হাসেম খানের “ছবির রং” লেখাটি প্রকৃতি, ঋতু এবং শিল্পে রঙের ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে। লেখাটিতে রঙের বৈচিত্র্য এবং এর প্রভাবকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই পোস্টে ছবির রং প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক)- হাসেম খান লিখে দিলাম।
ছবির রং প্রশ্ন উত্তর
১। ছবি আঁকার জন্য কী কী উপকরণ ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ পেন্সিল, কলম ও রং ব্যবহার করে ছবি আঁকা যায়।
২। মৌলিক রং কাকে বলে?
উত্তরঃ যে রঙের মধ্যে অন্য কোনো রঙের মিশ্রণ নেই, তাকে মৌলিক রং বলে।
৩। মৌলিক রং কোনগুলো?
উত্তরঃ লাল, নীল ও হলুদ।
৪। মৌলিক রং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ এই তিনটি রং মিশিয়ে আরও নতুন রং তৈরি করা যায়।
৫। মৌলিক রং কয়টি ও কী কী?
উত্তর: মৌলিক রং তিনটি: লাল, নীল ও হলুদ।
৬। হলুদ ও নীল মেশালে কী রং পাওয়া যায়?
উত্তর: সবুজ রং পাওয়া যায়।
৭। নীল ও লাল মেশালে কী রং পাওয়া যায়?
উত্তর: বেগুনি রং পাওয়া যায়।
৮। লাল ও হলুদ মেশালে কী রং পাওয়া যায়?
উত্তর: কমলা রং পাওয়া যায়।
৯। মাধ্যমিক রং কী কী?
উত্তর: সবুজ, কমলা ও বেগুনি মাধ্যমিক রং।
১০। ‘ষড়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘ষড়’ শব্দের অর্থ ছয়।
১১। বাংলাদেশের ষড়ঋতু কী কী?
উত্তর: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
১২। গ্রীষ্মকালে কী কী ফল পাওয়া যায়?
উত্তর: আম, জাম, কলা, লিচু ও তরমুজ।
১৩। বর্ষাকালে কী ফুল ফোটে?
উত্তর: কদম ফুল ও কচুফুল ফোটে।
১৪। শরৎকালে কী ফুল ফোটে?
উত্তর: কাশফুল ও শাপলাফুল ফোটে।
১৫। ‘প্রচণ্ড’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘প্রচণ্ড’ শব্দের অর্থ কঠোর বা কড়া।
১৬। ‘গেরুয়া’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ‘গেরুয়া’ হলো মাটির মতো একটি বিশেষ রঙ।
১৭। হেমন্তকালে ধানক্ষেতের রং কেমন হয়?
উত্তর: হলুদ বা গেরুয়া রং ধারণ করে।
১৮। শীতকালে কী ফুল ফোটে?
উত্তর: শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, সরষে ও তিলের ফুল ফোটে।
১৯। বসন্তকালে প্রকৃতির কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর: গাছে গাছে ফুল ফোটে এবং পাখিরা আনন্দে নেচে বেড়ায়।
২০। শীতকালে বাংলাদেশে কী পাখি আসে?
উত্তর: অতিথি পাখি আসে।
২১। সবুজ রং কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ হলুদ ও নীল মিশিয়ে।
২২। বেগুনি রং কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ নীল ও লাল মিশিয়ে।
২৩। কমলা রং কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ লাল ও হলুদ মিশিয়ে।
২৪। সাদা ও কালো রঙের বিশেষত্ব কী?
উত্তরঃ এগুলো মৌলিক রং নয় এবং অন্য রং মিশিয়ে এদের তৈরি করা যায় না।
২৫। রংধনুর সাতটি রং কী কী?
উত্তরঃ লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি ও বেগুনির হালকা শেড।
২৬। শরৎ ঋতুর প্রধান রং কী?
উত্তরঃ সাদা ও নীল।
২৭। শরতে কোন ফুল ফোটে?
উত্তরঃ কাশফুল ও শাপলা।
২৮। হেমন্তকালে ধানের ক্ষেতে কী রঙের প্রভাব দেখা যায়?
উত্তরঃ হলুদ ও গেরুয়া রং।
২৯। শীতে মানুষের পোশাকে কী ধরনের রং দেখা যায়?
উত্তরঃ লাল, নীল, হলুদ, কালো ইত্যাদি গাঢ় রং।
৩০। অতিথি পাখিদের বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তরঃ তারা শীতকালে আসে এবং রঙিন পালকযুক্ত হয়।
৩০। তাঁতের কাপড়ে কী ধরনের রং ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ঝলমলে ও উজ্জ্বল রঙের সুতোর বুনন করা হয়।
৩১। বাংলাদেশের শিশুদের চিত্রকলার প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ উজ্জ্বল, সাহসী ও মৌলিক রং ব্যবহারের প্রবণতা।
৩২। বাংলাদেশের শিল্পীরা কেমন ধরনের রং বেশি ব্যবহার করেন?
উত্তরঃ লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, বেগুনি, কমলা, কালো ও সাদা।
৩৩। চারুকলা কী?
উত্তরঃ ছবি আঁকার একটি শৈল্পিক শিক্ষা ও চর্চা।
৩৪। বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে রঙের ব্যবহার কোথায় বেশি দেখা যায়?
উত্তরঃ নকশিকাঁথা, পুতুল, শখের হাঁড়ি, লোকশিল্পে।
৩৫। বসন্তকালে কোন ফুল বেশি ফোটে?
উত্তরঃ কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ।
৩৬। শিশুদের ছবি আঁকায় মৌলিক রঙের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ এটি তাদের সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং রঙের বৈচিত্র্য শেখায়।
৩৭। ‘বাহার’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘বাহার’ শব্দের অর্থ শোভা বা সৌন্দর্য।
৩৮। ‘সর্বত্র’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘সর্বত্র’ শব্দের অর্থ সব জায়গায়।
৩৯। শিল্পী হাশেম খান কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে।
৪০। হাশেম খান কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ চাঁদপুর জেলায়।