ইসলাম শিক্ষা ৮ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় (সব ছকের সমাধান)

মানব জাতিকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে অনেক নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। আজকের পোস্টে আমরা ইসলাম শিক্ষা ৮ম শ্রেণি ১ম অধ্যায়ের সব ছকের সমাধান করে দিলাম।

ইসলাম শিক্ষা ৮ম শ্রেণি ১ম অধ্যায়

মহান আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা, আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক তৈরি করা, মানুষকে সরল সঠিক পথ দেখানো,পরকাল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসা, আল্লাহর বিধি বিধান মেনে চলার প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং ভ্রান্ত পথ ও মত দূর করে সত্য দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নবি-রাসুল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ১ম অধ্যায় সমাধান

ইমানের পূর্ণতার জন্য ইসলামের ৭টি মৌলিক বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। নবি-রাসুলগণ মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁরা আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক মনোনীত। তিনি তাঁদের সব ধরনের চারিত্রিক ও মানবিক দোষত্রুটি থেকে রক্ষা করেন। তাঁদের প্রত্যেকেই ছিলেন মাসুম বা নিষ্পাপ।

জোড়ায় কাজ

মহান আল্লাহর পরিচয় তথা আসমাউল হুসনা জানার মাধ্যমে আল্লাহ সম্পর্কে তোমার নতুন যে যে বিশ্বাস
তৈরি হলো:


১. আমরা যদি আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তাহলে আল্লাহ আমাদের গুনাহ মাফ করে দিবেন।

২. আমরা যদি কোন বিপদ ও হতাশাগ্রস্ত হই তাহলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবো ,তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করবেন।

৩. আমরা আল্লাহর যাবতীয় আদেশ অনুসরণ করব ৷ আল্লাহর জন্যই সমগ্র সৃষ্টি জগতকে ভালোবাসবো ,তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে ভালবাসবেন।

৪. আমরা কোনো অন্যায় ও অপরাধ করলে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব, তাহলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন।

প্রতিফলন ডায়েরি লিখন


১. আল্লাহ তা‘আলার কাছে মাফ চাইলে, তিনি আমাদের মাফ করে দেন। আমরাও যথাসম্ভব অন্যকে মাফ করে দিবো।

২. আল্লাহ তাআলা মানুষকে ভালোবাসেন ৷ আমরাও আল্লাহর জন্য সমগ্র সৃষ্টি জগতকে ভালোবাসবো

৩. আল্লাহ তা’য়ালার কাছে সাহায্য চাইলে , আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করেন ৷ আমরাও অসহায় গরিব দুঃখীদেরকে যথাসম্ভব সাহায্য করব।

৪. আল্লাহ তা’’য়ালা কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী ৷ আমরা আল্লাহর মুখাপেক্ষী হবো ৷ তার ওপর ভরসা করতে শিখবো।

১০ পৃষ্ঠা

যেসব বিশ্বাস ও কাজের মাধ্যমে রাসুলগণের প্রতি আমার ইমান দৃঢ় করবো
(উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে নির্ধারিত ছকটি তুমি বাড়িতে প্রতিফলন ডায়েরিতে পূরণ করো।)

ক্রমিকবিশ্বাসসমূহকাজসমূহ
সকল নবি-রাসুল আল্লাহর পক্ষ
থেকে প্রেরিত।
নবি-রাসুলগণ ছিলেন উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তাঁদের অনুসরণ করে আমিও উন্নত চরিত্রের অধিকারী হবো।
আল্লাহর প্রেরিত নবী রাসূলগণ সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক।আমিও নবী রাসূলগণকে অনুসরণ করে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলবো।
নবী রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের অংশ।নবী রাসূলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবো এবং সকল আদর্শ অনুসরণ করব।
নবী-রাসূলগণ ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ।আমিও নবী-রাসুলের আদর্শ অনুসরণ করে সৎ ও ভালো কাজে নিজেকে পরিচালনা করব।

পৃষ্ঠা ১৬

‘কিয়ামত সম্পর্কে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের ধারণা’

(প্রিয় শিক্ষার্থী, তুমি তোমার প্রতিফলন ডায়েরিতে উপরোক্ত শিরোনামের আলোকে ছকটি পূরণ করবে। এক্ষেত্রে, পরিবারের সদস্য/প্রতিবেশি/সহাপাঠীর ধারণা জানতে পারো।)

ক্রমিকপরিবারের সদস্যবিশ্বাসসঠিক/ভুল
১.বড় ভাইইসরাফিল (আ.)-এর শিঙ্গায় ফুৎকারের মাধ্যমে কিয়ামত শুরু হবে।সঠিক
২.বড় বোনচন্দ্র ও সূর্য একত্রিত হয়ে যাবেসঠিক
৩.মাপৃথিবী প্রবল কম্পনে কম্পিত হবেসঠিক
৪.বাবাসূর্য আলোহীন হয়ে যাবেসঠিক

পৃষ্ঠা ১৯

পুনরুত্থান দিবসে আল্লাহর রহমত প্রাপ্তি এবং আযাব থেকে দূরে থাকার জন্য করণীয় উল্লিখিত শিরোনামে বাস্তব জীবনে তুমি/তোমরা কী কী কাজ করবে এবং কী কী কাজ থেকে দূরে থাকবে, দলে আলোচনা করে একটি তালিকা তৈরি করে উপস্থাপন করো।

যে যে কাজ করবোযে যে কাজ করবো না
নিয়মিত নামাজ কায়েম করব এবং যাকাত আদায় করবো।গুনাহ হয় এমন কাজগুলো করবো না।
অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য ও দয়া করবো।আল্লাহ ছাড়া আর কারো সামনে সেজদা বা মাথানত করবো না।
পবিত্র কোরআন অনুসরণ করব এবং তাকওয়া অবলম্বন করবো।আমানতের খেয়ানত করবো না।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর হুকুম মেনে চলবো।কাউকে ঠকাবো না এবং মিথ্যা বলবো না।
আল্লাহকে ভালবাসবো এবং নেক আমল করবো।কারো হক নষ্ট ও আত্মসাৎ করবো না।
নবীজি (সা)-এর তরিকা অনুসরণ করবো।কারও নামে গীবত করবো না।

তাকদিরে বিশ্বাসের ফলে তোমাদের জীবনে কী কী পরিবর্তন হতে পারে বলে তোমরা মনে করো।
শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক তোমরা উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে জোড়ায় বিভক্ত হয়ে আলোচনা করে উপস্থাপন করো।


১. মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল বেড়ে যাবে।

২. একমাত্র আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা আদায় করব।

৩. মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইবো।

৪. ভালো খারাপ অবস্থায় মহান আল্লাহর উপর ধৈর্য রাখবো।

পৃষ্ঠা ২২

পরকালে শাফা‘আত লাভের জন্য ব্যক্তি, পরিবার,বিদ্যালয় ও সমাজ জীবনে আমি যেসব ভাল কাজ করবো এবং যেসব মন্দ কাজ পরিহার করবো।

শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক তোমরা উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে জোড়ায় আলোচনা করে উপস্থাপন করো।

ক্ষেত্রসমূহযেসব ভালো কাজ করবোযেসব মন্দ কাজ পরিহার করবো
ব্যক্তিগত জীবনেকুরআন তিলাওয়াতরোযা ভঙ্গ করবো না
পরিবারেবাবা মাকে কাজে সাহায্য করবো।বাবা মায়ের অবাধ্য হবো না।
বিদ্যালয়েশিক্ষকদের সম্মান করবো।বন্ধুদের সাথে ঝগড়া করবো না।
সমাজেসমাজের মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকবো।গীবত করবো না

পৃষ্ঠা ২৫

শিরক হয়/হতে পারে এমন কাজগুলোর তালিকা তৈরি করো।


১. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কাউকে ইবাদাতের মালিক মনে করা।

২. কোন কিছুকে শুভ-অশুভ বা ভবিষ্যৎ কথন ও কুলক্ষণ-সুলক্ষণ মনে করা।

৩. ইবাদতের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর নামের জিকির করা।

৪. আল্লাহর ইলম ও ক্ষমতার সঙ্গে অপর কারো ইলম ও ক্ষমতার তুলনা করা।

পৃষ্ঠা ২৭

দৈনন্দিন জীবনে শিরক থেকে দূরে থাকার জন্য আমি যেসব ভালো কাজ করবো এবং যেসব মন্দ কাজ বর্জন করবো।
(উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে নির্ধারিত ছকটি শ্রেণিতে পূরণ করবে।)

ক্রমিককরণীয়বর্জনীয়
আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করব।একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য চাইবো না।
একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করব।আল্লাহর ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক করব না।
একমাত্র আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবো।আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন বস্তু ও ব্যক্তিকে সেজদা করব না।
সকল কাজে আল্লাহর উপর বিশ্বাস করব।আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর জন্য কোন কিছু মানত করবো না।
আল্লাহ সকল সৃষ্টির এবং ক্ষমতার মালিক তা বিশ্বাস করব ও অন্তরে ধারণ করব।কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করবো না।

Related Posts