জীবনানন্দ দাশের “সুচেতনা” কবিতাটি তার কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’ থেকে সংকলিত। এটি একটি গভীর দার্শনিক কবিতা, যেখানে কবি শুভ চেতনার আলোতে পৃথিবীর মুক্তি ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এই পোস্টে সুচেতনা কবিতার মূলভাব, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর (MCQ) লিখে দিলাম।
Table of Contents
সুচেতনা কবিতার মূলভাব
জীবনানন্দ দাশের “সুচেতনা” কবিতায় একটি শুভ চেতনার কথা বলা হয়েছে, যা মানুষের মনকে আলোকিত করতে পারে এবং পৃথিবীর অন্ধকারকে দূর করতে পারে। এই চেতনা খুব সহজে দেখা যায় না; এটি যেন এক দূরের দ্বীপের মতো, যেখানে নির্জনতা বিরাজ করে। কবি দেখিয়েছেন, সভ্যতা যতই উন্নতি করুক, তাতে যুদ্ধ, রক্তপাত আর বিপর্যয় লেগেই থাকে। তবে এই ধ্বংসই শেষ কথা নয়। পৃথিবীর সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে একমাত্র ভালোবাসা, সত্য এবং শুভ চেতনা। এই ইতিবাচক চেতনা পৃথিবীর গভীর অসুখ থেকে মুক্তির পথ দেখাবে।
কবি মনে করেন, যদিও অনেক কষ্ট ও ব্যর্থতার কারণে জন্ম নেওয়াকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হয়, তবুও এই পৃথিবী আমাদের অনেক মূল্যবান শিক্ষা দেয়। সমস্ত অশুভ ও অন্ধকারের শেষে রয়েছে নতুন সূর্যোদয়ের সম্ভাবনা। তাই, সুচেতনার আলোতে একদিন পৃথিবী মুক্তি পাবে এবং মানবজাতি শান্তি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।
সুচেতনা কবিতার mcq
১। জীবনানন্দ দাশ কবে জন্মগ্রহণ করেন?
ক) ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি
খ) ১৯০১ সালের ২২শে অক্টোবর
গ) ১৯২১ সালের ১৭ই মার্চ
ঘ) ১৮৯৩ সালের ২০শে জানুয়ারি
উত্তর: ক) ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি
২। জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোথায়?
ক) ঢাকা
খ) বরিশাল
গ) কুষ্টিয়া
ঘ) কলকাতা
উত্তর: খ) বরিশাল
৩। জীবনানন্দ দাশের পিতার নাম কী ছিল?
ক) সত্যানন্দ দাশ
খ) কুমারেশ দাশ
গ) বিজয়চন্দ্র দাশ
ঘ) প্রমথনাথ দাশ
উত্তর: ক) সত্যানন্দ দাশ
৪। কবি জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?
ক) নির্মলা দাশ
খ) কুসুমকুমারী দাশ
গ) বিভা দাশ
ঘ) সুমিত্রা দাশ
উত্তর: খ) কুসুমকুমারী দাশ
৫। জীবনানন্দ দাশ মূলত কোন পেশায় ছিলেন?
ক) আইনজীবী
খ) ডাক্তার
গ) ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক
ঘ) সরকারি কর্মচারী
উত্তর: গ) ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক
৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দের কবিতাকে কী আখ্যা দিয়েছিলেন?
ক) নির্জনতম
খ) চিত্ররূপময়
গ) রহস্যময়
ঘ) মনোহর
উত্তর: খ) চিত্ররূপময়
৭। বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে কী নামে আখ্যায়িত করেছেন?
ক) মহৎ কবি
খ) নির্জনতম কবি
গ) নিসর্গ কবি
ঘ) আধুনিক কবি
উত্তর: খ) নির্জনতম কবি
৮। জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
ক) ‘সোনার তরী’
খ) ‘গীতাঞ্জলি’
গ) ‘বনলতা সেন’
ঘ) ‘শঙ্খচিল’
উত্তর: গ) ‘বনলতা সেন’
৯। জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায় কোন বিষয়টি বিশেষভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন?
ক) শহুরে জীবনের আনন্দ
খ) গ্রামবাংলার নিসর্গ
গ) রাজনৈতিক আন্দোলন
ঘ) বিজ্ঞানচেতনা
উত্তর: খ) গ্রামবাংলার নিসর্গ
১০। ‘রূপসী বাংলা’ গ্রন্থটি কী ধরনের রচনা?
ক) উপন্যাস
খ) প্রবন্ধ
গ) কাব্যগ্রন্থ
ঘ) নাটক
উত্তর: গ) কাব্যগ্রন্থ
১১। জীবনানন্দ দাশের কোন প্রবন্ধগ্রন্থটি বিখ্যাত?
ক) ‘বুদ্ধির মুক্তি’
খ) ‘কবিতার কথা’
গ) ‘রূপান্তর’
ঘ) ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’
উত্তর: খ) ‘কবিতার কথা’
১২। জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল?
ক) রোগে আক্রান্ত হয়ে
খ) ট্রাম দুর্ঘটনায়
গ) আত্মহত্যা করে
ঘ) সড়ক দুর্ঘটনায়
উত্তর: খ) ট্রাম দুর্ঘটনায়
১৩। জীবনানন্দ দাশের কোন উপন্যাসটি উল্লেখযোগ্য?
ক) ‘গৌরীপুর জংশন’
খ) ‘লালসালু’
গ) ‘মাল্যবান’
ঘ) ‘পদ্মানদীর মাঝি’
উত্তর: গ) ‘মাল্যবান’
১৪। জীবনানন্দ দাশের জন্মের সময় কোন শহরে তিনি বসবাস করতেন?
ক) কুষ্টিয়া
খ) বরিশাল
গ) কলকাতা
ঘ) যশোর
উত্তর: খ) বরিশাল
১৫। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবনানন্দ দাশের কবিতা কীভাবে ভূমিকা রেখেছিল?
ক) রাজনৈতিক মতবাদ প্রচারে
খ) বিপ্লবীদের সংগঠনে
গ) সংগ্রামী জনতাকে অনুপ্রাণিত করতে
ঘ) অর্থনৈতিক উন্নয়নে
উত্তর: গ) সংগ্রামী জনতাকে অনুপ্রাণিত করতে
১৬। কবিতায় ‘সুচেতনা’ কী বোঝানো হয়েছে?
ক) একটি নদী
খ) শুভ চেতনা
গ) একটি গ্রাম
ঘ) একটি ফুল
উত্তর: খ) শুভ চেতনা
১৭। কবি সুচেতনাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
ক) গভীর সমুদ্র
খ) পাহাড়ের চূড়া
গ) দূরবর্তী দ্বীপ
ঘ) অন্ধকার গহ্বর
উত্তর: গ) দূরবর্তী দ্বীপ
১৮। ‘সুচেতনা‘ কবিতায় ‘নির্জনতা’ কোথায় বিরাজ করছে?
ক) শহরে
খ) দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
গ) সমুদ্রে
ঘ) পাহাড়ে
উত্তর: খ) দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
১৯। কবির মতে, পৃথিবীর শেষ সত্য কী নয়?
ক) যুদ্ধ
খ) সফলতা
গ) রক্তপাত
ঘ) ধ্বংস
উত্তর: গ) রক্তপাত
২০। ‘এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা’— এই পঙ্ক্তির অর্থ কী?
ক) যুদ্ধের মধ্যেই পৃথিবীর সফলতা
খ) রক্তপাত ও যুদ্ধ পৃথিবীর সত্য
গ) পৃথিবীর সব সফলতা মিথ্যা
ঘ) পৃথিবীর শান্তি প্রতিষ্ঠিত
উত্তর: খ) রক্তপাত ও যুদ্ধ পৃথিবীর সত্য
২১। কবি কীসের আলো জ্বালানোর কথা বলেছেন?
ক) মুক্তির
খ) যুদ্ধের
গ) ঘরের
ঘ) আশার
উত্তর: ক) মুক্তির
২২। কবির মতে পৃথিবীর কী এখন গভীরতর অসুখ?
ক) দারিদ্র্য
খ) যুদ্ধ এবং রক্তপাত
গ) প্রেমহীনতা
ঘ) অশিক্ষা
উত্তর: খ) যুদ্ধ এবং রক্তপাত
২৩। ‘পৃথিবীর ক্রমমুক্তি’ কীসের মাধ্যমে হবে?
ক) অস্ত্রের
খ) আলো জ্বেলে
গ) রাত্রির
ঘ) অন্ধকারের
উত্তর: খ) আলো জ্বেলে
২৪। কবির আশা কীসের প্রতি নিবদ্ধ?
ক) মানুষের শুভ চেতনা
খ) যুদ্ধের বিজয়
গ) অন্ধকারের স্থায়িত্ব
ঘ) সমাজের অবক্ষয়
উত্তর: ক) মানুষের শুভ চেতনা
২৫। কবি কোন শতাব্দীর কাজের কথা বলেছেন?
ক) বর্তমানের
খ) পুরাতনের
গ) বহু শতাব্দীর
ঘ) একাদশ শতাব্দীর
উত্তর: গ) বহু শতাব্দীর
২৬। ‘শিশির শরীর ছুঁয়ে সমুজ্জ্বল ভোরে’— এখানে কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক) রাত্রির অন্ধকার
খ) নতুন জীবনের আশা
গ) বিপর্যয়
ঘ) ক্লান্তি
উত্তর: খ) নতুন জীবনের আশা
২৭। কবি কী ভাবতেন জন্ম না নেওয়া সম্পর্কে?
ক) ভালো হতো
খ) খারাপ হতো
গ) আনন্দদায়ক হতো
ঘ) সহজ হতো
উত্তর: ক) ভালো হতো
২৮। কবিতার ‘পরম সূর্যকরোজ্জ্বল’ কী নির্দেশ করে?
ক) অন্ধকার
খ) আলোর সম্ভাবনা
গ) রাত্রির শান্তি
ঘ) পৃথিবীর ব্যাধি
উত্তর: খ) আলোর সম্ভাবনা
২৯। ‘সুচেতনা‘ কবিতায় কোন শব্দটি ক্লান্তিহীন নাবিকের চিত্র তুলে ধরে?
ক) যোদ্ধা
খ) পথিক
গ) নাবিক
ঘ) শিল্পী
উত্তর: গ) নাবিক
৩০। কবি কেন মনে করেন পৃথিবী ঋণী?
ক) যুদ্ধের জন্য
খ) মাটির টানে
গ) শুভ চেতনার জন্য
ঘ) সমাজের জন্য
উত্তর: গ) শুভ চেতনার জন্য
৩১। ‘শাশ্বত রাত্রির বুকে’ কী জাগে?
ক) গভীর ঘুম
খ) অনন্ত সূর্যোদয়
গ) চাঁদের আলো
ঘ) অন্ধকার
উত্তর: খ) অনন্ত সূর্যোদয়
৩২। ‘সুচেতনা‘ কবিতায় কোন পথের কথা কবি উল্লেখ করেছেন?
ক) অন্ধকারের পথ
খ) মুক্তির পথ
গ) রক্তের পথ
ঘ) শীতল পথ
উত্তর: খ) মুক্তির পথ
৩৩। ‘মানবজন্মের ঘরে’ কী বোঝানো হয়েছে?
ক) যুদ্ধ
খ) মানবসমাজ
গ) প্রকৃতি
ঘ) শান্তি
উত্তর: খ) মানবসমাজ
৩৪। ‘সুচেতনা‘ কবিতায় মানুষের সমাজ কেমন হবে বলে আশা করা হয়েছে?
ক) ধ্বংসাত্মক
খ) সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ
গ) কঠিন এবং জটিল
ঘ) নিষ্ঠুর
উত্তর: খ) সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ
৩৫। ‘সুচেতনা‘ কবিতায় কবি কীসের প্রতি আশাবাদী?
ক) নতুন পৃথিবীর জন্ম
খ) অন্ধকারের বিস্তার
গ) যুদ্ধের জয়
ঘ) ধ্বংসের স্থায়িত্ব
উত্তর: ক) নতুন পৃথিবীর জন্ম
Related Posts
- ঋতু বর্ণন কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর
- আঠারো বছর বয়স কবিতার মূলভাব – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- তাহারেই পড়ে মনে কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)- একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- আমি কিংবদন্তির কথা বলছি অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- বিদ্রোহী কবিতার মূলভাব সহজ ভাষায় -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা