হাসেম খানের লেখা “ছবির রং” একটি দারুণ রচনাত্মক পাঠ যা ছবি, রং ও ঋতুপ্রকৃতি ঘিরে শিল্প, আবহাওয়া, জীবনচর্চা ও সংস্কৃতিকে মিলিয়ে লেখক এক অপূর্ব ভাবনার জগৎ গড়ে ওঠে। এই পোস্টে ছবির রং সৃজনশীল প্রশ্ন – ৭ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
ছবির রং সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন] গত ডিসেম্বরে রিংকু তার মামার বাড়ি আলোকদিয়ায় বেড়াতে যায়। তার মা তাকে সেখানকার বিদ্যালয়ে নিয়ে যান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নানা রঙের অনেক ফুল আর প্রজাপতি দেখে সে মুগ্ধ হয়। সেখানে সে শিক্ষার্থীদের তৈরি উজ্জ্বল রঙের নানা ধরনের পুতুল, বিভিন্ন রং দিয়ে আঁকা ছবি দেখে অভিভূত হয়ে পড়ে। ক. চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে? খ. ‘এই তিনটি রং মিলিয়ে মিশিয়ে অনেক রং পাওয়া যায়।’-ব্যাখ্যা কর। গ. বিদ্যালয়ের দৃশ্যে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের কোন ঋতুর পরিচয় পাওয়া যায়?- ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আংশিক ভাব প্রকাশ করছে।”- বিশ্লেষণ কর। |
উত্তরঃ
ক. চাষিরা অগ্রহায়ণ মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে।
খ. লাল, নীল ও হলুদ এই তিনটি রংকে মৌলিক রং বলে। এই রং তিনটি একে অপরের সঙ্গে মিশিয়ে নতুন রং তৈরি করা যায়। যেমন, লাল ও হলুদ মিশিয়ে কমলা, নীল ও হলুদ মিশিয়ে সবুজ এবং লাল ও নীল মিশিয়ে বেগুনি রং পাওয়া যায়। এভাবে একাধিক রং মিশিয়ে অসংখ্য রঙের সৃষ্টি করা সম্ভব। তাই এই তিনটি রং থাকলে একটি রঙিন ও সুন্দর ছবি আঁকা যায়। মূলত, এই মৌলিক রংগুলোর মিশ্রণেই রঙিন পৃথিবী তৈরি হয়।
গ. উদ্দীপকে রিংকু যখন বিদ্যালয়ে যায়, তখন চারদিকে অনেক রঙের ফুল ও প্রজাপতি দেখে সে মুগ্ধ হয়। এসব ফুল ও প্রজাপতির উপস্থিতি বসন্ত ঋতুর কথা মনে করিয়ে দেয়। বসন্তকালে প্রকৃতিতে নানা রঙের ফুল ফোটে এবং রঙিন প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়। রচনাতেও বলা হয়েছে, বসন্তে গাছে গাছে ফুল ফোটার প্রতিযোগিতা চলে। এছাড়াও শিশুরা রঙিন পোশাক পরে উৎসবে অংশ নেয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রঙিন পুতুল বানিয়েছে ও রঙিন ছবি এঁকেছে—এটি বসন্তের প্রাণচাঞ্চল্য ও রঙের উল্লাসের সঙ্গে মিল রয়েছে। বসন্ত হলো রঙের উৎসবের ঋতু। তাই রিংকুর দেখা বিদ্যালয়ের দৃশ্য বসন্ত ঋতুর রঙিন পরিবেশকেই তুলে ধরে। ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে যেভাবে বসন্তের সৌন্দর্য বর্ণনা করা হয়েছে, সেটি এই বিদ্যালয় দৃশ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
ঘ. উদ্দীপকে রিংকু তার মামার বাড়ির একটি বিদ্যালয়ে যায় এবং সেখানে নানা রঙের ফুল, প্রজাপতি, রঙিন পুতুল ও ছবির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়। এই দৃশ্যের মাধ্যমে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের একটি বিশেষ দিক উঠে এসেছে—রঙের সৌন্দর্য ও তার প্রভাব। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, প্রকৃতিতে ও শিল্পকর্মে নানা রঙের উপস্থিতি মানুষের মনে আনন্দ ও মুগ্ধতা তৈরি করে। শিশুদের আঁকা ছবিতে মৌলিক ও উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার থাকে, যা সহজেই নজর কাড়ে। উদ্দীপকের বিদ্যালয় দৃশ্যেও শিক্ষার্থীরা রঙিন পুতুল ও ছবি তৈরি করেছে, যা তাদের সৃজনশীলতার পরিচয় বহন করে। আবার, ফুল ও প্রজাপতির বর্ণনা প্রাকৃতিক রঙের সৌন্দর্যকে তুলে ধরে। এ দিকটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে বিস্তারিতভাবে এসেছে। তবে প্রবন্ধে আরও নানা বিষয় যেমন ঋতুভিত্তিক রঙের পরিবর্তন, লোকশিল্প, চিত্রকলার বিবরণ রয়েছে, যা উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়নি। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি প্রবন্ধের পুরো ভাব নয়, বরং একটি অংশের প্রতিফলন ঘটায়।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়; হয়তো বা হাঁস হবো- কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে; আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে। ক. রংধনুর কয়টি রং? খ. অতিথি পাখি বলা হয় কাকে? বর্ণনা কর। গ. উদ্দীপকের কোন বিষয়টি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা কর। ঘ. “উদ্দীপকের ভাবার্থে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে আলোচিত বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।”- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। শরতের আকাশ দেখে আপনি ভাবেন, ঢাকার আকাশে মেঘ দেখা যায় না; ইস্ একটু গ্রাম-গ্রাম ভাব যদি থাকত! কোথায় পাবেন গ্রাম? নেই। কোথায় সেই গ্রাম, কাশফুলের সাদা সাদা বালুচর! আমিন বাজার, আশুলিয়ায় এক সময় ছিল। সব চলে যাচ্ছে ‘ভূমিঙ্গিল’দের (যারা ভূমি গিলে খায়!) পেটের ভেতর। শহর ছেড়ে একটু দূরে। গেলে হঠাৎ কাশফুলের গভীর অরণ্য। গাড়ি থামিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরায় কয়েকটা ছবি তুলে দে দৌড়। যাক, প্রোফাইল আর কভার পিকচারটা হয়ে গেল। ক. রঙের ঋতু বলা হয় কোন ঋতুকে? খ. বাংলাদেশের ষড়ঋতু বাঙালির মনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে কেন? বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? ঘ., “সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটিই প্রবন্ধে প্রতিফলিত একমাত্র দিক নয়।”-মন্তব্যটি যাচাই কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল! সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল ঝিঙে ফুল। গুল্মে পর্ণে লতিকার কর্ণে ঢলঢল স্বর্ণে ঝলমল দোলো দুল- ক. ষড়ঋতুর শেষ ঋতু কোনটি? খ. বসন্তকালে গাছে গাছে কোন প্রতিযোগিতা চলে? গ. উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয়টিতে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধটির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয় ‘ছবির রং’ প্রবন্ধটির একটি মাত্র ভাবের ধারক।”– মন্তব্যটি বিশ্লেষণে তোমার মতামত তুলে ধর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী! ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে! তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে। ক. নীল ও লাল রং মেশালে কোন রং পাওয়া যায়? খ. বাংলাদেশের বর্ষা ঋতুর বর্ণনা দাও। গ. উদ্দীপকটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে কোন দিকটিকে ফুটিয়ে তোলে? ঘ. “দেশমাতৃকার অপরূপ রূপ ফুটিয়ে তুললেও উদ্দীপকটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের মূলভাব প্রকাশ করে না।” বক্তব্য বিষয়ে তোমার মতামত দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। বাতাসে শিউলি ফুলের সুবাস ছড়িয়ে আসে শরৎ। ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস শরৎকাল। এ সময় বর্ষার কালো মেঘ সাদা হয়ে স্বচ্ছ নীল আকাশে তুলোর মতো ভেসে বেড়ায়। নদীর তীরে বসে সাদা কাশফুলের মেলা। বিকেল বেলা মালা গেঁথে উড়ে চলে সাদা বকের সারি। রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে অজস্র তারার মেলা। ক. ‘ষড়’ শব্দের অর্থ কী? খ. “বসন্ত ঋতু হলো রঙের ঋতু।”- কেন? গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের কোন বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে? আলোচনা কর। ঘ. “উদ্দীপকের ভাবার্থে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে আলোচিত আমাদের প্রকৃতির রূপই যেন প্রতিফলিত হয়েছে।”- উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। এক সময় এদেশের গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা অবসর সময়ে নকশিকাঁথা সেলাই করত। তারা কাঁথা সেলাই করার জন্য বিভিন্ন রঙের সুতা দিয়ে নকশা তৈরি করত। মনে হতো কাঁথাগুলো কাঁথাগুলো যেন প্রকৃতির অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়েছে, যা এক সময় বাঙালিকে বিশ্বদরবারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এ কাঁথাগুলোই বাঙালির ঐতিহ্য বহন করে আসছে। কেননা কাঁথাগুলোতে প্রকৃতি ও মানুষের জীবন্ত চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যে চিত্রগুলো রংবেরঙের সুতো দিয়ে নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে। ক. মৌলিক রং কয়টি? খ. তিনটি রঙের সাহায্যে বিভিন্ন রঙের ছবি আঁকা যায় কীভাবে? গ. উদ্দীপকে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধটির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে উপস্থাপন কর। ঘ. “উদ্দীপকে যেন ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আংশিক চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।”- মূল্যায়ন কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। আজকাল এগুলোর বিক্রি ভালো। সস্তায় ঘরের দেয়াল সাজাবার জন্যে অনেকেই কেনে। একেকটা চিত্রের জন্য কাঠের ওপর খোদাই করা নকশা আছে। তার ওপর কাদার তাল টিপে টিপে পাটা তৈরি করছে ওরা। কাদার তালে ফুটে উঠছে নকশা। ক. তিনটি রং মিশিয়ে কতগুলো রং পাওয়া যায়? খ. “সাদা ও কালো রং ছবি আঁকার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”-কথাটি বুঝিয়ে দাও। গ. উদ্দীপকে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধটির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপক এবং ‘ছবির রং’ প্রবন্ধটিতে ভিন্ন আঙ্গিকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ধারণ করা হয়েছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
নিচে উত্তরসহ ছবির রং সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।
ছবির রং সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ
আরও পড়ুনঃ পিতৃপুরুষের গল্প সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর