হুমায়ুন আজাদের লেখা ‘শব্দ থেকে কবিতা’ লেখাটি একটি শিক্ষামূলক প্রবন্ধ, যা কবিতা এবং কবিতা লেখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেয়। এই পোস্টে ৮ম শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায়ের বিশ্লেষণমূলক লেখা শব্দ থেকে কবিতা গল্পের মূলভাব লিখে দিলাম।
Table of Contents
শব্দ থেকে কবিতা গল্পের মূলভাব
কবিতা মানে একটা বিশেষ অনুভূতি। যখন আমরা কবিতা পড়ি, মনে হয় যেন এক নতুন জগতে প্রবেশ করছি। সেখানে রঙ-বেরঙের স্বপ্ন যেন আমাদের চারপাশে ঘুরছে। কবিতা এমনভাবে লেখা হয়, যে তা আমাদের হৃদয়ে একটা দোলা দিয়ে যায়। কিছু কবিতা একবার পড়লে আমাদের মনে ভাসে, আবার কিছু কবিতা বারবার পড়লেও নতুন কিছু অনুভব করায়। কবিতা লেখার জন্য মূলত শব্দের প্রয়োজন। কবিরা শব্দগুলোকে একসাথে মিলিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করেন। যেমন, যদি কেউ ঘুড়ি বানাতে চায়, তাহলে তাকে প্রয়োজন কাগজ, সুতো এবং বাঁশের টুকরো। তেমনই, কবিতা লেখার জন্যও রঙ-বেরঙের শব্দ দরকার। পাখি, নদী, ফুল—এসব শব্দের মাধ্যমে কবিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
কবি হতে হলে শব্দের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হয়। যিনি শব্দগুলোকে ভালোবাসেন, সেই কবি হতে পারেন। কবিরা সাধারণত সুন্দর ও স্বপ্নময় কথা বলেন। কিন্তু যদি আপনার শব্দের প্রতি ভালোবাসা না থাকে, তাহলে আপনি সেই সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবেন না। শব্দের খেলা খেলতে হবে এবং শব্দগুলোর রং বুঝতে হবে। কিছু শব্দের গায়ে রঙ থাকে, কিছু শব্দে সুর পাওয়া যায়। যদি আপনি শব্দের রং, সুর ও গন্ধ অনুভব করতে পারেন, তবে আপনি কবি হতে পারবেন। কবিরা বিভিন্ন ধরনের কবিতা লেখেন—কখনো হাসির, কখনো কান্নার। কিন্তু সবসময় নতুন কিছু বলতে হয়। একই কথা বারবার বলা যায় না। কবিতায় প্রতিটি শব্দের অবস্থান এবং ছন্দ গুরুত্বপূর্ণ। তাই কবিতা লেখার জন্য শব্দের গভীরতা বোঝা জরুরি।
লেখক একটি উদাহরণ হিসেবে ‘দোকানি’ কবিতার কথা বলেছেন। এখানে একটি কাল্পনিক দোকানের কথা উঠে এসেছে, যেখানে বিক্রি হয় স্বপ্নের জিনিস। যেমন, চকচকে চাঁদের আলো এবং লাল পাখির গান। কবিতা আমাদেরকে নতুন জগতে নিয়ে যায়, যেখানে কল্পনা ও বাস্তবতা মিলে যায়। লেখক আরও বলেন, ছোটবেলায় কবিতা লেখার আগে অনেক কিছু দেখা উচিত। যত বেশি দেখবেন, তত বেশি অভিজ্ঞতা হবে। বড় হয়ে, যখন সব কিছু একত্রিত হবে, তখন আপনি শব্দ, ছন্দ ও ছবি মিলিয়ে একটি নতুন কবিতা তৈরি করতে পারবেন। সব মিলিয়ে, কবিতা হচ্ছে শব্দের সৌন্দর্য, ছন্দের মাধুর্য এবং স্বপ্নের প্রকাশ। কবি হতে হলে আমাদের হৃদয়ে স্বপ্ন ও সৃজনশীলতা থাকতে হবে, যা আমাদের শব্দগুলোকে নতুন অর্থ দিতে সাহায্য করবে।
শব্দ থেকে কবিতা গল্পের মূলভাব সংক্ষেপে
কবিতা একটি বিশেষ লেখার ধরনের নাম, যা পড়লে মন আনন্দিত হয় এবং নতুন স্বপ্ন তৈরি করে। কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন শব্দের সঠিক ব্যবহার এবং ছন্দ। কবিরা শব্দের সাথে খেলা করে, তাদের রঙ ও সুর বুঝে কবিতা সৃষ্টি করেন। কবিতা যে কোনো বিষয় নিয়ে লেখা যেতে পারে, যদি সেখানে স্বপ্ন ও চিন্তা থাকে। লেখক একটি উদাহরণ হিসেবে ‘দোকানি’ কবিতার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি ভাবেন একটি কাল্পনিক দোকানের কথা, যেখানে বিক্রি হয় স্বপ্নের জিনিস। কবিতা লেখার সময় নতুন কথা ভাবতে হয় এবং সেগুলোকে রঙিন শব্দ ও ছন্দে সাজাতে হয়। ছোটবেলায় বেশি কিছু দেখা ও অনুভব করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে বড় হলে সেসব অভিজ্ঞতা কবিতায় রূপায়িত করা যায়। কবিতা লেখার জন্য আগে পড়া ও চিন্তা করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বড় হয়ে, শব্দ, ছন্দ ও ছবি মিলিয়ে নতুন কবিতা রচনা করা সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ শব্দ থেকে কবিতা গল্পের প্রশ্ন উত্তর ও বহুনির্বাচনি – ৮ম শ্রেণির বাংলা
Related Posts
- জহির রায়হানের সময়ের প্রয়োজনে গল্পের মূলভাব – ৮ম শ্রেণির বাংলা
- যোগাযোগে নিয়ম মানি প্রশ্ন উত্তর ও বহুনির্বাচনি- ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি
- ম্যাজিক গল্পের মূলভাব, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি – ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা
- মাঝি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন – ৭ম শ্রেণি
- বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি জানিয়ে বাবাকে পত্র বা চিঠি লেখার নিয়ম
- ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ১ম অধ্যায় (ডিজিটাল সময়ের তথ্য)
- শওকত আলীর যাত্রা গল্পের মূলভাব, প্রশ্ন উত্তর ও বহুনির্বাচনি – ৮ম শ্রেণির বাংলা
- ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন ২য় অধ্যায় (পদার্থের সুলুকসন্ধান)
- ময়নামতির চর কবিতার প্রশ্ন উত্তর – ৭ম শ্রেণির বাংলা
- NCTB Class 6 Book 2024-ষষ্ঠ শ্রেণির বই ২০২৪ (মাধ্যমিক ও দাখিল)