শীতের সকালের প্রকৃতির এই শান্ত রূপ, শিশিরের স্নিগ্ধতা, পিঠার মজা আর পাখির ডাক—সব মিলিয়ে শীতের সকাল সত্যিই অনন্য। এই পোস্টে শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা সকল শ্রেণির জন্য লিখে দিলাম।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ
৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির জন্য
সকালে ঘুম ভেঙলে চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা থাকে। ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগে, গায়ে কাঁটা দেয়। মাঠের ঘাসে শিশিরের ফোঁটা জমে আছে, সেগুলো সূর্যের আলোয় চকচক করে। গাছের ডালে পাখিরা ডাকছে, মনে হয় যেন তারা সকালের গান গাইছে। গ্রামের বাড়িগুলোতে আজ পিঠা বানানোর ধোঁয়া উঠছে। গরম গরম ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা আর দুধচিতইয়ের গন্ধে বাতাস মিষ্টি হয়ে গেছে। কিন্তু শীতের সকাল সবাইর জন্য একরকম নয়। যাদের গরম কাপড় নেই, তারা ঠান্ডায় কষ্ট পায়। রাস্তায় ছোট ছোট শিশুরা আগুন জ্বালিয়ে গরম হচ্ছে। শীতের সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাদের একটু সাহায্য করেও এই সকালকে আরও সুন্দর করা যায়। তবুও শীতের সকাল এক অনন্য ভালোলাগা দেয়। প্রকৃতির এই শান্তি, শিশিরের স্নিগ্ধতা আর পিঠার মিষ্টি স্বাদ—সব মিলিয়ে শীতের সকাল সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
অনুচ্ছেদ শীতের সকাল
৯ম-১০ম শ্রেণির জন্য
শীতের সকালের সৌন্দর্য এক কথায় অসাধারণ। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলেই চোখে পড়ে ঘন কুয়াশার মায়াবী চাদর। গাছপালা, ঘরবাড়ি সবই যেন সাদা কুয়াশায় ডুবে আছে। ধীরে ধীরে সূর্য উঠলে কুয়াশা সরে যায়, শিশিরভেজা ঘাস আর পাতাগুলো সূর্যের আলোয় জ্বলজ্বল করতে থাকে। মাঠে মাঠে শিশিরের ফোঁটা মুক্তোর মতো ঝিলিক দেয়। পাতার উপর জমে থাকা শিশির বিন্দুগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে। গাছের ডালে বসে পাখিরা মিষ্টি সুরে গান গায়। শীতের সকালে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা বানানোর ধুম। মায়েরা রান্নাঘরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা আর চিতই পিঠা বানাতে। পিঠার মিষ্টি গন্ধে চারপাশ ভরে যায়। ছোট ছেলেমেয়েরা রোদে বসে গরম গরম পিঠা খেতে খুব ভালোবাসে। কিন্তু শীতের সকাল শুধু আনন্দই আনে না। যাদের গরম কাপড় নেই, ভালো ঘর নেই, তাদের জন্য শীত খুব কষ্টের। রাস্তায় ফুটপাথে বসে থাকা মানুষগুলোকে দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। তবুও শীতের সকালের সৌন্দর্য সবকিছু ছাপিয়ে যায়। এই সকাল যেন প্রকৃতির দেওয়া এক বিশেষ উপহার, যা বারবার ফিরে আসে আমাদের জীবনে সুন্দর স্মৃতি নিয়ে।