মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য “মেঘনাদবধ কাব্য”-র ষষ্ঠ সর্গে “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” অংশে মেঘনাদ ও বিভীষণের দ্বন্দ্ব এক গভীর আন্তঃসংঘাতের ছবি ফুটিয়ে তোলে। এই পোস্টে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর
১. “লঙ্কার কলঙ্ক আজ ভন্তির আহরে।”- দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
এই উক্তির মাধ্যমে মেঘনাদ বোঝাতে চেয়েছেন যে, লক্ষ্মণকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি লঙ্কার কলঙ্ক মুক্ত করবেন। মেঘনাদের মতে, লক্ষ্মণ একজন অবমানিত ও নিম্নশ্রেণির ব্যক্তি, যিনি লঙ্কার পবিত্র যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেছে। মেঘনাদ মনে করেন, যুদ্ধের মাধ্যমে লক্ষ্মণকে হত্যা করে এবং তাকে যমালয়ে পাঠিয়ে লঙ্কার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে হবে।
২. “চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে”- পংক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
এই উক্তিটি মেঘনাদ বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছে। এখানে মেঘনাদ বলছেন যে, যিনি হীন বা নিকৃষ্ট জাতি বা শ্রেণির (যেমন চণ্ডাল) মানুষকে রাজা বা সম্মানের স্থানায় বসানো হচ্ছে, তা শুধু বিভীষণের জন্য। বিভীষণ লক্ষ্মণকে লঙ্কার রাজ্যে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিলেন, যা মেঘনাদ মনে করেন, অবমাননা ও অপমানের শামিল।
৩. “স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে”- কথাটি বুঝিয়ে দাও।
এই উক্তিটি মেঘনাদ বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। “স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে” দ্বারা মেঘনাদ বলতে চেয়েছেন, সৃষ্টিকর্তা সমস্ত কিছুকে নির্দিষ্ট নিয়মে স্থাপন করেছেন, ঠিক যেমন চাঁদ আকাশে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মেঘনাদ বিভীষণকে তার অবস্থান, আত্মমর্যাদা ও বংশগৌরব মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যাতে বিভীষণ তার দায়িত্বপূর্ণ কাজের প্রতি সজাগ হন।
৪. “শাস্ত্রে বলে, গুণবান যদি পরজন, গুণহীন স্বজন, তথাপি নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ পরঃ পরঃ সদা!”- বুঝিয়ে দাও।
এই শাস্ত্রবাক্য দ্বারা বোঝানো হয়েছে, গুণবান হলেও তিনি যদি পর ব্যক্তি হন, তবে গুণহীন হলেও স্বজনই শ্রেয়। অর্থাৎ, যিনি আপন, তিনি হয়তো গুণে হীন, তবে তাকে পরের তুলনায় শ্রেয় মনে করা হয়। মেঘনাদ এই কথাটি বিভীষণকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, যে, স্বজনের মূল্য সবার থেকে বেশি, যদিও তার গুণ কম।
৫. মেঘনাদ যজ্ঞাগারে বিষাদ অনুভব করেছিল কেন?
মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে বিষাদ অনুভব করেছিল কারণ সেখানে তার চাচা বিভীষণ লক্ষ্মণের সাহায্য করেছিলেন। মেঘনাদ যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে সেখানে অগ্নিদেবের পূজা করতে গেলে, লক্ষ্মণ তাকে পরাজিত করতে সেখানে প্রবেশ করেন। বিভীষণের সহযোগিতায় লক্ষ্মণ সেখানে পৌঁছান, যা মেঘনাদকে হতাশ এবং বিষণ্ন করে তোলে।
৬. “তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে বনবাসী।”- উক্তিটি কে কী প্রসঙ্গে করেছে?
মেঘনাদ তার পিতৃব্য বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করেছিলেন। তিনি জানাচ্ছিলেন, লক্ষ্মণকে “বনবাসী” হিসেবে এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে, অর্থাৎ যে ব্যক্তি বনবাসে (বিপদের সময়) অবরুদ্ধ, তাকে এখন এখানে প্রবেশ করানো হয়েছে, এবং এটি বিভীষণের কারণে হয়েছে। মেঘনাদ বিভীষণের এই ভূমিকার প্রতি অসন্তুষ্ট।
৭. “নিজ গৃহ পথ, তাত, দেখাও তস্করে”- ব্যাখ্যা কর।
এই উক্তিটি মেঘনাদ বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছে। এখানে তিনি বিভীষণকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেন, “নিজ গৃহ পথ দেখাও”—অর্থাৎ, তোমার নিজ বাসভূমিতে, যেখানে তুমি বসবাস কর, সেখানে লুকিয়ে থাকা উচিত ছিল, কিন্তু তুমি কেন আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করলে। মেঘনাদ বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
৮. লক্ষ্মণকে দুর্বল মানব বলে অভিহিত করা হয়েছে কেন?
মেঘনাদ লক্ষ্মণকে “দুর্বল মানব” বলেছেন কারণ লক্ষ্মণ অস্ত্রহীন অবস্থায়, অনৈতিকভাবে, মেঘনাদের যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেছেন এবং তাকে আক্রমণ করতে চেষ্টা করেছেন। মেঘনাদ মনে করেন, বীরের ধর্ম হলো অস্ত্রহীন কাউকে আক্রমণ না করা, এবং লক্ষ্মণের এই আচরণকে তিনি দুর্বলতা এবং কাপুরুষতা হিসেবে দেখেন।
৯. বিভীষণ নিজেকে রাঘবের দাস বলেছেন কেন?
বিভীষণ নিজেকে “রাঘবের দাস” বলেছেন কারণ তিনি রামের নৈতিক আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে তার পক্ষ গ্রহণ করেছেন। রাবণ, যিনি তার বড় ভাই, অত্যাচারী ও পাপী ছিলেন, তাই বিভীষণ রামের সঙ্গ নিয়ে সৎ পথ অবলম্বন করেছেন। তার মতে, রামই সত্য, ন্যায়, এবং ধর্মের প্রতীক, এবং তাই তিনি নিজেকে রামের দাস মনে করেন।
১০. “রাঘব দাস আমি’ কী প্রকারে তাঁর বিপক্ষে কাজ করিব”- বিভীষণ একথা কেন বলেছেন?
বিভীষণ এই উক্তিটি মেঘনাদের তিরস্কারের জবাবে বলেছেন। বিভীষণ জানান, তিনি রামের শিষ্য হয়ে তাঁর ন্যায়পথে আছেন। রাবণ তার অত্যাচারের কারণে কলঙ্কিত, আর বিভীষণ নিজেকে রামের দাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন থেকে তিনি আর রাবণের বিপক্ষে কাজ করতে পারবেন না, কারণ তিনি একবার রামের নীতির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন।
১১. মেঘনাদ লক্ষ্মণকে ‘ক্ষুদ্রমতি নর’ বলেছেন কেন?
মেঘনাদ লক্ষ্মণকে ‘ক্ষুদ্রমতি নর’ বলেছেন কারণ লক্ষ্মণ, যিনি সশস্ত্র ছিলেন, নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধের জন্য挑লেন। মেঘনাদ মনে করেন, এ ধরনের আক্রমণ নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং কাপুরুষতার পরিচয়। লক্ষ্মণের এভাবে যুদ্ধ করা তাকে ‘ক্ষুদ্রমতি’—অর্থাৎ দুর্বলচিত্ত ও কাপুরুষ বলে আখ্যায়িত করেছে মেঘনাদ।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর
১২। “চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে”-ব্যাখ্যা কর।
এই চরণটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে, অধম বা হীন চরিত্রের মানুষকে উত্তম বা মহৎ স্থানে বসানোর মানে হলো আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতি অবমাননা করা।
মেঘনাদ, বিভীষণের রামের প্রতি আনুগত্য দেখে তীব্র বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার মতে, বিভীষণ রামচন্দ্রের আদর্শ গ্রহণ করে, রাক্ষসকুলের একজন “চণ্ডাল” (হীন) ব্যক্তিকে রাজার আসনে বসানোর সমান কাজ করেছেন। বিভীষণের এই সিদ্ধান্তকে মেঘনাদ তাচ্ছিল্য করে এ কথা বলেন, কারণ তিনি রামকে একজন হীন চরিত্রের ব্যক্তিরূপে দেখেন।
১৩। মেঘনাদ কীভাবে লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছেন?
মেঘনাদ লক্ষ্মণকে হত্যা করে লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছিলেন।
লঙ্কায় প্রবেশের সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে লক্ষ্মণ রাজ্যের সুরক্ষা ও সম্মান নষ্ট করেছেন বলে মেঘনাদ মনে করতেন। তাঁর মতে, লক্ষ্মণ লঙ্কায় অগ্রহণযোগ্যভাবে প্রবেশ করে রাজ্যের কলঙ্ক সৃষ্টি করেছেন, তাই তাকে হত্যা করে লঙ্কার সেই কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছিলেন।
১৪। হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে। রাঘবের দাস তুমি’-উক্তিটিতে মেঘনাদ কী বুঝিয়েছেন?
এ উক্তিটি মেঘনাদ বিভীষণের প্রতি তাঁর ক্ষোভ ও অপমানের প্রকাশ।
মেঘনাদ, বিভীষণকে রামচন্দ্রের পক্ষ গ্রহণ করতে দেখে দুঃখিত হয়ে বলেন যে, বিভীষণ যেন মৃত্যুকে গ্রহণ করেন। তিনি শত্রুর পক্ষ গ্রহণ করে তাঁর বংশের মর্যাদা ও গৌরব নষ্ট করেছেন। তার মতে, বিভীষণ রামচন্দ্রের দাস হয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেছে, যা মেঘনাদ মনে করেন কলঙ্কজনক এবং দুর্দশাগ্রস্ত।
১৫। মেঘনাদ বিভীষণকে দ্বার ছাড়তে বলেছিল কেন?
মেঘনাদ বিভীষণকে দ্বার ছাড়তে বলেছিল কারণ সে অস্ত্রাগারে গিয়ে লক্ষ্মণের আক্রমণ প্রতিহত করতে চেয়েছিল।
যুদ্ধের প্রস্তুতির সময়, মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিভীষণের সহায়তায় লক্ষ্মণ যজ্ঞাগারে প্রবেশ করলে, মেঘনাদ অস্ত্র গ্রহণের জন্য অস্ত্রাগারে যেতে চেয়েছিলেন। সে সময় বিভীষণ তাঁর পথ রোধ করলে মেঘনাদ তাঁকে দ্বার ছাড়তে বলেছিলেন, যাতে সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারে।
১৬। “পাপপূর্ণ লঙ্কাপুরী, প্রলয়ে যেমতি/বসুধা, ডুবিছে লঙ্কা এ কালসলিলে?” ব্যাখ্যা কর।
এই চরণটি বিভীষণ মেঘনাদকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
বিভীষণ মেঘনাদকে তিরস্কার করে বলেন যে, রাবণের পাপের ফলস্বরূপ লঙ্কা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি তুলনা করেছেন, যেমন প্রলয়ের সময় পৃথিবী ডুবে যায়, তেমনি রাবণের দুরাচারে লঙ্কা ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বিভীষণের মতে, মেঘনাদের বাবা রাবণের অপরাধের জন্য লঙ্কার পতন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
১৭। মেঘনাদ কেন বিভীষণকে তিরস্কার করেন?
মেঘনাদ বিভীষণকে তিরস্কার করেছেন কারণ তিনি লক্ষ্মণকে সহায়তা করেছেন।
বিভীষণ, যিনি রাবণের ভাই, শত্রুর দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছেন, যা মেঘনাদের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে ধরা পড়ে। মেঘনাদ মনে করেন, বিভীষণ লঙ্কার বংশগৌরব এবং নৈতিকতাকে ত্যাগ করে শত্রুর সাথে হাত মেলানোয় লঙ্কার দুর্ভাগ্য ডেকে আনছেন।
১৮। “গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি”- চরণটি ব্যাখ্যা কর।
এই চরণটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, যে ব্যক্তি নিচু বা হীন লক্ষ্য নিয়ে চলেন, তার কর্মও হবে হীন।
এটি বিভীষণের আচরণকে ব্যাখ্যা করে, যেখানে তিনি তাঁর স্বার্থের জন্য রামচন্দ্রের পক্ষ গ্রহণ করেছেন এবং তার মাধ্যমে জাতিগত, ধর্মীয় এবং পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতি অবমাননা করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত এবং কর্মকে “নীচ” বা হীন মনে করা হয়েছে।
১৯। মেঘনাদ কেন অগ্নিবেদতার পূজা করেন?
মেঘনাদ যুদ্ধজয় নিশ্চিত করতে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করেন।
মেঘনাদ রামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করে, যাতে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হতে পারেন। এটি তার ধর্মীয় ও যান্ত্রিক প্রস্তুতির অংশ ছিল, যা যুদ্ধের সফলতা অর্জনের জন্য অপরিহার্য মনে হয়েছিল।
২০। “জানিনু কেমনে আসি লক্ষ্মণ পশিল রক্ষঃপুরে।”- মেঘনাদ এ কথা কেন বলেছিলেন?
এ কথাটি মেঘনাদ বিভীষণের সহায়তায় লক্ষ্মণের গোপনে যজ্ঞাগারে প্রবেশের বিষয়টি বুঝতে পেরে বলেছেন।
মেঘনাদ বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন যে, লক্ষ্মণ কীভাবে এমন কঠোর নিরাপত্তা অতিক্রম করে যজ্ঞাগারে প্রবেশ করতে সক্ষম হলেন। বিভীষণের সহায়তায় এই ঘটনা ঘটে, যা মেঘনাদের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল।
২১। “চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে?”- এ কথা কেন বলা হয়েছে?
এই উক্তিটি মেঘনাদ বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা ও তার রামচন্দ্রের প্রতি আনুগত্য দেখে বলেছেন।
মেঘনাদ রাক্ষসকুলের সদস্য হয়ে বিভীষণের রামপক্ষে যোগদানকে অত্যন্ত অপমানজনক মনে করেন। তিনি বিভীষণের এই সিদ্ধান্তকে “চণ্ডালকে রাজার আসনে বসানোর” সমান বলে অভিহিত করেছেন, যা তার মতে রাক্ষস বংশের মর্যাদার পরিপন্থী।
২২। “হায়, তাত, উচিত কী তব/এ কাজ?”- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
“হায়, তাত, উচিত কি তব/এ কাজ?”- এখানে বিভীষণের জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব এবং জাতি জলাঞ্জলি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে। রামানুজ লক্ষ্মণকে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিয়ে আসার কথা বর্ণিত হয়েছে।
স্বর্ণলঙ্কাপুরীকে রামচন্দ্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধজয় নিশ্চিত করতে মেঘনাদ সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে। যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা করতে যায়। সেখানে মায়াদেবী এবং বিভীষণের সহায়তায় শত্রু লক্ষ্মণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধের আহ্বান করে। শত্রুকে পথ চিনিয়ে ঘরে নিয়ে আসা উচিত হয়েছে কিনা তা জিজ্ঞেস করেছে মেঘনাদ তার পিতৃব্য বিশ্বাসঘাতক বিভীষণের কাছে।
Related Posts
- প্রতিদান কবিতার মূলভাব বা পাঠ পরিচিতি সহজ ভাষায়
- লালসালু উপন্যাসের মূলভাব PDF সহ সংক্ষেপে ও সহজ ভাষায়
- ঐকতান কবিতার মূলভাব সহজ ভাষায়- একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- সাম্যবাদী কবিতার মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি (MCQ)
- বায়ান্নর দিনগুলো সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর)
- বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- আঠারো বছর বয়স কবিতার মূলভাব – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- তাহারেই পড়ে মনে কবিতার MCQ PDF সহ প্রশ্ন ও উত্তর
- বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা