বুদ্ধদেব বসুর ‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতায় কিশোর কানাই তার ছোট বোন ছোকানুকে নিয়ে কল্পনায় নৌকায় ভ্রমণের কথা বলে। তারা চায় মাঝির নৌকায় উঠে মেঘনা, পদ্মা, শোণ বাংলার বড় বড় নদী বেয়ে অনেক দূরে চলে যেতে। কানাই মাঝিকে অনুরোধ করে। এই পোস্টে নদীর স্বপ্ন কবিতার জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর লিখে দিলাম।
Table of Contents
নদীর স্বপ্ন কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন প্রশ্ন ও উত্তর
১। বুদ্ধদেব বসু কী ধরনের প্রতিভার অধিকারী ছিলেন?
উত্তর: বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।
২। বুদ্ধদেব বসু কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
৩। বুদ্ধদেব বসুর প্রথম পেশা কী ছিল?
উত্তর: সাংবাদিকতা।
৪। বুদ্ধদেব বসু পরবর্তীতে তিনি কোন পেশা গ্রহণ করেন?
উত্তর: অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
৫। ‘প্রগতি’ পত্রিকা কে এবং কারা যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন?
উত্তর: বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্ত।
৬। ‘প্রগতি’ পত্রিকা কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৯২৭-১৯২৯।
৭। বুদ্ধদেব বসু আর কোন পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন?
উত্তর: ‘কবিতা পত্রিকা’।
৮। বুদ্ধদেব বসু রবীন্দ্রনাথের কোন দিক থেকে পৃথক?
উত্তর: কাব্যরীতির বাইরে পৃথক কাব্যধারার প্রতিষ্ঠাতা।
৯। বুদ্ধদেব বসুর জন্ম কোথায়?
উত্তর: কুমিল্লায়।
১০। বুদ্ধদেব বসুর পৈতৃক নিবাস কোথায়?
উত্তর: বিক্রমপুর (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ)।
১১। বুদ্ধদেব বসু কখন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে।
১২। বুদ্ধদেব বসুর মৃত্যু কোথায় হয়?
উত্তর: কলকাতায়।
১৩। ‘প্রগতি’ পত্রিকা কী ধরনের পত্রিকা ছিল?
উত্তর: সচিত্র মাসিক পত্রিকা।
১৪। বুদ্ধদেব বসুর ‘প্রগতি’ পত্রিকার সহসম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তর: অজিত দত্ত।
১৫। ‘প্রগতি’ পত্রিকা কত বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছিল?
উত্তর: দুই বছর (১৯২৭-১৯২৯)।
১৬। বুদ্ধদেব বসুর সম্পাদিত অন্য পত্রিকার নাম কী?
উত্তর: ‘কবিতা পত্রিকা’।
১৭। বুদ্ধদেব বসুর জন্ম সাল কত?
উত্তর: ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ।
১৮। বুদ্ধদেব বসুর কর্মজীবন শুরু হয় কোন শহরে?
উত্তর: ঢাকায়।
১৯। বুদ্ধদেব বসু কোন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে।
২০। বুদ্ধদেব বসুর মৃত্যুর সময় তিনি কত বছর বয়সী ছিলেন?
উত্তর: ৬৬ বছর (১৯০৮-১৯৭৪)।
২১। নদীর স্বপ্ন কবিতাটির কবি কে?
উত্তর: বুদ্ধদেব বসু।
২২। নদীর স্বপ্ন কবিতাটির প্রথম লাইন কী?
উত্তর: কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না!
২৩। কবিতায় ‘সিকি’ কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ছোটো নতুন রুপোর সিকি অর্থ ২৫ পয়সার মুদ্রা।
২৪। ছোকানুর কাছে কী কী আছে?
উত্তর: দুটো আনি।
২৫। কবিতায় নৌকাটি কোথায় বাঁধা আছে?
উত্তর: ঘাটে।
২৬। নৌকা কোথায় যেতে চায়?
উত্তর: অনেক দূরে।
২৭। কবিতার বক্তা কার সঙ্গে বেড়াতে চায়?
উত্তর: মাঝির সঙ্গে।
২৮। ছোকানু কার বোন?
উত্তর: কবিতার বক্তার।
২৯। মা কী করছে কবিতায়?
উত্তর: ঘুমিয়ে আছেন।
৩০। দিদি কোথায় গেছে?
উত্তর: ইশকুলে।
৩১। কবিতায় ‘জেলের নৌকা’ কী কাজ করে?
উত্তর: জাল টেনে তোলা।
৩২। নদীর স্বপ্ন কবিতায় নদীর নাম কী বলা হয়েছে?
উত্তর: রুপোলি নদী।
৩৩। নদীতে কী ধরণের মাছ ধরা হয়?
উত্তর: রুপোলি ইলিশ।
৩৪। ‘ইলিশ কিনলে’ কবি কী বলেছেন?
উত্তর: খুব ভালো, মাঝি।
৩৫। রান্নার কারসাজি কে দেখাবে?
উত্তর: রান্নার কারসাজি ছোকানু দেখাবে।
৩৬। ‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতায় কার কাছে দুটো আনি আছে?
উত্তর: ‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতায় ছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে।
৩৭। মাঝি কী কেনে?
উত্তর: মাঝি ইলিশ মাছ কেনে।
৩৮। রান্নায় কী ছিল?
উত্তর: পইঠায় বসে ধোঁয়া ওঠা ভাত ও টাটকা ইলিশ ভাজা।
৩৯। কবিতায় কে ‘আকাশের রানি’?
উত্তর: ছোকানু।
৪০। কে ‘পদ্মার রাজা’?
উত্তর: কবিতার বক্তা।
৪১। খাওয়া শেষ হলে কী হয়?
উত্তর: আবার চলা হয়।
৪২। নদীর স্বপ্ন কবিতায় নাওটি কী ধরনের?
উত্তর: ছোট্ট নাও।
৪৩। নদীর স্বপ্ন কবিতায় হাওয়ার কেমন?
উত্তর: হালকা নরম হাওয়া।
৪৪। নাওয়ায় কী তুলে দেয়া হয়েছে?
উত্তর: লাল পাল।
৪৫। ছোকানুর চোখ কেমন হয়?
উত্তর: ঘুমে ঢুলে আসে।
৪৬। কে ঘুমিয়ে আছেন?
উত্তর: মা ঘুমিয়ে আছেন।
৪৭। কোথায় বসে ধোঁয়া ওঠা ভাত খাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: পৈঠায় বসে ধোঁয়া ওঠা ভাত খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৪৮। নদীর স্বপ্ন কবিতায় কার কাছে গল্প শোনার ইচ্ছা আছে?
উত্তর: মাঝির কাছে।
৪৯। কবি কী কিভাবে ঘুমিয়ে পড়ে?
উত্তর: গান শুনতে শুনতে।
৫০। নদীর স্বপ্ন কবিতায় কবি মাঝিকে কী দেখতে বলে?
উত্তর: ছোকানুরে।
৫১। ছোকানু কেমন মেয়ে বলা হয়েছে?
উত্তর: বড়োই ভীতু।
৫২। নদীর স্বপ্ন কবিতায় ‘আনি’ কী?
উত্তর: এক টাকার ষোল ভাগের এক ভাগ মুদ্রা।
৫৩। কবিতায় মাঝির সঙ্গে কে গেছে?
উত্তর: কবিতার বক্তা ও ছোকানু।
৫৪। কবিতায় নৌকায় কারা আছেন?
উত্তর: কবিতার বক্তা, ছোকানু ও মাঝি।
৫৫। কবিতায় নৌকা কোন কোন নদী দিয়ে যাচ্ছে?
উত্তর: মেঘনা, পদ্মা, শোণ নদী।
৫৬। মাঝিকে কে জিজ্ঞেস করেছে- আমারে চেনো না?
উত্তর: মাঝিকে কানাই জিজ্ঞেস করেছে, আমারে চেনো না?
৫৭। সিকি কী?
উত্তর: সিকি হলো চার আনা মূল্যের মুদ্রা বা ২৫ পয়সার মুদ্রা।
৫৮। আনি কী ধরনের মুদ্রা?
উত্তর: আনি হলো এক টাকার ষোল ভাগের এক ভাগ মূল্যের মুদ্রা।
৫৯। শোণ কী?
উত্তর: শোণ একটি নদীর নাম।
৬০। কারসাজি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কারসাজি অর্থ কূটকৌশল; এখানে চমৎকারিত্ব অর্থে কাব্যিক ব্যবহার হয়েছে।
৬১। পাল কী?
উত্তর: পাল হলো নৌকায় বাতাসের সাহায্যে চালানোর জন্য খাটানো মোটা কাপড়ের পর্দা।
নদীর স্বপ্ন কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর
১। নৌকা-ভ্রমণের বিনিময়ে কানাই মাঝিকে আনি বা পয়সা দিতে চেয়েছিল কেন?- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নৌকা-ভ্রমণের বিনিময়ে কানাই মাঝিকে আনি বা পয়সা দিতে চেয়েছিল নৌকায় তাদের নিয়ে বেড়ানোর পারিশ্রমিক হিসেবে।
‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতায় কানাই ও তার ছোট বোন ছোকানু নদীতে ভ্রমণে যেতে চায়। তারা মাঝিকে অনুরোধ করে যেন তার নৌকায় তাদের তুলে নেয়। কানাই জানে মাঝি নৌকা চালিয়ে টাকা উপার্জন করে সংসার চালায়। তাই সে ভাবল, মাঝিকে বিনা পয়সায় কষ্ট দিতে ঠিক হবে না। সেই কারণে নৌকায় তাদের ঘুরিয়ে আনার বিনিময়ে কানাই মাঝিকে আনি বা পয়সা দিতে চেয়েছিল। এটা ছিল নৌকায় ঘোরার পারিশ্রমিক হিসেবে।
২। কানাই বাবার বকুনি একাই মাথা পেতে নিতে চেয়েছিল কেন?
উত্তর: বোনের প্রতি স্নেহ ও দায়িত্ববোধ এবং মাঝিকে অভয় দেওয়ার উদ্দেশ্যে কানাই বাবার বকুনি একাই মাথা পেতে নিতে চেয়েছিল।
‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতায় কিশোর কানাই মাঝিকে অনুরোধ করে যেন সে তাকে ও তার বোন ছোকানুকে নৌকায় করে নদীতে ঘুরিয়ে আনে। মাঝিকে রাজি করানোর জন্য কানাই বলে, সে তাদের নৌকা ভ্রমণের জন্য পয়সা দেবে। কিন্তু মাঝি তবুও ভয় পায়, যদি কানাইয়ের বাবা রাগ করেন। তখন কানাই তাকে অভয় দেয়। সে বলে, মা এখন ঘুমিয়ে আছেন, দিদি স্কুলে গেছে, তাই এখনই তাদের নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। আর যদি বাবা পরে বকে, তবে সেই বকুনি সে একাই সহ্য করবে। বোন ছোকানু কিংবা মাঝিকে তার জন্য কোনো দোষ নিতে হবে না।
৩। ‘একা নেবো মাথা পেতে’- এখানে কী মাথা পেতে নেবার কথা বলা হয়েছে? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: ‘একা নেবো মাথা পেতে’- এখানে নদীতে ঘুরে বেড়ানোর সমস্ত দোষ মাথা পেতে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতায় নদী ও নৌকা ভ্রমণ নিয়ে এক কিশোরের সুন্দর কল্পনা ফুটে উঠেছে। দুরন্ত কিশোর কানাই তার ছোট বোন ছোকানুকে নিয়ে সবার অজান্তে নৌকায় চড়ে নদীতে ঘুরে বেড়াতে চায়। মাঝিকে সে রাজি করানোর চেষ্টা করে, এমনকি বোনের প্রতি দায়িত্ব ও স্নেহের পরিচয়ও দেয়। সে মাঝিকে আশ্বস্ত করে যে এই ভ্রমণের জন্য যদি কেউ রাগ করে বা বকে, তবে সেই দোষ সে একাই নেবে। নদীতে ঘুরে বেড়ানোর সমস্ত দোষ সে নিজের উপর নেবে, বোন বা মাঝিকে কোনো বিপদে পড়তে দেবে না।
৪। যত দোষ সব আমরা না, আমি একা নেবো মাথা পেতে।-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: “যত দোষ সব আমরা না আমি একা নেবো মাথা পেতে।”-এই চরণে ছোট্ট কিশোরের দায়িত্ববোধের প্রকাশ ঘটেছে।
কানাই তার ছোট বোন ছোকানুকে নিয়ে নৌকায় চড়ে নদীর পর নদী ঘুরে দেখতে চায়, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। কিন্তু সে জানে, তারা দুজনই ছোট বলে মাঝি হয়তো রাজি হবে না। আবার সে ভয় পায়, তাদের নৌকায় তুলে নিলে তার বাবা মাঝিকে বকতে পারেন। তাই শুরুতে কানাই বলে, সব দোষ সে আর তার বোন একসাথে নেবে। কিন্তু পরেই তার মনে বোনের প্রতি স্নেহ ও দায়িত্ববোধ জাগে। তখন সে বলে, সব দোষ একাই নেবে—বোন বা মাঝির উপর কোনো দায় দেবে না।
৫। রূপোলি নদীর রূপোলি ইলিশ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এখানে অসংখ্য ছোট-বড় নদী বয়ে গেছে—যার সংখ্যা প্রায় তেরো শতাধিক। এসব নদীর জল রোদে ঝলমল করে উঠে, যেন রূপার মতো চকচক করে। পদ্মা নদীসহ অনেক নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। ইলিশের গায়ে রূপালি আভা থাকে, যা নদীর জলের সাথে মিশে আরও ঝলমল করে ওঠে। তাই কবি সুন্দরভাবে বলেছেন—“রূপালি নদীতে রূপালি ইলিশ ঝলমল করে।”
৬। ছোকানুর চোখে ঘুম ঢুলে এলে কানাই জেগে থাকে কেন?
উত্তর: ছোকানুর চোখে ঘুম ঢুলে এলে কানাই জেগে থাকে মাঝির কাছে গান ও গল্প শোনার জন্য।
সারাদিন ছোকানু আর কানাই নৌকায় করে নদীতে ঘুরে বেড়ায়। নৌকাতেই ছোকানু রান্না করে, আর নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। সারাদিনের এই পরিশ্রমে ছোকানুর চোখে ঘুম চলে আসে, সে ক্লান্ত হয়ে ঢুলতে থাকে। কিন্তু কানাই ঘুমায় না, জেগে থাকে। সে মাঝির কাছে গান শোনে, আর গান শেষ হলে গল্প শোনার ইচ্ছা করে। মাঝির মুখে গান আর গল্প শোনার আনন্দেই কানাই রাত জেগে থাকে।
৭। ‘ঝড় এলে ডেকো আমারে’- কানাই একথা বলেছে কেন?
উত্তর: ছোকানুকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কানাই এ কথা বলেছে।
সারাদিন নৌকায় ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ছোকানু গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়বে। তখন কানাই ভাববে, যদি হঠাৎ ঝড় উঠে, তবে বোনের ঘুমের যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। তাই সে বোনকে পরম মমতায় আগলে রাখবে, যেন ছোকানু নিরাপদ থাকে। এই কারণেই কানাই মাঝিকে বলে দিয়েছে, সে যদি ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে মাঝি যেন তাকে ডেকে দেয়—যাতে বোনকে রক্ষা করতে পারে এবং বিপদের সময় পাশে থাকতে পারে।
৮। ‘কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না।’ কে, কাকে বলেছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কিশোর কানাই মাঝিকে বলেছে, ‘কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না।’
‘‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতার কিশোর কানাই কল্পনা করে যে সে তার ছোট বোন ছোকানুকে সঙ্গে নিয়ে নৌকায় চড়ে নদীর পর নদী ঘুরে দেখবে। তারা নদীর কলকল ধ্বনি শুনবে, জেলেদের মাছ ধরা দেখবে এবং নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করবে। এই স্বপ্নে ভর করেই কানাই নদীর ঘাটে গিয়ে মাঝিকে ডাকে এবং বলে, “কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না।” অর্থাৎ, সে চায় মাঝি যেন তাদের নৌকায় তুলে নেয়, যাতে তারা নদীর সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখতে পারে।
৯। পায়ে পড়ি, মাঝি, সাথে নিয়ে চলো মোরে আর ছোকানুরে-বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কিশোর কানাই নদীতে বেড়াতে যাবে বলে মাঝিকে তার নৌকায় তুলে নেওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয় করে।
কানাই তার ছোট বোন ছোকানুকে সঙ্গে নিয়ে নদী দেখতে চায়, তাই সে নদীর ঘাটে যায়। ঘাটে গিয়ে দেখে, সেখানে মাঝির নৌকা বাঁধা আছে। মাঝি হয়তো তার নৌকা নিয়ে দূরে কোথাও যেতে প্রস্তুত। তখন কানাই খুব অনুনয়-বিনয় করে মাঝিকে বলে, “পায়ে পড়ি, মাঝি, সাথে নিয়ে চলো মোরে আর ছোকানুরে।” অর্থাৎ, সে বিনয়ের সঙ্গে মাঝিকে অনুরোধ করে যেন মাঝি তাদের নৌকায় তুলে নেয় এবং নদীতে ঘুরতে নিয়ে যায়।