৮ম শ্রেণি বাংলা ২য় অধ্যায় (প্রমিত বলি প্রমিত লিখি)

বর্তমানে আমরা বইয়ে, পত্রিকায়, টেলিভিশনে ইত্যাদি প্রায় সকল ক্ষেত্রে প্রমিত শব্দের ব্যবহার দেখি। আজকের ৮ম শ্রেণি বাংলা ২য় অধ্যায়ের সবগুলো ছক করে দেখালাম।

৮ম শ্রেণি বাংলা ২য় অধ্যায়

প্রমিত বলি প্রমিত লিখি

কম্পনমাত্রা বায়ুপ্রবাহ অনুযায়ী অনুযায়ী ধ্বনির উচ্চারণ

‘মাগো, ওরা বলে’ কবিতা থেকে কিছু শব্দ নিচের তালিকায় দেওয়া হলো। লালচিহ্নিত বর্ণগুলো উচ্চারণ করে এগুলোর বৈশিষ্ট্য যাচাই করো এবং ছকে লেখো। কাজ শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে নিজের উত্তর মেলাও,আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো। নিচে উত্তর করে দেওয়া হলো।

শব্দলাল চিহ্নিত বর্ণটির ধ্বনি বৈশিষ্ট্য
ক‍ুমড়োঅঘোষ অল্পপ্রাণ
ফ‍ুঅঘোষ মহাপ্রাণ
তা অঘোষ অল্পপ্রাণ
ডাঁটাঘোষ অল্পপ্রাণ
গাঅঘোষ মহাপ্রাণ
ছুটিঅঘোষ অল্পপ্রাণ
কেটঅঘোষ অল্পপ্রাণ
ভেজাঘোষ মহাপ্রাণ
দেরি ঘোষ অল্পপ্রাণ
থাঅঘোষ মহাপ্রাণ
পাঘোষ অল্পপ্রাণ
মুকিঘোষ অল্পপ্রাণ

ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণে বাগপ্রত্যঙ্গর সক্রিয়তা

নিচের ছকের লালচিহ্নিত বর্ণগুলো উচ্চারণ করো। উচ্চারণের সময়ে কোন বাগপ্রত্যঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করো এবং ছকের নির্দিষ্ট জায়গায় লেখো। উত্তর করে দেওয়া হলো।

শব্দকোন কোন বাগপ্রত্যঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে?
(কন্ঠ, তালু ,মূর্ধা, দন্ত ও ওষ্ঠ)
ক‍ুমড়োকণ্ঠ
ফ‍ুওষ্ঠ
তাদন্ত
ডাঁটামূর্ধা
গাতালু
ছুটিমূর্ধা
কেটওষ্ঠ
ভেজাওষ্ঠ
দেরিদন্ত
থাদন্ত
পা কণ্ঠ
মুকিমুর্ধা

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ধ্বনির প্রকার

‘মাগো, ওরা বলে’ কবিতা থেকে কিছু শব্দ নিচে দেওয়া হলো। শব্দগুলোতে যেসব বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে,
সেগুলোর উচ্চারণস্থান বোঝার চেষ্টা করো। এরপর উচ্চারণস্থান অনুযায়ী ধ্বনিগুলোর প্রকার লেখো। উত্তর করে দেখানো হলো।

শব্দউচ্চারণস্থান অনুযায়ী ধ্বনির প্রকার
ক‍ুমড়োক—কন্ঠ ব্যঞ্জন, ম—ওষ্ঠ ব্যঞ্জন, ড়—মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
ফ‍ুলফ—ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন, ল—পার্শ্বিক ব্যঞ্জন
লতাল—পার্শ্বিক ব্যঞ্জন, ত— দন্ত্য ব্যঞ্জন
ডাঁটা ড —মূর্ধন্য ব্যঞ্জন, ট—মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
গাছগ—কন্ঠ্য ব্যঞ্জন, ছ—তালব্য ব্যঞ্জন
ছুটি ছ- তালব্য ব্যঞ্জন, ট- মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
পকেটপ—ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন, ক—কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন, ট—মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
ভেজাভ—ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন,জ—তালব্য ব্যঞ্জন
দেরিদ—দন্ত্য ব্যঞ্জন, র—কম্পিত ব্যঞ্জন
কথাক—কন্ঠ্য ব্যঞ্জন,থ—দন্ত্য ব্যঞ্জন
পাগলপ -ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন, গ – কন্ঠ্য ব্যঞ্জন, ল—পার্শ্বিক ব্যঞ্জন
মুড়কিম—ওষ্ঠ ব্যঞ্জন, ড়—মূর্ধন্য ব্যঞ্জন, ক—কন্ঠ ব্যঞ্জন

ভাষারূপের পরিবর্তন

‘যাত্রা’ গল্পের কথোপকথনের কয়েকটি জায়গায় আঞ্চলিক ভাষারীতির প্রয়োগ করা হয়েছে। গল্প থেকে এ রকম
কয়েকটি বাক্য নিচের ছকের বাম কলামে লেখো এবং ডান কলামে বাক্যগুলোর প্রমিত রূপ নির্দেশ করো। উত্তর করে দেখানো হলো।

আঞ্চলিক বাক্যপ্রমিত রূপ
১. আস্তে আস্তে, ভিড় কইরো না, আর উইঠেন না—নাও ডুববো কইলাম।আস্তে আস্তে, ভিড় কোরো না, আর উঠবেন না—নৌকা ডুবে যাবে বলছি।
২. কিন্তু মাত্র ক খানি তো নৌকা—মাঝিদের পয়সা চাইতে হয় না,কিন্তু মাত্র কয়েকটা নৌকা—মাঝিদের টাকা চেতে হয় না,
৩. ডাইনে থেকে বাঁয়ে, গোনা যায় আজ—একটা, দুটো, তিনটে, চারটে, পাাঁচটা—ঐ যে আরেকটাডানে থেকে বায়ে, গণনা করা যায় আজ—একটি, দুটি, তিনটি, চারটি, পাঁচটি—ঐ যে আরেকটি
৪. এই মাঝি, এদিকে আনোো—ধমকে উঠল কেউ।এই মাঝি, এদিকে নিয়ে এসো—ধমকে উঠল কেউ।
৫. এক বুড়ি চিৎকার করতে শুরু করল—রাখাইল্যা রইয়া গেলো, নাও ঘুরাও,এক বুড়ি চিৎকার করতে শুরু করল—রাখাল থেকে গেল, নৌকা ঘোরাও।
৬. বাবারা নাওডারে ঘুরাইতে কও, আমার রাখাইল্যা রইয়া গেলো।বাবারা নৌকাটাকে ঘুরাইতে বলো, আমার রাখাল থেকে গেল।
৭. আল্লায় বিচার করবো—আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর, দেইখ্যেন।আল্লাহ বিচার করবেন—আল্লাহর শাস্তি দুনিয়ার থেকে বেশি, দেখবেন।
৮. শ্যাক সায়েবের খবর জানেন কিছু? ছাত্রগো সবাইরে নাকি মাইরা ফালাইছে?শেখ সাহেবের খবর জানেন কিছু? ছাত্রদের সবাইকে নাকি মেরে ফেলছে?
৯. হালারা জানোয়ার নাকি! ঢাহা থুইবো না।সালারা জানোয়ার নাকি! ঢাকা রাখব না।
১০. যান মিয়া, দেইখ্যা আহেন—মস্করা করতে আইছেন?যান মিয়া, দেখে আসেন—মজা করতে আসছেন?

লিখিত গদ্যে প্রমিত ভাষার ব্যবহার

‘রেলের পথ’ গল্প থেকে সর্বনাম শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের ছকের বাম কলামে লেখো। এরপর
সর্বনামের প্রমিত রূপ ডান কলামে লেখো। উত্তর করে দেওয়া হলো।

গল্পে ব্যবহৃত সর্বনাম শব্দ শব্দের প্রমিত রূপ
তাহারতার
 তাহাদেরতাদের
 যাহা যা
সবারেসকলকে
যাহারযার

একইভাবে গল্প থেকে ক্রিয়া শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের ছকের বাম কলামে লেখো। এরপর ক্রিয়াগুলোর
প্রমিত রূপ ডান কলামে লেখো। উত্তর করে দেওয়া হলো।

গল্পে ব্যবহৃত ক্রিয়া শব্দশব্দের প্রমিত রূপ
আসিয়াছিলএসেছিল
হারাইয়াছিলহারিয়েছিল
 চাহিয়াচেয়ে
হইতেছিলহয়েছিল
আসিয়া   এসে

সাধুরীতির বাক্যকে প্রমিত বাক্যে রূপান্তর

‘রেলের পথ’ গল্প থেকে সাধুরীতির কয়েকটি বাক্য নিচের ছকে লেখো এবং একইসঙ্গে বাক্যগুলোকে প্রমিত
গদ্যরীতিতে রূপান্তর করো।উত্তর করে দেওয়া হলো।

সাধুরীতির বাক্যপ্রমিত রূপ
দিন গনিতে গণিতে অবশেষে যাইবার দিন আসিয়া গেল।দিন গুনতে গুনতে অবশেষে যাওয়ার দিন এসে গেল।
অপু জন্মিয়া অবধি কোথাও কখনো যায় নাই ৷অপুর জন্মের পর থেকে কখনো কোথাও যায় নি ৷
নদীর ঘাটে গিয়া দাঁড়াইয়া থাকিত ৷ নদীর ঘাটে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকত ৷
রাত্রিতে ঘুম হওয়া দায় হইয়া পড়িয়াছিল ৷রাতে ঘুমানো খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল ৷
দুইজনে অনেকক্ষণ নবাবগঞ্জের সড়কে উঠিয়া, চারিদিকে চাহিয়া দেখিল।দুজনে অনেকক্ষণ নবাবগঞ্জের সড়কে উঠে, চারিদিকে চেয়ে দেখল।
সেবার তাদের রাঙ্গী-গাইয়ের বাছুর হারাইয়াছিল।সেই দিন তাদের রাঙ্গী গরুর বাছুর হারিয়েছিল।
দুর্গাপুরের রাস্তায় উঠিয়াই সে বাবাকে বলিল।দুর্গাপুরের রাস্তায় উঠে সে বাবাকে বললো
দুই-তিন দিন ধরিয়া খুজিয়াও কোথাও পাওয়া যায় নাই।দুই-তিন দিন ধরে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি
সে তাহার দিদির সঙ্গে দক্ষিণ মাঠে বাছুর খুজিতে আসিয়াছিল।সে তার দিদির সাথে দক্ষিণ মাঠে বাছুর খুঁজতে এসেছিল।
মাঠের দিকে একদৃষ্টে চাহিয়া কী দেখিতেছিল?মাঠের দিকে একটানা তাকিয়ে কি দেখছিল?

Related Posts