সুফিয়া কামালের ‘সাম্য’ কবিতাটিতে কোনো বড়ো কাজ কেউ একা করতে পারে না। সে জন্য দরকার হয় অনেক মানুষের মিলিত অংশগ্রহণ। সকলকে নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে পৃথিবীর বহু দেশ উন্নত হয়েছে। এই পোস্টে সাম্য কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৭ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
সাম্য কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন] অমিত সাহেব একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কিন্তু তাঁর একার পক্ষে এত বিশাল কাজ সম্পাদন কোনোভাবেই সম্ভব। হচ্ছে না। তিনি কারও সহযোগিতা নিতে সম্মত নন। পরে গ্রামের সকল শ্রেণির মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। এখন সবাই পাঠাগার থেকে বই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ। করতে পারছে। ক. ‘সাম্য’ কবিতায় কোনটির মাধ্যমে জীবন মহীয়ান হয়? খ. ‘সংগ্রামে আর সাহসে প্রজ্ঞা’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? গ. অমিত সাহেবের চরিত্রে ‘সাম্য’ কবিতার বৈসাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব যেন ‘সাম্য’ কবিতারই প্রতিরূপ।”-বিশ্লেষণ কর। |
উত্তরঃ
ক. ‘সাম্য’ কবিতায় কর্মের মাধ্যমে জীবন মহীয়ান হয়।
খ. ‘সংগ্রামে আর সাহসে প্রজ্ঞা’ কথাটি দ্বারা মানুষের গভীর জ্ঞানের কথা বোঝানো হয়েছে। মানুষ অনেক সাহস আর সংগ্রামের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে সফল হয়েছে। মানুষ তখনই সাহসী হয়ে সংগ্রাম করতে পারে, যখন তার ভেতরে অনেক জ্ঞান বা প্রজ্ঞা থাকে। তাই কবি বলেছেন, সাহস, সংগ্রাম আর প্রজ্ঞার মাধ্যমে এই পৃথিবী আলোয় ভরে ওঠে।
গ. অমিত সাহেবের চরিত্রে ‘সাম্য’ কবিতার বৈসাদৃশ্যের দিকটি হলো, একা বড় কাজ করার প্রচেষ্টা।
মানুষ কখনো একা বড় কাজ করতে পারে না। বড় কোনো কাজ করতে হলে তাকে অন্যের সাহায্য নিতে হয়। ‘সাম্য’ কবিতায় কবি সুফিয়া কামাল বলেছেন, মানুষ একা কিছু করতে পারে না। অনেক মানুষের হাত একসাথে কাজ করলেই উন্নতি হয়। কিন্তু উদ্দীপকে অমিত সাহেব একাই গ্রামে একটি পাঠাগার করার চেষ্টা করেন। তাই তিনি সফল হতে পারেন না। তিনি কবিতার কথা না মেনে ঠিক উল্টো কাজ করেন। তাই বলা যায়, অমিত সাহেবের কাজের মধ্যে ‘সাম্য’ কবিতার বিপরীত দিকটি দেখা যায়, কারণ তিনি একা বড় কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব যেন ‘সাম্য’ কবিতারই প্রতিরূপ”-মন্তব্যটি সত্য।
পৃথিবীতে মানুষ যেমন একা থাকতে পারে না, তেমনি বড় কোনো কাজও একা করতে পারে না। সবাইকে একসাথে কাজ করতে হয়। ‘সাম্য’ কবিতায় বলা হয়েছে, বড় কাজ একা করা যায় না। এজন্য সবার মিলিত চেষ্টা দরকার। সবাই মিলে কাজ করলে দেশ উন্নত হয়। পৃথিবীর অনেক ভালো কাজ মানুষের একসাথে কাজ করার ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর উদ্দীপকে দেখা যায়, অমিত সাহেব একা গ্রামে পাঠাগার করতে চান। কিন্তু একা পারছিলেন না। পরে গ্রামের সবাই তাকে সাহায্য করে। তখন পাঠাগারটি তৈরি হয়। ‘সাম্য’ কবিতায় যেমন সবাই মিলে কাজ করার কথা বলা হয়েছে, উদ্দীপকেও তেমনটাই দেখা যায়। তাই বলা যায়, প্রশ্নে বলা কথাটি সত্য।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। শস্যক্ষেত্র উর্বর হল, পুরুষ চালাল হল, নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল। ক. ‘কেতন’ শব্দের অর্থ কী? খ. ‘সাম্য’ কবিতায় কবি কী বলতে চেয়েছেন? গ. উদ্দীপকের চেতনার সঙ্গে ‘সাম্য’ কবিতার কীসের মিল রয়েছে? ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত সম্মিলিত প্রচেষ্টা ‘সাম্য’ কবিতায় বর্ণিত সবার মিলিত প্রচেষ্টারই প্রতিচ্ছবি।” যথার্থতা মূল্যায়ন কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। মোহিত তার ভাই আশিসকে বলে কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে। কারণ কাজই মানুষকে মহান করে। মোহিত সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম। করে ব্যাবসায় সফল হয়েছে। আজ সবাই তাকে এক নামে চেনে। ক. অনন্তকাল থেকে মানুষ কীভাবে চলে? খ. বড় কাজের জন্য মানুষের মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন কেন? গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাম্য’ কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? ঘ. উদ্দীপকে ‘সাম্য’ কবিতার মূলভাবের প্রকাশ ঘটেছে কি? বিচার কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। কার্যক্ষেত্র ওই প্রশস্ত পড়িয়া সমর অঙ্গন সংসার এই যাও বীর বেশে করো গিয়ে রণ যে জিনিবে, সুখ লভিবে সেই ক. ‘সাম্য’ কবিতায় দলে দলে চলে কারা? খ. মানবজীবন কীভাবে কর্মে মহীয়ান- বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকে ‘সাম্য’ কবিতার কোন বিষয়টি ফুটে ওঠে? ঘ. উদ্দীপকের বিষয়টি ‘সাম্য’ কবিতার খন্ডাংশ- মন্তব্যটি আলোচনা কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। পেঁচা বলেন ‘সবুর’ থামো ঝগড়া এখন ছাড়ো বিভেদ-নীতির বিষম পন্থা বিপদ বাড়ায় আরো। ‘একজোট ঠিক আমরা যদি দাঁড়াই সবে রুখে,-সাধ্য কি কেউ আমাদের তিরটি ছোঁড়ে বুকে।’ ক. মানুষ দলে দলে কী উড়িয়ে চলেছে? খ. কর্মে মহীয়ান কে? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাম্য’ কবিতার মিল তুলে ধর। ঘ. “উদ্দীপকের পেঁচার বক্তব্য ‘সাম্য’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শোেন নাই-‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’ একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজও একসাথে থাকবই-সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই। ক. শতেকের সাথে শতেক হস্ত একত্রে মিলিয়ে কী হয়েছে? খ. পৃথিবীর অনেক দেশ কীভাবে উন্নত হয়েছে? বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাম্য’ কবিতার কোন দিকটির মিল রয়েছে? ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সাম্য’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে।”-তোমার মন্তব্য দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। নাহি চায় রাজ্যপদ নাহি চায় ধন। স্বর্গের সমান দেখে বন উপবন ॥ পৃথিবীর সমুদয় নিজ পরিজন। সন্তোষের সিংহাসনে বাস করে মন ॥ আত্মার সহিত সব সমতুল্য গণে। মাতাপিতা জ্ঞাতি ভাই ভেদ নাহি মনে ॥ সকলে সমান মিত্র, শত্রু নাহি যার। মানুষ তারেই বলি মানুষ কে আর? ক. ‘সাম্য’ কবিতাটি কোন কবিতার অংশবিশেষ? খ. “সংগ্রামে আর সাহসে প্রজ্ঞা/আলোকে দীপ্তিমান।”- চরণদ্বয়ের মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাম্য’ কবিতার কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে? ঘ. “উদ্দীপকের ভাবার্থে ‘সাম্য’ কবিতার মূলভাবের প্রকাশ ঘটেছে।”- মন্তব্যটি তুমি সমর্থন কর কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। শুধাও আমাকে এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শোন নাই “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।” একসাথে আছি একসাথে বাঁচি আরও একসাথে থাকবই সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই। ক. ‘সিন্ধু জলে’- মানে কী? খ. কবি ‘বিপুলা পৃথিবী, প্রসারিত ‘পথ’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?- ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকটি ‘সাম্য’ কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকে কি ‘সাম্য’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। |
নিচে উত্তরসহ সাম্য কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।