ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণি

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘ঝরনার গান’ কবিতাটিতে ঝরনার সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে। ঝরনা কিভাবে চলে, চলার গতি কেমন ইত্যাদি বিষয় কাব্যিক ধারায় বলা হয়েছে। এই পোস্টে ৯ম ও ১০ম শ্রেণি ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর লিখে দিলাম।

ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন]
নিসর্গকে হাতের মুঠোয় পুরে দেয়ার তাগিদ থেকে পলাশ সাহেব গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান। বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তিনি গড়ে তোলেন। পুকুর, দীঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্য-পিপাসু মানুষমাত্রকেই আকৃষ্ট করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রকৃতিকে শিল্পী তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন শুধুই নিজের খেয়ালে। ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীকে জানন্দ দান নয়, সৌন্দর্যই মুখা। বৈরী প্রকৃতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি এ কাজে অগ্রসর হয়েছেন। সৃষ্টির আনন্দই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে এতটা পথ।

ক. ঝরনা কেমন পায়ে ছুটে চলে?

খ. শিথিল সব শিলার পর’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝরনার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝরনার গান’ কবিতার মূল বস্তুবাকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ

ক. ঝরনা চপল পায়ে ছুটে চলে।

খ. শিখিল সব শিলার পর’ বলতে কবি স্তব্ধ পাথরের বুকে আনন্দচিহ্ন রেখে ঝরনার বয়ে চলাকে বোঝাতে চেয়েছেন।

‘ঝরনার গান’ কবিতায় কবি ঝরনার গতি আর সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। ঝরনা সব নীরবতা ভেঙে নিজের আনন্দে বয়ে চলে। পাখির ডাকহীন শান্ত দুপুর, ভয়ংকর পাহাড় এসব কিছু না ভেবেই সে পাথর বেয়ে নিচে নামে। পথে পথে ঝরনা পাথরের গায়ে সৌন্দর্যের দাগ রেখে যায়। এই কারণেই প্রশ্নের কথাটি বলা হয়েছে।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘করনার গান’ কবিতার রূপসৌন্দর্যের দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

বাংলাদেশের প্রকৃতি খুব সুন্দর। সবুজ মাঠ, নদীতে ভেসে চলা নৌকা, কাশফুল, আকাশ, বন-বনানী, নদী-সাগর, পাহাড়-পর্বত আর পাহাড় বেয়ে নামা ঝরনা—সবই আমাদের মুগ্ধ করে।

উদ্দীপকে পলাশ সাহেবের বানানো বাগানের সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যই মানুষের মনে সৌন্দর্যবোধ জাগায় এবং শিল্পসৃষ্টির অনুপ্রেরণা দেয়। তাই প্রকৃতির এই সাজানো সৌন্দর্য কেবল একার নয়, সবার আনন্দের উৎস। উদ্দীপকের এই সৌন্দর্য ‘ঝরনার গান’ কবিতার ঝরনার সৌন্দর্যের মতোই। ঝরনা পাহাড় কেটে ছুটে চলে, নীরব দুপুরে ছন্দময় শব্দে আনন্দ ছড়ায়, আর পাথরের গায়ে রেখে যায় সৌন্দর্যের দাগ। পাহাড় থেকে ঝরে পড়া জল চারদিকে ছিটকে পড়ে, যার মনোহর সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। তাই উদ্দীপক আর ‘ঝরনার গান’ কবিতার সৌন্দর্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝরনার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে অনেকখানি ধারণ করে। বিশেষ করে সৌন্দর্যচেতনার দিকটি।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়। এই মুগ্ধতা থেকেই মানুষের মধ্যে শিল্পবোধ জাগে। প্রকৃতির সৌন্দর্যই মানুষকে সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে উৎসাহ দেয়। নির্মল প্রকৃতি তাকে অনুপ্রেরণা জোগায়, আর সেই চেতনা থেকেই মানুষ নতুন শিল্পকর্ম তৈরি করে।

উদ্দীপকে প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্য ও সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে পলাশ সাহেবের উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। আসলেই মানুষই স্রষ্টার দেওয়া ক্ষমতা দিয়ে নিজের অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। উদ্দীপকে বর্ণিত সৌন্দর্যের সঙ্গে ‘ঝরনার গান’ কবিতার ঝরনার সৌন্দর্যের মিল আছে। যেমন ঝরনা ভয়ংকর পাহাড় উপেক্ষা করে ছুটে চলে, তেমনি উদ্দীপকে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে শিল্পসৃষ্টির চেতনা প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন আমাদের মানসিক শান্তি দেয়, ঠিক তেমনি ‘ঝরনার গান’ কবিতার ঝরনার সৌন্দর্যও আমাদের মুগ্ধ করে। ঝরনার সৌন্দর্য বিস্তার আর উদ্দীপকের সৌন্দর্য বিস্তারের বর্ণনা তাই এক ও অভিন্ন। এজন্যই বলা যায়, ‘ঝরনার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে উদ্দীপক অনেকখানি প্রকাশ করেছে।

সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২।
শুকুর মিয়া একজন কৃষক এবং এলাকায় লোককবি হিসেবে পরিচিত। তিনি কাজের অবসরে পুঁথি ও আঞ্চলিক গান রচনা করেন। সারা দিনের কাজ শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা তিনি বাড়ির আঙিনায় বসে পুঁথি পাঠ করেন। তার এই আসরে অনেকের সমাগম ঘটে। কেবল মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্যই তিনি নতুন নতুন গান ও পুঁথি লেখেন।

ক. ‘ফটিক জল’ অর্থ কী?

খ. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন।

গ. উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার কর্মকান্ডের সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বৈসাদৃশ্য কতটুকু? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “মানুষকে আনন্দ দেওয়ার বেলায় নতুন সৃষ্টির ক্ষেত্রে উদ্দীপকের শুকুর মিয়া ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝরনা যেন একে অন্যের পরিপূরক।”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩।
ঝরনা, ঝরনা, সুন্দরী ঝরনা
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা।
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে
তনু ভরি ‘যৌবন’ তাপসী অপর্ণা।
ঝরনা।

ক. বিজন দেশে কী নেই?

খ.. ‘চকোর চায় চন্দ্রমায়’ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপক ও ‘ঝরনার গান’ কবিতার আলোকে ঝরনার সৌন্দর্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝরনার গান’ কবিতার বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪।
শিখর হইতে শিখরে ছুটিব,
ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব,
হেসে খলখল গেয়ে কলকল তালে তালে দিব তালি।
এত কথা আছে, এত গান আছে, এত প্রাণ আছে মোর,
এত সুখ আছে, এত সাধ আছে, প্রাণ হয়ে আছে ভোর।

ক. আংরাখা অর্থ কী?

খ. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’- বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝরনার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি উপস্থাপন কর।

ঘ. উদ্দীপকের বর্ণনা ‘ঝরনার গান’ কবিতায় সমধর্মী হলেও পুরোপুরি এক নয়- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫।
এখন বসন্তকাল। দীর্ঘদিনের হিম-মৃত্যুতে ঢাকা প্রকৃতি আবার নবজীবনে মঞ্জরিত হয়ে উঠছে। গত ছ’মাস যে ভূর্জ গাছ ছিল নিষ্পত্র- তাতে নবপল্লব জন্ম নিচ্ছে। বরফ গলে যাওয়ার পর পৃথিবী আবার হয়ে উঠেছে শ্যামল, বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাসে বনস্পতি ও ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধে ছড়াচ্ছে অপূর্ব মাদকতা। দিগন্তব্যাপী সারা পৃথিবী নতুন করে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। কোথাও গাছে গাছে শোনা যেতে লাগল পাখিদের কাকলি, কোথাও বা ঝিঝি পোকার একটানা ডাক।

ক. কত বছর বয়সে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত পরলোকগমন করেন।

খ. ঝরনার বৈশিষ্ট্য কী?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ঝরনার গান’ কবিতার বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকের বসন্তকালের সঙ্গে ‘ঝরনার গান’ কবিতার ঝরনার চাঞ্চল্য মিলেমিশে একাকার হয়েছে।”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬।
বালিপাথর প্রবাল কিংবা জীববৈচিত্রোর সমন্বয়ে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণীয় অবকাশকেন্দ্র সেন্টমার্টিন। আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার, তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারিকেল বৃক্ষের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দ, মৃদু বাতাসের কোমল ছোঁয়া। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। মূল দ্বীপ ছাড়াও এখানে রয়েছে ক্ষুদ্রদ্বীপ যা ছেঁড়াদ্বীপ বা সিরাদিয়া নমে পরিচিত। সেন্টমার্টিনের সাগরের তলদেশে রয়েছে মনোমুগ্ধকর বিচিত্র প্রাণী ও হরেক রকম জীব। আরো আছে নানান আকারের পাখরের স্তূপ, দুর্লভ প্রবাল, দৃষ্টিনন্দন পাথরের ফুল। একমাত্র বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনে প্রবাল জন্ম নেওয়ার মতো পরিবেশ বিরাজমান।

ক. ছন্দের জাদুকর বলা হয় কোন কবিকে?

খ. ঝরনা কীভাবে ছুটে চলে?

গ. উদ্দীপকটি ‘ঝরনার গান’ কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিচারে উদ্দীপকের সেন্টমার্টিন ও ‘ঝরনার গান’ কবিতার ঝরনার রূপবৈচিত্র্য একসূত্রে গাঁথা।”-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭।
ওগো নদী, আপন বেগে পাগল-পারা,
আমি জব্দ চাঁপার তরু গন্ধভরে তন্দ্রাহারা।
আমি সদা অচল থাকি, গভীর চলা গোপন রাখি,
আমার চলা নবীন পাতায়, আমার চলা ফুলের ধারা।
ওগো নদী, চলার বেগে পাগল-পারা,
পথে পথে বাহির হয়ে আপন-হারা-
আমার চলা যায় না বলা- আলোর পানে প্রাণের চলা-
আকাশ বোঝে আনন্দ তার, বোঝে নিশার নীরব তারা।

ক. কোথায় ডালিম ফাট দেখা যায়?

খ. ঝরনা কীভাবে পাহাড় থেকে নেমে আসে?

গ. উদ্দীপকটি ‘ঝরনার গান’ কবিতার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “মিল থাকলেও উদ্দীপকটি ‘ঝরনার গান’ কবিতার একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন মাত্র, সামগ্রিকতা নয়।’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮।
আনন্দকে পাওয়ার জন্যে কত রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। আনন্দ প্রকাশ জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। আনন্দকে আমরা বুঝি রূপ-রস-শব্দ-স্পর্শ-গন্ধ ইত্যাদির সাহায্যে, ইন্দ্রিয়সকলের সাহায্যে। মানুষ যখন আনন্দ পায় তখন সে তার মনকে প্রকাশ করতে চায়- নানা রূপে। তাই সৃষ্টি হলো চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক।

ক. ঝাঁঝি কী?

খ. বিজন দেশ, কূজন নাই’- দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন।

গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ঝরনার গান’ কবিতার ভাবার্থের সাদৃশ্য বুঝিয়ে লেখ।

ঘ. উদ্দীপকের পরিপ্রেক্ষিত থেকে বলা যায়, ‘ঝরনার গান’ কবিতায় কবির নিজস্ব সৌন্দর্যসচেতন মানসিকতাই ঝরনার রূপকে ফুটে উঠেছে।”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

নিচে উত্তরসহ ঝরনার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।

ঝরনার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

আরও পড়ুনঃ 

রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বাংলা

বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বাংলা

তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

Related Posts

Leave a Comment