রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “নতুন দেশ” কবিতাটি শিশুর মনের কৌতূহল, কল্পনা এবং অজানার প্রতি ইচ্ছাকে খুব স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। শিশুটি নদীর ঘাটে বাঁধা নৌকা দেখে ভাবে, নৌকাটি কোথায় যাচ্ছে এবং সেই নতুন দেশ কেমন হবে। এই পোস্টে নতুন দেশ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।
নতুন দেশ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন
১। কবিতায় নদীর ঘাটে কী দেখা যায়?
কবিতায় নদীর ঘাটে একটি নৌকা বাঁধা দেখা যায়। শিশুটি নৌকাটি দেখে কল্পনা করে যে নৌকাটি দূরের কোনো নতুন দেশে যাচ্ছে। নৌকাটি জলের ঢেউয়ে দুলছে, যা শিশুটির মনে কৌতূহল জাগায়। কবি শিশুর এই কল্পনাপ্রবণ মনকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
২। শিশুটি নৌকা দেখে কী ভাবে?
শিশুটি নৌকা দেখে কল্পনা করে যে নৌকাটি দূরের কোনো নতুন দেশে যাচ্ছে। সে ভাবে, সেই নতুন দেশে নতুন মানুষ, নতুন প্রকৃতি এবং নতুন জীবনযাত্রা রয়েছে। শিশুটির মনে নতুন দেশের প্রতি আকাঙ্ক্ষা এবং কৌতূহল জাগে। কবি শিশুর এই কল্পনাকে খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
৩। কবিতায় শিশুটির মনে কী প্রশ্ন জাগে?
শিশুটির মনে প্রশ্ন জাগে, নৌকাটি কোথায় যাচ্ছে এবং সেই নতুন দেশ কেমন হবে। সে ভাবে, নতুন দেশে হয়তো অপার আনন্দ এবং বিস্ময় অপেক্ষা করছে। শিশুটির মনে নতুন দেশের প্রতি আকাঙ্ক্ষা এবং কৌতূহল জাগে। কবি শিশুর এই প্রশ্নগুলিকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
৪। কবিতায় শিশুটির মনে কী ইচ্ছা জাগে?
শিশুটির মনে নতুন দেশের প্রতি আকাঙ্ক্ষা জাগে। সে ভাবে, নৌকাটি দূরের কোনো নতুন দেশে যাচ্ছে, যেখানে নতুন মানুষ, নতুন প্রকৃতি এবং নতুন জীবনযাত্রা রয়েছে। শিশুটির মনে নতুন দেশের প্রতি কৌতূহল এবং আকাঙ্ক্ষা জাগে। কবি শিশুর এই আকাঙ্ক্ষাকে খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
৫। কবিতায় শিশুটি কেন নতুন দেশে যেতে চায়?
শিশুটি নতুন দেশে যেতে চায় কারণ তার মনে নতুন দেশের প্রতি আকাঙ্ক্ষা এবং কৌতূহল জাগে। সে ভাবে, নতুন দেশে নতুন মানুষ, নতুন প্রকৃতি এবং নতুন জীবনযাত্রা রয়েছে। শিশুটির মনে নতুন দেশের প্রতি আকাঙ্ক্ষা এবং কৌতূহল জাগে। কবি শিশুর এই আকাঙ্ক্ষাকে খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
৬। কবিতায় শিশুটি নতুন দেশের মানুষদের সম্পর্কে কী ভাবে?
শিশুটি নতুন দেশের মানুষদের সম্পর্কে কৌতূহল অনুভব করে। সে ভাবে, নতুন দেশের মানুষ কেমন হবে এবং তাদের জীবনযাত্রা কেমন হবে। শিশুটির মনে নতুন দেশের প্রতি আকাঙ্ক্ষা এবং কৌতূহল জাগে। কবি শিশুর এই কৌতূহলকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
৭। কবিতায় নতুন দেশকে রহস্যময় বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: কবিতায় নতুন দেশ রহস্যময় কারণ এটি একটি অজানা স্থান, যেখানে কী আছে, কেমন মানুষ বাস করে, কী ধরনের প্রাণী আছে—তা কেউ জানে না। এই রহস্যময়তাই শিশুর কল্পনাকে উজ্জীবিত করে এবং সে জানতে চায়, সেখানে কী আছে।
৮। ‘বরফ ভেঙে ডিঙিয়ে যাওয়া’ কেন সম্ভব নয়?
উত্তর: কারণ বরফ এত শক্ত এবং অপ্রতিরোধ্য যে কেউ সহজে তা পার হতে পারে না। শিশুটি নতুন দেশের কল্পনায় দেখে, সেখানে বরফাচ্ছাদিত পাহাড় আছে, যেখানে মানুষ সহজে চলাচল করতে পারে না।
৯। কবিতায় ‘সাগরের পারে’ কথাটি কী বোঝায়?
উত্তর: ‘সাগরের পারে’ বলতে বোঝানো হয়েছে কোনো দূরের দেশে, যেখানে সমুদ্র আছে, নারকেল বন আছে, এবং এক নতুন পরিবেশের সন্ধান মিলতে পারে। শিশুটি কল্পনা করে, সাগরের ওপারে যেতে পারলে সে নতুন দেশ দেখতে পাবে।
১০। কবিতাটিতে ‘ভাঁটার টানে’ কথাটি দিয়ে কী বোঝায়?
উত্তর: ‘ভাঁটার টানে’ অর্থ নদীর পানি যখন নীচের দিকে নামতে থাকে, তখন তার টানে যা কিছু থাকে তা ভেসে যেতে থাকে। কবিতায় বাঁধা নৌকাটি ভাঁটার টানে মাঝনদীতে চলে যায় এবং শিশুটি কল্পনা করে, এটি হয়তো কোনো নতুন দেশে পৌঁছবে।
১১। কবিতার শেষে শিশুটি বাবাকে কী প্রশ্ন করে?
উত্তর: কবিতার শেষে শিশুটি প্রশ্ন করে, “বাবা কেন আপিসে যায়, যায় না নতুন দেশে?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিশুর সরল চিন্তা প্রকাশ পায়। সে ভাবে, যেহেতু নৌকা ভেসে নতুন দেশে যেতে পারে, তাহলে তার বাবা কেন প্রতিদিন অফিসে যায়, কিন্তু কখনো নতুন দেশে যেতে চায় না?
১২। নতুন দেশের প্রকৃতির বর্ণনা কীভাবে দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: নতুন দেশকে নদী, সাগর, নারকেলবন, পাহাড় আর বরফে ঢাকা চূড়ার দেশ হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। সেখানে প্রকৃতি একেবারেই ভিন্নরকম, যেখানে নারকেল গাছ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, পাহাড়ের চূড়া আকাশ ছুঁতে চায়, এবং বরফ এত কঠিন যে কেউ সহজে পেরোতে পারে না।
১৩। শিশুটি কীভাবে নতুন দেশে যেতে চায়?
উত্তর: শিশুটি চায় নৌকার মতো ভেসে ভেসে নতুন দেশে যেতে। সে মনে মনে ভাবে, যদি সে নতুন নগরের বনভূমির দিকে যেতে পারত, তাহলে কত নতুন কিছু দেখা যেত! তার মনে আছে দুর্নিবার আকর্ষণ, যা তাকে অজানার পথে টেনে নিয়ে যেতে চায়।
১৪। শিশুটি নৌকা সম্পর্কে কী ভাবে?
উত্তর: শিশুটি ভাবে, বাঁধা নৌকাটি যখন মাঝনদীতে চলে গেল, তখন সেটি হয়তো কোনো নতুন দেশে পৌঁছবে। সে কল্পনা করে, সেখানে কেমন মানুষ থাকে, কী ধরনের পোশাক পরে, এবং সে দেশ দেখতে কেমন হতে পারে। শিশুটির মনে অজানাকে জানার প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়।