অদৃশ্য প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই সমাধান ৫ম অধ্যায়

অদৃশ্য প্রতিবেশী বলতে এই অধ্যায়ে ভাইরাস, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি ধরনের অণুজীবকে বোঝানো হয়েছে। আজকের পোস্টে আমরা অদৃশ্য প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই সমাধান ৫ম অধ্যায় করে দিলাম।

অদৃশ্য প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণি

আমাদের চারপাশে আমরা ছোট-বড় অনেক জীব দেখতে পাই। এগুলোর কেউ উদ্ভিদ, কেউ প্রাণী। এগুলোকে খালি চোখে দেখা যায়। এগুলোর বাইরে জীবগতের যে অংশকে আমরা খালি চোখে দেখি না, তবে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন অণুবীক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করে দেখা যায়, তাই অণু জীবজগৎ।

৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান অদৃশ্য প্রতিবেশী

ভাইরাস, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি ধরনের অণুজীব আমাদের পরিবেশে ছড়়িয়়ে ছিটিয়়ে আছে। এগুলো অধিকাংশই আমাদের উপকার করে। তবে কিছু কিছু অণুজীব আছে, যেগুলো আমাদের দেহে রোগ সৃষ্টি করে।

অদৃশ্য প্রতিবেশী ছক ১

তোমাদের সংগৃহীত তথ্য নিচের ছকে লিখে রাখো।

জোড়া/দলের নাম: শাপলা

এলাকার ঠিকানা: সুন্দরগঞ্জ

সংক্রামক
রোগের নাম
এ সংক্রামক
রোগে আক্রান্ত
লোকের সংখ্যা
কোন অণুজীব এ রোগের জন্য দায়ী?এ সংক্রামক রোগের
লক্ষণ কী কী?
কীভাবে এ সংক্রামক
রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোোধ করা যায়?
জলাতঙ্ক৪ জনরেবিস ভাইরাস নামক এক ধরনের অণুজীব এ রোগের জন্য দায়ীএ সংক্রামক রোগে প্রথমে জ্বর দেখা দেয়।তারপর অস্বাভাবিক এক বিষণ্ণতা, ভয়ানক খিঁচুনি ও পানি দেখলে ভয় পাওয়া ৷এই সংক্রামক রোগ হলে রোগের টিকা দিতে হবে।
এ রোগ কুকুর ও অন্যান্য প্রাণী থেকে ছড়ায় বলে এদের কামড় থেকে দূরে থাকতে হবে।

ছক ২

তোমরা অণুজীব সম্পর্কে যে নতুন ধারণা পেয়েছ, তার ভিত্তিতে তোমাদের এলাকায় যেসব সংক্রামক রোগের কথা তোমরা জেনেছ সেগুলোকে আবার দলে আলোচনা করো। এখন ভেবে দেখো, এই অণু জীবেরা মানুষের কী ধরনের রোগের জন্য দায়ী? তোমরা ইতোমধ্যে যেসব রোগ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছ সেগুলোর মধ্যে কোন কোন রোগ এদের মাধ্যমে ছড়ায়? এসব অণুজীবের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কী কী মিল দেখতে পাচ্ছ? আলোচনার পর ছক-২ পূরণ করে নাও।

জোড়া/দলের নাম: শাপলা

সংক্রামক
রোগের নাম
কোন অণুজীব
এ সংক্রামক
রোগের জন্য দায়ী
এ সংক্রামক রোগের
লক্ষণ কী কী?
কীভাবে এ সংক্রামক
রোগের প্রতিকার ও
প্রতিরোধ করা যায়?
এ সংক্রামক রোগ
থেকে বাঁচতে কী
কী স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
গড়ে তোলা উচিত?
১। জলাতঙ্ক রেবিস ভাইরাস অণুজীব
এ সংক্রামক
রোগের জন্য দায়ী
জ্বর, খিঁচুনি, পানি দেখলে ভয় পাওয়া।টিকা দিতে হবে।
প্রাণীর কামড় থেকে দূরে থাকতে হবে।
গৃহপালিত প্রাণীদের টিকা দিতে হবে।
২। কলেরাব্যাকটেরিয়া অনুজীবের কারণে হয়।পাতল পায়খানা, বমি ও পানি শূন্যতাবিশ্রাম ও পর্যাপ্ত স্যালাইন খেতে হবে।
নিরাপদ পানি ও খাদ্য খেতে হবে।
পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে ও টাটকা খাবার খেতে হবে।
৩। ইনফ্লুয়েঞ্জাফ্লু ভাইরাস এ সংক্রামক রোগের জন্য দায়ীজ্বর, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি।এন্টিভাইরাস অথবা টিকা দিতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।ঘন ঘন হাত ধোয়া ও মাস্ক পরিধানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

কীভাবে অন্যদের সচেতন করা যায় সে বিষয়ে দলের সবার সাথে আলোচনা করে পরিকল্পনা করো। তোমার এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি পালিত হতে দেখেছ? এই কর্মসূচিতে তোমরা চাইলে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে পারো। শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনা করো। তোমার দলের পরিকল্পনা নিচে লিখে রাখো।


আমাদের দলের সবাই মিলে টিকাদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করব। আমাদের পরিকল্পনা মানুষকে সংক্রামক রোগ থেকে প্রতিরোধ করা। যেসব এলাকায় সংক্রামক রোগ বেশি ছড়ায় তার তালিকা করে মানুষকে সচেতন করব। দলের সবাই মিলে লিফলেট, ব্যানার ইত্যাদি বানিয়ে সংক্রামক রোগ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানাবো।

ফিরে দেখা

টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলে? কেমন লাগলো এই অভিজ্ঞতা?


হ্যাঁ, আমরা টিকাদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এই অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে দারুণ লেগেছে ৷ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করার জন্য মানুষসহ বিভিন্ন গৃহপালিত প্রাণীদেরও টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকা দেওয়ার পাশাপাশি আমরা মানুষকে রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

এ কাজে কি তোমাদের নতুন কোনো চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়েছে? তার মোকাবেলা কীভাবে করলে?


এই কাজে আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়েছিল। সেটা হচ্ছে নিরাপদ পানির সমস্যা। আমাদের এলাকায় গভীর নলকূপ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকায় দূর থেকে মানুষকে পানি আনতে হয়। এতে করে বেশির ভাগ মানুষ দূষিত পানি পান করে। তার মোকাবেলায় আমরা চেয়ারম্যান এর নিকট কয়েকটি নলকূপ স্থাপনের আবেদন করেছি।

Related Posts