধ্যমে। এই সংকেতগুলি পৃথিবীতে পাঠানো হয়, যা টেলিফোন, ইন্টারনেট এবং টেলিভিশন সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


১৫। আকাশের রঙ পরিবর্তনের সাথে মেঘের সম্পর্ক কী?
উত্তর: আকাশের রঙ পরিবর্তনের সাথে মেঘের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মেঘের ঘনত্ব এবং পানির কণার আকারের কারণে আকাশ সাদা, কালো বা লাল দেখায়। মেঘের অবস্থান এবং ঘনত্ব আকাশের রঙকে প্রভাবিত করে।


১৬। মহাকাশ গবেষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: মহাকাশ গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি পৃথিবীর আবহাওয়া, জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে তথ্য দেয়। এছাড়াও মহাকাশ গবেষণা যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে সাহায্য করে।


১৭। আকাশের রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞানীরা কীভাবে সাহায্য করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানীরা আকাশের রহস্য উদ্ঘাটনে সাহায্য করেন মহাকাশযান, টেলিস্কোপ এবং উপগ্রহ ব্যবহার করে। তারা বায়ুমণ্ডল, গ্রহ, নক্ষত্র এবং মহাকাশের অন্যান্য রহস্য নিয়ে গবেষণা করেন, যা আমাদের জ্ঞানকে প্রসারিত করে।

Related Posts

Leave a Comment