সেই দিন এই মাঠ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বাংলা

‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন সভ্যতা একদিকে যেমন ক্ষয়িষ্ণু অন্যদিকে চলে তার বিনির্মাণ। মরণশীল ব্যক্তিমানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। এই পোস্টে সেই দিন এই মাঠ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।

সেই দিন এই মাঠ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথাসাহিত্যে প্রকৃতিকে একটি জীবন্ত চরিত্র হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘আরণ্যক’ উপন্যাসে প্রকৃতি চিরকালের নবীনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অপু, দুর্গা এবং আরও অনেকে সেই চিরন্তন প্রকৃতির সন্তান। এরা যায়-আসে- থাকে না। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণে বিরাজমান থাকে।

ক. কী ছাই হয়ে গেছে?

খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা কর।

ঘ. কবিতায় উল্লিখিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ

ক. বেবিলন ছাই হয়ে গেছে।

খ. পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’ বলতে কবি নশ্বর মানবজীবনে অবিনশ্বর প্রকৃতির প্রবাহ চেতনাকে বুঝিয়েছেন।

‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি দেখিয়েছেন প্রকৃতি চিরকাল সুন্দর থাকে আর মানুষের স্বপ্নও চিরস্থায়ী। যদিও সব কিছু বদলে যায়, প্রকৃতির রূপ, রস ও গন্ধ থাকে অটুট। মানুষ জন্মে, বড় হয় এবং মারা যায়, কিন্তু পৃথিবীর চলমানতা থেমে থাকে না। মানুষের মৃত্যু প্রকৃতির গতিকে থামাতে পারে না। এই চলমান প্রকৃতি আর মানুষের স্বপ্ন একসাথে চিরকাল বাঁচে। তাই কবি এখানে এই দিকটিই বলেছেন।

গ. উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার প্রকৃতির বর্ণনা সাদৃশ্যপূর্ণ।

পৃথিবীতে কোনো কিছু চিরস্থায়ী নয়। মানুষের গড়া অনেক সভ্যতাই বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃতি তার রূপ, রস ও গন্ধ নিয়ে অম্লান থেকে যায়। প্রকৃতির এই চলমানতা চিরকালীন।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, প্রকৃতি নতুন ও অভিনব। মানুষের তৈরি সভ্যতা হারিয়ে গেলেও প্রকৃতি টিকে থাকে। বিখ্যাত সাহিত্যিকেরা তাদের লেখায় প্রকৃতিকে অমর ও অক্ষয়ভাবে দেখান। ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায়ও যুগ যুগ ধরে চলে আসা-যাওয়ার খেলা, মানুষের হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা প্রকৃতির মধ্যে স্থায়ী হয়। প্রকৃতির অক্ষয় ও অম্লান বৈশিষ্ট্যই এটি সম্ভব করে। মানুষ চলে যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে বেঁচে থাকে। তাই উদ্দীপকের প্রকৃতি এবং কবিতার প্রকৃতির বর্ণনা একে অপরের সঙ্গে মিল রয়েছে।

ঘ. কবিতায় উল্লিখিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্কটি অত্যন্ত নিবিড়। উভয় ক্ষেত্রেই প্রকৃতির অমর-অক্ষয় রূপটি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
মানুষ বিভিন্ন আবিষ্কারের মাধ্যমে পৃথিবীতে সভ্যতা গড়েছে। কিন্তু প্রকৃতির আঘাত বা সময়ের সঙ্গে সেই সভ্যতা কখনো ক্ষয় হয়। তবু প্রকৃতির চলমানতা থামে না, ভাঙা-গড়ার মধ্যেও প্রকৃতি টিকে থাকে। আর মানুষের স্বপ্ন প্রকৃতির রূপের সঙ্গে মিলে বেঁচে থাকে।

উদ্দীপকে প্রকৃতির চিরকাল প্রাণময় থাকার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এই চিরকালীন সৌন্দর্য ফুরায় না। ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায়ও প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্য দেখানো হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংস হলেও প্রকৃতির রূপ ধ্বংস হয় না, শুধু মাঝে মাঝে বদলে যায়। উদ্দীপকে অপু ও দুর্গা প্রকৃতির সন্তান হিসেবে চঞ্চল, তেমনি কবিতায় মানুষের সভ্যতার ধ্বংস থাকলেও প্রকৃতি চির অমর।

এভাবে, উদ্দীপক ও কবিতায় প্রকৃতির অমরত্বের দিক একইভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ, রস, গন্ধ ও মাঠের চঞ্চলতা, চালতাফুলে পড়া সৌন্দর্য সবই প্রকৃতির চিরস্থায়ীত্বের প্রতীক।


সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। [ঢাকা বোর্ড ২০২৩]
মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর; 
দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন
 নিভে যায়;- দেখিব না আর আমি এই পরিচিত বাঁশবন, 
শুকনো বাঁশের পাতা ছাওয়া মাটি হয়ে যাবে গভীর আঁধার 
আমার চোখের কাছে;- লক্ষ্মীপূর্ণিমার রাতে সে কবে আবার।

ক. লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে কী ধ্বনিত হয়?

খ. ‘সোনার স্বপ্নের সাধ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মৌলিক প্রেরণা উদ্দীপকের চিত্রকল্পে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপক ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতা- উভয় ক্ষেত্রেই কবির জীবনতৃষ্ণাকে অভিন্ন বলা যায় কি? তোমার উলাবের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। [যশোর বোর্ড ২০২৩]
কাল যে ছিল আজ সে নাই; আজও যে ছিল, তাহারো ঐ নশ্বর দেহটা ধীরে ধীরে ভস্মসাৎ হইতেছে, আর তাহাকে চেনাই যায় না, অথচ এই দেহটাকে আশ্রয় করিয়া কত আশা, কত আকাঙ্ক্ষা, কত ভয়, কত ভাবনাই না ছিল। কোথায় কোথায় গেল? এক নিমিষে কোথায়
অন্তর্হিত হইল? তবে তার দাম? মরিতেই বা কতক্ষণ লাগে?

ক. খেয়ানৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে?

খ. “এশিরিয়া ধুলো আজ- বেবিলন ছাই হয়ে আছে”- কেন?

গ. উদ্দীপকে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তার সাথে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ পেয়েছে কি? তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। [কুমিল্লা বোর্ড ২০২২]
i. এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক রবে,
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।

ii. সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা
আশা তার একমাত্র ভেলা।

ক. নৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে?

খ. ‘বেবিলন ছাই হয়ে আছে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপক (ii)-এ ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার যে দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপক (i)-এ ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূল বক্তব্যই যেন ফুটে উঠেছে”- মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। [বরিশাল বোর্ড ২০২২]
সেই সাতজন নেই টেবিলটা আজও আছে
সাতটা পেয়ালা আজও খালি নেই।
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি
শুধু সেই সেদিনের মালি নেই।

ক. জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা কী?

খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার যে দিক প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাবের সমগ্রতা প্রকাশে উদ্দীপকটির সক্ষমতা বিচার কর।’
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। [দিনাজপুর বোর্ড ২০২২]
দৃশ্যপট-১ :
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর তলে পুকুর পাড়ে, ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে-ঝাড়ে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না- তাই তো জেগে রই;

দৃশ্যপট-২:
একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর রে মন আমার,
কেন বান্ধ দালান ঘর রে মন আমার

ক. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় চালতা ফুল কীসের জলে ভিজবে?

খ. ‘সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে!’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. দৃশ্যপট-১ এর সাথে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. দৃশ্যপট-২ এ ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাব প্রকাশ পেয়েছে কি? তোমার মতের 
সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। [সিলেট বোর্ড ২০১৯]
(i) “একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লি জননী
ফুলে ও ফসলে কাদামাটি জলে ঝলমলে করে লাবনি।”

(ii) যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলোয় কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলোয় আহা! ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পড়বে সজ্জা বনবাসের শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলোয় তখন আমায় নাই বা মনে রাখলে।

ক. চালতা ফুল কীসের জলে ভিজবে?

খ. “পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল” বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 

গ. (i) নং উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. (ii) নং উদ্দীপকের ভাব ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাব ধারণ করে কি? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮।
চন্দ্র-সূর্য জ্বলে উঠবে, ফুল ফুটবে,
সুবাস ছড়াবে, পাখি গাইবে,
নদীর বহমান স্রোতধারা ছুটে যাবে সাগরের পানে,
শুধু আমি, রইব না এই পৃথিবীর ‘পরে।

ক. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি সভ্যতার নাম কী?

খ. ‘এই নদী নক্ষত্রের তলে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন দিক ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার ভাবার্থের দর্পণ।” মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৯।
আমার দেশের মাটির গন্ধে
ভরে আছে সারা মন 
শ্যামল কোমল পরশ ছাড়া যে 
নেই কিছু প্রয়োজন। প্রাণে প্রাণে যেন তাই 
এই সুর শুধু পাই দিগন্ত জুড়ে সোনা রং ছবি এঁকে যাই সারাক্ষণ।

ক. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বর্ণিত ফুলের নাম কী?

খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় যে ভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিনিধিত্ব করে কি? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১০।
খেতের পরে খেত চলেছে, খেতের নাহি শেষ
সবুজ হাওয়ায় দুলছে ও কার এলো মাথার কেশ। সেই কেশেতে গয়না পরায় প্রজাপতির ঝাঁক্ চক্সতে জল ছিটায় সেখা কালো কালো কাক। সাদা সাদা বক-কনেরা রচে সেখায় মালা, শরৎকালের শিশির সেখা জ্বালায় মানিক আলা।

ক. জীবনানন্দ দাশের পিতার নাম কী?

খ. চারিদ্দিকে শান্ত বাতি- ভিজে গন্ধ- মৃদু কলরব বলতে তুমি কী বোঝ?

গ উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. . মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব প্রতিফলিত হয়নি।” মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

নিচে উত্তরসহ সেইদিন এই মাঠ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।

সেই দিন এই মাঠ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

আরও পড়ুনঃ বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বাংলা

Related Posts

Leave a Comment