সুভা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সুভা” গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুভা একজন বোবা মেয়ে, যার হৃদয় অনুভূতিতে পূর্ণ, কিন্তু সে ভাষায় তা প্রকাশ করতে পারে না। তার কথা বলার ক্ষমতা না থাকলেও, তার চোখের ভাষা, অনুভূতি এবং প্রকৃতির প্রতি তার টান গল্পটিকে এক গভীর মানবিকতায় নিয়ে গেছে। এই পোস্টে সুভা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।

Image with Link Descriptive Text

সুভা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। সুভার আসল নাম কী?
উত্তর: সুভাষিণী

২। সুভার দুই বোনের নাম কী?
উত্তর: সুকেশিনী ও সুহাসিনী

৩। সুভা কী কারণে সবার থেকে আলাদা ছিল?
উত্তর: সে বোবা ছিল

৪। সুভার বাবার নাম কী?
উত্তর: বাণীকণ্ঠ

৫। সুভা গল্পের গ্রামটির নাম কী?
উত্তর: চণ্ডীপুর

৬। সুভার মা তাকে কী মনে করতেন?
উত্তর: গর্ভের কলঙ্ক

৭। সুভা তার মনের ভাব প্রকাশ করত কীভাবে?
উত্তর: বড় বড় কালো চোখের ভাষায়

৮। সুভা কোথায় গিয়ে একা বসতে ভালোবাসত?
উত্তর: নদীর তীরে

৯। সুভার প্রকৃতির প্রতি এত টান কেন ছিল?
উত্তর: প্রকৃতি তার বোবা হৃদয়ের ভাষা হয়ে উঠেছিল।

১০। সুভার প্রিয় দুটি গাভীর নাম কী?
উত্তর: সর্বশী ও পাঙ্গুলি

১১। সুভা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসত কোন প্রাণীগুলোকে?
উত্তর: গাভী, ছাগল ও বিড়ালছানা।

১২। সুভার বিশেষ বন্ধু কে ছিল?
উত্তর: গোঁসাইদের ছেলে প্রতাপ।

১৩। প্রতাপের প্রধান শখ কী ছিল?
উত্তর: ছিপ দিয়ে মাছ ধরা

১৪। প্রতাপ সুভাকে কী নামে ডাকত?
উত্তর: প্রতাপ সুভাকে ‘সু’ বলে ডাকত।

১৫। প্রতাপের দৃষ্টিতে সুভার সবচেয়ে বড় গুণ কী ছিল?
উত্তর: সে চুপচাপ থাকত ও বিরক্ত করত না।

১৬। সুভা প্রতাপের জন্য প্রতিদিন কী আনত?
উত্তর: পান সাজিয়ে আনত।

১৭। সুভার মনে কী গোপন ইচ্ছে ছিল?
উত্তর: অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করে প্রতাপকে চমকে দেওয়া।

১৮। সুভার কল্পনার রাজ্যে সে কী হতে চেয়েছিল?
উত্তর: পাতালের রাজকন্যা

১৯। ‘গর্ভের কলঙ্ক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সন্তান হিসেবে কলঙ্ক বা মায়ের জন্য লজ্জার কারণ

২০। ‘সুদীর্ঘ পল্লববিশিষ্ট’ শব্দগুচ্ছের অর্থ কী?
উত্তর: বড়ো পাতাবিশিষ্ট, এখানে চোখের পাতা বোঝানো হয়েছে

২১। সুভার বিয়ের প্রসঙ্গে তার বাবা কী সিদ্ধান্ত নেন?
উত্তর: তাকে কলকাতায় নিয়ে যাবেন।

২২। ‘ওষ্ঠাধর’ কী?
উত্তর: ওষ্ঠ (ঠোঁট) এবং অধর (নিচের ঠোঁট) মিলিয়ে ওষ্ঠাধর

২৩। ‘কিশলয়’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: গাছের নতুন পাতা

২৪। ‘তর্জমা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অনুবাদ, এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর

২৫। সুভা কার কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে?
উত্তর: তার বাবার কাছে

২৬। বাণীকণ্ঠ যখন মেয়ের কান্না দেখে, তখন তার কী হয়?
উত্তর: তার নিজের চোখেও অশ্রু এসে পড়ে।

২৭। বিদায়ের আগের রাতে সুভা কোথায় যায়?
উত্তর: তার প্রিয় গোয়ালঘরে

২৮। বিদায়ের সময় সে গাভীদের কীভাবে বিদায় জানায়?
উত্তর: গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদে

২৯। শেষ রাতে সুভা কোথায় গিয়ে বসে?
উত্তর: নদীর তীরে

৩০। সুভা প্রকৃতিকে কীভাবে অনুভব করত?
উত্তর: প্রকৃতি যেন তার বোবা মনের কথা বুঝতে পারত

৩১। ‘অস্তমান’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ডুবন্ত, সূর্য বা চন্দ্রের পশ্চিম দিকে অদৃশ্য অবস্থা

৩২। শেষ দৃশ্যে সুভা কী অনুভব করে?
উত্তর: প্রকৃতিকে যেন সে জড়িয়ে ধরে থাকতে চায়।

৩৩। সুভা গল্পটি কোন বইতে সংকলিত?
উত্তর: “গল্পগুচ্ছ”

৩৪। ‘অনিমেষ’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অপলক, পলকহীন

৩৫। গল্পে ‘বোবার ভাষা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বোবা মানুষও অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তবে তা সবাই বুঝতে পারে না

৩৬। সুভার বাবা ও মায়ের মধ্যে কে তাকে বেশি ভালোবাসতেন?
উত্তর: তার বাবা

৩৭। সুভার মা কেন তাকে পছন্দ করতেন না?
উত্তর: তিনি মনে করতেন সুভা তার গর্ভের কলঙ্ক

৩৮। সুভার পুরো নাম কী?
উত্তর: সুভার পুরো নাম সুভাষিণী।

৩৯। ‘উদয়াস্ত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উদয় + অস্ত, ওঠা ও ডুবে যাওয়া

৪০। সুভার চোখের বিশেষত্ব কী ছিল?
উত্তর: সুভার চোখ ছিল বড়, কালো এবং সুদীর্ঘ পল্লবযুক্ত, যা তার ভাব প্রকাশ করত।

৪১। ‘বিজন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নির্জন, জনশূন্য

৪২। ‘মহত্ত্ব’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মহৎগুণ বা মহানতা

৪৩। সুভা কীভাবে তার মনের ভাব প্রকাশ করত?
উত্তর: সুভা কথা বলতে পারত না, তাই সে তার চোখ ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করত।

৪৪। সুভা কোথায় বসে সময় কাটাত?
উত্তর: সুভা নদীতীরে বসে সময় কাটাত।

৪৫। ‘ছায়ালোক’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ছায়া ও আলো মিলিত অবস্থা, যেখানে কোনো বস্তুর আলো পড়ে ছায়া সৃষ্টি হয়।

৪৬। ‘তন্বী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ক্ষীণ ও সুগঠিত অঙ্গবিশিষ্ট

৪৭। ‘বাঁখারি’ কী?
উত্তর: কাঁধে ঝুলিয়ে বহন করার বাঁশের ফালি

৪৮। সুভার বন্ধু কারা ছিল?
উত্তর: সুভার বন্ধু ছিল গোয়ালের দুটি গাভী (সর্বশী ও পাঙ্গুলি), ছাগল, বিড়ালশাবক এবং প্রতাপ।

৪৯। প্রতাপ কে ছিল?
উত্তর: প্রতাপ ছিল গোঁসাইদের ছেলে, যে অকর্মণ্য ছিল এবং মাছ ধরা তার শখ ছিল।

৫০। সুভা প্রতাপকে কীভাবে সাহায্য করত?
উত্তর: সুভা প্রতাপকে পান সাজিয়ে দিত এবং তার কাজে সঙ্গ দিত।

৫১। ‘ঢেঁকিশালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: যে ঘরে ঢেঁকি রাখা হয়

৫২। ‘গার্হস্থ্য সচ্ছলতা’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পারিবারিক জীবনের সচ্ছলতা

৫৩। সুভা শেষবারের মতো নদীতীরে কী করল?
উত্তর: প্রকৃতির কাছে নিজেকে ধরে রাখার জন্য আবেদন করল।

৫৪। ‘চিরনিস্তব্ধ হৃদয় উপকূল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: শান্ত ও আবেগশূন্য হৃদয়

৫৫। ‘ঝিল্লিরব পূর্ণ’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ঝিঁঝি পোকার শব্দে মুখর

৫৬। ‘বিজনমূর্তি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নির্জন বা জনমানবশূন্য অবস্থা

৫৭। ‘গণ্ডদেশ’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: গাল

৫৮। ‘পূর্ণিমা তিথি’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পূর্ণিমার দিন, চাঁদের পূর্ণ রূপের সময়

৫৯। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ২৫শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ (৭ই মে ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ)

৬০। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবার

৬১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী?
উত্তর: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম কী?
উত্তর: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর

৬৩। রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: বনফুল

৬৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বনফুল কাব্যগ্রন্থ কত বছর বয়সে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৫ বছর বয়সে

৬৫। কোন সংকলনের জন্য রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: Gitanjali: Song Offerings

৬৬। কোন বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: ১৯১৩ সালে

৬৭। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে মারা যান?
উত্তর: ২২শে শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ (৭ই আগস্ট ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ)

৬৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কী উপাধিতে অভিহিত করা হয়?
উত্তর: বিশ্বকবি

Related Posts

Leave a Comment