তৈলচিত্রের ভূত গল্পে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের মনে ভূত ও অতিপ্রাকৃতের ভয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও যুক্তির গুরুত্বকেও তুলে ধরে। গল্পটি পাঠককে ভাবায় যে অনেক সময় আমরা যা দেখি বা অনুভব করি, তার পেছনে একটি সহজ ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে। এই পোস্টে তৈলচিত্রের ভূত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর লিখে দিলাম।
তৈলচিত্রের ভূত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। ‘তৈলচিত্রের ভূত‘ গল্পের প্রধান চরিত্র কে?
উত্তর: নগেন।
২। নগেন কোথায় থাকে?
উত্তর: তার মামার বাড়িতে।
৩। নগেনের মামা মারা যাওয়ার আগে কী করে গেছেন?
উত্তর: নগেনকে সম্পত্তি উইল করে রেখে গেছেন।
৪। মামার প্রতি নগেনের মনে কী অনুভূতি জাগে?
উত্তর: অনুতাপ, কারণ সে জীবদ্দশায় মামাকে ঠিকভাবে শ্রদ্ধা দেখায়নি।
৫। নগেন প্রথম কখন ছবি স্পর্শ করে?
উত্তর: রাতের অন্ধকারে।
৬। ছবি স্পর্শ করলে নগেনের কী হয়?
উত্তর: সে একটি ধাক্কা খায় এবং মেঝেতে পড়ে যায়।
৭। নগেনের মনে কী ধারণা হয়?
উত্তর: তার মামার আত্মা তাকে শাস্তি দিচ্ছে।
৮। ‘কস্মিনকালে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ কোনো কালে বা কোনো কালেই।
৯। নগেন কার কাছে সাহায্য চায়?
উত্তর: পরাশর ডাক্তারকে।
১০। পরাশর ডাক্তার কী বিশ্বাস করেন?
উত্তর: ভূতের কোনো অস্তিত্ব নেই।
১১। ‘প্রেতাত্মা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ মৃতের আত্মা, ভূত।
১২। তৈলচিত্রটি কীসে বাঁধানো?
উত্তর: রুপার ফ্রেমে।
১৩। ফ্রেমে কী লাগানো আছে?
উত্তর: দুটি ইলেকট্রিক বাল্ব।
১৪। ইলেকট্রিক বাল্ব কী কাজ করে?
উত্তর: বিদ্যুৎ সংযুক্ত থাকে এবং নগেনকে শক দেয়।
১৫। অন্ধকারে ছবি স্পর্শ করলে কী হয়?
উত্তর: বিদ্যুৎ শক দেয়।
১৬। ‘খাপছাড়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ বেমানান, এলোমেলো।
১৭। ইলেকট্রিক বাল্ব কে লাগিয়েছিল?
উত্তর: নগেনের মামাতো ভাই পরেশ।
১৮। পরেশ কী পড়ে?
উত্তর: ইঞ্জিনিয়ারিং।
১৯। পরেশ কেন বাল্ব লাগিয়েছিল?
উত্তর: ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে পয়সা দিতে না হয়।
২০। নগেন কেন ভূতের ভয়ে ভুগছিল?
উত্তর: সে ইলেকট্রিক বাল্বের ব্যাপারটি জানত না।
২১। ‘অশরীরী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ দেহহীন, শরীরহীন, নিরাকার।
২২। গল্পটি কী ধরনের গল্প?
উত্তর: রহস্যময় ও মনস্তাত্ত্বিক গল্প।
২৩। ‘উইল’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ মৃত্যুর পরে সম্পত্তি বণ্টন বিষয়ে মালিকের ইচ্ছানুসারে প্রস্তুত ব্যবস্থাপত্র বা দানপত্র।
২৪। ‘তৈলচিত্রের ভূত‘ গল্পটি কে লিখেছেন?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৫। গল্পটি কোন ধরনের সমাজকে ফুটিয়ে তোলে?
উত্তর: অন্ধবিশ্বাস ও ভুল ধারণাগুলোকে।
২৬। নগেনের মামার ছবি কে আঁকিয়েছিলেন?
উত্তর: মামা নিজে শখ করে আঁকিয়েছিলেন।
২৭। নগেনের মামার ছবি কখন আঁকা হয়েছিল?
উত্তর: মামার মৃত্যুর আগে।
২৮। নগেনের মামার ছবি কোথায় টাঙানো ছিল?
উত্তর: লাইব্রেরির দেয়ালে।
২৯। ‘শ্রাদ্ধ’ কী?
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য শ্রদ্ধা নিবেদনের হিন্দু আচার বা শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান।
৩০। ‘বিস্ফারিত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ বিস্তারিত, প্রসারিত।
৩১। ‘প্ৰকাণ্ড’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ অত্যন্ত বৃহৎ, অতিশয় বড়।
৩২। ‘উদ্ভ্রান্ত’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বিহ্বল, দিশেহারা, হতজ্ঞান।
৩২। ‘অনুতাপ’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কৃতকর্ম বা আচরণের জন্য অনুশোচনা, পরিতাপ।
৩৩। ‘তৈলচিত্র’ কী?
উত্তরঃ তেলরঙে আঁকা ছবি।
৩৪। ‘প্ৰণাম’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ হাত ও মাথা দ্বারা গুরুজনের চরণ স্পর্শ করে অভিবাদন।
৩৫। ‘আত্মগ্লানি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ নিজের ওপর ক্ষোভ ও ধিক্কার, অনুতাপ, অনুশোচনা।
৩৬। ‘ছলনা’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কপটতা, শঠতা, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা, ধোঁকা।
৩৭। ‘তৈলচিত্রের ভূত’ কী ধরনের গল্প?
উত্তরঃ এটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কিশোর-উপযোগী ছোটগল্প।
৩৮। ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পটি কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘মৌচাক’ পত্রিকায়।
৩৯। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী?
উত্তরঃ প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪০। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ সাঁওতাল পরগনার দুমকা গ্রামে।
৪১। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি কোথায় ছিল?
উত্তরঃ ঢাকার বিক্রমপুরে।
৪২। কোন কলেজে পড়ার সময় তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময়।
৪৩। কোন সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ ১৯২৮ সালে।
৪৪। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতেন?
উত্তরঃ বিজ্ঞান (B.Sc)।
৪৫। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে?
উত্তরঃ ‘পদ্মানদীর মাঝি’।
৪৬। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় মারা যান?
উত্তরঃ কলকাতায়।
৪৭। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কবে মারা যান?
উত্তরঃ ১৯৫৬ সালে।