‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতাটি কালিদাস রায়ের ‘পর্ণপুট’ কাব্যগ্রন্থের একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা, যেখানে মুঘল সম্রাট বাবুরের মহানুভবতা ও মানবিক মূল্যবোধকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই পোস্টে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক) লিখে দিলাম।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক)
১৷ ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতার রচয়িতা কে?
উত্তর: কালিদাস রায়।
২৷ পানিপথের যুদ্ধে কে পরাজিত হন?
উত্তর: পাঠান বাদশাহ ইব্রাহিম লোদি।
৩৷ সংগ্রাম সিং কে ছিলেন?
উত্তর: রাজপুতদের এক বীর সেনাপতি।
৪৷ সংগ্রাম সিং বাবুরকে কী চ্যালেঞ্জ দেন?
উত্তর: তিনি বলেন, মুসলমানদের পরাজিত করলেই প্রকৃত জয় হয় না; রাজপুতদেরও পরাজিত করতে হবে।
৫৷ সংগ্রাম সিং কোথায় পরাজিত হন?
উত্তর: খানুয়ার প্রান্তরে।
৬৷ বিজয়ের পর বাবুর কী উপলব্ধি করেন?
উত্তর: শুধু মাটির দখলই প্রকৃত জয় নয়; বিজিতদের হৃদয় জয় করাও জরুরি।
৭৷ বাবুর ছদ্মবেশ ধারণ করে কী করেন?
উত্তর: তিনি পথে পথে ঘুরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ও দুঃখ-কষ্ট পর্যবেক্ষণ করেন।
৮৷ রণবীর চৌহান কে ছিলেন?
উত্তর: চিতোরের এক তরুণ রাজপুত বীর।
৯৷ রণবীর চৌহান কী সংকল্প করেছিলেন?
উত্তর: বাবুরকে হত্যা করে চিতোরের অপমান ধুয়ে ফেলার প্রতিজ্ঞা করেন।
১০৷ রণবীর চৌহান কী অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন?
উত্তর: কৃপাণ (তলোয়ার)।
১১৷ রণবীর চৌহান কোথায় বাবুরকে খুঁজছিলেন?
উত্তর: দিল্লির রাজপথে।
১২৷ হাতির সামনে পড়ে যায় কে?
উত্তর: এক শিশু।
১৩৷ শিশুটিকে কে উদ্ধার করেন?
উত্তর: এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি (বাবুর)।
১৪৷ শিশুর মা কী করেন?
উত্তর: সন্তান ফিরে পেয়ে আনন্দে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ও চুম্বন করে।
১৫৷ রণবীর চৌহান কাকে চিনতে পারেন?
উত্তর: বাবুরকে।
১৬৷ রণবীর চৌহান তাঁর কৃপাণ কী করেন?
উত্তর: বাবুরের হাতে সমর্পণ করেন।
১৭৷ রণবীর চৌহান কী সিদ্ধান্ত নেন?
উত্তর: তিনি আত্মসমর্পণ করেন ও বাবুরের অনুগত হন।
১৮৷ বাবুর রণবীরকে কী বলেন?
উত্তর: “জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে কঠিন।”
১৯৷ কবিতায় ‘বীরভোগ্যা বসুন্ধরা’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: পৃথিবী বীরদের জন্য।
২০৷ বাবুরের ছদ্মবেশ নেওয়ার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: প্রজাদের প্রকৃত অবস্থা বোঝা।
২১৷ শিশুটিকে বাঁচানোর মধ্য দিয়ে বাবুরের কী গুণ প্রকাশ পায়?
উত্তর: মানবিকতা ও সাহস।
২২৷ ‘মুঘল সিংহ’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বাবুরকে।
২৩৷ ‘শোণিতে তাহার ক্ষালিত করিবে চিতোরের অপমান’—এর অর্থ কী?
উত্তর: বাবুরকে হত্যা করে চিতোরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া।
২৪৷ কবিতাটি কোন সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা?
উত্তর: মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনালগ্নে, ১৫২৬-১৫৩০ খ্রিস্টাব্দ।
২৫৷ বাবুর রণবীরকে কী দায়িত্ব দেন?
উত্তর: নিজের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করেন।
২৬৷ বাবুর কী বুঝেছিলেন?
উত্তর: শুধু যুদ্ধ জেতা নয়, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করাও গুরুত্বপূর্ণ।
২৭। বাবুর কে ছিলেন?
উত্তর: তিনি ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট।
২৮। বাবুরের আসল নাম কী ছিল?
উত্তর: জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ।
২৯। বাবুর কী অর্থ বোঝায়?
উত্তর: ‘সিংহ’।
৩০। কত বছর বয়সে বাবুর সমরখন্দের সিংহাসনে আরোহণ করেন?
উত্তর: মাত্র ১১ বছর বয়সে।
৩১। বাবুর কয়বার সমরখন্দের সিংহাসন হারান?
উত্তর: দু’বার।
৩২। বাবুর তার নিজ দেশ ছেড়ে কোথায় প্রথম সিংহাসন অধিকার করেন?
উত্তর: আফগানিস্তানে।
৩৩। ভারতে বাবুর কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন?
উত্তর: ইব্রাহিম লোদির বিরুদ্ধে।
৩৪। বাবুর দিল্লি কবে অধিকার করেন?
উত্তর: ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করার পর।
৩৫। মেবারের রাজা সংগ্রাম সিংহ কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন?
উত্তর: বাবুরের বিরুদ্ধে।
৩৬। পানিপথ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: দিল্লির উত্তর-পশ্চিমে।
৩৭। পানিপথের যুদ্ধ কয়টি?
উত্তর: তিনটি।
৩৮। ভারতের লোদি বংশের শেষ সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তর: সুলতান ইব্রাহিম লোদি।
৩৯। কৃতঘ্ন দৌলত কে ছিলেন?
উত্তর: দৌলত খাঁ লোদি, পাঞ্জাবের শাসক।
৪০। খানুয়ার প্রান্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: আগ্রার পশ্চিমে।
৪১। চিতোর কী?
উত্তর: রাজপুতানার মেবার রাজ্যের রাজধানী।
৪২। রণবীর চৌহান কে ছিলেন?
উত্তর: এক রাজপুত যুবক, যিনি বাবুরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
৪৩। চৌহান কী?
উত্তর: রাজপুত জাতির একটি প্রাচীন শাখা।
৪৪। বাবুর ভারত জয় করার পর কী করেন?
উত্তর: তিনি এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
৪৫। ‘হত-নিহত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নিহত বা মৃত্যুবরণকারী।
৪৬। ‘শাহিগদি’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বাদশার গদি বা সিংহাসন।
৪৭। ‘জিনিতে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: জয় করা।
৪৮।’রণ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: যুদ্ধ।
৪৯। ‘প্রান্তর’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বিস্তৃত মাঠ বা ময়দান।
৫০। ‘স্বপ্ন-অতীত’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না, অবিশ্বাস্য বা অকল্পনীয়।
৫১। ‘করতল’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: হাতের তালু।
৫২। ‘কৃপাণ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ছোট তরবারি বা খড়া।
৫৩। ‘ঘাতক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: হত্যাকারী।
৫৪। ‘দণ্ডবিধান’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: শাস্তি প্রদান।
৫৫। ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর: ‘পর্ণপুট’ কাব্যগ্রন্থ থেকে।
৫৬। কালিদাস রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কড়ুই গ্রামে।
৫৭। কালিদাস রায় কোন পেশাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা।
৫৮।কালিদাস রায় কী উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন?
উত্তর: ‘কবিশেখর’ উপাধি।
৫৯। কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি প্রদান করে?
উত্তর: কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
৬০। কালিদাস রায় কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে।