বাঁচতে দাও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা

কবি শামসুর রাহমান ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের কথা বলেছেন । একটি শিশুর বেড়ে ওঠার সঙ্গে তার চারপাশের সুস্থ পরিবেশের সম্পর্ক রয়েছে । এই পোস্টে বাঁচতে দাও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।

বাঁচতে দাও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
খাল-বিল, নদী-নালা আর পুকুরে ভরা এই দেশ। ছোটবেলায় গ্রামের খাল-বিল-পুকুরেই সাঁতার কাটা শিখেছিলেন নাজির সাহেব। সন্তানদের নিয়ে তিনি এখন শহরে বাস করেন। গ্রামের বাড়িতেও আগের সেই খাল-বিল-পুকুর নেই। সন্তানদের সাঁতার কাটা শেখাতে পারছেন না। নাজির সাহেব আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটলে আমাদের আগেকার জীবনযাত্রা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কেবল কাগজ-কলমেই বেঁচে থাকবে।

ক. প্রতিদিন কে আলোর খেলা খেলছে?

খ. কাজল বিলে পানকৌড়িকে নাইতে দেওয়ার আহ্বান দ্বারা কবি কী বুঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সাঁতার কাটার সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার শিশুর কাজটির সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের নাজির সাহেবের আক্ষেপের মধ্যে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মূলসুরটি ফুটে উঠেছে। মন্তব্যটি প্রমাণ কর।

উত্তরঃ

ক. প্রতিদিন জোনাক পোকা আলোর খেলা খেলছে।

খ. কাজল বিলে পানকৌড়িকে নাইতে দেওয়ার আহ্বান দ্বারা কবি প্রাণিজগতের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত না করার কথা বুঝিয়েছেন।

প্রকৃতি আর পরিবেশই প্রাণীর বেঁচে থাকার মূল ভরসা। কিন্তু মানুষই দিন দিন এগুলো নষ্ট করছে। এতে প্রাণীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। পানকৌড়ি এক ধরনের জলচর পাখি। তারা বিল-ঝিলে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে। কিন্তু বিল ভরাট হয়ে গেলে তাদের বেড়ে ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বিল যেন পানকৌড়ির সাঁতার কাটার উপযোগী থাকে, সেই ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।

গ. উদ্দীপকের সাঁতার কাটার সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার শিশুর কাজটির সাদৃশ্য রয়েছে।

প্রকৃতির সাথে মানুষের সহজ সম্পর্ক থাকে। প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষকে বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে। উদ্দীপকে নাজির সাহেব ছোটবেলায় সাঁতার শিখেছিলেন। কিন্তু এখন গ্রামে আগের মতো খাল-বিল-পুকুর নেই, তাই তিনি তার সন্তানদের সাঁতার শেখাতে পারছেন না। ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি বলেছেন, শিশু স্বাভাবিক পরিবেশ পেলে সুস্থভাবে বড় হবে। এইভাবে উদ্দীপকের সাঁতার কাটার বিষয়টি কবিতার শিশুর সঙ্গে মিল রয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকের নাজির সাহেবের আক্ষেপের মধ্যে ‘বাঁচতে দাও’ ‘কবিতার মূল সুরটি ফুটে উঠেছে। মন্তব্যটি যথার্থ।

মানুষ আধুনিক জীবনযাপনের জন্য শহরের দিকে ঝুঁকছে। এই নগরায়ন ও মানুষের নানা কাজের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

উদ্দীপকের নাজির সাহেব ছোটবেলায় সাঁতার শিখেছিলেন, কিন্তু তার সন্তানদের শেখাতে পারছেন না। কারণ মানুষ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পরিবেশ নষ্ট করছে, যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি পরিবেশ নষ্ট হওয়ার ক্ষতি দেখিয়েছেন। প্রকৃতি নিজের নিয়মে চলে, আর এই নিয়ম ভাঙলে বিপদ ডেকে আনে। এক সময় এদেশে নদী-নালা-খাল-বিল ছিল, কিন্তু এখন পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। নাজির সাহেবের আক্ষেপে কবির আশঙ্কা প্রতিফলিত হয়েছে। তাই মন্তব্যটি ঠিক।


সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
চলে যাবো- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি-
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

বাসা থেকে একটু দূরে অন্যদের খেলতে দেখে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মিতুরও খেলার প্রবল আগ্রহ জাগল। কিন্তু বাড়ি থেকে তার বেরুতে বাধা। তার চিন্তা, উপরের চরণগুলোর বাস্তবায়ন ঘটিয়ে কেউ যদি তার সে বাধা দূর করে দিত।

ক. সুজন মাঝি কোথায় নৌকা বাইছে?

খ. ফুটতে দাও, ছুটতে দাও- এ কথাগুলো দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের মিতুর সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ করিতার শিশুর যে মিল রয়েছে তার বর্ণনা দাও।

ঘ. ‘কবির আহ্বান আর উদ্দীপকের চরণগুলোর অঙ্গীকার একই সূত্রে গাঁথা।’- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ

ক. সুজন মাঝি গহিন গাঙে নৌকা বাইছে।

খ. ‘ফুটতে দাও, ছুটতে দাও’- এ কথাগুলো দ্বারা কবি জীবনের স্বাভাবিক বিকাশের পথে বাধাহীনতার কথা বোঝাতে চেয়েছেন।

সব মানুষ ও প্রাণী তাদের উপযুক্ত পরিবেশে থাকে। যদি সেই পরিবেশ বদলে যায় তবে তাদের জীবনের আনন্দ নষ্ট হবে। তাই গোলাপ যেমনভাবে ফোটে, তাকে তেমনভাবেই ফুটতে দিতে হবে, আর বালক যেমনভাবে ঘুড়ি তাড়া করে, তাকে তেমনভাবেই দৌড়াতে দিতে হবে। না হলে তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা থেমে যাবে। কবি এই কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।

গ. স্বাভাবিক বিকাশের আকাঙ্ক্ষার দিক দিয়েই উদ্দীপকের মিতুর সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার শিশুর মিল রয়েছে।

শিশুর সঠিকভাবে বড় হতে উপযুক্ত পরিবেশ দরকার। আর সেই পরিবেশ না পেলে তার বেড়ে ওঠা থেমে যায়।
উদ্দীপকের মিতু ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বাসা থেকে দূরে অন্যদের খেলতে দেখে তারও খেলতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু তাকে বাইরে যেতে বাধা দেওয়া হয়। সে চায় কেউ এসব বাধা সরিয়ে দিয়ে তাকে স্বাধীনভাবে চলতে দিক। ঠিক তেমনি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি দেখেছেন, প্রকৃতির ক্ষতি হলে শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হবে। তাই কবি বলেছেন, সবাইকে যেমন চলছে তেমন চলতে দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার ইচ্ছার দিক থেকে মিতুর সঙ্গে কবিতার শিশুর মিল আছে।

ঘ. ‘কবির আহ্বান আর উদ্দীপকের চরণগুলোর অঙ্গীকার একই – সূত্রে গাঁথা।’- উক্তিটি যথার্থ।

শিশু যেন স্বাভাবিকভাবে বড় হতে পারে, এজন্য চারপাশে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা দরকার। ভালো পরিবেশে থাকলে শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে।
উদ্দীপকের কবি তাঁর কবিতায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি নবজাতকের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলবেন। যতদিন বাঁচবেন, শিশুর জন্য পৃথিবীর সব জঞ্জাল সরাবেন। ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি সবাইকে আহ্বান করেছেন— ফুল, পাখি, নদীকে যেমন আছে তেমনই থাকতে দিতে। তাহলে শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা সম্ভব হবে। প্রকৃতি যদি নিজের নিয়মে চলে তবে সবার জন্য ভালো হবে।
উদ্দীপকের কবি বুঝেছেন, শিশুর জন্য সুন্দর পৃথিবী দরকার। তেমনি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কবিও সবকিছুকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাই কবির আহ্বান আর উদ্দীপকের প্রতিশ্রুতি একসাথে মিলে যায়।

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩।
বলাই চমকে উঠল। এ কী দারুণ কথা। বললে, “না, কাকা, তোমার দুটি পায়ে পড়ি, উপড়ে ফেলো না।”.. আমার সঙ্গে যখন পারলে না, এই মাতৃহীন শিশুটি গেল তার কাকির কাছে। কোলে বসে তার গলা জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললে, “কাকি, তুমি কাকাকে বারণ করে দাও, গাছটা যেন না। কাটেন।”

ক. ‘এলাটিং বেলাটিং’ কার লেখা?

খ. গহিন গাঙে সুজন মাঝি কেন নাও বাইছেন?

গ. উদ্দীপকের বলাইয়ের প্রতিবাদে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার সামগ্রিক ভাবের ধারক না হলেও মূল সুরের দিক থেকে অভিন্ন।”-মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪।
ছোট্ট ছেলে রোহান। সকাল বেলা স্কুল, তারপর বাড়ি ফিরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে বসা। বিকেলে আর্টের ক্লাস, রাতে এসে পড়ালেখা। তার এই ব্যস্ত জীবনে নেই প্রকৃতির ছোঁয়া, নেই কোনো বিশ্রাম। সে মাঝে মাঝে মলিন মুখে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ আর পাখি দেখে। তার কাছে মনে হয় ওরা অনেক স্বাধীন, ওরা অনেক শান্তিতে বাঁচতে পারে।

ক. ঘুঘু কখন ডাকে?

খ. “ফুটতে দাও। ছুটতে দাও।”- এ কথাগুলো দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মিলের ক্ষেত্র নির্ণয় কর।

ঘ. “উদ্দীপকের রোহানের আক্ষেপ এবং ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার আহ্বান একই সূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫।
শস্য-শ্যামলা এই মাটি মা’র অঙ্গ পুষ্ট করে
আনিবে অটুট স্বাস্থ্য, সবল দেহ-মন ঘরে ঘরে।
তোমাদের গানে, কলকল তানে উছসি উঠিবে নদী-
সরস করিয়া তৃণ ও তরুরে বহিবে সে নিরবধি।
তোমরা আনিবে ফুল ও ফসল, পাখী-ডাকা রাঙা ভোর
জগৎ করিবে মধুময়, প্রাণে প্রাণে বাঁধি প্রীতিডোর।

ক. রঙিন ঘুড়ির পেছনে কে ছোটে?

খ. কবি ফুল বাগানে গোলাপকে ফুটতে দিতে বলেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন। ঘটছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের কবির প্রত্যাশা এবং ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কবির আহ্বান এক ও অভিন্ন।” মন্তব্যটি প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬।
কোন বনেতে ক’টার বাসায় বাড়ছে ছোট ছানা-
ডাহুক কোথায় ডিম পাড়ে তার নখের আগায় জানা।
সবার সেরা আমের আঁটি গড়তে জানে বাঁশী,
উঁচু ডালের পাকা কুলটি পাড়তে পাড়ে হাসি।

ক. বালক কীসের পিছনে ছোটে?

খ. “বালির ওপর কত্ত কিছু আঁকছে শিশু”- এর মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধর।

ঘ. “উদ্দীপকের কার্যক্রম আর ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কবির আহ্বান একসূত্রে গাঁথা।”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭।
যেকোনো দেশে যেসব জীবজন্ত পশুপাখি দেখা যায় সেসব প্রাণী সেই দেশের অমূল্য সম্পদ। দেশের জলবায়ু আবহাওয়া গাছপালা বৃক্ষলতা ইত্যাদি সবকিছু মিলে যে প্রাকৃতিক অবস্থার সৃষ্টি করে সেই পরিমণ্ডলেই সে দেশের প্রাণিকুল জীবনধারণ করে থাকে। যদি তেমন অবস্থার বিঘ্ন ঘটে, তখন জীবজন্তু পশুপাখি সকলেরই বেঁচে থাকা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

ক. পানকৌড়ি কোথায় সুখে নাইছে?

খ. জোনাক পোকা কীভাবে আলোর খেলা খেলছে?

গ. উদ্দীপকে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপক এবং ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় প্রাণিকুলের স্বাভাবিক বিকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮।
আনিস সাহেব ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা এদেশের প্রকৃতির গাছপালা, পাখি, নদী, পাহাড় প্রতিটা জিনিসকেই ভালোবাসবে। তোমাদেরকে এসবের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। যেহেতু বিনা প্রয়োজনে প্রকৃতিতে কিছুই ঘটে না তাই প্রকৃতিকে তার আপন নিয়মে চলতে দিতে হবে। তবেই প্রকৃতি আমাদের বসবাসের যোগ্য আশ্রয় হয়ে থাকবে।

ক. কবি শামসুর রাহমান কতদিন ধরে ‘দৈনিক বাংলা’র সম্পাদক ছিলেন?

খ. “সবাইকে আজ বাঁচতে দাঁও” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের আনিস সাহেবের বক্তব্যে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত?

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মূলভাবটি ধারণ করে।”- বক্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

নিচে উত্তরসহ বাঁচতে দাও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।

বাঁচতে দাও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

Related Posts

Leave a Comment