জীবন ও জীবিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায় (পেশার রূপ বদল)

প্রত্যেক পেশার মানুষকে আমাদের শ্রদ্ধার সাথে দেখা উচিত। আজকের পোস্টে জীবন ও জীবিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায়ের সবগুলো ছকের সমাধান করে দেখালাম। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোন না কোন পেশাজীবী মানুষের প্রয়োজন পড়ে।

জীবন ও জীবিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায় সমাধান

পেশার রূপ বদল

পেশার ধারণা

দলগত আলোচনার মাধ্যমে আমাদের এলাকার মানুষের বিভিন্ন পেশার তালিকা তৈরি করি।

১। শিক্ষক 
২। চিকিৎসক
৩। কৃষক
৪। জেলে 
৫। কামার
৬। কুমার
৭। গাড়িচালক 
৮। ব্যাংকার
৯। আইনজীবী
 ১০। ব্যবসায়ী
 ১১। সাংবাদিক 
১২। তাঁতি 
১৩। দিনমজুর 
১৪। শ্রমিক 
১৫। প্রকৌশলী 
১৬। দর্জি 
১৭। বাবুর্চি

 ১৮। পুলিশ 
১৯। বিমান চালক 
২০। কুলি 
২১। বিজ্ঞানী
২২। রাজনীতিবিদ 
২৩। নার্স
২৪। অফিস সহায়ক
২৫। পরিছন্নতাকর্মী 
২৬। দারোয়ান 
২৭। নাবিক 
২৮। মুচি 
২৯। মাঝি
৩০। হিসাব রক্ষক 
৩১। নাপিত
৩২। মালি
৩৩। তেল উৎপাদনকারী
৩৪। চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী 

পেশার ধারনা পরিবর্তন

দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায় কী পরিবর্তন এলো?

দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায়ের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হয়েছে ৷ চম্পার ভাই আগে মোবাইল ফোনে কথা বলার ব্যবসা করতো ৷ ফোনে এক মিনিট কথা বলার জন্য সে সাত টাকা করে নিত ৷ কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন সহজলভ্য হয়েছে ৷ ফলে কেউ আর ফোনে কথা বলার জন্য দোকানে যায় না ৷ তাই চম্পার ভাই মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করল ৷ এর মাধ্যমে সে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয় ৷ এভাবে দিন বদলের সাথে সাথে চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায় পরিবর্তন আসে ৷
চম্পার ভাই কেন নতুন ব্যবসা শুরু করল?

চম্পার ভাইয়ের মোবাইল ফোনের ব্যবসা ছিল ৷ মোবাইল ফোন সকলের কাছে সহজলভ্য হওয়ায় এ ব্যবসায় ধস নামে ৷ কিন্তু ইন্টারনেটের চাহিদা বাড়তে থাকে ৷ ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রসার ঘটে ৷ এসব কারণে চম্পার ভাই মোবাইল ফোনের বদলে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক ব্যবসা শুরু করে ৷

পরিবারে বাবা-মা বা অন্য কোনো বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ বছর আগে বিভিন্ন খাতে পেশার ধরন ও কাজ কেমন ছিল তা নিচের ছকে লিপিবদ্ধ করি।

ছক ২.১: সময়ের সঙ্গে পেশার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ

পেশার ক্ষেত্রবর্তমানে কেমন২০ বছর আগে কেমন ছিলপরিবর্তনের কারণ
শিল্পইলেকট্রিক বা অটোমেটিক
মেশিনে জামাকাপড় সেলাই
করা হয়।
তেল উৎপাদনের কাজে
মেশিন ব্যবহার করা হয়।
অ্যালুমিনিয়াম, কাচ ও চীনা
মাটি দিয়ে কারখানায় মেশিনে
হাাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন
তৈরি হয়।
হাতে ঘোরানোো মেশিনে ও
সুই-সুতা দিয়ে জামা-কাপড়
সেলাই করা হতো।
তেল উৎপাদনের কাজে
ঘানি ব্যবহার করা হতো।
কুমার মাটি দিয়ে স্বহস্তে
হাাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন
তৈরি করত।
প্রযুক্তির উন্নয়ন
তথ্য আদান-প্রদানবিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো যায় ৷চিঠি লিখে তথ্য আদান প্রদান করা হতো ৷প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সহজলভ্যতা
কৃষিআধুনিক যন্ত্রপাতি ও ট্রাক্টর ব্যবহার করে চাষ করা হয় ৷গরু ও লাঙল ব্যবহার করে হাল চাষ করা হতো ৷প্রযুক্তির আধুনিকায়ন
চিকিৎসাআধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় ও নিরাময় করা যায় ৷সনাতন পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় করা হতো ৷প্রযুক্তির উন্নয়ন
যাতায়াত বাস, ট্রেন,বিমান ইত্যাদির মাধ্যমে যাতায়াত করা হয় ৷নৌকা ,গরুর গাড়ি, পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা হতো ৷চাহিদার পরিবর্তন, নগরায়ন
অন্যান্যমোবাইল অ্যাপের সাহায্যে দ্রুত টাকা পাঠানো যায় ৷ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা পাঠানো হতো ৷প্রযুক্তির সহজলভ্যতা

নিচের ছক অনুযায়ী ব্যবসা পেশায় কাজ করতে গেলে কী কী মৌলিক বিষয় বা বিশেষ
দক্ষতা অর্জন করতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করি।

ছক ২.২: পেশার মৌলিক দক্ষতা অনুসন্ধান

পেশাঅর্জনযোগ্য দক্ষতাসমূহ

পেশার নাম: ব্যবসা

পেশাজীবীর নাম: আলমগীর

সাক্ষাৎকারের তারিখ: ০১/০১/২৪
মৌলিক বিষয় বা দক্ষতা:
প্রাথমিক শিক্ষা, পরিশ্রমী, আত্মবিশ্বাসী , সততা ,ব্যবসায়ের প্রাথমিক জ্ঞান, আইন মেনে চলা , ঝুঁকি নেওয়া ৷

বিশেষ বিষয় বা দক্ষতা:
ব্যবসায়ায় সম্পর্কিত সব বিষয়ে ধারণা , পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ , পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা ,ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, ক্রেতা আকৃষ্ট করার ক্ষমতা , সঠিক বাজার ব্যবস্থা ,লাভ -ক্ষতি সম্পর্কিত জ্ঞান, সঠিক পণ্য নির্বাচন ,ক্রেতাদের চাহিদা বুঝতে পারা ৷
রাশিদা খাতুন কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন? তিনি কীভাবে ‘সেরা রাঁধুনি’ হয়েছিলেন?

রাশিদা খাতুন ভালো রান্না করার দক্ষতা ও রান্নার উপাদান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করেছিলেন ।

রাশিদা খাতুন বড় অনুষ্ঠানে রান্না করা শুরু করেন ৷ এছাড়া তিনি হোম মেইড ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেন ৷ রান্নার নতুনত্ব ও গুণগত মান বজায় রেখে তিনি কাজ করেন ৷ তার এ দীর্ঘদিনের পরিচয় পরিশ্রম ও সংকল্প তার ব্যবসায় সাফল্য এনে দিয়েছে ৷ এভাবে তিনি সেরা রাঁধুনী হয়েছিলেন ৷
বিধান ত্রিপুরা কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন? তিনি কীভাবে ‘বিধান দর্জি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন?

বিধান ত্রিপুরা সঠিক উপায় কাপড় সেলাইয়ের দক্ষতা ও নকশায় নতুনত্ব দেওয়া সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করেছিলেন ।
প্রথমে তিনি বাড়ির আশেপাশের মানুষের শার্ট -প্যান্ট ও সেলোয়ার-কামিজ সেলাই করতেন ৷ ধীরে ধীরে তিনি সব ধরনের মানুষের জন্য পোশাক বানাতে শুরু করলেন ৷ তার কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফলে কাজের অর্ডার অনেক বেড়ে যায় ৷ এ কারণে তিনি বাজারে একটি দোকান নেন ৷ এভাবে বিধান দর্জি  হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন ৷
সংপুক কীভাবে তার দক্ষতার উন্নয়ন করেছিলেন?

সংপুক দিনরাত পরিশ্রম আর বুননে নতুন নকশায় কাপড়ে বৈচিত্রর্য আনে। এগুলো নিয়ে একটু বড় পরিসরে কাজ শুরু করে সংপুক। জেলা শহরে নিজের নামে একটি বিক্রয় কেন্দ্র খুলে সেখানে বিক্রয় শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠে তার বিক্রয় কেন্দ্রের সামগ্রী। এভাবে তার দক্ষতার উন্নয়ন করেছিলেন।

স্বমূল্যায়ন

এই অধ্যায়ে আমরা যা যা করেছি [তোমার পছন্দের ঘরে টিক ( ) চিহ্ন দাও]

কাজসমূহকরতে পারিনি
আংশিক করেছি
ভালভাবে করেছি
এলাকার মানুষের বিভিন্ন পেশার তালিকা তৈরি
সাক্ষাৎকার/ আলোচনার মাধ্যমে এলাকার
বিভিন্ন পেশাজীবীর সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়
সময়ের সাথে পেশা পরিবর্তনের ধারা পর্যবেক্ষণ
প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন পেশাজীবীর কেসস্টাডি
পর্যবেক্ষণ
বিভিন্ন পেশার মৌলিক দক্ষতাসমূহ অন্বেষণ
স্থানীয় ও দেশীয় পেশার মৌলিক দক্ষতাসমূহের
সাথে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার যোগসূত্র
স্থাপন
মোট স্কোর: ১৮
তোমার প্রাপ্ত স্কোর: ১৬
শিক্ষকের মন্তব্য: শিক্ষক লিখবেন।

Related Posts