“জন্মভূমি” কবিতায় প্রকৃতই মাতৃভূমির প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দেশপ্রেমের এক অপূর্ব প্রকাশ ঘটেছে। কবির কাছে মাতৃভূমির ধন-সম্পদের চেয়ে বেশি মূল্যবান হলো এর স্নেহছায়া, প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং এখানে জন্ম নেওয়ার আনন্দ। এই পোস্টে জন্মভূমি কবিতার প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক) লিখে দিলাম।
জন্মভূমি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
১। ‘জন্মভূমি’ কবিতার রচয়িতা কে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২। কবি তাঁর জন্মভূমিকে কীভাবে দেখেছেন?
উত্তর: মায়ের মতো স্নেহশীল ও শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে।
৩। কবি তাঁর জন্মকে কী বলে উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: সার্থক জনম।
৪। কবি জন্মভূমির প্রতি কী অনুভব করেছেন?
উত্তর: গভীর দেশপ্রেম ও মমত্ববোধ।
৫। কবি তাঁর জন্মভূমির কী নিয়ে চিন্তিত নন?
উত্তর: ধন-রত্ন আছে কি না, তা নিয়ে।
৬। কবির কাছে জন্মভূমির সবচেয়ে মূল্যবান দিক কী?
উত্তর: জন্মভূমির স্নেহছায়া ও প্রশান্তি।
৭। কিসের গন্ধ কবিকে আকুল করে?
উত্তর: ফুলের গন্ধ।
৮। কবি কোন চাঁদের কথা বলেছেন?
উত্তর: যে চাঁদ হাসি হেসে ওঠে।
৯। কবির প্রথম চোখ জুড়িয়েছিল কীসে?
উত্তর: জন্মভূমির আলোতে।
১০। জন্মভূমি’ কবিতায় কবির শেষ ইচ্ছা কী?
উত্তর: জন্মভূমির আলোতেই চোখ মুদতে চান।
১১। ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কোন অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।
১২। কবি জন্মভূমির কোন সৌন্দর্যগুলোর প্রশংসা করেছেন?
উত্তর: ফুলের গন্ধ, চাঁদের হাসি, সূর্যের আলো।
১৩। ‘সার্থক জনম’ কথার অর্থ কী?
উত্তর: সফল ও পূর্ণ জীবন।
১৪। কবি জন্মভূমির কী দেখে মোহিত হয়েছেন?
উত্তর: তার প্রকৃতি ও সৌন্দর্য দেখে।
১৫। কবিতায় ‘মা’ শব্দটি কার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: জন্মভূমির জন্য।
১৬। কবির কাছে জন্মভূমির ছায়ার কী মূল্য?
উত্তর: এটি তাঁকে প্রশান্তি দেয়।
১৭। কবি জন্মভূমির চাঁদের হাসিকে কিসের সাথে তুলনা করেছেন?
উত্তর: আনন্দময় উজ্জ্বল হাসির সাথে।
১৮। জন্মভূমি’ কবিতার ছন্দ কী ধরনের?
উত্তর: গীতিধর্মী ছন্দ।
১৯। কবি কোথায় শান্তি ও প্রশান্তি পান?
উত্তর: জন্মভূমির স্নেহছায়ায়।
২০। কবি মাতৃভূমির সূর্যালোকে কী অনুভব করেন?
উত্তর: চোখ ও মন জুড়িয়ে যায়।
২১। ‘জানি নে তোর ধনরতন’ – এখানে ‘তোর’ দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: মাতৃভূমিকে।
২২। ‘মুদব’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বুজব, বন্ধ করব।
২৩। কবি তাঁর শেষ মুহূর্তের কী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: জন্মভূমির আলোতে নয়ন মুদতে চান।
২৪। ‘জন্মভূমি’ কবিতার মূল ভাব কী?
উত্তর: মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও দেশপ্রেম।
২৫। ‘সার্থক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সফল।
২৬। ‘রত্ন’ শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে কী হয়েছে?
উত্তর: রতন।
২৭। ‘আকুল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উৎসুক, ব্যগ্র, অধীর।
২৮। কবির মতে জন্মভূমির ধনরতনের চেয়ে কী বেশি মূল্যবান?
উত্তর: জন্মভূমির স্নেহ ও প্রশান্তি।
২৯। কবি মাতৃভূমিকে কীভাবে সম্বোধন করেছেন?
উত্তর: “মা” বলে সম্বোধন করেছেন।
৩০। কবি মাতৃভূমির প্রকৃতির কোন দিকটি তাঁকে আকুল করে?
উত্তর: ফুলের গন্ধ ও চাঁদের হাসি।
৩১। “মুদব নয়ন শেষে”—এই পঙক্তির মাধ্যমে কবি কী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: মাতৃভূমির আলোতেই কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চান।
৩২। কবিতাটিতে কবি কীসের সার্থকতা অনুভব করেছেন?
উত্তর: মাতৃভূমিতে জন্ম নেওয়ার সার্থকতা।
৩২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর: ১৯১৩ সালে।
৩৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
উত্তর: ‘গীতাঞ্জলি’ নামের ইংরেজি কবিতার সংকলনের জন্য।
৩৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম কত সালে এবং কোথায় হয়েছিল?
উত্তর: ১৮৬১ সালের ৭ই মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে।
৩৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম তারিখ বঙ্গাব্দে কত?
উত্তর: ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ।
৩৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু কত সালে হয়েছিল?
উত্তর: ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট (১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ)।
৩৭। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিলেতে কী পড়তে গিয়েছিলেন?
উত্তর: ব্যারিস্টারি পড়তে।
৩৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত?
উত্তর: ‘আমার সোনার বাংলা’।
৩৯। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন?
উত্তর: বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন।