পাখি গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর

লীলা মজুমদারের “পাখি” গল্পটি একটি সহজ ও মর্মস্পর্শী কাহিনী, যা একটি আহত মেয়ে এবং একটি আহত পাখির সম্পর্ককে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এই পোস্টে পাখি গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।

Image with Link Descriptive Text

পাখি গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন

১। কুমুর পায়ের কি হয়?
উত্তর: কুমু একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়, যার ফলে তার ডান পা ঠিকভাবে কাজ করে না। সে হাঁটতে পারে না এবং তাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কুমুকে তার দিদিমার বাড়িতে পাঠানো হয়, যেখানে সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।


২। কুমুকে দিদিমার বাড়িতে পাঠানো হয় কেন?
উত্তর: দিদিমার বাড়িটি প্রকৃতির মধ্যে অবস্থিত, এবং সেখানে কুমু বিশ্রাম নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠবে। এই পরিবেশে কুমু প্রকৃতির সান্নিধ্য পাবে এবং তার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা ফিরে পাবে। তাই কুমুকে দিদিমার বাড়িতে পাঠানো হয়।


৩। কুমু কীভাবে সময় কাটায়?
উত্তর: কুমু দিদিমার বাড়িতে প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটায়। সে জানালার পাশে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং আহত পাখিটাকে দেখে। কুমু ধীরে ধীরে হাঁটার চেষ্টা করে এবং পাখিটাকে সাহায্য করার মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখে।


৪। পাখিটির কী সমস্যা ছিল?
উত্তর: পাখিটির একটি ডানা ভাঙা ছিল, যার কারণে সে ঠিকভাবে উড়তে পারছিল না। পাখিটা আহত অবস্থায় গাছের ডালে বসে ছিল এবং কুমু ও লাটু তাকে সাহায্য করে।


৫। পাখিটিকে কিভাবে রাখা হয়?
উত্তর: পাখিটিকে একটি ঝুড়িতে রাখা হয়। ঝুড়িটি লেবু গাছের ডালে বেঁধে দেওয়া হয়, যাতে পাখিটি নিরাপদে থাকতে পারে। কুমু ও লাটু পাখিটাকে গোপনে যত্ন করে।


৬। পাখিটাকে কী দিয়ে চিকিৎসা করা হয়?
উত্তর: পাখিটাকে চুন হলুদ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। লাটু পাখিটার ভাঙা ডানায় চুন হলুদ লাগিয়ে দেয়, যা পাখিটাকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। এই চিকিৎসায় পাখিটা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।



৭। পাখিটা কেমন ছিল?
উত্তর: পাখিটা একটি ছাই রঙের বুনো হাঁস ছিল। তার একটি ডানা ভাঙা ছিল, এবং সে ঠিকভাবে উড়তে পারছিল না। পাখিটা কুমু ও লাটুর যত্নে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।


৮। পাখিটা কেমন করে উড়তে চেষ্টা করে?
উত্তর: পাখিটা তার ডানা ঝাপটিয়ে উড়তে চেষ্টা করে। প্রথমে সে উড়তে পারে না, কিন্তু ধীরে ধীরে তার ডানা শক্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পাখিটা তার দলের সাথে উড়ে যায়।


৯। পাখিটা কিভাবে উড়ে যায়?
উত্তর: পাখিটা তার দল ফিরে এলে উড়ে যায়। একদিন আকাশে একটি বুনো হাঁসের ঝাঁক উড়ে যায়, এবং পাখিটাও তাদের সাথে যেতে চায়। পাখিটা তার দলের সাথে উড়ে যায় এবং স্বাধীনতা ফিরে পায়।


১০। কুমু কীভাবে সুস্থ হয়?
উত্তর: কুমু ধীরে ধীরে ব্যায়াম করে এবং বিশ্রাম নিয়ে সুস্থ হয়। সে তার পায়ের ব্যায়াম করে এবং হাঁটার চেষ্টা করে। কুমুর সংগ্রাম এবং পাখির সংগ্রাম একই রকম ছিল, এবং উভয়েই একে অপরের কাছ থেকে শক্তি পেয়েছে।


১১। কুমুর পায়ের অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর: কুমুর ডান পা একটু ছোট ছিল এবং সে ঠিকভাবে হাঁটতে পারছিল না। সে ধীরে ধীরে ব্যায়াম করে এবং হাঁটার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত কুমু তার পায়ের জোর ফিরে পায় এবং আবার হাঁটতে পারে।


১২। কুমু কীভাবে হাঁটতে শেখে?
উত্তর: কুমু ধীরে ধীরে ব্যায়াম করে হাঁটতে শেখে। সে তার পায়ের ব্যায়াম করে এবং হাঁটার চেষ্টা করে। কুমুর সংগ্রাম এবং পাখির সংগ্রাম একই রকম ছিল, এবং উভয়েই একে অপরের কাছ থেকে শক্তি পেয়েছে।


১৩। পাখিটা কুমুকে কী শেখায়?
উত্তর: পাখিটা কুমুকে সংগ্রাম ও আশা শেখায়। পাখিটা তার ভাঙা ডানা নিয়ে সংগ্রাম করে এবং শেষ পর্যন্ত উড়ে যায়। কুমুও তার পায়ের সমস্যা নিয়ে সংগ্রাম করে এবং সুস্থ হয়ে ওঠে।


১৪। পাখিটা কুমুর সাথে কীভাবে সম্পর্ক গড়ে?
উত্তর: পাখিটা কুমুর সাথে সাহায্য ও যত্নের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে। কুমু ও লাটু পাখিটাকে সাহায্য করে এবং তার যত্ন নেয়। পাখিটা কুমুকে অনুপ্রাণিত করে এবং তার সংগ্রামে সাহায্য করে।


১৫। পাখিটা কুমুকে কীভাবে সাহায্য করে?
উত্তর: পাখিটা কুমুকে অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহায্য করে। পাখিটা তার সংগ্রাম দেখিয়ে কুমুকে শক্তি দেয়। কুমুও পাখিটাকে সাহায্য করে এবং তার যত্ন নেয়।


১৬। গল্পের শেষে কুমুর কী হয়?
উত্তর: গল্পের শেষে কুমু সুস্থ হয়ে ওঠে। তার পায়ের জোর ফিরে আসে, এবং সে আবার হাঁটতে পারে। কুমু বুঝতে পারে যে তার সংগ্রাম এবং পাখির সংগ্রাম একই রকম ছিল। উভয়েই একে অপরের কাছ থেকে শক্তি পেয়েছে।


Related Posts

Leave a Comment