হবীবুল্লাহ্ বাহারের ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন ও আদর্শের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য এক অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি ছিলেন এক অনন্য মহাপুরুষ—চরিত্রের দৃঢ়তা, মানবপ্রেম ও জীবপ্রেমে অতুলনীয়। তাঁর জীবন ছিল বিপদের সময় ধৈর্যের, দারিদ্র্যের সময় অবিচলতার, এবং শত্রুর প্রতি ক্ষমাশীলতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এই পোস্টে মরু ভাস্কর প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক) লিখে দিলাম।
মরু ভাস্কর প্রশ্ন উত্তর
১। ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের মূল বিষয় কী?
উত্তর: হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন ও চরিত্র।
২। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনের ঘটনাগুলি কীভাবে রক্ষা করা হয়েছে?
উত্তর: সত্যের কষ্টিপাথরে যাচাই করে।
৩। আরবের লোকদের স্মৃতিশক্তি কেমন ছিল?
উত্তর: অসাধারণ।
৪। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর ঘরের আসবাব কী ছিল?
উত্তর: খেজুর পাতার বিছানা ও পানির সুরাহি।
৫। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর চরিত্রে কী কী গুণ ছিল?
উত্তর: কোমলতা ও কঠোরতা।
৬। হজরত মুহাম্মদ (স.) কীভাবে বন্ধুদের প্রতি আচরণ করতেন?
উত্তর: বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহানুভূতিশীল।
৭। ‘মরু-ভাস্কর’ কী বোঝায়?
উত্তর: এটি মরুভূমির সূর্য, হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে বোঝানো হয়েছে।
৮। হজরত মুহাম্মদ (স.) কিসের বিরুদ্ধে ছিলেন?
উত্তর: কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।
৯। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর চরিত্রের মধ্যে কোন দুটি গুণ ছিল?
উত্তর: কোমলতা এবং কঠোরতা।
১০। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর শিক্ষা কী?
উত্তর: জ্ঞান অর্জন।
১১। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর কোন ঘটনা সমাজে সাম্যের প্রচার করেছে?
উত্তর: দাসদের মুক্তি এবং নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা।
১২। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর কন্যার নাম কী?
উত্তর: ফাতেমা (রা.)।
১৩। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর শিক্ষায় কী সম্পর্কিত ছিল?
উত্তর: মানুষে-মানুষে সমতা।
১৪। হজরত মুহাম্মদ (স.) কার উপর বিশ্বাস রাখতেন?
উত্তর: আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস।
১৫। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর চরিত্রের কোন দিকটি বিশেষ ছিল?
উত্তর: সাম্যের প্রচার।
১৬। হজরত মুহাম্মদ (স.) কীভাবে ধর্মের বাণী প্রচার করেছেন?
উত্তর: তিনি কখনো অহংকার করেননি, সবসময় মানুষের মাঝে সমতা ও মানবতার বাণী প্রচার করেছেন।
১৭। ‘হাদিস’ কী?
উত্তর: হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর অনুমোদিত বাক্য ও কাজের সমষ্টি।
১৮। হজরত মুহাম্মদ (স.) কীভাবে সাহাবিদের প্রশংসা করেছেন?
উত্তর: তিনি তাদের সম্মান করেছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য উৎসাহিত করেছেন।
১৯। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনের কোন দিকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: তাঁর মানবতা ও নৈতিকতা।
২০। হজরত হালিমা (রা) কে ছিলেন?
উত্তর: তিনি হজরত মুহাম্মদ (স.) এর দুধ মা।
২১। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতি লোকের ধারণা কেমন ছিল?
উত্তর: তাঁকে ‘রাজা’ কিংবা ‘মুনিব’ মনে করা হয়নি, বরং সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করেছেন।
২২। হজরত মুহাম্মদ (স.) কত বছর জীবিত ছিলেন?
উত্তর: ৬৩ বছর।
২৩। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় কোথায় ছিল?
উত্তর: মক্কায় অত্যাচারের সময়।
২৪। হজরত মুহাম্মদ (স.) কোন সময়ে সবচেয়ে কঠোর ছিলেন?
উত্তর: সত্যের প্রতি অটল ও সংগ্রামে কঠোর।
২৫। ‘অভিসম্পাত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অভিশাপ।
২৬। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর মক্কাবিজয়ের পর তিনি কী ঘোষণা করেছিলেন?
উত্তর: “আমি রাজা নই, শুষ্ক খাদ্যই যাঁর আহার্য।”
২৭। হজরত মুহাম্মদ (স.)-কোন কন্যার চরিত্র নারীদের জন্য আদর্শ?
উত্তর: হজরত ফাতেমা (রা.)-এর চরিত্র।
২৮। নারীদের জন্য হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর শিক্ষা কী ছিল?
উত্তর: নারীর মর্যাদা এবং সমান অধিকার।
২৯। হজরত মুহাম্মদ (স.) কিসের বিরুদ্ধে সচেতন ছিলেন?
উত্তর: কুসংস্কার ও অযৌক্তিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
৩০। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৃষ্টিতে জ্ঞানের গুরুত্ব কী?
উত্তর: জ্ঞান ছিল জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
৩১। হজরত মুহাম্মদ (স.) সমাজে কী প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন?
উত্তর: সাম্য এবং মানবাধিকার।
৩২। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর মধ্যে কোন দুটি বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত বিশেষ ছিল?
উত্তর: কঠোরতা ও কোমলতা।
৩৩। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনে কোন ঘটনা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে?
উত্তর: মক্কাবিজয় ও তার মানবিকতা।
৩৪। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনে কোন দৃষ্টান্ত নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে?
উত্তর: “বেহেশত মায়ের পায়ের নিচে।”
৩৫। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনে কোন দৃষ্টান্ত সমাজে সাম্যের প্রচার করেছে?
উত্তর: দাসদের মুক্তি এবং নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা।
৩৬। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর মতে পৃথিবীতে সত্য কী?
উত্তর: সত্য হলো আল্লাহর নির্দেশনা এবং মানবতার কল্যাণ।
৩৭। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনে কোন বিপদের সম্মুখীন হওয়ার পরও তিনি কী বলেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, “এদের জ্ঞান দাও প্রভু – এদের ক্ষমা করো।”
৩৮। হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর কিসে বিশ্বাস ছিল?
উত্তর: আল্লাহর একত্ব, মানবতার কল্যাণ, এবং জ্ঞানের প্রতি।
৩৯। ‘অকুতোভয়’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: যার কোনো কিছুতে ভয় নেই, নির্ভীক।
৪০। ‘হাবশি গোলাম’ কী?
উত্তর: আবিসিনিয়ায় (বর্তমানে ইথিওপিয়া) জন্মগ্রহণকারী ক্রীতদাস।
৪১। হবীবুল্লাহ্ বাহার কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: তিনি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
৪২। হবীবুল্লাহ্ বাহার কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে।
৪৩। কবি নজরুলের সাথে হবীবুল্লাহ্ বাহারের সম্পর্ক কী ছিল?
উত্তর: তিনি কবি নজরুলের ‘ভক্তশিষ্য’ ছিলেন।
৪৪। হবীবুল্লাহ্ বাহার কোন দুটি জীবনীগ্রন্থ রচনা করেছেন?
উত্তর: ‘ওমর ফারুক’ এবং ‘আমীর আলী’।
৪৫। হবীবুল্লাহ্ বাহার কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৫ই এপ্রিল, ১৯৬৬ সালে।