বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পটি একটি চমৎকার রচনা, যা গ্রামীণ জীবনের সরলতা, বন্ধুত্ব, নৈতিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধের উপর আলোকপাত করে। গল্পটি কালবৈশাখী ঝড়ের পটভূমিতে শুরু হয়, যেখানে একদল ছেলে নদীতে স্নান করতে যায়। এই পোস্টে পড়ে পাওয়া গল্পের প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক) লিখে দিলাম।
পড়ে পাওয়া গল্পের প্রশ্ন উত্তর
১। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পটি কোন ঋতুর পটভূমিতে শুরু হয়?
উত্তর: কালবৈশাখী ঝড়ের সময়, অর্থাৎ গ্রীষ্মকালের পটভূমিতে শুরু হয়।
২। গল্পের প্রধান চরিত্র কারা?
উত্তর: গল্পের প্রধান চরিত্র হলো বিধু, সিধু, নিধু, তিনু এবং বাদল।
৩। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পে বিধু কে?
উত্তর: বিধু হলো গল্পের ছেলেদের দলের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক এবং প্রজ্ঞাবান চরিত্র।
৪। ছেলেরা প্রথমে কোথায় যায়?
উত্তর: ছেলেরা প্রথমে নদীর ঘাটে স্নান করতে যায়।
৫। বিধু কী লক্ষ্য করে?
উত্তর: বিধু পশ্চিম আকাশে কালবৈশাখী ঝড়ের লক্ষণ দেখতে পায়।
৬। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় কী হয়?
উত্তর: কালবৈশাখী ঝড়ের সময় প্রচণ্ড বাতাস, বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি হয়।
৭। ছেলেরা আম কুড়ানোর জন্য কোথায় যায়?
উত্তর: ছেলেরা আম কুড়ানোর জন্য চাঁপাতলীর আমবাগানে যায়।
৮। আমবাগানে কী ঘটে?
উত্তর: আমবাগানে প্রচুর আম ঝরে পড়ে এবং ছেলেরা সেগুলো কুড়ায়।
৯। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পে ছেলেরা কী পায়?
উত্তর: ছেলেরা একটি টিনের বাক্স পায়।
১০। বাক্সটি কেমন ছিল?
উত্তর: বাক্সটি ছিল টিনের তৈরি এবং তালাবন্ধ।
১১। বাক্সে কী থাকতে পারে বলে ছেলেরা মনে করে?
উত্তর: ছেলেরা মনে করে বাক্সে টাকা, গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিস থাকতে পারে।
১২। প্রথমে ছেলেরা বাক্সটি নিয়ে কী করতে চায়?
উত্তর: প্রথমে ছেলেরা বাক্সটি ভেঙে এর মধ্যে থাকা জিনিস ভাগ করে নিতে চায়।
১৩। পরে তাদের কী সিদ্ধান্ত হয়?
উত্তর: পরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে বাক্সটি তার প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে হবে।
১৪। বাক্সের মালিক খুঁজে বের করতে তারা কী করে?
উত্তর: তারা কাগজে বিজ্ঞপ্তি লিখে রাস্তার গাছে লাগিয়ে দেয়।
১৫। প্রথমে কে বাক্স দাবি করতে আসে?
উত্তর: প্রথমে একজন কালো রোগা লোক বাক্স দাবি করতে আসে।
১৬। ‘নাটমন্দির’ কী?
উত্তর: ‘নাটমন্দির’ হলো দেবমন্দিরের সামনের ঘর যেখানে নাচ-গান হয়।
১৭। দ্বিতীয়বার কে বাক্স দাবি করতে আসে?
উত্তর: দ্বিতীয়বার একজন কাপালি লোক বাক্স দাবি করতে আসে।
১৮। ‘বিচুলি গাদা’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ‘বিচুলি গাদা’ বলতে ধানের খড়ের স্তূপ বোঝায়।
১৯। বাক্সের রঙ কী ছিল?
উত্তর: বাক্সের রঙ ছিল সবুজ।
২০। ছেলেরা বাক্সটি কাকে ফেরত দেয়?
উত্তর: ছেলেরা বাক্সটি কাপালি লোককে ফেরত দেয়।
২১। ‘গহনা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘গহনা’ শব্দের অর্থ অলংকার।
২২। বিধু কী করতে চায়?
উত্তর: বিধু চায় যে কাপালি লোক একটি রসিদ লিখে দিক।
২৩। ‘সংশয়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘সংশয়’ শব্দের অর্থ সন্দেহ বা দ্বিধা।
২৪। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পে গল্পের মূলভাব কী?
উত্তর: গল্পের মূল বার্তা হলো সততা ও নৈতিকতার গুরুত্ব।
২৫। ‘দিব্যি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘দিব্যি’ শব্দের অর্থ চমৎকার বা আশাতীতভাবে।
২৬। ছেলেদের মধ্যে কে সবচেয়ে বুদ্ধিমান?
উত্তর: ছেলেদের মধ্যে বিধু সবচেয়ে বুদ্ধিমান।
২৭। ছেলেরা বাক্সটি কোথায় লুকিয়ে রেখেছিল?
উত্তর: বাদলদের বাড়ির বিচুলিগাদায় লুকিয়ে রেখেছিল।
২৮। ‘বোষ্টম’ কারা?
উত্তর: ‘বোষ্টম’ হলো হরিনাম সংকীর্তন করে জীবিকা অর্জনকারী বৈষ্ণব সম্প্রদায়।
২৯। ‘অপ্রতিভভাবে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘অপ্রতিভভাবে’ শব্দের অর্থ বিব্রত বা লজ্জিতভাবে।
৩০। ‘অনাদৃত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘অনাদৃত’ শব্দের অর্থ অবহেলিত, উপেক্ষিত বা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এমন।
৩১। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৩২। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কোথায় হয়েছিল?
উত্তর: চব্বিশ পরগনা জেলার মুরাতিপুর গ্রামে।
৩৩। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি কোথায়?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর গ্রামে।
৩৪। বিভূতিভূষণের মাতার নাম কী?
উত্তর: মৃণালিনী দেবী।
৩৫। বিভূতিভূষণের পিতার নাম কী?
উত্তর: পিতার নাম মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩৬। বিভূতিভূষণের পিতার পেশা কী ছিল?
উত্তর: তাঁর পিতার পেশা ছিল কথকতা ও পৌরোহিত্য।
৩৭। বিভূতিভূষণের কোন দুটি উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ?
উত্তর: ‘পথের পাঁচালী’ এবং ‘অপরাজিত’ ।
৩৮। বিভূতিভূষণের জীবনাবসান কত সালে হয়?
উত্তর: ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।