‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক নিঃসঙ্গ রোগীর সঙ্গে একটি পথের কুকুরের বন্ধুত্বের কাহিনি, কিন্তু এর ভেতর এক অনন্য সহানুভূতি আর নির্লিপ্ত ভালোবাসার আবেগ জড়িয়ে আছে। অতিথি নামক কুকুরটি যেন নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের প্রতীক। সে কিছু চায় না, কেবল ভালোবাসা আর একটুখানি স্বীকৃতি। এই পোস্টে অতিথির স্মৃতি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর লিখে দিলাম।
অতিথির স্মৃতি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল ১। দরিদ্র বর্গাচাষি গফুরের অতি আদরের একমাত্র ষাঁড় মহেশ। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে ওকে ঠিকমত খড়-বিচুলি খেতে দিতে পারে না। জমিদারের কাছে সামান্য মড় দারিদ্র্যের কাপায় না। নিজে না খেয়ে থাকলেও গফুরের দুঃখ নেই। কিন্তু মহেশকে খাবার দিতে না পেরে তার বুক ফেটে যায়। সে মহেশের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে- মহেশ, তুই আমার ছেলে। তুই আমাদের আট সন প্রতিপালন করে বুড়ো হয়েছিস। তোকে আমি পেট পুরে খেতে দিতে পারি নে, কিন্তু তুই তো জানিস আমি তোকে কত ভালোবাসি। মহেশ প্রত্যুত্তরে গলা বাড়িয়ে আরামে চোখ বুজে থাকে।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওঘরে যাওয়ার কারণ কী?
খ. অতিথি কিছুতে ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে মহেশের প্রতি গফুরের আচরণে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের গফুরের সাথে লেখকের চেতনাগত মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন-‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তরঃ
ক) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওঘরে যাওয়ার কারণ চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য।
খ) অতিথি (কুকুরটি) কিছুতে ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না, কারণ তার মনে ভয় কাজ করত ও অপরিচিত ছিল। জীবনে হয়তো বহুবার তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অপমান সহ্য করতে হয়েছে, তাই আতিথ্য পেলেও সে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তার মনে অবিশ্বাস কাজ করছিল—মানুষ সত্যিই কি তাকে গ্রহণ করবে? সে তাই গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে শুধু ল্যাজ নেড়ে ভালোবাসার উত্তর দিয়েছিল। এ থেকেই বোঝা যায়, অবহেলিত প্রাণীর মনে ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, তারা সহজে বিশ্বাস করতে পারে না।
গ) গফুরের মহেশের প্রতি ভালোবাসা আর লেখকের অতিথির প্রতি মমতার মধ্যে গভীর সাদৃশ্য আছে। গফুর মহেশকে শুধু গরু নয়, নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসে, যেমন লেখক অতিথিকে কেবল একটি কুকুর নয়, একজন আপনজন হিসেবে দেখে। উভয় ক্ষেত্রেই চরিত্র দুটি দারিদ্র্য ও সামাজিক উপেক্ষার শিকার, কিন্তু তাদের মালিকদের স্নেহ ও যত্নের অভাব নেই। গফুর নিজে না খেয়ে থাকলেও মহেশের খাবারের জন্য ব্যাকুল, আর লেখকও অতিথির যত্ন নিতে চেয়েছিলেন, যদিও অন্যরা তাকে অবহেলা করেছে। দুজনেই বোঝেন, এরা কথা বলতে পারে না, তবু তাদের দুঃখ-সুখের অনুভূতি আছে। মহেশ যেমন গফুরের স্নেহে আশ্বস্ত হয়ে চোখ বুজে থাকে, অতিথিও লেখকের সান্নিধ্যে থেকে ধীরে ধীরে ভরসা করতে শুরু করে। তবে দুজনের পরিণতি করুণ—গফুর মহেশকে বাঁচাতে পারে না, আর অতিথিও শেষ পর্যন্ত একা হয়ে যায়। এই গল্পগুলো আমাদের শেখায়, ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, মানুষ আর পশুর মাঝেও গভীর বন্ধন গড়ে তুলতে পারে।
ঘ) গফুর ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের চেতনাগত মিল আছে, কারণ দুজনেই পশুর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ অনুভব করেন। গফুর মহেশকে নিজের সন্তানের মতো দেখে, যেমন লেখক অতিথি (কুকুরটিকে) আপনজনের মতো মনে করেন। উভয়েই দরিদ্র বা অসহায়, কিন্তু তাদের ভালোবাসায় কোনো কমতি নেই। তবে প্রেক্ষাপট আলাদা—গফুর এক অভাবী বর্গাচাষি, যার জীবনসংগ্রাম চরম দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে, আর লেখক স্বাস্থ্যের কারণে দেওঘরে আসা একজন শহুরে মানুষ। গফুর মহেশের খাবারের জন্য কষ্ট পায়, কিন্তু সমাজ তাকে সাহায্য করে না, বরং তার বিপদ বাড়ায়। অন্যদিকে, লেখক অতিথির যত্ন নিতে চাইলেও তার চাকর ও মালির বউ বাধা দেয়। দুই চরিত্রের ভালোবাসা এক হলেও, গফুরের গল্প দারিদ্র্যের নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরে, আর লেখকের গল্প মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম টানাপোড়েন দেখায়। তাই বলা যায়, চেতনা মিললেও পরিস্থিতিগত পার্থক্য স্পষ্ট।
সৃজনশীল ২। লালমনিরহাটের যুবায়ের প্রায় ১০ বছর ধরে তার পোষাহাতি কালাপাহাড়কে দিয়ে লাকড়ি টানা, চাষ করা, সার্কাস দেখানো ইত্যাদি কাজ করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে দারিদ্র্যের কারণে হাতির খোরাক জোগাড় করতে না পেরে একদিন সে কালাপাহাড়কে বিক্রি করে দিল। ক্রেতা কালাপাহাড়কে নিতে এসে ওর পায়ে বাঁধা রশি ধরে হাজার টানাটানি করে একচুলও নাড়াতে পারল না। কালাপাহাড়ের দুচোখ বেয়ে শুধু টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে। পরদিন খদ্দের আরও বেশি লোকজন সাথে করে এসে কালাপাহাড়কে নিয়ে যাবে বলে চলে যায়। কিন্তু ভোরবেলা যুবায়ের দেখে-কালাপাহাড় মরে পড়ে আছে। হাউমাউ করে সে চিৎকার করে আর বলে- ‘ওরে আমার কালাপাহাড়, অভিমান করে তুই চলে গেলি!’
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন পদক লাভ করেন?
খ. লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নিতে নানা অজুহাতে দিন দুই দেরি করলেন কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. কালাপাহাড়ের আচরণ ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির আচরণ কীভাবে ভিন্ন- বর্ণনা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের যুবায়ের এর অনুভূতি আর ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের অনুভূতি একই ধারায় উৎসারিত’- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তরঃ
ক) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।
খ) লেখক দেওঘরে কাটানো দিনগুলোর প্রতি একধরনের আবেগ অনুভব করছিলেন, বিশেষত সেই কুকুরটির প্রতি, যাকে তিনি ‘অতিথি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। অতিথির প্রতি তাঁর এক অদ্ভুত মমতা জন্মেছিল, যার ফলে বিদায় নেওয়ার সময় তিনি মানসিক টানাপোড়েনে ভুগছিলেন। তাই লেখক বিভিন্ন অজুহাতে দুই দিন দেরি করেন, যেন কিছুটা সময় আরও অতিথির সঙ্গে কাটানো যায়।
গ) কালাপাহাড়ের আচরণ এবং ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির (কুকুর) আচরণের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো প্রতিক্রিয়ার ধরনে।
কালাপাহাড়, যে যুবায়েরের পোষা হাতি, মালিকের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার শোক সহ্য করতে না পেরে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়। সে প্রতিবাদ করে না, কিন্তু তার দুচোখ বেয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ে।অন্যদিকে, ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথি (কুকুর) লেখকের প্রতি এক অনন্য আত্মীয়তার অনুভূতি প্রকাশ করে। সে লেখকের সঙ্গ চায়, তার দুঃখ বোঝাতে চায়, এমনকি লেখকের বিদায়ের দিন পর্যন্ত তার পাশে থাকে। কালাপাহাড়ের আচরণ মর্মান্তিক আত্মত্যাগের প্রতীক, আর ‘অতিথি’র আচরণ হলো নীরব ভালোবাসা ও একাকীত্বের অনুভূতি।
ঘ) মন্তব্যটি যথার্থ কারণ, যুবায়ের এবং ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের অনুভূতির মধ্যে গভীর এক মিল দেখা যায়।
যুবায়ের তার প্রিয় হাতি কালাপাহাড়কে বিক্রি করতে বাধ্য হয়, কিন্তু কালাপাহাড়ের মৃত্যু তাকে গভীর শোকে আচ্ছন্ন করে। সে চিৎকার করে কাঁদে, কারণ সে বুঝতে পারে, তার অবহেলা ও দারিদ্র্যের কারণে তার প্রিয় সঙ্গী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। অপরদিকে, ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকও এক অদ্ভুত বেদনায় আক্রান্ত হন, যখন তিনি অনুভব করেন, অতিথি (কুকুর) তাকে কতটা আপন মনে করেছিল। ট্রেন ছাড়ার সময় তিনি অতিথিকে অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন, এবং সেই দৃশ্য তার মনে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করে। উভয়ের অনুভূতি একই ধারায় উৎসারিত, কারণ দুজনেই তাদের প্রিয় সঙ্গীর প্রতি টান অনুভব করেন, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তারা তাদের সঙ্গে থাকতে পারেন না। দুজনেরই হৃদয়ে এক গভীর অভিমান ও অপরাধবোধ জন্ম নেয়।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল ৩। পাহাড়ি গ্রামের ছোট্ট কুঁড়েঘরে বৃদ্ধ রমিজুর একা বাস করত। তার সংসারে কেউ নেই, শুধু এক পোষা কুকুর “কালু” ছিল, যে সবসময় তার পাশে থাকত। একদিন প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির রাতে রমিজুর দেখল, কালু দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁপছে। দরজা খুলে তাকে ডাকল, কিন্তু কালু ভিতরে ঢুকল না। সে কেবল দরজার সামনে বসে ছিল, যেন কোনো এক অজানা কারণ তাকে ভিতরে আসতে বাধা দিচ্ছে। রমিজুর একবার ভাবল, কালুর ইচ্ছে হলে সে নিজেই আসবে। কিন্তু পরদিন সকালে সে দেখল, কালু দরজার সামনেই নিথর হয়ে পড়ে আছে।
ক. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক কে?
খ. মালিনী কুকুরটির প্রতি কী আচরণ করত?
গ. উদ্দীপকের কালুর আচরণ ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির আচরণের সঙ্গে কতটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়? বিশ্লেষণ করো।
ঘ. অতিথির না প্রবেশ করা কি তার আত্মসম্মানবোধের প্রকাশ? ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।
সৃজনশীল ৪। নদীর ধারে ছোট্ট একটি গ্রামে বৃদ্ধ আবদুল করিম একা বসবাস করত। একসময় তার পরিবার ছিল, কিন্তু এখন সে নিঃসঙ্গ। তার একমাত্র সঙ্গী ছিল একটি বকপাখি, যে প্রতিদিন সকালে এসে তার উঠোনে বসত। করিম সাহেব তাকে খেতে দিতেন, আর দুজনের মধ্যে এক ধরনের নিঃশব্দ বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল। একদিন প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হলো, আবদুল করিম ভেবেছিল বকপাখিটি আর আসবে না। কিন্তু পরদিন সকালে দেখল, পাখিটি তার উঠোনের এক কোণে নিথর হয়ে পড়ে আছে।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম কত সালে?
খ. অতিথির চলে যাওয়ার সময় লেখক কী অনুভব করেছিলেন?
গ. উদ্দীপকের বকপাখির পরিণতি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির ভাগ্যের সঙ্গে কীভাবে মিলে যায়?
ঘ. অতিথির বিদায় ও বকপাখির মৃত্যু কি একই ধরণের আবেগ ফুটিয়ে তোলে? ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল ৫। শহরের এক নির্জন পার্কে রফিক সাহেব প্রতিদিন বিকেলে বেঞ্চে বসে থাকেন। আশেপাশে কেউ থাকে না, শুধু একটি বেওয়ারিশ কুকুর আসে তার কাছে। রফিক সাহেব নিজের টিফিন থেকে কুকুরটিকে একটু খাবার দেন, আর হাত বুলিয়ে দেন মাথায়। ধীরে ধীরে কুকুরটি তার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ একদিন, রফিক সাহেব বেশ কয়েকদিন পার্কে আসতে পারেন না। যখন তিনি আবার আসেন, তখন দেখেন কুকুরটি সেই বেঞ্চের নিচে নিথর হয়ে পড়ে আছে।
ক. কুঞ্জ কী?
খ. অতিথি লেখকের বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কী করছিল? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের কুকুরটির পরিণতি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির পরিণতির সঙ্গে তুলনা করো।
ঘ. অতিথির অপেক্ষার সঙ্গে কুকুরটির অপেক্ষার মিল রয়েছে কি? ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল ৬। সৌরভের বাড়ির পাশের গলিতে এক বৃদ্ধ ভিখারি প্রতিদিন ভোরবেলা এসে বসে থাকত। কেউ তাকে তেমন একটা কিছু দিত না, কিন্তু সৌরভ তার টিফিন থেকে কিছু খাবার রেখে দিত ওই বৃদ্ধের জন্য। ধীরে ধীরে একদিন সৌরভের মনে হলো, বৃদ্ধটি যেন তারই পরিবারের একজন। কিন্তু হঠাৎ একদিন সৌরভ দেখে, বৃদ্ধ আর আসছে না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, বৃদ্ধটি আগের রাতে ঠান্ডায় কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন। সৌরভের চোখে জল চলে আসে।
ক. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে লেখক কুকুরটিকে কোথায় খেতে দিতেন?
খ. লেখকের অতিথি চলে যাওয়ার সময় কী ঘটেছিল?
গ. উদ্দীপকের বৃদ্ধ ভিখারির পরিণতি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির পরিণতির সাথে কীভাবে মেলে?
ঘ. সৌরভের অনুভূতি ও লেখকের অতিথিকে হারানোর বেদনায় কী ধরনের মিল আছে? ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল ৭। একদিন সন্ধ্যায় বৃষ্টি হচ্ছিল। রাস্তার ধারে একটা কাঁপতে থাকা ছোট বিড়ালছানা দেখল মীম। সে খুব কষ্ট পেল এবং বিড়ালটাকে বাসায় নিয়ে গেল। খাবার দিল, মুছে দিল, আর ধীরে ধীরে বিড়ালটাও তার সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেল। কয়েক মাস পর মীম যখন স্কুলে ছিল, তখন ঘরের জানালা খোলা ছিল, আর বিড়ালটি খেলার ছলে বাইরে চলে যায়। বিকেলে এসে মীম দেখে, তার আদরের বিড়ালটি রাস্তার ধারে পড়ে আছে—একটা গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছে।
ক. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে পীড়িত মেয়েদের মধ্যে কোন রোগটি সাধারণ ছিল?
খ. লেখক অতিথিকে প্রথম কোথায় দেখতে পান?
গ. উদ্দীপকের বিড়ালটির পরিণতি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির পরিণতির সাথে কীভাবে তুলনা করা যায়?
ঘ. মীমের অনুভূতি ও লেখকের অতিথিকে হারানোর যন্ত্রণা কীভাবে অভিন্ন? ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।