সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা অর্থসহ – surah hashr last 3 ayat bangla

মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআনুল কারীমের মোট ১১৪ টি সূরা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সূরা হাশর। এটি কুরআনের ৫৯ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ২৪ টি। সূরা হাশর মক্কায় অবতীর্ণ হওয়ার কারণে একে মাক্কী সূরাও বলা হয়। আজকের পোস্টে আমরা সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা অর্থসহ তুলে ধরলাম।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা অর্থসহ

মানবজাতির হিদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে কুরআনুল কারীম সর্বশেষ গ্রন্থ। কুরআন মাজীদের ১১৪ টি সূরার বিভিন্ন সূরাগুলার আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে। তবে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা) কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই আয়াতকে খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। কারণ এই আয়াত পাঠকারী ঐদিন মৃত্যুবরণ করলে তাকে শহীদদের মর্যাদা দেওয়া হবে।

সূরা হাশর শেষ তিন আয়াত

আয়াত
নং
আয়াত
২২هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَٰلِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ هُوَ ٱلرَّحْمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ
২৩هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْمَلِكُ ٱلْقُدُّوسُ ٱلسَّلَٰمُ ٱلْمُؤْمِنُ ٱلْمُهَيْمِنُ ٱلْعَزِيزُ ٱلْجَبَّارُ ٱلْمُتَكَبِّرُ سُبْحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ
২৪هُوَ ٱللَّهُ ٱلْخَٰلِقُ ٱلْبَارِئُ ٱلْمُصَوِّرُ لَهُ ٱلْأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ يُسَبِّحُ لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারণ

আয়াত
নং
বাংলা উচ্চারণ
২২হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম।
২৩হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন।
২৪হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা অর্থ

আয়াত
নং
বাংলা উচ্চারণ
২২তিনিই আল্লাহ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।
২৩তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্নশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র।
২৪তিনিই আল্লাহ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত

মহাগ্রন্থ আল কুরআনের যতগুলো সূরা রয়েছে সব সূরার আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম এর বর্ণনামতে, হাদিস অনুযায়ী সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। যে ব্যক্তি এই আয়াতে পাঠ করবে এবং যদি ঐদিন মারা যায় তাহলে পাঠকারী শহীদদের মর্যাদা লাভ করবে।

মাকাল বিন ইয়াসার (রা,) থেকে বর্ণিত,

 রাসুল (সা.) বলেন, 

‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়বে। এরপর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন; যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ 

(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩০৯০; আবু দাউদ, হাদিস : ২৯২২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১৯৭৯৫; কানজুল উম্মাল, হাদিস : ৩৫৯৭)

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার নিয়ম

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবিতে পড়তে হবে। তবে আমি উপরে বাংলা উচ্চারণ দিয়েছি। যারা আরবি পড়তে না পারেন তারা বাংলা উচ্চারণ দেখে পড়লেও হবে। সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার আগে প্রথমে “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়ে নিবেন। কারণ প্রত্যেকটি সূরার আয়াত পড়ার আগেই শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার আগে কি পড়তে হয়?

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার আগে তিন বার “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়তে হয়।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত কখন পড়তে হয়?

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সকালে পড়তে হয় যাতে করে ফেরেশতারা সকাল থেকে সন্ধ্যার পর্যন্ত ওই ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে থাকে এবং রাতে আবার পড়তে হয় যাতে ওই ব্যক্তি মারা গেলে শহীদের মর্যাদা লাভ করে

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার নিয়ম কি?

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার আগে প্রথমে “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়ে নিবেন। কারণ প্রত্যেকটি সূরার আয়াত পড়ার আগেই শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত কি?

মহাগ্রন্থ আল কুরআনের যতগুলো সূরা রয়েছে সব সূরার আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম এর বর্ণনামতে, হাদিস অনুযায়ী সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। যে ব্যক্তি এই আয়াতে পাঠ করবে এবং যদি ঐদিন মারা যায় তাহলে পাঠকারী শহীদদের মর্যাদা লাভ করবে।

Related Posts