রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “মাঝি” কবিতা, যা তাঁর ছেলেবেলার স্বপ্ন, প্রকৃতি ও মা-র প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রকাশ করে। কবিতাটি একটি ছেলের মুখ থেকে তার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা তুলে ধরে, যেখানে সে নিজেকে এক দিন খেয়াঘাটের মাঝি হিসেবে দেখতে চায়। এই পোস্টে মাঝি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন – ৭ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
মাঝি কবিতার প্রশ্ন উত্তর (এক কথায়)
১। মাঝি কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
উত্তর: “মাঝি” কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শিশু’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
২। মাঝি’ কবিতায় কবির কোথায় যেতে ইচ্ছে করে ? কবিতায় সারেসারে কী বাঁধা রয়েছে?
উত্তর: কবির ইচ্ছে করে নদীটির ওই পারে যেতে, যেখানে সারে সারে বাঁধা রয়েছে ছোট ছোট ডিঙি নৌকা।
৩। ডিঙি নৌকা কোথায় বাঁধা রয়েছে? সন্ধ্যা হলে সবাই কোথায় থেকে ঘরে ফিরে?
উত্তর: ডিঙি নৌকাগুলি বাঁশের খোঁটায় বাঁধা রয়েছে। সন্ধ্যা হলে সবাই ঘরে ফিরে যায়, অর্থাৎ তারা তাদের ঘরে ফিরে যায়।
৪। ‘মাঝি’ কবিতায় শেয়ালগুলো কখন এবং কোথায় ডেকে ওঠে?
উত্তর: রাতদুপুরে শেয়ালগুলো ঝাউডাঙার ওপর ডেকে ওঠে।
৫। কবি বড়ো হলে কী হতে চান? মাঝি হওয়ার জন্য কার সম্মতির প্রয়োজন?
উত্তর: কবি বড়ো হলে খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান। মাঝি হওয়ার জন্য তার মায়ের সম্মতি প্রয়োজন।
৬। কৃষাণেরা কীভাবে নদী পার হয়ে যায়? রাখালের ছেলে কীভাবে নদী পার হয়ে যায়?
উত্তর: কৃষাণেরা লাঙল কাঁধে নিয়ে নদী পার হয়। রাখালের ছেলে গরু-মহিষ সাঁতরে নিয়ে নদী পার হয়ে যায়।
৭। ‘মাঝি’ কবিতায় কোন পাখির প্রসঙ্গ এসেছে? চখাচখি পাখি কখন আসে?
উত্তর: চখাচখি পাখির প্রসঙ্গ এসেছে, যা ঝাঁকে ঝাঁকে আসে, বিশেষত বর্ষাকালে।
৮। মাঝি কবিতায় শরের ভিতর কোন পাখি ঘর বেঁধেছে?
উত্তর: মানিকজোড় পাখি শরের ভিতরে ঘর বেঁধেছে।
৯। ‘কাদাখোচা’ ও ‘মানিকজোড়’ কীসের নাম?
উত্তর: ‘কাদাখোচা’ এক ধরনের পাখি, আর ‘মানিকজোড়’ একটি পাখির নাম, যেটি সোনালী রঙের থাকে।
১০। নৌকা পারাপারের ঘাটকে কী বলে? কবি নৌকা বেয়ে কোথায় যেতে চেয়েছেন?
উত্তর: নৌকা পারাপারের ঘাটকে খেয়াঘাট বলা হয়। কবি নৌকা বেয়ে নদীর দুই পারেই যেতে চেয়েছেন।
১১। কে জাল টেনে নেয়? চাঁদের আলো কোথায় লুটিয়ে পড়ে?
উত্তর: জেলে জাল টেনে নেয়। চাঁদের আলো সাদা কাশের বনে লুটিয়ে পড়ে।
১২। কবিকে কোথায় থেকে ছেলেমেয়েরা চেয়ে চেয়ে দেখবে?
উত্তর: স্নানের ঘাটে থেকে ছেলেমেয়েরা কবিকে চেয়ে চেয়ে দেখবে।
১৩। বাবার মতো কবি কোথায় যাবে না? বড়ো হলে কবি কী হতে চান?
উত্তর: কবি বাবার মতো বিদেশে যাবে না। বড়ো হলে কবি খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান।
১৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে জন্মগ্রহণ ও কত সালে মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
১৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
১৬। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে?
উত্তর: বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ এর রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৭। আঁধার, পাঁক, কাশ, শর ইত্যাদি শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
উত্তর:
- আঁধার: অন্ধকার।
- পাঁক: কাদা, জলাবদ্ধ মাটি।
- কাশ: তৃণজাতীয় গাছ।
- শর: নলখাগড়া গাছ।
মাঝি কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১) ‘মাঝি’ কবিতায় কবির নদীর ওপারে যেতে ইচ্ছে করে কেন?
উত্তর: কবি নদীর ওপারে যেতে ইচ্ছে করেন কারণ সেখানে জীবনের সরলতা এবং প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধন রয়েছে। নদীর ওপারে যে পরিবেশ, সেখানে কৃষকরা লাঙল কাঁধে নিয়ে কাজ করে, জেলে মাছ ধরে, রাখালরা গরু-মহিষ সাঁতরে নিয়ে যায়, এবং সন্ধ্যা হলে সবাই ঘরে ফিরে যায়। রাতের গভীরে শেয়ালও ডেকে ওঠে। কবির মন এই শান্ত, স্নিগ্ধ জীবন এবং প্রকৃতির কাছে থাকতে চায়, কারণ সেখানে এক ধরনের শুদ্ধতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তি রয়েছে যা তাকে মুগ্ধ করে।
২) বড়ো হয়ে কবি কী হতে চান এবং কেন হতে চান?
উত্তর: কবি বড়ো হয়ে খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান। তিনি এই পেশা পছন্দ করেন কারণ এতে প্রকৃতির সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে, এবং নদী পারাপারের কাজ করেই তিনি মানুষের সাহায্য করতে পারবেন। কবির মনে হয়, এই কাজ করার মাধ্যমে তার জীবন আরও সহজ, শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক হবে। তিনি চান, স্নানের ঘাটে ছেলেমেয়েরা তাকে দেখবে, এবং মা তাকে খাবার দিতে বলবে। এই ধরনের জীবনযাপন তাকে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম করতে এবং নিজের মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।
৩) ‘মাঝি’ কবিতায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে কার প্রতি এবং কেন?
উত্তর: ‘মাঝি’ কবিতায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে মায়ের প্রতি। কবি মায়ের কাছ থেকে অনুমতি চান এবং জানেন যে, মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া তার জীবনের কোন সিদ্ধান্তই সঠিক হবে না। কবি যখন বড়ো হবে, তখন মায়ের কাছ থেকে অনুমতি পেলে সে খেয়াঘাটের মাঝি হবে। মায়ের প্রতি এই ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা কবির জীবনের একটি বড় স্তম্ভ, কারণ মা ছাড়া তার জীবন পূর্ণতা পাবে না।
৪) ‘মাঝি’ কবিতাটিতে কি প্রকাশ পেয়েছে? কবিতার মূলভাব লেখ।
উত্তর: ‘মাঝি’ কবিতায় কবির মনে এক নিঃশব্দ কল্পনার জগত ফুটে উঠেছে। এখানে শিশুর সরলতা, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, এবং গ্রামীণ জীবনের শুদ্ধতা ও শান্তি প্রকাশ পেয়েছে। কবি বড়ো হয়ে খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান, যেখানে তিনি নদী পারাপারের কাজ করবেন। তাকে জীবনের সাধারণ আনন্দ এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে হবে। কবির কাছে নদী এবং তার পারাপারের কাজ যেন এক ধরনের স্বাভাবিক, স্নিগ্ধ জীবনের প্রতীক। কবি খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান কারণ তিনি চান, মায়ের আশীর্বাদে জীবনে শান্তি ও সহজতা আসুক।
৫) ‘মাঝি’ কবিতায় কিশোর কেন খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান?
উত্তর: কিশোর খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান কারণ তিনি মনে করেন যে, এই পেশার মাধ্যমে সে প্রকৃতির কাছে থাকতে পারবে। নৌকা চালানোর মাধ্যমে তাকে মানুষের সাহায্য করতে হবে, এবং সে এমন একটি জীবনে থাকতে চায় যেখানে সে প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধন অনুভব করতে পারে। নদী, নদীর ঘাট এবং পারাপারের কাজ তার কাছে খুব সহজ ও শান্তিপূর্ণ মনে হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তাকে দেখতে পাবে এবং তাকে অনুসরণ করবে, যা তাকে এক ধরনের স্নেহ, ভালোবাসা এবং আনন্দ দেবে।
৬) ‘মাঝি’ কবিতায় কবির পরিচয় দাও।
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনায় তিনি অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘বলাকা’, ‘পুনশ্চ’, ‘গোরা’, ‘অচলায়তন’, ‘কালান্তর’ তাঁর কয়েকটি বইয়ের নাম। ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতটি তাঁর রচিত। মাঝি কবিতাটি তাঁর ‘শিশু’ কাব্য থেকে নেওয়া।
মাঝি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
১। রচনামূলক প্রশ্নঃ (দৃশ্যপট নির্ভর )
মাঠের পরে মাঠ চলেছে।
নেই যেন এর শেষ
নানা কাজের মানুষগুলো ।
আছে নানান বেশ।
মাঠের মানুষ যায় মাঠে আর হাটের মানুষ হাটে,
দেখে দেখে একটি ছেলের। সারাটি দিন কাটে ।
ক) কবিতাংশে ‘মাঝি’ কবিতার যে দিকের সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
খ) কবিতাংশের ছেলেটির মাঝ ‘মাঝি’ কবিতার কিশোরের কোন ভাবনা সমার্থক ? তোমার যৌক্তিক মতামত দাও ।
ক) উত্তর: কবিতাংশটিতে একটি গ্রামীণ দৃশ্যের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যেখানে মাঠে কাজ করা মানুষদের বিভিন্ন কাজ এবং জীবনযাত্রার কথা বলা হয়েছে। ‘মাঝি’ কবিতার সঙ্গে এর সাদৃশ্য হচ্ছে, উভয় কবিতাতেই গ্রামীণ জীবন এবং প্রকৃতির মধ্যে একাত্ম হওয়া ফুটে উঠেছে।‘মাঝি’ কবিতায় কবি ছোট্ট ছেলেটির মাধ্যমে একটি নদীর ধারের জীবন দেখিয়েছেন, যেখানে কৃষকরা মাঠে কাজ করছেন, জেলে মাছ ধরছেন, রাখালরা গরু নিয়ে যাচ্ছে। এখানে কবি জীবনের সরলতা এবং প্রকৃতির শান্তিপূর্ণ জীবন কল্পনা করেছেন।এছাড়া, এই কবিতাংশেও বলা হয়েছে, “মাঠের পরে মাঠ চলেছে” এবং “নানা কাজের মানুষগুলো” বিভিন্ন কাজ করছে। এখানে সবকিছু সহজ, সরল, এবং প্রকৃতির সাথে মিলে-মিশে চলছে। সুতরাং, উভয় কবিতায় জীবনযাত্রা খুবই শান্তিপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক, যেখানে মানুষের কাজ প্রকৃতির সঙ্গেই সম্পর্কিত। এই কারণে ‘মাঝি’ কবিতার সাথে এই কবিতাংশের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। খ) উত্তর: কবিতাংশের ছেলেটি যে ভাবে মাঠের মানুষের কাজ দেখে সারাটা দিন কাটাচ্ছে, ঠিক তেমনি ‘মাঝি’ কবিতার কিশোরও তার জীবন নিয়ে কল্পনা করছে এবং সে নদীর ওপারে যেতে চায়, যেখানে কাজ করতে বা মানুষদের সাহায্য করতে পারে। ছেলেটির ক্ষেত্রেও মাঠের কাজ দেখে তার মনে আকর্ষণ জন্মাচ্ছে—এটা হয়তো তার ভবিষ্যতের দিকে এক ধরণের ইচ্ছের প্রতিফলন।‘মাঝি’ কবিতার কিশোরও একই ভাবে বড় হয়ে খেয়াঘাটের মাঝি হতে চায়। সে নদী এবং গ্রামীণ জীবনের মধ্যে নিজের জায়গা খুঁজছে। এই দুইটির মধ্যে মূল সাদৃশ্য হলো, তারা উভয়েই প্রকৃতির মধ্যে জীবন কাটাতে চায় এবং তাদের জীবনে সরলতা ও শান্তি আনতে চায়। ছেলেটি মাঠের কাজ দেখে আনন্দ পায়, ঠিক যেমন কিশোর খেয়াঘাটের মাঝি হতে চায়, কারণ সে সহজ জীবন এবং প্রকৃতির সাথে একাত্ম থাকতে চায়।অতএব, দুটি ভাবনাই প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত, এবং তারা নিজেদের কল্পনায় সেই জীবনের দিকে এগোতে চায়। |
২। রচনামূলক প্রশ্নঃ(দৃশ্যপট নির্ভর)
নৌকা তোমার ঘাটে বাঁধা আছে
যাবে কী অনেক দূরে?
সায়ে পড়ি, মাঝি, সাথে নিয়ে চল
মোরে আর ছোকানুরে।
আমারে চেনো না?
আমি যে কানাই
ছোকানু আমার বোন ।
তোমার সঙ্গে বেড়াব আমরা।
পদ্মা, মেঘনা, শোণ ।
ক) উপরের কবিতাংশের সঙ্গে ‘মাঝি’ কবিতার কোনো সাদৃশ্য আছে কী ? -ব্যাখ্যা কর।
খ) উপরের কবিতাংশের কিশোর ও ‘মাঝি’ কবিতার কিশোরের সঙ্গে তোমার জীবনের বা পরিপার্শ্বের সম্পর্ক বা মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ক) উপরের কবিতাংশে, কানাই এবং ছোকানু বড় নদী পদ্মা, মেঘনা, শোণ-এ নৌকা ভ্রমণে যেতে চায়, এবং তারা তাদের সঙ্গে মাঝিকে নিতে চায়। এটি ‘মাঝি’ কবিতার কিশোরের আকাঙ্ক্ষার সাথে মিল রাখে, যেখানে কিশোরও নদী পার হয়ে যেতে চায় এবং খেয়াঘাটের মাঝি হতে চায়।দুই কবিতাতেই এক ধরনের নদী এবং নৌকা কেন্দ্রিক জীবনধারা উঠে এসেছে। কবিরা তাদের জীবনে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চায়, সহজ জীবন এবং নদী-নৌকার মধ্যে তাদের সঙ্গী হতে চায়। যেমন কিশোর, ‘মাঝি’ কবিতায়, খেয়াঘাটে মাঝি হতে চায় এবং নদীর ওপারে যেতে চায়, ঠিক তেমনি কানাই ও ছোকানু বড় নদীতে নৌকা ভ্রমণের স্বপ্ন দেখে, এবং তারা সারা জীবন সেখানে কাটাতে চায়।এই ভাবে, উভয় কবিতাতেই একই নদী-প্রকৃতি এবং জীবনযাত্রার সরলতা চাওয়া হচ্ছে, যেখানে কিশোর এবং ছেলেরা এক ধরনের মুক্ত জীবনের স্বপ্ন দেখে। খ) আমার জীবনে বা পরিপার্শ্বে ‘মাঝি’ কবিতার কিশোর এবং উপরের কবিতাংশের কিশোরের ভাবনার সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে। আমরা যারা শহরে বড় হয়েছি, প্রায়ই মনে হয় যে প্রকৃতির কাছাকাছি, নদী-নালায় অথবা গ্রামের শান্ত পরিবেশে ফিরে গেলে জীবনের শান্তি পাবো। যেমন, ‘মাঝি’ কবিতার কিশোর বড় হয়ে খেয়াঘাটের মাঝি হতে চায়, নদী পার হয়ে সহজ জীবন কাটাতে চায়, ঠিক তেমনি কানাই এবং ছোকানু বড় নদীতে নৌকা ভ্রমণে যেতে চায়, প্রকৃতির মাঝে মগ্ন থাকতে চায়।এখন শহরের ব্যস্ততা, প্রযুক্তির যুগে, অনেক সময় মনে হয় প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে ফিরে গেলে আমাদের জীবন আরও সরল ও সুন্দর হতে পারে। এছাড়া, আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা নদী, খেয়াঘাট, গ্রামীণ জীবন এসবের প্রতি আকৃষ্ট। এইভাবে, কবির মধ্যে যে প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তা আমার জীবনের সাথে সম্পর্কিত। তাই বলতে পারি, যে ‘মাঝি’ কবিতার কিশোর এবং কানাই-ছোকানুর মতো ছেলেরা প্রকৃতির মধ্যে শান্তি ও সুখ খুঁজে পেতে চায়, তা আমার জীবনেও খুঁজে পাওয়া যায়। |
Related Posts
- স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৮ম শ্রেণির ১ম অধ্যায় (সবগুলো ছকের সমাধান)
- ৭ম শ্রেণির বাংলা ৫ম অধ্যায় ৫ম পরিচ্ছেদ (কল্পনানির্ভর লেখা)
- Class 7 English Chapter 1 (A Dream School)
- ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন ১ম অধ্যায়ের সমাধান (আকাশ কত বড় )
- ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় (সব ছকের সমাধান)
- সুখী মানুষ গল্পের মূলভাব – মমতাজ উদ্দিন আহমেদ
- আমার বাড়ি কবিতার মূলভাব, প্রশ্ন উত্তর ও বহুনির্বাচনি – ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা
- ৭ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ১ম অধ্যায় (কাজের মাঝে আনন্দ)
- জোঁক গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর – ৮ম শ্রেণির বাংলা
- আষাঢ়ের এক রাতে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ৭ম শ্রেণির বাংলা