আহসান হাবীব ‘মেলা’ কবিতায় পৃথিবীর চারদিকে যদি আমরা দৃষ্টি দিই তবে দেখতে পাই বাগানে ফুলের মেলা, গাছে গাছে পাখির মেলা আর আকাশে তারার মেলা। এ হলো প্রকৃতির জগৎ। এই পোস্টে মেলা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর -৭ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
মেলা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন] হেমন্তের এক পড়ন্ত বিকেলে এক বাউল নদীর পাড় দিয়ে। হেঁটে বাড়ি ফিরছেন। এক পাশে নদী। নদীতে ভেসে চলেছে রং-বেরঙের পালতোলা নৌকা। ঝাঁকে ঝাঁকে নানা রকমের পাখি উড়ছে। কোনোটি সাদা, কোনোটি কালো। আর এক পাশে ধানখেত। যতদূর। চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। এমন মোহনীয় পরিবেশে বাউল তাঁর একতারায় সুর তোলে- নানান বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ, জগৎ ভরমিয়া দেখলাম একই মায়ের পুত। ক. নীল আকাশে রং কুড়িয়ে বেড়ায় কারা? খ. “গড়বে নতুন একটি বাগান”- কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের বর্ণনায় ‘মেলা’ কবিতার যে বিষয়বস্তুর মিল পাওয়া যায় তার বর্ণনা দাও। ঘ. ‘বাউলের এই গানের মর্মকথাই তো মেলা কবিতার মূলভাব।’ যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দাও। |
উত্তরঃ
ক. ভাইরা ও বোনরা মিলে নীল আকাশে রং কুড়িয়ে বেড়ায়।
খ. কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে সূর্যকে বুঝিয়েছেন। রোজ সকালে আকাশপথে আলোর পাখি উঁকি দেয়। সেই পাখি অন্ধকার দূরীভূত করে পৃথিবীর সবকিছু আলোকিত করে। কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে সেই সূর্যকেই বুঝিয়েছেন।
গ. বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার আগামী দিনের রূপকার হিসেবে শিশুদের গুরুত্বের দিকটি ফুটে উঠেছে।
পৃথিবীর চারদিকে তাকালে আমরা অনেক রকম জিনিস দেখি। এর মধ্যে শিশুদের জগৎ আলাদা রকমের হয়। তাদের জগৎ নানা রঙে ভরা। উদ্দীপকের বাংলা শিক্ষক বলেছেন, আজকের শিশু-কিশোররাই ভবিষ্যতের আশা। এই কথায় ‘মেলা’ কবিতায় কবি যে শিশুদের গুরুত্বের কথা বলেছেন, সেটাই বোঝা যায়। কবি বলেছেন, তারা আকাশ থেকে রোদ নিয়ে নেয় জীবনের শক্তি। আবার সাগর থেকে নেয় ভালোবাসা। তাই তারা সারা পৃথিবীতে নতুন আশার আলো ছড়িয়ে দেয়।
ঘ. “প্রধান শিক্ষকের মন্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার মূল বক্তব্যই ফুটে উঠেছে”- মন্তব্যটি যথার্থ।
শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারা সুন্দর জিনিস দেখে শিখে বড় হবে এবং একদিন একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করবে এই প্রত্যাশা সবার। উদ্দীপকে প্রধান শিক্ষক এ কথার দিকেই জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিশু-কিশোররা ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তারা শুধু দেশের না, সারা বিশ্বের সম্ভাবনা। তাঁর এই কথায় ‘মেলা’ কবিতার মূল কথাই বোঝা যায়। কবিও এই কবিতায় ভালোবাসা আর একতার এক সুন্দর সমাজ গড়ার কথা বলেছেন।
‘মেলা’ কবিতায় বলা হয়েছে, যেমন প্রকৃতিতে ফুল আর পাখির মেলা আছে, তেমনি শিশু-কিশোরদেরও আছে আলাদা এক জগৎ। তারা আকাশের মুক্ত মন, ফুলের গন্ধ, পাখির গান—এসব পেয়েছে। এই ছোট ভাই-বোনরাই সাজানো বাগানের মতো এক সুন্দর পৃথিবী গড়বে। কবিতার এই কথাগুলো প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। ফাল্গুন ও চৈত্র বসন্তকাল। ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। এ সময় গাছে গাছে যেন প্রতিযোগিতা- কে কত সুন্দর ও সতেজ ফুল ফোটাতে পারে। নানা রঙের পালকে সেজে ছোটবড় সব পাখি গাছে গাছে নেচে বেড়ায়, উড়ে বেড়ায়। ফুলের মধু খেয়ে উড়ে বেড়ায় আনন্দে। অন্যদিকে হাজার লক্ষ রঙিন প্রজাপতি। ক. ‘সুবাস’ অর্থ কী? খ. “ফুলের মেলা পাখির মেলা”- চরণটিতে ‘মেলা’ কথাটির কারণ দর্শাও। গ. উদ্দীপকে ‘মেলা’ কবিতার কোন বৈশিষ্ট্যটি স্পষ্টতা পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের বসন্তকালের আনন্দঘন পরিবেশটি ‘মেলা’ কবিতায় ভিন্ন আঙ্গিকে পরিবেশিত হয়েছে।” – বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি, যতনে মানিয়া চল তাঁহাদের বাণী ভাইটি করেছে দ্বন্দ্ব, বোনটি করেছে মন্দ, ক্রোধে হয়ো না কো অন্ধ, স্নেহে ধর পাণি। ক. ‘নিত্য’ শব্দের অর্থ কী? খ. “আর এক মেলা জগৎ জুড়ে”- চরণটি দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাই-বোনের প্রতি স্নেহের দিকটি ‘মেলা’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকটি ‘মেলা’ কবিতার একটি খণ্ডাংশমাত্র।” যথার্থতা মূল্যায়ন কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। যেথায় মানুষ মানুষেরে বাসতে পারে ভালো প্রতিবেশীর আঁধার ঘরে জ্বালতে পারে আলো, সেই জগতের কান্না-হাসির অন্তরালে ভাই আমি হারিয়ে যেতে চাই। ক. আহসান হাবীব কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? খ. সবার সুর মিলে যাওয়া বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকটি ‘মেলা’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে? ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘মেলা’ কবিতার কবির প্রত্যাশারই বহিঃপ্রকাশ- বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। আমারে চেনো না? আমি যে কানাই। ছোকানু আমার বোন। তোমার সঙ্গে বেড়াবো আমরা মেঘনা, পদ্মা, শোণ। শোনো, মা এখন ঘুমিয়ে আছেন, দিদি গেছে ইশকুলে, এই ফাঁকে মোরে- আর ছোকানুরে-নৌকোয় নাও তুলে। ক. কয়টি সাগরে ঢেউয়ের মেলা? খ. কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মেলা’ কবিতার মিলের ক্ষেত্র নির্ণয় কর। ঘ. “উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মেলা’ কবিতার উক্ত মিলের ক্ষেত্রটিই কবিতার একমাত্র দিক নয়”- তোঁমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। সবার সুখে হাসব আমি কাঁদব সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে। আমার বাড়ির ফুল-বাগিচা, ফুল সকলের হবে, আমার ঘরে মাটির প্রদীপ আলোক দিবে সবে। ক. ঢেউয়ের মেলা কোথায়? খ. আলোর পাখি বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? গ. উদ্দীপকে ‘মেলা’ কবিতার কোন বিষয়টির ইঙ্গিত রয়েছে? ঘ. উদ্দীপকটি ‘মেলা’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? তোমার মতামত দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। আমাদের ছোটো গাঁয়ে ছোটো ছোটো ঘর থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর। পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই একসাথে খেলি আর পাঠশালে যাই। হিংসা ও মারামারি কভু নাহি করি, পিতামাতা গুরুজনে সদা মোরা ডরি। ক. আহসান হাবীব ১৯৮৫ সালে কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? খ. সব পাখির আলাদা গান কেন? গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মেলা’ কবিতার মিলের ক্ষেত্রটি চিহ্নিত কর। ঘ. “উদ্দীপক ও ‘মেলা’ কবিতা উভয় ক্ষেত্রেই সবার মিলেমিশে থাকার দিকটি ফুটে উঠেছে।”- যথার্থতা মূল্যায়ন কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। মেয়েটি পথে পথে ঘোরে। হাতে একগুচ্ছ ফুল। গাড়ি থামলে বা কেউ বসে থাকলে গুটি গুটি পায়ে গিয়ে বলে “ত্যার, একতা ফু কিমবেন? দুই তাকা মার্ক্স।” একদিন নাম জিজ্ঞেস করলাম। মেয়েটির নাম মুন্নি। বয়স কতইবা হবে, দুই বছর বা তার চেয়ে সামান্য কম-বেশি। আমাদের ঘরেও অনেক মুন্নি আছে। দিনে সাতবার সাত কোলে দোল খায়। সাতবার কাপড় বদল করে। সাতবার তাদের পেছনে খাবার নিয়ে দৌড়াতে হয়। আর রাস্তার মুন্নিটা একপেট ক্ষুধা নিয়ে ফুল বিক্রি করে। আমরা প্রত্যেকেই মুন্নির কাছে অপরাধী, কারণ মুন্নি আমাদেরই সন্তান। আমাদের উচিত, রাস্তার মুন্নিদেরকে বাঁচার সুযোগ দেওয়া। ক. সারাবেলা কয়টি খেলা চলে? খ. “এই যে প্রীতি লক্ষ মনের।”- ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মেলা’ কবিতার বৈসাদৃশ্য দেখাও। ঘ. দেখাও যে, উদ্দীপকে যে সমস্যা পাওয়া যায়, ‘মেলা’ কবিতায় তার সমাধান রয়েছে। |
নিচে উত্তরসহ মেলা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।